সার্ফেস ওয়াটার মডেলিং সেন্টার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''সার্ফেস ওয়াটার মডেলিং সেন্টার '''(SWMC) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সৃষ্ট একটি স্বাধীন ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠান। জাতিসংঘের উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচি-ইউএনডিপি-র সহায়তায় ১৯৮৬ সালে সরকারের পরিচালিত সার্ফেস ওয়াটার স্টিমুলেশন মডেলিং প্রোগ্রাম, পর্যায়-১ (Surface Water Simulation Modelling Programme, Phase-I) থেকে ১৯৯৭ সালে এসডবিউএমসি-র উৎপত্তি। উন্নত কম্পিউটার-সমন্বিত প্রযুক্তির সাহায্যে বাংলাদেশের যৌগিক ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি ব্যবস্থার প্রেক্ষিতে নদনদী ও বন্যাপ্রবাহের মডেল প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। | '''সার্ফেস ওয়াটার মডেলিং সেন্টার''' (SWMC) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সৃষ্ট একটি স্বাধীন ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠান। জাতিসংঘের উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচি-ইউএনডিপি-র সহায়তায় ১৯৮৬ সালে সরকারের পরিচালিত সার্ফেস ওয়াটার স্টিমুলেশন মডেলিং প্রোগ্রাম, পর্যায়-১ (Surface Water Simulation Modelling Programme, Phase-I) থেকে ১৯৯৭ সালে এসডবিউএমসি-র উৎপত্তি। উন্নত কম্পিউটার-সমন্বিত প্রযুক্তির সাহায্যে বাংলাদেশের যৌগিক ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি ব্যবস্থার প্রেক্ষিতে নদনদী ও বন্যাপ্রবাহের মডেল প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়। | ||
বাংলাদেশ সরকার এবং ড্যানিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি-ড্যানিডা (Danish International Development Agency-DANIDA)-এর আর্থিক সহায়তায় এসডবিউএসএমপি-১ এর সফল সমাপ্তির পর ১৯৯০ সালে এসডবিউএসএমপি-২ গৃহীত হয়। গাণিতিক মডেলিং-এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি স্থানান্তর কার্যের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের উদ্দেশ্যে এসডবিউএমসি প্রতিষ্ঠিত হয। এসডবিউএসএমপি-২ এর পর এসডবিউএসএমপি-৩ গৃহীত হয়। ইতোমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গ্রাহকের জন্য বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনার কর্তৃত্ব নিয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসডবিউএমসি আত্মপ্রকাশ করে। | বাংলাদেশ সরকার এবং ড্যানিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি-ড্যানিডা (Danish International Development Agency-DANIDA)-এর আর্থিক সহায়তায় এসডবিউএসএমপি-১ এর সফল সমাপ্তির পর ১৯৯০ সালে এসডবিউএসএমপি-২ গৃহীত হয়। গাণিতিক মডেলিং-এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি স্থানান্তর কার্যের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের উদ্দেশ্যে এসডবিউএমসি প্রতিষ্ঠিত হয। এসডবিউএসএমপি-২ এর পর এসডবিউএসএমপি-৩ গৃহীত হয়। ইতোমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গ্রাহকের জন্য বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনার কর্তৃত্ব নিয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসডবিউএমসি আত্মপ্রকাশ করে। | ||
১২ নং লাইন: | ১২ নং লাইন: | ||
বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী জোয়ারভাটা প্রভাবিত অঞ্চল এবং গরান বনভূমি সুন্দরবনের উপকূলীয় পরিবেশ ব্যবস্থাপনা তথা এতদঞ্চলের বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ কার্যকরী উপায়ে ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এসডবিউএমসি উপকূলীয় অঞ্চলে পরিচালিত একাধিক সমীক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে। সুন্দরবন তথা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিচালিত হাইড্রলিক মডেলিং সমীক্ষা এতদঞ্চলে লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও মোহনা অঞ্চলের পলি সঞ্চয়ন প্রক্রিয়া অনুধাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা বা [[জিআইএস|জিআইএস]] (Geographical Information Systems-GIS) প্রযুক্তি সহযোগে এই মডেলিং লব্ধ ফলাফল উপকূলীয় অঞ্চলের সমন্বিত সম্পদ বিশেষণ প্রক্রিয়া ও পরিবেশগত প্রতিক্রিয়া অধ্যয়নে ব্যবহূত হচ্ছে। | বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী জোয়ারভাটা প্রভাবিত অঞ্চল এবং গরান বনভূমি সুন্দরবনের