সাহিত্যরত্ন, আবুল কাসেম: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৪ নং লাইন: | ৪ নং লাইন: | ||
আবুল কাসেম অল্পবয়স থেকেই সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট হন। তাই পেশায় চিকিৎসক হলেও সাহিত্যচর্চা ও লেখালেখির মাধ্যমে তিনি এক পর্যায়ে সাংবাদিক জীবনে প্রবেশ করেন। তিনি কলকাতা থেকে প্রকাশিত [[মোহাম্মদী|মোহাম্মদী]], [[আজাদ, দৈনিক|আজাদ]], [[সোলতান|সোলতান]] ও কৃষক পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থান, দূরপ্রাচ্য, ব্রহ্মদেশ, মালয়, ইন্দোনেশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, আমেরিকা ও চীনদেশ ভ্রমণ করেন। সাংবাদিকতা ও দেশভ্রমণের অভিজ্ঞতা তাঁর রচনাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সমাজ ও সংস্কৃতি থেকে তিনি তাঁর রচনার উপাদান সংগ্রহ করেছেন। আমার ভূ-প্রদক্ষিণ (১৯৩০), ভারত ভ্রমণ (১৯৩৬), দূর-দূরান্তরে (১৯৬২), পঞ্চনদের দেশে (১৯৬৮) ইত্যাদি গ্রন্থ থেকে তাঁর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এবং সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা জন্মে। | আবুল কাসেম অল্পবয়স থেকেই সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট হন। তাই পেশায় চিকিৎসক হলেও সাহিত্যচর্চা ও লেখালেখির মাধ্যমে তিনি এক পর্যায়ে সাংবাদিক জীবনে প্রবেশ করেন। তিনি কলকাতা থেকে প্রকাশিত [[মোহাম্মদী|মোহাম্মদী]], [[আজাদ, দৈনিক|আজাদ]], [[সোলতান|সোলতান]] ও কৃষক পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থান, দূরপ্রাচ্য, ব্রহ্মদেশ, মালয়, ইন্দোনেশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, আমেরিকা ও চীনদেশ ভ্রমণ করেন। সাংবাদিকতা ও দেশভ্রমণের অভিজ্ঞতা তাঁর রচনাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সমাজ ও সংস্কৃতি থেকে তিনি তাঁর রচনার উপাদান সংগ্রহ করেছেন। আমার ভূ-প্রদক্ষিণ (১৯৩০), ভারত ভ্রমণ (১৯৩৬), দূর-দূরান্তরে (১৯৬২), পঞ্চনদের দেশে (১৯৬৮) ইত্যাদি গ্রন্থ থেকে তাঁর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এবং সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা জন্মে। | ||
আবুল কাসেম বিচিত্র বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর আরো উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: মানসী (১৯২৮), ঈশা খাঁ-স্বর্ণময়ী (১৯৩০), হজরত মোহাম্মদ (১৯৩১), মহর্ষি মোহসীন (১৯৩৬), বিজ্ঞানের জন্মরহস্য (১৯৩৬), মহাসাগরের দেশে (১৯৩৭), ও বাঙ্গলার প্রতিভা (১৯৩৯)। তিনি ছিলেন খুলনা সাহিত্য পরিষদ-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সহসভাপতি। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৩০ সালে কলকাতার সারস্বত মহামন্ডল কর্তৃক ‘সাহিত্যরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত হন। | আবুল কাসেম বিচিত্র বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর আরো উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: মানসী (১৯২৮), ঈশা খাঁ-স্বর্ণময়ী (১৯৩০), হজরত মোহাম্মদ (১৯৩১), মহর্ষি মোহসীন (১৯৩৬), বিজ্ঞানের জন্মরহস্য (১৯৩৬), মহাসাগরের দেশে (১৯৩৭), ও বাঙ্গলার প্রতিভা (১৯৩৯)। তিনি ছিলেন খুলনা সাহিত্য পরিষদ-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সহসভাপতি। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৩০ সালে কলকাতার সারস্বত মহামন্ডল কর্তৃক ‘সাহিত্যরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত হন। [সুশান্ত সরকার] | ||
[সুশান্ত সরকার] | |||
[[en:Sahityaratna, Abul Quasem]] | [[en:Sahityaratna, Abul Quasem]] |
০৪:২৮, ২২ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
সাহিত্যরত্ন, আবুল কাসেম (১৯০২-১৯৮৭) সাহিত্যিক, সাংবাদিক, হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক। খুলনা জেলার দৌলতপুরে তাঁর জন্ম। ১৯২৯ সালে তিনি কলকাতার হোমিওপ্যাথি কলেজ থেকে ডি এইচ এম এবং ১৯৩১ সালে এম ডি ডিগ্রি লাভ করেন। পেশায় তিনি ছিলেন একজন হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক।
আবুল কাসেম অল্পবয়স থেকেই সাহিত্যের প্রতি আকৃষ্ট হন। তাই পেশায় চিকিৎসক হলেও সাহিত্যচর্চা ও লেখালেখির মাধ্যমে তিনি এক পর্যায়ে সাংবাদিক জীবনে প্রবেশ করেন। তিনি কলকাতা থেকে প্রকাশিত মোহাম্মদী, আজাদ, সোলতান ও কৃষক পত্রিকার সহকারী সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্থান, দূরপ্রাচ্য, ব্রহ্মদেশ, মালয়, ইন্দোনেশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ, আমেরিকা ও চীনদেশ ভ্রমণ করেন। সাংবাদিকতা ও দেশভ্রমণের অভিজ্ঞতা তাঁর রচনাকে গভীরভাবে প্রভাবিত করেছে। ভারতসহ বিভিন্ন দেশের সমাজ ও সংস্কৃতি থেকে তিনি তাঁর রচনার উপাদান সংগ্রহ করেছেন। আমার ভূ-প্রদক্ষিণ (১৯৩০), ভারত ভ্রমণ (১৯৩৬), দূর-দূরান্তরে (১৯৬২), পঞ্চনদের দেশে (১৯৬৮) ইত্যাদি গ্রন্থ থেকে তাঁর ভ্রমণের অভিজ্ঞতা এবং সংশ্লিষ্ট দেশসমূহের ইতিহাস সম্পর্কে ধারণা জন্মে।
আবুল কাসেম বিচিত্র বিষয়ে গ্রন্থ রচনা করেছেন। তাঁর আরো উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে: মানসী (১৯২৮), ঈশা খাঁ-স্বর্ণময়ী (১৯৩০), হজরত মোহাম্মদ (১৯৩১), মহর্ষি মোহসীন (১৯৩৬), বিজ্ঞানের জন্মরহস্য (১৯৩৬), মহাসাগরের দেশে (১৯৩৭), ও বাঙ্গলার প্রতিভা (১৯৩৯)। তিনি ছিলেন খুলনা সাহিত্য পরিষদ-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও সহসভাপতি। সাহিত্যকর্মের স্বীকৃতিস্বরূপ তিনি ১৯৩০ সালে কলকাতার সারস্বত মহামন্ডল কর্তৃক ‘সাহিত্যরত্ন’ উপাধিতে ভূষিত হন। [সুশান্ত সরকার]