সৈকত বালি আহরণ কেন্দ্র: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:
১৯৬১ সালে তৎ&কালীন পাকিস্তান ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ মোনাজাইটের ন্যায় তেজস্ক্রিয় মণিকের সন্ধান লাভের পর তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনের ভূতত্ত্ববিদগণ ১৯৬৭ সালে প্রাথমিক জরিপ কাজ চালিয়ে আবিষ্কার করেন যে, সৈকত বালিতে মূল্যবান ভারি মণিক রয়েছে। গতানুগতিক জরিপে পরিলক্ষিত হয় যে, মুখ্যত কক্সবাজার থেকে বদর মোকাম উপকূলবর্তী বলয় এবং মহেশখালির কয়েকটি দ্বীপ, কুতুবদিয়া ও মাতারবারী ইত্যাদি স্থানগুলি ভারি মণিকের জন্য সম্ভাবনাময়।
১৯৬১ সালে তৎ&কালীন পাকিস্তান ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ মোনাজাইটের ন্যায় তেজস্ক্রিয় মণিকের সন্ধান লাভের পর তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনের ভূতত্ত্ববিদগণ ১৯৬৭ সালে প্রাথমিক জরিপ কাজ চালিয়ে আবিষ্কার করেন যে, সৈকত বালিতে মূল্যবান ভারি মণিক রয়েছে। গতানুগতিক জরিপে পরিলক্ষিত হয় যে, মুখ্যত কক্সবাজার থেকে বদর মোকাম উপকূলবর্তী বলয় এবং মহেশখালির কয়েকটি দ্বীপ, কুতুবদিয়া ও মাতারবারী ইত্যাদি স্থানগুলি ভারি মণিকের জন্য সম্ভাবনাময়।


দুই দশক অনুসন্ধানের পর ১৯৮৬ সালে ভূতাত্ত্বিক জরিপ কাজ সম্পূর্ণ হয় এবং সতেরোটি স্তরের সন্ধান পাওয়া যায়। এগুলির পনেরোটি উপকূলবর্তী অঞ্চলে ও কক্সবাজার জেলার দ্বীপসমূহে এবং অপর দুটি হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে ও পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটায়। সতেরোটি স্তরে ৪৪ লক্ষ টন ভারি মণিক (আপেক্ষিক গুরুত্ব ২.৯-এর বেশি) সহ ২ কোটি ৫ লক্ষ টন অশোধিত বালি আছে। মূল্যবান ভারি মণিক মাত্র আট রকমের- ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, জিরকন, রুটাইল, গারনেট, লিউককসেন, কায়ানাইট ও মোনাজাইট। সতেরোটি স্তরে এই আট ধরনের মূল্যবান ভারি মণিকের মোট মজুত ১৭,৬১,০০০ টন।  [মুনির আহ্মেদ]
দুই দশক অনুসন্ধানের পর ১৯৮৬ সালে ভূতাত্ত্বিক জরিপ কাজ সম্পূর্ণ হয় এবং সতেরোটি স্তরের সন্ধান পাওয়া যায়। এগুলির পনেরোটি উপকূলবর্তী অঞ্চলে ও কক্সবাজার জেলার দ্বীপসমূহে এবং অপর দুটি হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে ও পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটায়। সতেরোটি স্তরে ৪৪ লক্ষ টন ভারি মণিক (আপেক্ষিক গুরুত্ব ২.৯-এর বেশি) সহ ২ কোটি ৫ লক্ষ টন অশোধিত বালি আছে। মূল্যবান ভারি মণিক মাত্র আট রকমের- ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, জিরকন, রুটাইল, গারনেট, লিউককসেন, কায়ানাইট ও মোনাজাইট। সতেরোটি স্তরে এই আট ধরনের মূল্যবান ভারি মণিকের মোট মজুত ১৭,৬১,০০০ টন।  [মুনির আহমেদ]


[[en:Beach Sand Exploitation Centre]]
[[en:Beach Sand Exploitation Centre]]


[[en:Beach Sand Exploitation Centre]]
[[en:Beach Sand Exploitation Centre]]

০৭:১৫, ২৪ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

সৈকত বালি আহরণ কেন্দ্র (Beach Sand Exploitation Centre)  বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনের কেন্দ্রসমূহের মধ্যে একটি, যা বঙ্গোপসাগরের সৈকত বালি থেকে জিরকন, রুটাইল, ইলমেনাইট, লিউককসেন, মোনাজাইট, গারনেট প্রভৃতি ভারি মূল্যবান মণিকের অনুসন্ধান ও উত্তোলনে নিয়োজিত। কক্সবাজার শহর থেকে প্রায় ৫ কিমি দক্ষিণে কলাতলিতে ৪.২৫ হেক্টর জমির উপর এই কেন্দ্রটি তার প্রশাসনিক ও পরীক্ষাগার ভবন, পাইলট প­্যান্ট, রেস্ট হাউস, আবাসিক এলাকা এবং অন্যান্য সহায়ক সংগঠনসহ অবস্থিত।

১৯৬১ সালে তৎ&কালীন পাকিস্তান ভূতাত্ত্বিক জরিপ বিভাগ মোনাজাইটের ন্যায় তেজস্ক্রিয় মণিকের সন্ধান লাভের পর তৎকালীন পাকিস্তান আণবিক শক্তি কমিশনের ভূতত্ত্ববিদগণ ১৯৬৭ সালে প্রাথমিক জরিপ কাজ চালিয়ে আবিষ্কার করেন যে, সৈকত বালিতে মূল্যবান ভারি মণিক রয়েছে। গতানুগতিক জরিপে পরিলক্ষিত হয় যে, মুখ্যত কক্সবাজার থেকে বদর মোকাম উপকূলবর্তী বলয় এবং মহেশখালির কয়েকটি দ্বীপ, কুতুবদিয়া ও মাতারবারী ইত্যাদি স্থানগুলি ভারি মণিকের জন্য সম্ভাবনাময়।

দুই দশক অনুসন্ধানের পর ১৯৮৬ সালে ভূতাত্ত্বিক জরিপ কাজ সম্পূর্ণ হয় এবং সতেরোটি স্তরের সন্ধান পাওয়া যায়। এগুলির পনেরোটি উপকূলবর্তী অঞ্চলে ও কক্সবাজার জেলার দ্বীপসমূহে এবং অপর দুটি হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে ও পটুয়াখালী জেলার কুয়াকাটায়। সতেরোটি স্তরে ৪৪ লক্ষ টন ভারি মণিক (আপেক্ষিক গুরুত্ব ২.৯-এর বেশি) সহ ২ কোটি ৫ লক্ষ টন অশোধিত বালি আছে। মূল্যবান ভারি মণিক মাত্র আট রকমের- ইলমেনাইট, ম্যাগনেটাইট, জিরকন, রুটাইল, গারনেট, লিউককসেন, কায়ানাইট ও মোনাজাইট। সতেরোটি স্তরে এই আট ধরনের মূল্যবান ভারি মণিকের মোট মজুত ১৭,৬১,০০০ টন।  [মুনির আহমেদ]