উপকূলীয় পরিবেশ ব্যবস্থাপনা তথা এতদঞ্চলের বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ কার্যকরী উপায়ে ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এসডবিউএমসি উপকূলীয় অঞ্চলে পরিচালিত একাধিক সমীক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে। সুন্দরবন তথা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিচালিত হাইড্রলিক মডেলিং সমীক্ষা এতদঞ্চলে লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও মোহনা অঞ্চলের পলি সঞ্চয়ন প্রক্রিয়া অনুধাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা বা [[জিআইএস|জিআইএস]] (Geographical Information Systems-GIS) প্রযুক্তি সহযোগে এই মডেলিং লব্ধ ফলাফল উপকূলীয় অঞ্চলের সমন্বিত সম্পদ বিশেষণ প্রক্রিয়া ও পরিবেশগত প্রতিক্রিয়া অধ্যয়নে ব্যবহূত হচ্ছে। | ||
ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক দূষণ বর্তমানে দেশে একটি বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যার কারণে ৫ কোটি লোক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন। আর্সেনিক দূষণ বিষয়ে এসডবিউএমসি জাতীয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিন-পর্যায় ভিত্তিক গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই গবেষণার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আর্সেনিক দূষণের সঙ্গে সংশিষ্ট অন্যান্য ভৌত প্রক্রিয়ার মডেলিং তৈরির জন্য একটি ভিত্তি নির্মাণ এবং গাণিতিক মডেলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রণয়ন করা। | ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক দূষণ বর্তমানে দেশে একটি বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যার কারণে ৫ কোটি লোক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন। আর্সেনিক দূষণ বিষয়ে এসডবিউএমসি জাতীয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিন-পর্যায় ভিত্তিক গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই গবেষণার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আর্সেনিক দূষণের সঙ্গে সংশিষ্ট অন্যান্য ভৌত প্রক্রিয়ার মডেলিং তৈরির জন্য একটি ভিত্তি নির্মাণ এবং গাণিতিক মডেলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রণয়ন করা। [মাসুদ হাসান চৌধুরী এবং মোঃ মাহবুব মোর্শেদ] | ||
[মাসুদ হাসান চৌধুরী এবং মোঃ মাহবুব মোর্শেদ] | |||
[[en:Surface Water Modelling Centre]] | [[en:Surface Water Modelling Centre]] |
০৪:২১, ২২ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
সার্ফেস ওয়াটার মডেলিং সেন্টার (SWMC) গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক সৃষ্ট একটি স্বাধীন ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠান। জাতিসংঘের উন্নয়ন সহায়তা কর্মসূচি-ইউএনডিপি-র সহায়তায় ১৯৮৬ সালে সরকারের পরিচালিত সার্ফেস ওয়াটার স্টিমুলেশন মডেলিং প্রোগ্রাম, পর্যায়-১ (Surface Water Simulation Modelling Programme, Phase-I) থেকে ১৯৯৭ সালে এসডবিউএমসি-র উৎপত্তি। উন্নত কম্পিউটার-সমন্বিত প্রযুক্তির সাহায্যে বাংলাদেশের যৌগিক ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি ব্যবস্থার প্রেক্ষিতে নদনদী ও বন্যাপ্রবাহের মডেল প্রণয়নের উদ্দেশ্যে এই কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়।
বাংলাদেশ সরকার এবং ড্যানিশ ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এজেন্সি-ড্যানিডা (Danish International Development Agency-DANIDA)-এর আর্থিক সহায়তায় এসডবিউএসএমপি-১ এর সফল সমাপ্তির পর ১৯৯০ সালে এসডবিউএসএমপি-২ গৃহীত হয়। গাণিতিক মডেলিং-এর জন্য প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি স্থানান্তর কার্যের প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের উদ্দেশ্যে এসডবিউএমসি প্রতিষ্ঠিত হয। এসডবিউএসএমপি-২ এর পর এসডবিউএসএমপি-৩ গৃহীত হয়। ইতোমধ্যে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের গ্রাহকের জন্য বাণিজ্যিক ভিত্তিতে কার্যক্রম পরিচালনার কর্তৃত্ব নিয়ে একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে এসডবিউএমসি আত্মপ্রকাশ করে।
