সঙ্গীতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
(কোনও পার্থক্য নেই)

২৩:০৫, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

সঙ্গীতি  বুদ্ধবাণী সংগ্রহ, সংরক্ষণ, আবৃত্তি ও  ত্রিপিটক সংকলন উদ্দেশ্যে অনুষ্ঠিত বৌদ্ধ সম্মেলন। এটি মহাসঙ্গীতি নামেও পরিচিত। প্রবীণ থেরগণ বিভিন্ন সময়ে এই সম্মেলন আহবান করতেন। বৌদ্ধধর্মের ইতিহাসে সঙ্গীতিসমূহের গুরুত্ব অত্যধিক।

বুদ্ধের পরিনির্বাণের পরপর মহাকাশ্যপ স্থবিরের সভাপতিত্বে এবং রাজা অজাতশত্রুর সহযোগিতায় রাজগৃহের সপ্তপর্ণী গুহায় প্রথম সঙ্গীতি অনুষ্ঠিত হয়। এতে ধর্ম ও বিনয় সম্পর্কিত বুদ্ধবাণী সংগৃহীত হয়। এর একশত বছর পর বৈশালীর বালুকারামে রাজা কালাশোকের রাজত্বকালে দ্বিতীয় ধর্মসম্মেলন আহবান করা হয়। এতে বিনয়-বহির্ভূত দশবস্ত্ত আলোচনা শেষে বুদ্ধবাণী সঠিকভাবে পুনরাবৃত্তি করা হয়। সম্রাট অশোকের পৃষ্ঠপোষকতায় এবং মৌদ্গলী-পুত্রতিষ্য স্থবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত তৃতীয় মহাসঙ্গীতিতে বৌদ্ধসংঘের বিরোধ নিষ্পত্তি হয় এবং ত্রিপিটক পরিপূর্ণ রূপ লাভ করে।

চতুর্থ সঙ্গীতি অনুষ্ঠিত হয় সম্রাট কনিষ্কের আনুকূল্যে জলন্ধরে। বসুমিত্র ও অশ্বঘোষ এ সম্মেলনে যথাক্রমে সভাপতি ও সহসভাপতির পদ অলঙ্কৃত করেন। এতে ত্রিপিটকের মহাভাষ্য মহাবিভাষা শাস্ত্র পালির পরিবর্তে সংস্কৃত ভাষায় রচিত হয়। এছাড়া শ্রীলঙ্কা, বার্মা ও থাইল্যান্ডে কয়েকটি সঙ্গীতি অনুষ্ঠিত হয়েছে।  [সুমঙ্গল বড়ুয়া]