সেনাকল্যাণ সংস্থা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''সেনাকল্যাণ সংস্থা''' সরকার অনুমোদিত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর যুদ্ধোত্তর চাকরি পুনর্গঠন তহবিল (পিএসডবি­উআর) নামক একটি সংস্থা ১৯৫৩ সালে ফৌজি ফাউন্ডেশন ও ১৯৭২ সালে সেনাকল্যাণ সংস্থা (সামরিক বাহিনী সদস্যদের কল্যাণ সংগঠন) নামে পুনর্গঠিত হয়। এই সংগঠনটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান আইন, ১৮৯০-র অধীনে কেবল প্রাক্তন সৈনিক ও তাদের পরিবারের সদস্যবর্গের কল্যাণে একটি দাতব্য ট্রাস্ট হিসেবে নিবন্ধিত হয়। ১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান সরকার তার অংশ হিসেবে শিল্প ও বাণিজ্য খাতে বিনিয়োজিত ৫.২২ মিলিয়ন টাকা পিএসডবি­উআর তহবিল থেকে পায়। সংগঠনের পক্ষ থেকে জমি কিনে তার উপর ১৯৫৪ সালে একটি ভবন তৈরি করা হয়। সেই ভবনটি ভেঙে পরবর্তীকালে ১৯৮০ সালে একটি আধুনিক ২১ তলা ভবন তৈরি করা হয়। সেই ভবনটিই বর্তমানে সেনাকল্যাণ ভবন নামে পরিচিত। ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সময়কালে সেনাকল্যাণ সংস্থা কর্তৃক ফৌজি রাইস মিলস নামে রংপুরে, ফৌজি চটকল নামে ঘোড়াশালে এবং ফৌজি ফ্লাওয়ার মিলস নামে চট্টগ্রামে শিল্প স্থাপন করা হয়। এছাড়া সংস্থার পক্ষ থেকে ইস্ট পাকিস্তান ল্যাম্পস, ইলেকট্রিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ এবং পাকিস্তান টোব্যাকো কোম্পানির শেয়ার কেনা হয়।
'''সেনাকল্যাণ সংস্থা''' সরকার অনুমোদিত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর যুদ্ধোত্তর চাকরি পুনর্গঠন তহবিল (পিএসডবি­উআর) নামক একটি সংস্থা ১৯৫৩ সালে ফৌজি ফাউন্ডেশন ও ১৯৭২ সালে সেনাকল্যাণ সংস্থা (সামরিক বাহিনী সদস্যদের কল্যাণ সংগঠন) নামে পুনর্গঠিত হয়। এই সংগঠনটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান আইন, ১৮৯০-র অধীনে কেবল প্রাক্তন সৈনিক ও তাদের পরিবারের সদস্যবর্গের কল্যাণে একটি দাতব্য ট্রাস্ট হিসেবে নিবন্ধিত হয়। ১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান সরকার তার অংশ হিসেবে শিল্প ও বাণিজ্য খাতে বিনিয়োজিত ৫.২২ মিলিয়ন টাকা পিএসডবি­উআর তহবিল থেকে পায়। সংগঠনের পক্ষ থেকে জমি কিনে তার উপর ১৯৫৪ সালে একটি ভবন তৈরি করা হয়। সেই ভবনটি ভেঙে পরবর্তীকালে ১৯৮০ সালে একটি আধুনিক ২১ তলা ভবন তৈরি করা হয়। সেই ভবনটিই বর্তমানে সেনাকল্যাণ ভবন নামে পরিচিত। ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সময়কালে সেনাকল্যাণ সংস্থা কর্তৃক ফৌজি রাইস মিলস নামে রংপুরে, ফৌজি চটকল নামে ঘোড়াশালে এবং ফৌজি ফ্লাওয়ার মিলস নামে চট্টগ্রামে শিল্প স্থাপন করা হয়। এছাড়া সংস্থার পক্ষ থেকে ইস্ট পাকিস্তান ল্যাম্পস, ইলেকট্রিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ এবং পাকিস্তান টোব্যাকো কোম্পানির শেয়ার কেনা হয়।


