মিটফোর্ড হাসপাতাল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
১ নং লাইন: | ১ নং লাইন: | ||
[[Category:বাংলাপিডিয়া]] | [[Category:বাংলাপিডিয়া]] | ||
[[Image:MitfordHospita.jpg|thumb|right|400px|মিটফোর্ড হাসপাতাল]] | [[Image:MitfordHospita.jpg|thumb|right|400px|মিটফোর্ড হাসপাতাল, ঢাকা, ১৮৫৮]] | ||
'''মিটফোর্ড হাসপাতাল''' ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম আধুনিক হাসপাতাল। ঢাকার কালেক্টর এবং প্রাদেশিক আপীল বিভাগের জজ স্যার রবার্ট মিটফোর্ডের নামানুসারে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্যার মিটফোর্ডের সময়ে মহামারী আকারে ভয়াবহ কলেরা দেখা দেয় এবং ঢাকায় দৈনিক ১৫০ থেকে ২০০ জন মারা যায়। চিকিৎসা সুবিধা ছিল অপর্যাপ্ত। মিটফোর্ড জনগণের এই দুর্দশা দেখে মর্মাহত হন। ১৮৩৬ সালে ইংল্যান্ডে তিনি মৃত্যুর আগে তাঁর সম্পত্তির বেশির ভাগই (প্রায় ৮,০০,০০০ টাকা) ঢাকার জনসাধারণের কল্যাণমূলক কাজ এবং একটি হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করার জন্য বাংলার সরকারের নামে উইল করে দেন। এই উইল তাঁর উত্তরাধিকারীদের দ্বারা বিতর্কিত হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৮৫০ সালে প্রধান বিচারালয় বাংলার সরকারের পক্ষে আংশিক রায় দেন। যার সুবাদে ১,৬৬,০০০ টাকা পাওয়া যায়। এই অর্থে বর্তমান স্থানে ১৮৫৪ সালে হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তখন এই স্থানটি ‘কাটরা পাকুড়তলী’, বাবুবাজার নামে পরিচিত ছিল। পূর্বে এই জায়গায় ওলন্দাজ কুঠি ছিল। প্রথম থেকেই এই হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব ঢাকা পৌরসভার অধীন ছিল। | '''মিটফোর্ড হাসপাতাল''' ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম আধুনিক হাসপাতাল। ঢাকার কালেক্টর এবং প্রাদেশিক আপীল বিভাগের জজ স্যার রবার্ট মিটফোর্ডের নামানুসারে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্যার মিটফোর্ডের সময়ে মহামারী আকারে ভয়াবহ কলেরা দেখা দেয় এবং ঢাকায় দৈনিক ১৫০ থেকে ২০০ জন মারা যায়। চিকিৎসা সুবিধা ছিল অপর্যাপ্ত। মিটফোর্ড জনগণের এই দুর্দশা দেখে মর্মাহত হন। ১৮৩৬ সালে ইংল্যান্ডে তিনি মৃত্যুর আগে তাঁর সম্পত্তির বেশির ভাগই (প্রায় ৮,০০,০০০ টাকা) ঢাকার জনসাধারণের কল্যাণমূলক কাজ এবং একটি হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করার জন্য বাংলার সরকারের নামে উইল করে দেন। এই উইল তাঁর উত্তরাধিকারীদের দ্বারা বিতর্কিত হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৮৫০ সালে প্রধান বিচারালয় বাংলার সরকারের পক্ষে আংশিক রায় দেন। যার সুবাদে ১,৬৬,০০০ টাকা পাওয়া যায়। এই অর্থে বর্তমান স্থানে ১৮৫৪ সালে হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তখন এই স্থানটি ‘কাটরা পাকুড়তলী’, বাবুবাজার নামে পরিচিত ছিল। পূর্বে এই জায়গায় ওলন্দাজ কুঠি ছিল। প্রথম থেকেই এই হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব ঢাকা পৌরসভার অধীন ছিল। | ||
০৫:৪৬, ৪ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
মিটফোর্ড হাসপাতাল ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত প্রথম আধুনিক হাসপাতাল। ঢাকার কালেক্টর এবং প্রাদেশিক আপীল বিভাগের জজ স্যার রবার্ট মিটফোর্ডের নামানুসারে এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্যার মিটফোর্ডের সময়ে মহামারী আকারে ভয়াবহ কলেরা দেখা দেয় এবং ঢাকায় দৈনিক ১৫০ থেকে ২০০ জন মারা যায়। চিকিৎসা সুবিধা ছিল অপর্যাপ্ত। মিটফোর্ড জনগণের এই দুর্দশা দেখে মর্মাহত হন। ১৮৩৬ সালে ইংল্যান্ডে তিনি মৃত্যুর আগে তাঁর সম্পত্তির বেশির ভাগই (প্রায় ৮,০০,০০০ টাকা) ঢাকার জনসাধারণের কল্যাণমূলক কাজ এবং একটি হাসপাতাল ভবন নির্মাণ করার জন্য বাংলার সরকারের নামে উইল করে দেন। এই উইল তাঁর উত্তরাধিকারীদের দ্বারা বিতর্কিত হয়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ১৮৫০ সালে প্রধান বিচারালয় বাংলার সরকারের পক্ষে আংশিক রায় দেন। যার সুবাদে ১,৬৬,০০০ টাকা পাওয়া যায়। এই অর্থে বর্তমান স্থানে ১৮৫৪ সালে হাসপাতালটির নির্মাণ কাজ শুরু হয়। তখন এই স্থানটি ‘কাটরা পাকুড়তলী’, বাবুবাজার নামে পরিচিত ছিল। পূর্বে এই জায়গায় ওলন্দাজ কুঠি ছিল। প্রথম থেকেই এই হাসপাতাল পরিচালনার দায়িত্ব ঢাকা পৌরসভার অধীন ছিল।
১৮৮২ সালে ঢাকার নবাব আহসানউল্লাহ এবং ভাওয়ালের রাজা রাজেন্দ্র নারায়ণ রায়ের দানে হাসপাতালে একটি মহিলা ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠিত হয়। নবাব আহসানউল্লাহ ১৮৮৮-৮৯ সালে একই দালানের মধ্যে লেডি ডাফরিন হাসপাতাল নির্মাণের জন্য আরও ৫০,০০০ টাকা দান করেন। ১৮৮৭ সালে হাসপাতালে একটি ইউরোপীয়ান ওয়ার্ড প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৮৮৯-৯০ সালে ভাগ্যকুলের রাজা শ্রীনাথ রায় তাঁর মায়ের স্মৃতির স্মরণে ৩,০০,০০০ টাকা ব্যয়ে একটি চক্ষু বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯১৭ সালে এটি একটি প্রথম শ্রেণীর হাসপাতাল হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করে। এই হাসপাতালে আলাদাভাবে শিক্ষাদান কক্ষ, শবব্যবচ্ছেদ কক্ষ এবং একটি রোগী দেখার বহির্বিভাগ ওয়ার্ড সংযোজন করা হয়। এটি ক্রমে একটি জেনারেল হাসপাতালে রূপ লাভ করে, কিন্তু এর আয়তন ও সেবার ধরনে কোন পরিবর্তন হয়নি। নদীর তীরে এটি প্রায় ১২.৪ একর জমির উপর নির্মিত। হাসপাতাল ভবনটি ১৪টি ব্লকে গঠিত। অধিকাংশ ব্লক প্রাথমিক অবস্থায় একতলা বিশিষ্ট ছিল। বর্তমানে এটি চারতলা হয়েছে এবং অন্তর্বিভাগ ও বহির্বিভাগে রোগীর চিকিৎসাসহ প্যাথলজিক্যাল ও ডায়াগনস্টিক সেবা চালু করা হয়েছে। হাসপাতালের বহির্বিভাগে দৈনিক প্রায় ১,০০০ রোগী সেবা পেয়ে থাকে। ১৯৯৯ সালের হিসাব অনুযায়ী হাসপাতালে প্রায় ৬০০ শয্যার ব্যবস্থা আছে, যার মধ্যে ২৪০টি পেয়িং বেড। [শাহিদা আলম]
আরও দেখুন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ।