শাহ পরান (রঃ): সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
'''শাহ পরান | '''শাহ পরান (রঃ)''' সুহরাওয়ার্দিয়া ও জালালিয়া তরিকার প্রখ্যাত সুফি সাধক। কথিত আছে যে, তিনি হজরত [[শাহ জালাল (রঃ)|শাহ জালাল (রঃ)]] এর ভাগিনা এবং তাঁর জন্ম ইয়েমেনে। তিনি শাহজালাল (রঃ)-এর সাথে সিলেট অভিযানে অংশগ্রহণ করেন (১৩০৩ খ্রি) এবং সিলেটের বিভিন্ন স্থানে ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত হন। সিলেট শহর থেকে প্রায় ৭ কিমি দূরে দক্ষিণগাঝ পরগনায় খাদিম নগরে [[খানকাহ|খানকাহ]] স্থাপন করে তিনি আধ্যাত্মিক সাধনা শুরু করেন। সিলেট অঞ্চলে ইসলাম প্রচার ও মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠায় শাহ পরানের ভূমিকা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ। | ||
অদ্যাবধি তাঁর মাজার জিয়ারতের জন্য প্রতিদিন বহুলোক সমাগত হয়। রবিউল আউয়াল মাসের ৪, ৫ ও ৬ তারিখ তাঁর ওরশ হয়। তাঁর মাজারটি উঁচু টিলার উপরে ইট দিয়ে বাঁধানো ও দেয়াল ঘেরা অবস্থায় সযত্নে রক্ষিত। মাজারের সঙ্গে উত্তরদিকে একটি প্রাচীন গাছ আছে, যার শাখা-প্রশাখা সমগ্র মাজারের উপর বিস্তৃত। গাছটির নাম ‘আশাগাছ’। গাছের পাতা থেকে বোঝা যায় যে, গাছটি ডুমুর, আম ও অপর কোন জাতের গাছের সমন্বয়ে গঠিত। মানুষ রোগ নিরাময়ের জন্য ভক্তিভরে ডুমুরের বীজ খায়। আমও অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে তবারক হিসেবে খাওয়া হয়। মাজারের পাশেই রয়েছে একটি প্রাচীন মসজিদ। ১৯৮৯-৯১ সালে মসজিদটির আধুনিকায়ণ করা হয়েছে। প্রায় ১৫০০ জন মুসলি এখন এখানে একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন। [মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন] | অদ্যাবধি তাঁর মাজার জিয়ারতের জন্য প্রতিদিন বহুলোক সমাগত হয়। রবিউল আউয়াল মাসের ৪, ৫ ও ৬ তারিখ তাঁর ওরশ হয়। তাঁর মাজারটি উঁচু টিলার উপরে ইট দিয়ে বাঁধানো ও দেয়াল ঘেরা অবস্থায় সযত্নে রক্ষিত। মাজারের সঙ্গে উত্তরদিকে একটি প্রাচীন গাছ আছে, যার শাখা-প্রশাখা সমগ্র মাজারের উপর বিস্তৃত। গাছটির নাম ‘আশাগাছ’। গাছের পাতা থেকে বোঝা যায় যে, গাছটি ডুমুর, আম ও অপর কোন জাতের গাছের সমন্বয়ে গঠিত। মানুষ রোগ নিরাময়ের জন্য ভক্তিভরে ডুমুরের বীজ খায়। আমও অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে তবারক হিসেবে খাওয়া হয়। মাজারের পাশেই রয়েছে একটি প্রাচীন মসজিদ। ১৯৮৯-৯১ সালে মসজিদটির আধুনিকায়ণ করা হয়েছে। প্রায় ১৫০০ জন মুসলি এখন এখানে একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন। [মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন] |
০৫:২৭, ১৬ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
শাহ পরান (রঃ) সুহরাওয়ার্দিয়া ও জালালিয়া তরিকার প্রখ্যাত সুফি সাধক। কথিত আছে যে, তিনি হজরত শাহ জালাল (রঃ) এর ভাগিনা এবং তাঁর জন্ম ইয়েমেনে। তিনি শাহজালাল (রঃ)-এর সাথে সিলেট অভিযানে অংশগ্রহণ করেন (১৩০৩ খ্রি) এবং সিলেটের বিভিন্ন স্থানে ইসলাম প্রচারে নিয়োজিত হন। সিলেট শহর থেকে প্রায় ৭ কিমি দূরে দক্ষিণগাঝ পরগনায় খাদিম নগরে খানকাহ স্থাপন করে তিনি আধ্যাত্মিক সাধনা শুরু করেন। সিলেট অঞ্চলে ইসলাম প্রচার ও মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠায় শাহ পরানের ভূমিকা ছিল তাৎপর্যপূর্ণ।
অদ্যাবধি তাঁর মাজার জিয়ারতের জন্য প্রতিদিন বহুলোক সমাগত হয়। রবিউল আউয়াল মাসের ৪, ৫ ও ৬ তারিখ তাঁর ওরশ হয়। তাঁর মাজারটি উঁচু টিলার উপরে ইট দিয়ে বাঁধানো ও দেয়াল ঘেরা অবস্থায় সযত্নে রক্ষিত। মাজারের সঙ্গে উত্তরদিকে একটি প্রাচীন গাছ আছে, যার শাখা-প্রশাখা সমগ্র মাজারের উপর বিস্তৃত। গাছটির নাম ‘আশাগাছ’। গাছের পাতা থেকে বোঝা যায় যে, গাছটি ডুমুর, আম ও অপর কোন জাতের গাছের সমন্বয়ে গঠিত। মানুষ রোগ নিরাময়ের জন্য ভক্তিভরে ডুমুরের বীজ খায়। আমও অত্যন্ত সম্মানের সঙ্গে তবারক হিসেবে খাওয়া হয়। মাজারের পাশেই রয়েছে একটি প্রাচীন মসজিদ। ১৯৮৯-৯১ সালে মসজিদটির আধুনিকায়ণ করা হয়েছে। প্রায় ১৫০০ জন মুসলি এখন এখানে একত্রে নামাজ আদায় করতে পারেন। [মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন]