কৃত্তিবাস ওঝা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
কৃত্তিবাসী রামায়ণ ১৮০২-৩ সালে  [[শ্রীরামপুর মিশন প্রেস|শ্রীরামপুর মিশন প্রেস]] থেকে সর্বপ্রথম পাঁচ খন্ডে মুদ্রিত হয়। তারপর জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের সম্পাদনায় ১৮৩০-৩৪ সালে দু খন্ডে এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে অদ্যাবধি রামায়ণের যতগুলি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে সেগুলির মধ্যে শ্রীরামপুরের প্রথম সংস্করণের পাঠই সর্বোত্তম বলে মনে করা হয়।
কৃত্তিবাসী রামায়ণ ১৮০২-৩ সালে  [[শ্রীরামপুর মিশন প্রেস|শ্রীরামপুর মিশন প্রেস]] থেকে সর্বপ্রথম পাঁচ খন্ডে মুদ্রিত হয়। তারপর জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের সম্পাদনায় ১৮৩০-৩৪ সালে দু খন্ডে এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে অদ্যাবধি রামায়ণের যতগুলি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে সেগুলির মধ্যে শ্রীরামপুরের প্রথম সংস্করণের পাঠই সর্বোত্তম বলে মনে করা হয়।


কৃত্তিবাসের পরে আরও অনেকে বাংলায় রামায়ণ রচনা করেছেন, কিন্তু খ্যাতি ও জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে তাঁকে কেউ অতিক্রম করতে পারেননি। বাঙালি পাঠক-শ্রোতা যুগযুগ ধরে রামকাহিনী থেকে ধর্ম, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র,  [[দর্শন|দর্শন]], নীতিজ্ঞান, শাস্ত্রজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে আসছে। বিশেষত রামকাহিনীকে অবলম্বন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে যে ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গড়ে উঠেছে তা আজও অটুট রয়েছে।
কৃত্তিবাসের পরে আরও অনেকে বাংলায় রামায়ণ রচনা করেছেন, কিন্তু খ্যাতি ও জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে তাঁকে কেউ অতিক্রম করতে পারেননি। বাঙালি পাঠক-শ্রোতা যুগযুগ ধরে রামকাহিনী থেকে ধর্ম, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র,  [[দর্শন|দর্শন]], নীতিজ্ঞান, শাস্ত্রজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে আসছে। বিশেষত রামকাহিনীকে অবলম্বন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে যে ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গড়ে উঠেছে তা আজও অটুট রয়েছে। [ওয়াকিল আহমদ]
 
[ওয়াকিল আহমদ]


[[en:Krittivas Ojha]]
[[en:Krittivas Ojha]]

১০:৩১, ২৫ আগস্ট ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

কৃত্তিবাস ওঝা (আনু. ১৩৮১-১৪৬১)  সংস্কৃত রামায়ণের প্রথম অনুবাদক কবি। তিনি  রাজশাহী জেলার অন্তর্গত প্রেমতলীর নিকটে, মতান্তরে পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার গঙ্গাতীরবর্তী ফুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা বনমালী ওঝা এবং পিতামহ মুরারি ওঝা ছিলেন শাস্ত্রজ্ঞ পন্ডিত।

গৃহশিক্ষা শেষ করে মাত্র বারো বছর বয়সে কৃত্তিবাস জ্ঞানার্জনের উদ্দেশ্যে উত্তরবঙ্গ ভ্রমণ করেন। সেখানে বরেন্দ্রের বিশিষ্ট পন্ডিতদের নিকট শিক্ষাশেষে রাজপন্ডিত হওয়ার বাসনায় তিনি গৌড়েশ্বর রাজা গণেশ (১৪১৫-১৮), মতান্তরে সুলতান জালালউদ্দীন মাহমুদ শাহর (১৪১৮-৩১) দরবারে গিয়ে তাঁকে নানা শ্লোক পাঠ করে শোনান। গৌড়েশ্বর শ্লোক শুনে মুগ্ধ হন এবং কবিকে বিভিন্ন উপঢৌকনে সম্মানিত করে রামায়ণ রচনা করতে অনুরোধ করেন। তখন বাল্মীকির সংস্কৃত  রামায়ণ অনুসরণে কৃত্তিবাস পয়ার ছন্দে বাংলা রামায়ণ রচনা করেন।

কৃত্তিবাসী রামায়ণ ১৮০২-৩ সালে  শ্রীরামপুর মিশন প্রেস থেকে সর্বপ্রথম পাঁচ খন্ডে মুদ্রিত হয়। তারপর জয়গোপাল তর্কালঙ্কারের সম্পাদনায় ১৮৩০-৩৪ সালে দু খন্ডে এর দ্বিতীয় সংস্করণ প্রকাশিত হয়। এরপর থেকে অদ্যাবধি রামায়ণের যতগুলি সংস্করণ প্রকাশিত হয়েছে সেগুলির মধ্যে শ্রীরামপুরের প্রথম সংস্করণের পাঠই সর্বোত্তম বলে মনে করা হয়।

কৃত্তিবাসের পরে আরও অনেকে বাংলায় রামায়ণ রচনা করেছেন, কিন্তু খ্যাতি ও জনপ্রিয়তার দিক দিয়ে তাঁকে কেউ অতিক্রম করতে পারেননি। বাঙালি পাঠক-শ্রোতা যুগযুগ ধরে রামকাহিনী থেকে ধর্ম, পরিবার, সমাজ, রাষ্ট্র,  দর্শন, নীতিজ্ঞান, শাস্ত্রজ্ঞান ইত্যাদি বিষয়ে জ্ঞান লাভ করে আসছে। বিশেষত রামকাহিনীকে অবলম্বন করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে যে ধর্মীয়, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য গড়ে উঠেছে তা আজও অটুট রয়েছে। [ওয়াকিল আহমদ]