কাঠবিড়ালী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না) | |||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
[[Image:Squirrel.jpg|thumb|right|কাঠবিড়ালী [ছবি: আমানুল হক]]] | [[Image:Squirrel.jpg|thumb|400px|right|কাঠবিড়ালী [ছবি: আমানুল হক]]] | ||
'''কাঠবিড়ালী''' (Squirrel) Rodentia বর্গের Sciuridae গোত্রের প্রধানত বৃক্ষবাসী [[স্তন্যপায়ী|স্তন্যপায়ী]]। শরীর লম্বাটে, লেজ লম্বা ও ঝোপালো। কাঠবিড়ালী বহুদৃষ্ট স্তন্যপায়ীর অন্যতম। অস্ট্রেলিয়া ও কুমেরু ছাড়া পৃথিবীর সর্বত্র আছে। উষ্ণমন্ডলীয় কিছু কাঠবিড়ালীর শরীরে কালো ও সাদা ডোরা থাকে। অনেকেরই চোখ বড়, দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ম এবং আছে ডালপালার মধ্যেকার দূরত্ব মাপার মতো প্রখর বোধশক্তি। এদের সামনের পা খাটো, পায়ের আঙুলে ধারালো নখ, তা দিয়ে বৃক্ষবাসী প্রজাতিরা স্বচ্ছন্দে গাছে ওঠানামা করে। পেছনের লম্বা পা লাফ দেওয়ার প্রয়োজনীয় সম্মুখগতি যোগায়। | '''কাঠবিড়ালী''' (Squirrel) Rodentia বর্গের Sciuridae গোত্রের প্রধানত বৃক্ষবাসী [[স্তন্যপায়ী|স্তন্যপায়ী]]। শরীর লম্বাটে, লেজ লম্বা ও ঝোপালো। কাঠবিড়ালী বহুদৃষ্ট স্তন্যপায়ীর অন্যতম। অস্ট্রেলিয়া ও কুমেরু ছাড়া পৃথিবীর সর্বত্র আছে। উষ্ণমন্ডলীয় কিছু কাঠবিড়ালীর শরীরে কালো ও সাদা ডোরা থাকে। অনেকেরই চোখ বড়, দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ম এবং আছে ডালপালার মধ্যেকার দূরত্ব মাপার মতো প্রখর বোধশক্তি। এদের সামনের পা খাটো, পায়ের আঙুলে ধারালো নখ, তা দিয়ে বৃক্ষবাসী প্রজাতিরা স্বচ্ছন্দে গাছে ওঠানামা করে। পেছনের লম্বা পা লাফ দেওয়ার প্রয়োজনীয় সম্মুখগতি যোগায়। | ||
উড়ুক্কু কাঠবিড়ালীর আছে দেহের দুপাশে পেছনের পা থেকে সামনের পা পর্যন্ত ছড়ানো ও কব্জিতে যুক্ত লোমশ চামড়া। হাত-পা ছড়িয়ে এরা শরীরের উপরিতলের আয়তন বাড়িয়ে লেজকে হাল হিসেবে ব্যবহার করে এক গাছ থেকে অন্য গাছে পৌঁছতে পারে। অন্য সময় দৌড় বা গাছে ওঠায় অসুবিধা এড়াতে এটি গুটিয়ে রাখে। উড়ুক্কু কাঠবিড়ালী সাধারণ কাঠবিড়ালীর তুলনায় কম চটপটে। গোটা বিশ্বের কাঠবিড়ালী প্রজাতি সংখ্যা ২৭০, বাংলাদেশে রয়েছে ৮ প্রজাতি। | উড়ুক্কু কাঠবিড়ালীর আছে দেহের দুপাশে পেছনের পা থেকে সামনের পা পর্যন্ত ছড়ানো ও কব্জিতে যুক্ত লোমশ চামড়া। হাত-পা ছড়িয়ে এরা শরীরের উপরিতলের আয়তন বাড়িয়ে লেজকে হাল হিসেবে ব্যবহার করে এক গাছ থেকে অন্য গাছে পৌঁছতে পারে। অন্য সময় দৌড় বা গাছে ওঠায় অসুবিধা এড়াতে এটি গুটিয়ে রাখে। উড়ুক্কু কাঠবিড়ালী সাধারণ কাঠবিড়ালীর তুলনায় কম চটপটে। গোটা বিশ্বের কাঠবিড়ালী প্রজাতি সংখ্যা ২৭০, বাংলাদেশে রয়েছে ৮ প্রজাতি। | ||
'' | ''সারণি'' বাংলাদেশের কাঠবিড়ালী (Mammalia : Rodentia, Sciuridae) | ||
{| class="table table-bordered" | {| class="table table-bordered" | ||
|- | |- | ||
| | | বৈজ্ঞানিক নাম || ইংরেজি নাম || স্থানীয় নাম || বিস্তার | ||
|- | |- |
