রায়চৌধুরী, সরোজকুমার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য
NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) অ (Added Ennglish article link) |
সম্পাদনা সারাংশ নেই |
||
৪ নং লাইন: | ৪ নং লাইন: | ||
সরোজকুমার সুভাষচন্দ্রের আগ্রহে আত্মশক্তি (পরবর্তী নাম নবশক্তি) পত্রিকা সম্পাদনা করেন। এতে রবীন্দ্র মিত্রের রাজদ্রোহমূলক কবিতা প্রকাশের দায়ে তিনি কিছুকাল কারাভোগ করেন। এরপর তিনি আনন্দবাজার পত্রিকায় দশ বছর সাংবাদিকতা করেন। অবসর জীবনে তিনি বর্তমান নামক একটি মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেন। | সরোজকুমার সুভাষচন্দ্রের আগ্রহে আত্মশক্তি (পরবর্তী নাম নবশক্তি) পত্রিকা সম্পাদনা করেন। এতে রবীন্দ্র মিত্রের রাজদ্রোহমূলক কবিতা প্রকাশের দায়ে তিনি কিছুকাল কারাভোগ করেন। এরপর তিনি আনন্দবাজার পত্রিকায় দশ বছর সাংবাদিকতা করেন। অবসর জীবনে তিনি বর্তমান নামক একটি মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেন। | ||
সরোজকুমার ছিলেন কল্লোলযুগের লেখক এবং বৈকালী পত্রিকায় লেখার মাধ্যমে তাঁর সাহিত্যিকজীবন শুরু হয়। তিনি সাংবাদিকতা ও গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ রচনায় পারদর্শী হলেও মুখ্যত কথাসাহিত্যিক হিসেবেই খ্যাতি লাভ করেন। তাঁর রচিত [[উপন্যাস|উপন্যাস]] ও গল্পগ্রন্থের সংখ্যা পঁচিশ। তাঁর গৃহকপোতী, সোমলতা ও ময়ূরাক্ষী উপন্যাসত্রয়ে বৈষ্ণবজীবনের বাস্তব চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। অন্যান্য উলেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হলো: বন্ধনী (১৯৩১), পান্থনিবাস (১৯৩৫), দেহ-যমুনা (১৯৩৬), মনের গহনে (১৯৩৬), আকাশ ও মৃত্তিকা (১৯৪০), হংসবলাকা (১৯৩৭), কালোঘোড়া (১৯৪৬), অনুষ্টুপ ছন্দ (১৯৫১), নাগরী (১৯৬১) ইত্যাদি। কল্লোল যুগের লেখক হিসেবে তাঁর উপন্যাসে মানুষের অন্তর্জীবন ও ব্যক্তিসম্পর্কের টানাপোড়েনের সূক্ষ্ম মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা আছে। তাঁর কয়েকটি উপন্যাসকে চলচ্চিত্রে রূপ দেওয়া হয়েছে। ১৯৭২ সালের ২৯ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়। | সরোজকুমার ছিলেন কল্লোলযুগের লেখক এবং বৈকালী পত্রিকায় লেখার মাধ্যমে তাঁর সাহিত্যিকজীবন শুরু হয়। তিনি সাংবাদিকতা ও গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ রচনায় পারদর্শী হলেও মুখ্যত কথাসাহিত্যিক হিসেবেই খ্যাতি লাভ করেন। তাঁর রচিত [[উপন্যাস|উপন্যাস]] ও গল্পগ্রন্থের সংখ্যা পঁচিশ। তাঁর গৃহকপোতী, সোমলতা ও ময়ূরাক্ষী উপন্যাসত্রয়ে বৈষ্ণবজীবনের বাস্তব চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। অন্যান্য উলেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হলো: বন্ধনী (১৯৩১), পান্থনিবাস (১৯৩৫), দেহ-যমুনা (১৯৩৬), মনের গহনে (১৯৩৬), আকাশ ও মৃত্তিকা (১৯৪০), হংসবলাকা (১৯৩৭), কালোঘোড়া (১৯৪৬), অনুষ্টুপ ছন্দ (১৯৫১), নাগরী (১৯৬১) ইত্যাদি। কল্লোল যুগের লেখক হিসেবে তাঁর উপন্যাসে মানুষের অন্তর্জীবন ও ব্যক্তিসম্পর্কের টানাপোড়েনের সূক্ষ্ম মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা আছে। তাঁর কয়েকটি উপন্যাসকে চলচ্চিত্রে রূপ দেওয়া হয়েছে। ১৯৭২ সালের ২৯ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়। [সুশান্ত সরকার] | ||
[সুশান্ত সরকার] | |||
[[en:Roychowdhury, Sarojkumar]] | [[en:Roychowdhury, Sarojkumar]] |
০৭:২৪, ৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ
রায়চৌধুরী, সরোজকুমার (১৯০৩-১৯৭২) কথাশিল্পী, সাংবাদিক। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার মালিহাটি গ্রামে তাঁর জন্ম। বহরমপুর কলেজে বিএ পড়ার সময় তিনি সুভাষচন্দ্র বসু ও কিরণশঙ্কর রায়ের সংস্পর্শে এসে স্বদেশ চেতনায় উদ্বুদ্ধ হন এবং ১৯২১ সালে অসহযোগ আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। পরে তিনি কলকাতা ন্যাশনাল কলেজ থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ বিএ পাস করেন।
সরোজকুমার সুভাষচন্দ্রের আগ্রহে আত্মশক্তি (পরবর্তী নাম নবশক্তি) পত্রিকা সম্পাদনা করেন। এতে রবীন্দ্র মিত্রের রাজদ্রোহমূলক কবিতা প্রকাশের দায়ে তিনি কিছুকাল কারাভোগ করেন। এরপর তিনি আনন্দবাজার পত্রিকায় দশ বছর সাংবাদিকতা করেন। অবসর জীবনে তিনি বর্তমান নামক একটি মাসিক পত্রিকা সম্পাদনা করেন।
সরোজকুমার ছিলেন কল্লোলযুগের লেখক এবং বৈকালী পত্রিকায় লেখার মাধ্যমে তাঁর সাহিত্যিকজীবন শুরু হয়। তিনি সাংবাদিকতা ও গুরুগম্ভীর প্রবন্ধ রচনায় পারদর্শী হলেও মুখ্যত কথাসাহিত্যিক হিসেবেই খ্যাতি লাভ করেন। তাঁর রচিত উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের সংখ্যা পঁচিশ। তাঁর গৃহকপোতী, সোমলতা ও ময়ূরাক্ষী উপন্যাসত্রয়ে বৈষ্ণবজীবনের বাস্তব চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। অন্যান্য উলেখযোগ্য গ্রন্থগুলি হলো: বন্ধনী (১৯৩১), পান্থনিবাস (১৯৩৫), দেহ-যমুনা (১৯৩৬), মনের গহনে (১৯৩৬), আকাশ ও মৃত্তিকা (১৯৪০), হংসবলাকা (১৯৩৭), কালোঘোড়া (১৯৪৬), অনুষ্টুপ ছন্দ (১৯৫১), নাগরী (১৯৬১) ইত্যাদি। কল্লোল যুগের লেখক হিসেবে তাঁর উপন্যাসে মানুষের অন্তর্জীবন ও ব্যক্তিসম্পর্কের টানাপোড়েনের সূক্ষ্ম মনস্তাত্ত্বিক ব্যাখ্যা আছে। তাঁর কয়েকটি উপন্যাসকে চলচ্চিত্রে রূপ দেওয়া হয়েছে। ১৯৭২ সালের ২৯ মার্চ তাঁর মৃত্যু হয়। [সুশান্ত সরকার]