বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট '''(Bangladesh Institute of Apiculture/BIA)  মৌমাছিপালন ও মধু উৎপাদন বিষয়ক বাংলাদেশের একটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। গ্রামাঞ্চলে কর্মসংস্থান ও অর্থোপার্জনের একটি সম্ভাবনাময় বিশেষ খাত হিসেবে মৌমাছিপালনের ওপর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ১৯৮১ সালে ঢাকায় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অতীতে বাংলাদেশে মৌমাছিপালন উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছিল বেশ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন এবং কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন কানাডীয় বিশ্ববিদ্যালয় সেবা সংস্থা (Canadian University Service Organization/CUSO)। কিন্তু উন্নত প্রযুক্তি এবং প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তির অভাবে এগুলি তেমন সফল হয় নি।
'''বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট''' (Bangladesh Institute of Apiculture/BIA)  মৌমাছিপালন ও মধু উৎপাদন বিষয়ক বাংলাদেশের একটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। গ্রামাঞ্চলে কর্মসংস্থান ও অর্থোপার্জনের একটি সম্ভাবনাময় বিশেষ খাত হিসেবে মৌমাছিপালনের ওপর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ১৯৮১ সালে ঢাকায় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অতীতে বাংলাদেশে মৌমাছিপালন উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছিল বেশ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন এবং কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন কানাডীয় বিশ্ববিদ্যালয় সেবা সংস্থা (Canadian University Service Organization/CUSO)। কিন্তু উন্নত প্রযুক্তি এবং প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তির অভাবে এগুলি তেমন সফল হয় নি।


বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট হলো মাঠ পর্যায়ে দক্ষ জনশক্তি পরিচালিত গবেষণা এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির দীর্ঘ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বৈজ্ঞানিক উপায়ে মৌমাছিপালনের একটি পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি উদ্ভাবনের লক্ষ্যে CUSO ও CIDA-র যৌথ-উদ্যোগের ফল। এটি মৌমাছিচাষে প্রযুক্তিগত জ্ঞানসম্পন্ন গ্রামাঞ্চলের আগ্রহী ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি মৌচাষীদের প্রয়োজনীয় সম্প্রসারণ সেবাও যোগায়। এছাড়া বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট মৌচাষীদের তৈরি মধুর বাজার বৃদ্ধি, মধুর গুণ, মান, স্বাদ ও বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য মধু-প্রসেসিং বিষয়েও কাজ করে।
বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট হলো মাঠ পর্যায়ে দক্ষ জনশক্তি পরিচালিত গবেষণা এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির দীর্ঘ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বৈজ্ঞানিক উপায়ে মৌমাছিপালনের একটি পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি উদ্ভাবনের লক্ষ্যে CUSO ও CIDA-র যৌথ-উদ্যোগের ফল। এটি মৌমাছিচাষে প্রযুক্তিগত জ্ঞানসম্পন্ন গ্রামাঞ্চলের আগ্রহী ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি মৌচাষীদের প্রয়োজনীয় সম্প্রসারণ সেবাও যোগায়। এছাড়া বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট মৌচাষীদের তৈরি মধুর বাজার বৃদ্ধি, মধুর গুণ, মান, স্বাদ ও বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য মধু-প্রসেসিং বিষয়েও কাজ করে।
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট মৌচাষীদের সরবরাহের জন্য মানসম্পন্ন মৌমাছিপালন বাক্স, নিষ্কাশনযন্ত্র, রানীপ্রকোষ্ঠ (queengate), সি.এফ শিট এবং মৌমাছিপালনের অন্যান্য কিছু আনুষঙ্গিক সাজসরঞ্জাম তৈরি করে থাকে। এ ইনস্টিটিউট এশিয়ান মৌমাছিপালন অ্যাসোসিয়েশন, টোকিও এবং আন্তর্জাতিক মৌমাছি গবেষণা অ্যাসোসিয়েশন, লন্ডন (International Bee Research Association, London) ইত্যাদি বিদেশী সংস্থার এবং Association of Development Agencies, Bangladesh, Credit and Development Forum, Dhaka এবং এনজিও ফোরাম, ঢাকার সদস্য। বিশ জনের একটি নিয়মিত কর্মিদল এবং ৯০ জন সেচ্ছাসেবী নিয়ে বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট কাজ করছে। শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সমাজকর্মী ও মৌমাছি বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিত্বকারী ১১ সদস্যের একটি কার্যনির্বাহী পরিষদ দ্বারা পরিচালিত বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট গবেষণা, প্রশিক্ষণ, সম্প্রসারণ এবং বাজার প্রসার কার্যক্রমে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। সংস্থার ৭ সদস্যের একটি উপদেষ্টা পরিষদও রয়েছে। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট ৫টি গবেষণা ও প্রদর্শন কেন্দ্রের মাধ্যমে ৭টি জেলার ২৪টি থানায় মৌমাছিপালন কর্মকান্ড সম্প্রসারণ করেছে। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউটের অধীন মৌচাষীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,২৪২, যাদের প্রায় ৭৬ শতাংশকে কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।  [নুরুল ইসলাম]
বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট মৌচাষীদের সরবরাহের জন্য মানসম্পন্ন মৌমাছিপালন বাক্স, নিষ্কাশনযন্ত্র, রানীপ্রকোষ্ঠ (queengate), সি.এফ শিট এবং মৌমাছিপালনের অন্যান্য কিছু আনুষঙ্গিক সাজসরঞ্জাম তৈরি করে থাকে। এ ইনস্টিটিউট এশিয়ান মৌমাছিপালন অ্যাসোসিয়েশন, টোকিও এবং আন্তর্জাতিক মৌমাছি গবেষণা অ্যাসোসিয়েশন, লন্ডন (International Bee Research Association, London) ইত্যাদি বিদেশী সংস্থার এবং Association of Development Agencies, Bangladesh, Credit and Development Forum, Dhaka এবং এনজিও ফোরাম, ঢাকার সদস্য। বিশ জনের একটি নিয়মিত কর্মিদল এবং ৯০ জন সেচ্ছাসেবী নিয়ে বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট কাজ করছে। শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সমাজকর্মী ও মৌমাছি বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিত্বকারী ১১ সদস্যের একটি কার্যনির্বাহী পরিষদ দ্বারা পরিচালিত বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট গবেষণা, প্রশিক্ষণ, সম্প্রসারণ এবং বাজার প্রসার কার্যক্রমে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। সংস্থার ৭ সদস্যের একটি উপদেষ্টা পরিষদও রয়েছে। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট ৫টি গবেষণা ও প্রদর্শন কেন্দ্রের মাধ্যমে ৭টি জেলার ২৪টি থানায় মৌমাছিপালন কর্মকান্ড সম্প্রসারণ করেছে। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউটের অধীন মৌচাষীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,২৪২, যাদের প্রায় ৭৬ শতাংশকে কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।  [নুরুল ইসলাম]