০৭:৫৩, ৭ আগস্ট ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
কাঠবিড়ালী (Squirrel) Rodentia বর্গের Sciuridae গোত্রের প্রধানত বৃক্ষবাসী স্তন্যপায়ী। শরীর লম্বাটে, লেজ লম্বা ও ঝোপালো। কাঠবিড়ালী বহুদৃষ্ট স্তন্যপায়ীর অন্যতম। অস্ট্রেলিয়া ও কুমেরু ছাড়া পৃথিবীর সর্বত্র আছে। উষ্ণমন্ডলীয় কিছু কাঠবিড়ালীর শরীরে কালো ও সাদা ডোরা থাকে। অনেকেরই চোখ বড়, দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ম এবং আছে ডালপালার মধ্যেকার দূরত্ব মাপার মতো প্রখর বোধশক্তি। এদের সামনের পা খাটো, পায়ের আঙুলে ধারালো নখ, তা দিয়ে বৃক্ষবাসী প্রজাতিরা স্বচ্ছন্দে গাছে ওঠানামা করে। পেছনের লম্বা পা লাফ দেওয়ার প্রয়োজনীয় সম্মুখগতি যোগায়।
উড়ুক্কু কাঠবিড়ালীর আছে দেহের দুপাশে পেছনের পা থেকে সামনের পা পর্যন্ত ছড়ানো ও কব্জিতে যুক্ত লোমশ চামড়া। হাত-পা ছড়িয়ে এরা শরীরের উপরিতলের আয়তন বাড়িয়ে লেজকে হাল হিসেবে ব্যবহার করে এক গাছ থেকে অন্য গাছে পৌঁছতে পারে। অন্য সময় দৌড় বা গাছে ওঠায় অসুবিধা এড়াতে এটি গুটিয়ে রাখে। উড়ুক্কু কাঠবিড়ালী সাধারণ কাঠবিড়ালীর তুলনায় কম চটপটে। গোটা বিশ্বের কাঠবিড়ালী প্রজাতি সংখ্যা ২৭০, বাংলাদেশে রয়েছে ৮ প্রজাতি।
সারণি বাংলাদেশের কাঠবিড়ালী (Mammalia : Rodentia, Sciuridae)
বৈজ্ঞানিক নাম | ইংরেজি নাম | স্থানীয় নাম | বিস্তার |
Callosciurus erythraeus | Pallas’s Squirrel | -- | দেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মিশ্র-চিরসবুজ বন |
Callosciurus pygerythrus | Hoary-bellied Himalayan Squirrel/Irrawaddy Squirrel | বাদামি কাঠবিড়ালী | যমুনার পূর্ব তীর ও সুন্দরবন |
Dremomys lokriah | Orange-bellied Himalayan Squirrel: গাঢ় পিঙ্গল বাদামি রঙের শরীর, পিঠের লোমের গোড়া বাদামি, শরীরের নিচের অংশ অল্পবিস্তর কমলা রঙের। মাঝেমধ্যে উচ্চস্বরে কক কক ডাকে। | -- | দেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মিশ্র-চিরসবুজ বন |
Funambulus palmarum | Threestriped Palm Squirrel/Indian Palm Squirrel: পিঠে ৩টি লম্বা ডোরা। | -- | যমুনার পূর্ব তীর |
Funambulus pennanti | Fivestriped Palm Squirrel/Northern Palm Squirrel: পিঠে ৫টি অস্পষ্ট ডোরা। প্রতিপাশে ৩ মধ্যগ লম্বা ডোরা, পাশে পরিপূরক হালকা রঙের ডোরা। | ডোরা কাঠবিড়ালী | সুন্দরবন ছাড়াও যমুনার পশ্চিম তীর |
Petaurista magnificus | Hodgson’s Flying Squirrel | উডুক্কু কাঠবিড়ালী | দেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মিশ্র-চিরসবুজ বন |
Petaurista petaurista | Large Brown Flying Squirrel/Common Giant Flying Squirrel/Red Giant Flying Squirrel | উডুক্কু কাঠবিড়ালী | দেশের দক্ষিণ-পূর্ব অঞ্চল |
Ratufa bicolor | Malayan Giant Squirrel/Black Giant Squirrel: শরীর গাঢ় বাদামি, প্রায় কালো, পেট ও বুক হালকা হলুদ। | উডুক্কু কাঠবিড়ালী | দেশের উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের মিশ্র-চিরসবুজ বন |
[মোঃ আনোয়ারুল ইসলাম]