সেন, নবীনচন্দ্র

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ২৩:১২, ৪ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Added Ennglish article link)

সেন, নবীনচন্দ্র (১৮৪৭-১৯০৯)  কবি। ১৮৪৭ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের নোয়াপাড়া গ্রামে তাঁর জন্ম। তিনি চট্টগ্রাম স্কুল থেকে এন্ট্রান্স (১৮৬৩), কলকাতার প্রেসিডেন্সি কলেজ থেকে এফএ (১৮৬৫) এবং জেনারেল অ্যাসেমবি­জ ইনস্টিটিউশন থেকে বিএ (১৮৬৮) পাস করেন। ওই বছরই তিনি কলকাতার হেয়ার স্কুলে কিছুদিন শিক্ষকতা করার পর ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পদে নিয়োগ লাভ করেন এবং ১৯০৪ সালে অবসরে যান।

ছাত্রজীবন থেকেই নবীনচন্দ্র কবিতা রচনা শুরু করেন। প্যারীচরণ সরকার সম্পাদিত এডুকেশন গেজেটে তাঁর কবিতা প্রকাশিত হতো। তাঁর প্রথম কাব্যসংকলন অবকাশরঞ্জিনী প্রকাশিত হয় ১৮৭১ সালে। ১৮৭৫ সালে তাঁর পলাশীর যুদ্ধ মহাকাব্য প্রকাশিত হলে তিনি ব্রিটিশ সরকারের রোষানলে পড়েন। রৈবতক (১৮৮৭), কুরুক্ষেত্র (১৮৯৩) ও প্রভাস (১৮৯৬) কাব্যত্রয়ী নবীনচন্দ্রের কবিপ্রতিভার শ্রেষ্ঠ প্রকাশ। এগুলির নায়ক  কৃষ্ণ এবং এতে যথাক্রমে কৃষ্ণের আদি, মধ্য ও অন্তলীলা বর্ণিত হয়েছে। নবীনচন্দ্রের এই তিনটি কাব্যও মহাকাব্যের লক্ষণাক্রান্ত। কাহিনীর বিশালতা এবং বহুমুখী বৈচিত্র্যের কারণে গ্রন্থত্রয়ের কাব্যবন্ধন অনেকটা শিথিল ও দুর্বল।

নবীনচন্দ্রের আরও কয়েকটি উল্লেখযোগ্য গ্রন্থ: আমার জীবন, খৃস্ট, ক্লিওপেট্রা, ভানুমতী, প্রবাসের পত্র ইত্যাদি। তিনি ভগবদ্গীতা ও চন্ডীর কাব্যানুবাদ করেন। তাঁর আত্মজীবনী আমার জীবন  গ্রন্থখানি উপন্যাসের মতো সুখপাঠ্য এবং সমকালীন সমাজ, রাজনীতি ও প্রশাসন সম্পর্কিত একটি প্রামাণ্য দলিল।

নবীনচন্দ্র সেন


মাইকেল মধুসূদন দত্তের অনুসারী মহাকবি হিসেবে অধিক পরিচিত হলেও নবীনচন্দ্র অনেক উল্লেখযোগ্য গীতিকবিতা ও আখ্যানকাব্যও রচনা করেছেন। স্বাজাত্যবোধ ও স্বদেশানুরাগ তাঁর কাব্যের মৌলিক আবেদন। ১৯০৯ সালের ২৩ জানুয়ারি তাঁর মৃত্যু হয়।  [বিমল গুহ]