১৯৮৬ সাল থেকে এসডবিউএসএমপি-১ এবং তৎপরবর্তী এসডবিউএমসি সমগ্র বাংলাদেশকে গাণিতিক মডেলিং-এর সাহায্যে সাধারণভাবে ছয়টি আঞ্চলিক মডেলে বিভক্ত করেছে, যাদের প্রতিটিকে হালনাগাদ উপাত্ত দ্বারা প্রতিবছর সংশোধন করা হয়ে থাকে। গঙ্গা, যমুনা ও মেঘনা এবং তাদের অসংখ্য শাখানদী ও উপনদী সৃষ্ট দেশের নিষ্কাশন প্রণালী নিয়ে গঠিত সাধারণ মডেলগুলি উত্তর-পশ্চিমাঞ্চল, উত্তর-মধ্যাঞ্চল, উত্তর-পূর্ব অঞ্চল, দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল, চট্টগ্রাম অঞ্চল এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে বিভক্ত। সীমান্তের বাইরে অবস্থিত প্রধান নদীসমূহের উজান নিষ্কাশন অববাহিকার পরিস্থিতি, বাড়তি জল পরিবহন বৈশিষ্ট্য, পাবনভূমি প্রবাহ, মোহনা এলাকায় জোয়ারভাটা প্রবাহ প্রভৃতি উপস্থাপনে এসকল মডেল সক্ষম। পানি সম্পদ পরিকল্পনা, বন্যা পূর্বাভাস প্রদান প্রভৃতি কর্মকান্ডে এসকল মডেল ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হয়ে থাকে। বিশ্বব্যাপী দীর্ঘমেয়াদি পানি সম্পদ পরিকল্পনা প্রণয়নেও এই সাধারণ মডেলগুলি গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত।
এসডবিউএমসি কালিক (Temporal) ও পারিসরিক (Spatial) উপাত্তভিত্তি বা ডাটাবেস নিয়ে কাজ করে থাকে। বাংলাদেশের পানি সম্পদ, ভূসংস্থান ও পানিতাত্ত্বিক বিষয়ে এসডবিউএমসি সর্বাধিক ব্যাপক ও উচ্চ মানসম্পন্ন কম্পিউটারভিত্তিক উপাত্তভিত্তি প্রস্ত্তত করে থাকে, যেগুলি নিয়মিত হালনাগাদ করা হয়।
শুষ্ক মৌসুমে ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানির স্বল্পতা বাংলাদেশে একটি অন্যতম সমস্যায় রূপ নেয়, যার কারণে এসময় সেচ ও পানি সরবরাহের জন্য ভূগর্ভস্থ পানির ওপর অতি মাত্রায় নির্ভর করতে হয়। বিগত কয়েক দশকে অতি মাত্রায় ভূগর্ভস্থ পানির আহরণের ফলে দেশের বিভিন্ন স্থানে স্থাপিত গভীর নলকূপসমূহ শুষ্ক হয়ে পড়েছে এবং সেইসঙ্গে ফসল উৎপাদন হ্রাস পেয়েছে। অন্যদিকে, ভূ-পৃষ্ঠস্থ পানি নির্ভর বৃহদায়তনের সেচ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এই প্রেক্ষাপটে ব্যাপক মাত্রার পানি ব্যবস্থাপনা ইস্যুতে ভূ-পৃষ্ঠস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানির মডেলিং একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। পানি সম্পদের কোন একটি একক উৎসের ওপর চাপ কমাতে বর্তমানে ভূ-পৃষ্ঠস্থ ও ভূগর্ভস্থ পানির মিলিত ব্যবহার অনুসরণ করা হচ্ছে। এই উদ্দেশ্যে এসডবিউএমসি ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবস্থাপনার একটি মডেল প্রণয়ন করেছে। এই মডেলটি যমুনেশ্বরী অববাহিকার পাইলট মডেল সমীক্ষা কার্যক্রমে ব্যবহূত হয়েছে। বর্তমানে মডেলটি চতুর্থ ঢাকা পানি সরবরাহ প্রকল্প, মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্প এবং সোনারগাঁও উপজেলার আর্সেনিক দূষিত ভূগর্ভস্থ পানির পাইলট গবেষণায় কার্যকরভাবে ব্যবহূত হচ্ছে। ঢাকা মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনের উপায় অনুসন্ধানে সহায়তা করার লক্ষ্যে এসডবিউএমসি একটি পাইলট মডেল সমীক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করে।
বঙ্গোপসাগরের উপকূলবর্তী জোয়ারভাটা প্রভাবিত অঞ্চল এবং গরান বনভূমি সুন্দরবনের উপকূলীয় পরিবেশ ব্যবস্থাপনা তথা এতদঞ্চলের বিপুল প্রাকৃতিক সম্পদ কার্যকরী উপায়ে ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে এসডবিউএমসি উপকূলীয় অঞ্চলে পরিচালিত একাধিক সমীক্ষা কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেছে। সুন্দরবন তথা উপকূলীয় অঞ্চলের পরিচালিত হাইড্রলিক মডেলিং সমীক্ষা এতদঞ্চলে লবণাক্ততা বৃদ্ধি ও মোহনা অঞ্চলের পলি সঞ্চয়ন প্রক্রিয়া অনুধাবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ভৌগোলিক তথ্য ব্যবস্থা বা জিআইএস (Geographical Information Systems-GIS) প্রযুক্তি সহযোগে এই মডেলিং লব্ধ ফলাফল উপকূলীয় অঞ্চলের সমন্বিত সম্পদ বিশেষণ প্রক্রিয়া ও পরিবেশগত প্রতিক্রিয়া অধ্যয়নে ব্যবহূত হচ্ছে।
ভূগর্ভস্থ পানিতে আর্সেনিক দূষণ বর্তমানে দেশে একটি বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যার কারণে ৫ কোটি লোক স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্মুখীন। আর্সেনিক দূষণ বিষয়ে এসডবিউএমসি জাতীয় অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে তিন-পর্যায় ভিত্তিক গবেষণা প্রকল্প গ্রহণ করেছে। এই গবেষণার প্রধান উদ্দেশ্য হচ্ছে আর্সেনিক দূষণের সঙ্গে সংশিষ্ট অন্যান্য ভৌত প্রক্রিয়ার মডেলিং তৈরির জন্য একটি ভিত্তি নির্মাণ এবং গাণিতিক মডেলিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে জলবিভাজিকা ব্যবস্থাপনা কৌশল প্রণয়ন করা। [মাসুদ হাসান চৌধুরী এবং মোঃ মাহবুব মোর্শেদ]