পুরুষোত্তম ভট্টাচার্য: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (fix: </u>]]) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:Banglapedia]] | [[Category:Banglapedia]] | ||
'''পুরুষোত্তম ভট্টাচার্য '''(আনু. ১২শ শতক) সংস্কৃত পন্ডিত, বৈয়াকরণ ও [[ | '''পুরুষোত্তম ভট্টাচার্য''' (আনু. ১২শ শতক) সংস্কৃত পন্ডিত, বৈয়াকরণ ও [[অভিধান|অভিধান]] রচয়িতা। তাঁর প্রধান রচনা ভাষাবৃত্তি পাণিনির অষ্টাধ্যায়ীর টীকা; লক্ষ্মণসেনের অনুরোধে তিনি এটি রচনা করেন। পুরুষোত্তম ভাষাবৃত্তির প্রারম্ভিক শ্লোকে বুদ্ধদেবের বর্ণনা করেছেন; কোনো কোনো উদাহরণে বৌদ্ধদর্শনের উল্লেখও আছে। এ থেকে অনুমিত হয় যে তিনি বৌদ্ধ ছিলেন। | ||
অষ্টাধ্যায়ীর বৈদিক অংশের বৃত্তি এ গ্রন্থে নেই; শুধু ভাষার সূত্রগুলির ওপর লঘুবৃত্তি দিয়ে গ্রন্থটি রচিত হয়েছে। বাংলার উত্তর অংশে ভাষাবৃত্তি অনেককাল প্রভাব বিস্তার করেছিল। হারাবলী নামক অভিধান, গণবৃত্তি ও পরিভাষাবৃত্তি শীর্ষক ব্যাকরণগ্রন্থ, সুভাষিত মুক্তাবলী নামক কোষকাব্য এবং বিষ্ণুভক্তিকল্পলতা নামক স্তোত্র পুরুষোত্তমের অপরাপর রচনা। | অষ্টাধ্যায়ীর বৈদিক অংশের বৃত্তি এ গ্রন্থে নেই; শুধু ভাষার সূত্রগুলির ওপর লঘুবৃত্তি দিয়ে গ্রন্থটি রচিত হয়েছে। বাংলার উত্তর অংশে ভাষাবৃত্তি অনেককাল প্রভাব বিস্তার করেছিল। হারাবলী নামক অভিধান, গণবৃত্তি ও পরিভাষাবৃত্তি শীর্ষক ব্যাকরণগ্রন্থ, সুভাষিত মুক্তাবলী নামক কোষকাব্য এবং বিষ্ণুভক্তিকল্পলতা নামক স্তোত্র পুরুষোত্তমের অপরাপর রচনা। | ||
হারাবলী অভিধান সংকলন করতে গিয়ে পুরুষোত্তম সুদীর্ঘ বারো বছর নানা স্থান ভ্রমণ এবং কঠোর পরিশ্রম করেন। বর্ণদেশনা | হারাবলী অভিধান সংকলন করতে গিয়ে পুরুষোত্তম সুদীর্ঘ বারো বছর নানা স্থান ভ্রমণ এবং কঠোর পরিশ্রম করেন। বর্ণদেশনা, একাক্ষরকোষ ও দ্বিরূপকোষ নামক অভিধানগুলিও তাঁর রচনা। গদ্যে রচিত বর্ণদেশনায় বিভিন্নরূপ বর্ণবিন্যাসযুক্ত শব্দের সংগ্রহ আছে। গৌড়ীয় লিপিরূপের জন্য যেসকল শব্দের বানানে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে, সেই জাতীয় অনেক শব্দের আলোচনা এতে রয়েছে। [[সংস্কৃত|সংস্কৃত]] শব্দের এই বানান শুদ্ধীকরণ তাঁর এক অসামান্য কীর্তি। [মঞ্জুলা চৌধুরী] | ||
[মঞ্জুলা চৌধুরী] | |||
[[en:Purushottam Bhattacharya]] | [[en:Purushottam Bhattacharya]] |
০৮:১৯, ৮ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
পুরুষোত্তম ভট্টাচার্য (আনু. ১২শ শতক) সংস্কৃত পন্ডিত, বৈয়াকরণ ও অভিধান রচয়িতা। তাঁর প্রধান রচনা ভাষাবৃত্তি পাণিনির অষ্টাধ্যায়ীর টীকা; লক্ষ্মণসেনের অনুরোধে তিনি এটি রচনা করেন। পুরুষোত্তম ভাষাবৃত্তির প্রারম্ভিক শ্লোকে বুদ্ধদেবের বর্ণনা করেছেন; কোনো কোনো উদাহরণে বৌদ্ধদর্শনের উল্লেখও আছে। এ থেকে অনুমিত হয় যে তিনি বৌদ্ধ ছিলেন।
অষ্টাধ্যায়ীর বৈদিক অংশের বৃত্তি এ গ্রন্থে নেই; শুধু ভাষার সূত্রগুলির ওপর লঘুবৃত্তি দিয়ে গ্রন্থটি রচিত হয়েছে। বাংলার উত্তর অংশে ভাষাবৃত্তি অনেককাল প্রভাব বিস্তার করেছিল। হারাবলী নামক অভিধান, গণবৃত্তি ও পরিভাষাবৃত্তি শীর্ষক ব্যাকরণগ্রন্থ, সুভাষিত মুক্তাবলী নামক কোষকাব্য এবং বিষ্ণুভক্তিকল্পলতা নামক স্তোত্র পুরুষোত্তমের অপরাপর রচনা।
হারাবলী অভিধান সংকলন করতে গিয়ে পুরুষোত্তম সুদীর্ঘ বারো বছর নানা স্থান ভ্রমণ এবং কঠোর পরিশ্রম করেন। বর্ণদেশনা, একাক্ষরকোষ ও দ্বিরূপকোষ নামক অভিধানগুলিও তাঁর রচনা। গদ্যে রচিত বর্ণদেশনায় বিভিন্নরূপ বর্ণবিন্যাসযুক্ত শব্দের সংগ্রহ আছে। গৌড়ীয় লিপিরূপের জন্য যেসকল শব্দের বানানে বিভ্রান্তির সৃষ্টি হতে পারে, সেই জাতীয় অনেক শব্দের আলোচনা এতে রয়েছে। সংস্কৃত শব্দের এই বানান শুদ্ধীকরণ তাঁর এক অসামান্য কীর্তি। [মঞ্জুলা চৌধুরী]