ড্রেক, রজার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:Banglapedia]] | [[Category:Banglapedia]] | ||
'''ড্রেক | '''ড্রেক, রজার''' ১৭৫২ সালের ৮ আগস্ট থেকে ১৭৫৮ সাল পর্যন্ত বাংলার ফোর্ট উইলিয়ম কাউন্সিলের গভর্নর ছিলেন। রজার ড্রেক ১৭৩৭ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চাকরিতে একজন writer বা সর্বনিম্ন কর্মকর্তা হিসেবে কলকাতায় আগমন করেন। কোম্পানির কাজে তাঁর প্রশংসনীয় অবদান ও যোগ্যতার বলে তিনি [[ফোর্ট উইলিয়ম|ফোর্ট উইলিয়ম]] এর গভর্নর পদে উন্নীত হন। কিন্তু সংকট মোকাবেলার দৃঢ়তা বা যোগ্যতা তাঁর ছিল না। নওয়াবের পূর্বানুমতি ছাড়াই তিনি কলকাতার দুর্গ সুরক্ষিত করেন। এ ধরনের বেআইনি কার্যক্রমের পরিণতি অনুধাবনের চেষ্টাও তিনি করেন নি। নওয়াব [[আলীবর্দী খান]|আলীবর্দী খান]] এর প্রশাসন ড্রেকের বেআইনি কার্যকলাপ উপেক্ষা করলেও নওয়াব [[সিরাজউদ্দৌলা|সিরাজউদ্দৌলা]] সিংহাসনে আরোহণের পরপরই অবৈধভাবে নির্মিত সকল প্রতিরক্ষামূলক অবকাঠামো ভেঙে ফেলার এবং সেই সঙ্গে কোম্পানির কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ব্যবসায়ে দস্তকের বে-আইনি ব্যবহার বন্ধ করার জন্য কয়েকটি পরওয়ানা জারি করেন। ড্রেক নওয়াবের আদেশ অমান্য করেন। সিরাজউদ্দৌলা ক্রুদ্ধ হয়ে ফোর্ট উইলিয়ম কাউন্সিলকে দেশের আইন মেনে চলতে বাধ্য করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে এক অভিযান পরিচালনা করেন। ১৭৫৬ সালের ১৬ জুন তিনি [[কলকাতা|কলকাতা]] আক্রমণ করেন। এর দু’দিন পর বহুসংখ্যক স্বদেশী ও কোম্পানির কর্মকর্তাদের ফেলে রেখে রজার ড্রেক নদীর প্রায় বিশ মাইল ভাটিতে ফুলতা নামক স্থানে পালিয়ে যান। কাপুরুষোচিত পলায়ন এবং নওয়াবী সৈন্যদের হাতে কলকাতার ধ্বংসসাধন ও লুণ্ঠন রজার ড্রেককে অত্যন্ত বিতর্কিত করে তোলে। পলাশীর যুদ্ধের পর [[কোর্ট অব ডাইরেক্টর্স|কোর্ট অব ডাইরেক্টর্স]] তাঁকে পদচ্যুত করে এবং প্রথমে [[ওয়াটসন, অ্যাডমিরাল চার্লস|অ্যাডমিরাল চার্লস ওয়াটসন]] এবং পরে [[ক্লাইভ, রবার্ট|রবার্ট ক্লাইভ]] তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। [সিরাজুল ইসলাম] | ||
[[en:Drake, Roger]] | [[en:Drake, Roger]] |
১০:৫৪, ২৩ ডিসেম্বর ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
ড্রেক, রজার ১৭৫২ সালের ৮ আগস্ট থেকে ১৭৫৮ সাল পর্যন্ত বাংলার ফোর্ট উইলিয়ম কাউন্সিলের গভর্নর ছিলেন। রজার ড্রেক ১৭৩৭ সালে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির চাকরিতে একজন writer বা সর্বনিম্ন কর্মকর্তা হিসেবে কলকাতায় আগমন করেন। কোম্পানির কাজে তাঁর প্রশংসনীয় অবদান ও যোগ্যতার বলে তিনি ফোর্ট উইলিয়ম এর গভর্নর পদে উন্নীত হন। কিন্তু সংকট মোকাবেলার দৃঢ়তা বা যোগ্যতা তাঁর ছিল না। নওয়াবের পূর্বানুমতি ছাড়াই তিনি কলকাতার দুর্গ সুরক্ষিত করেন। এ ধরনের বেআইনি কার্যক্রমের পরিণতি অনুধাবনের চেষ্টাও তিনি করেন নি। নওয়াব [[আলীবর্দী খান]|আলীবর্দী খান]] এর প্রশাসন ড্রেকের বেআইনি কার্যকলাপ উপেক্ষা করলেও নওয়াব সিরাজউদ্দৌলা সিংহাসনে আরোহণের পরপরই অবৈধভাবে নির্মিত সকল প্রতিরক্ষামূলক অবকাঠামো ভেঙে ফেলার এবং সেই সঙ্গে কোম্পানির কর্মচারীদের ব্যক্তিগত ব্যবসায়ে দস্তকের বে-আইনি ব্যবহার বন্ধ করার জন্য কয়েকটি পরওয়ানা জারি করেন। ড্রেক নওয়াবের আদেশ অমান্য করেন। সিরাজউদ্দৌলা ক্রুদ্ধ হয়ে ফোর্ট উইলিয়ম কাউন্সিলকে দেশের আইন মেনে চলতে বাধ্য করার জন্য তাদের বিরুদ্ধে এক অভিযান পরিচালনা করেন। ১৭৫৬ সালের ১৬ জুন তিনি কলকাতা আক্রমণ করেন। এর দু’দিন পর বহুসংখ্যক স্বদেশী ও কোম্পানির কর্মকর্তাদের ফেলে রেখে রজার ড্রেক নদীর প্রায় বিশ মাইল ভাটিতে ফুলতা নামক স্থানে পালিয়ে যান। কাপুরুষোচিত পলায়ন এবং নওয়াবী সৈন্যদের হাতে কলকাতার ধ্বংসসাধন ও লুণ্ঠন রজার ড্রেককে অত্যন্ত বিতর্কিত করে তোলে। পলাশীর যুদ্ধের পর কোর্ট অব ডাইরেক্টর্স তাঁকে পদচ্যুত করে এবং প্রথমে অ্যাডমিরাল চার্লস ওয়াটসন এবং পরে রবার্ট ক্লাইভ তাঁর স্থলাভিষিক্ত হন। [সিরাজুল ইসলাম]