''আরও দেখুন'' মৌমাছিপালন।
''আরও দেখুন'' [[মৌমাছিপালন|মৌমাছিপালন]]।


[[en:Bangladesh Institute of Apiculture]]
[[en:Bangladesh Institute of Apiculture]]

০৯:৫৩, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট (Bangladesh Institute of Apiculture/BIA)  মৌমাছিপালন ও মধু উৎপাদন বিষয়ক বাংলাদেশের একটি বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। গ্রামাঞ্চলে কর্মসংস্থান ও অর্থোপার্জনের একটি সম্ভাবনাময় বিশেষ খাত হিসেবে মৌমাছিপালনের ওপর গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনার লক্ষ্যে ১৯৮১ সালে ঢাকায় এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। অতীতে বাংলাদেশে মৌমাছিপালন উন্নয়নে উদ্যোগ নিয়েছিল বেশ কয়েকটি সরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন একাডেমী, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প কর্পোরেশন এবং কয়েকটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, যেমন কানাডীয় বিশ্ববিদ্যালয় সেবা সংস্থা (Canadian University Service Organization/CUSO)। কিন্তু উন্নত প্রযুক্তি এবং প্রয়োজনীয় দক্ষ জনশক্তির অভাবে এগুলি তেমন সফল হয় নি।

বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট হলো মাঠ পর্যায়ে দক্ষ জনশক্তি পরিচালিত গবেষণা এবং সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলির দীর্ঘ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে বৈজ্ঞানিক উপায়ে মৌমাছিপালনের একটি পূর্ণাঙ্গ কর্মসূচি উদ্ভাবনের লক্ষ্যে CUSO ও CIDA-র যৌথ-উদ্যোগের ফল। এটি মৌমাছিচাষে প্রযুক্তিগত জ্ঞানসম্পন্ন গ্রামাঞ্চলের আগ্রহী ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। প্রতিষ্ঠানটি মৌচাষীদের প্রয়োজনীয় সম্প্রসারণ সেবাও যোগায়। এছাড়া বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট মৌচাষীদের তৈরি মধুর বাজার বৃদ্ধি, মধুর গুণ, মান, স্বাদ ও বিশুদ্ধতা রক্ষার জন্য মধু-প্রসেসিং বিষয়েও কাজ করে।

বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট মৌচাষীদের সরবরাহের জন্য মানসম্পন্ন মৌমাছিপালন বাক্স, নিষ্কাশনযন্ত্র, রানীপ্রকোষ্ঠ (queengate), সি.এফ শিট এবং মৌমাছিপালনের অন্যান্য কিছু আনুষঙ্গিক সাজসরঞ্জাম তৈরি করে থাকে। এ ইনস্টিটিউট এশিয়ান মৌমাছিপালন অ্যাসোসিয়েশন, টোকিও এবং আন্তর্জাতিক মৌমাছি গবেষণা অ্যাসোসিয়েশন, লন্ডন (International Bee Research Association, London) ইত্যাদি বিদেশী সংস্থার এবং Association of Development Agencies, Bangladesh, Credit and Development Forum, Dhaka এবং এনজিও ফোরাম, ঢাকার সদস্য। বিশ জনের একটি নিয়মিত কর্মিদল এবং ৯০ জন সেচ্ছাসেবী নিয়ে বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট কাজ করছে। শিক্ষক, ব্যবসায়ী, সমাজকর্মী ও মৌমাছি বিশেষজ্ঞসহ বিভিন্ন দলের প্রতিনিধিত্বকারী ১১ সদস্যের একটি কার্যনির্বাহী পরিষদ দ্বারা পরিচালিত বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট গবেষণা, প্রশিক্ষণ, সম্প্রসারণ এবং বাজার প্রসার কার্যক্রমে দিকনির্দেশনা দিয়ে থাকে। সংস্থার ৭ সদস্যের একটি উপদেষ্টা পরিষদও রয়েছে। ১৯৯৯ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউট ৫টি গবেষণা ও প্রদর্শন কেন্দ্রের মাধ্যমে ৭টি জেলার ২৪টি থানায় মৌমাছিপালন কর্মকান্ড সম্প্রসারণ করেছে। ১৯৯৯ সালে বাংলাদেশ মৌমাছিপালন ইনস্টিটিউটের অধীন মৌচাষীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২,২৪২, যাদের প্রায় ৭৬ শতাংশকে কারিগরি ও ব্যবস্থাপনা বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।  [নুরুল ইসলাম]

আরও দেখুন মৌমাছিপালন