[[Image:SenaKalyanBhaban.jpg|thumb|right|সেনাকল্যাণ সংস্থা (বামে)]]
সেনাকল্যাণ সংস্থা বর্তমান কাঠামোতে ১৯৭২ সন থেকে ২৫ মিলিয়ন টাকার সম্পত্তি নিয়ে কাজ শুরু করে ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের বৃহত্তম শিল্প ও কল্যাণ সংস্থা হিসেবে নীট ৯৮৭ মিলিয়ন টাকার সম্পদের মালিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি সরকার নিয়োজিত ৮ সদস্যবিশিষ্ট একটি ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত এবং সেনাবাহিনী প্রধান পদাধিকার বলে বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। ট্রাস্টি বোর্ডের অপর সদস্যবৃন্দ হলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল (ভাইস চেয়ারম্যান), নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানের মনোনীত (একজন করে) প্রতিনিধি, প্রতিরক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সামরিক সার্ভিস বোর্ড-এর পরিচালক এবং সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সদস্য সচিব)। সংস্থার প্রাত্যহিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, একজন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ৬ জন পরিচালককে (কল্যাণ, প্রশাসন, অর্থ, বিপণন, উৎপাদন ও পরিকল্পনা এবং গবেষণা ও উন্নয়ন) নিয়ে একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। সেনাকল্যাণ সংস্থার সচিব ব্যবস্থাপনা কমিটির সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সেনাকল্যাণ সংস্থা বর্তমান কাঠামোতে ১৯৭২ সন থেকে ২৫ মিলিয়ন টাকার সম্পত্তি নিয়ে কাজ শুরু করে ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের বৃহত্তম শিল্প ও কল্যাণ সংস্থা হিসেবে নীট ৯৮৭ মিলিয়ন টাকার সম্পদের মালিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি সরকার নিয়োজিত ৮ সদস্যবিশিষ্ট একটি ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত এবং সেনাবাহিনী প্রধান পদাধিকার বলে বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। ট্রাস্টি বোর্ডের অপর সদস্যবৃন্দ হলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল (ভাইস চেয়ারম্যান), নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানের মনোনীত (একজন করে) প্রতিনিধি, প্রতিরক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সামরিক সার্ভিস বোর্ড-এর পরিচালক এবং সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সদস্য সচিব)। সংস্থার প্রাত্যহিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, একজন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ৬ জন পরিচালককে (কল্যাণ, প্রশাসন, অর্থ, বিপণন, উৎপাদন ও পরিকল্পনা এবং গবেষণা ও উন্নয়ন) নিয়ে একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। সেনাকল্যাণ সংস্থার সচিব ব্যবস্থাপনা কমিটির সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
[[Image:SenaKalyanBhaban.jpg|thumb|right|সেনাকল্যাণ সংস্থা (বামে)]]


সংস্থাটি বেসরকারি খাতের হলেও এটি বছরে ৩ কোটি টাকারও বেশি সরকারি অনুদান পায় এবং এর কল্যাণ, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রকল্পসমূহের সকল ব্যয় এর অর্জিত আয় থেকে মেটানো হয়। সংস্থার প্রধান লক্ষ্য হলো সংস্থার স্বত্বাধিকারী ও তাদের পোষ্যদের জন্য তহবিল তৈরি এবং তার যোগান দেওয়া। সংস্থার স্বত্বাধিকারীদের মধ্যে রয়েছেন অব্যাহতিপ্রাপ্ত, অবসরপ্রাপ্ত, চাকরিচ্যুত নিয়মিত সামরিক বাহিনীর সদস্য ও সামরিক বিভাগে চাকরির জন্য অনুপযুক্ত ও পঙ্গু হওয়া ক্যাডেটগণ; উপর্যুক্ত তালিকার পুরুষ সদস্যগণের আইনানুগ স্ত্রী/স্ত্রীগণ এবং বিধবা স্ত্রী; প্রাক্তন সেনাসদস্যের ১৯ বছর পর্যন্ত বয়সের পুত্র ও অবিবাহিত বা তালাকপ্রাপ্ত কন্যা; বয়স নির্বিশেষে প্রাক্তন সেনাসদস্যের চিকিৎসাধীন পঙ্গু পুত্র।
সংস্থাটি বেসরকারি খাতের হলেও এটি বছরে ৩ কোটি টাকারও বেশি সরকারি অনুদান পায় এবং এর কল্যাণ, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রকল্পসমূহের সকল ব্যয় এর অর্জিত আয় থেকে মেটানো হয়। সংস্থার প্রধান লক্ষ্য হলো সংস্থার স্বত্বাধিকারী ও তাদের পোষ্যদের জন্য তহবিল তৈরি এবং তার যোগান দেওয়া। সংস্থার স্বত্বাধিকারীদের মধ্যে রয়েছেন অব্যাহতিপ্রাপ্ত, অবসরপ্রাপ্ত, চাকরিচ্যুত নিয়মিত সামরিক বাহিনীর সদস্য ও সামরিক বিভাগে চাকরির জন্য অনুপযুক্ত ও পঙ্গু হওয়া ক্যাডেটগণ; উপর্যুক্ত তালিকার পুরুষ সদস্যগণের আইনানুগ স্ত্রী/স্ত্রীগণ এবং বিধবা স্ত্রী; প্রাক্তন সেনাসদস্যের ১৯ বছর পর্যন্ত বয়সের পুত্র ও অবিবাহিত বা তালাকপ্রাপ্ত কন্যা; বয়স নির্বিশেষে প্রাক্তন সেনাসদস্যের চিকিৎসাধীন পঙ্গু পুত্র।

১০:০৩, ২৩ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

সেনাকল্যাণ সংস্থা সরকার অনুমোদিত স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের পর যুদ্ধোত্তর চাকরি পুনর্গঠন তহবিল (পিএসডবি­উআর) নামক একটি সংস্থা ১৯৫৩ সালে ফৌজি ফাউন্ডেশন ও ১৯৭২ সালে সেনাকল্যাণ সংস্থা (সামরিক বাহিনী সদস্যদের কল্যাণ সংগঠন) নামে পুনর্গঠিত হয়। এই সংগঠনটি দাতব্য প্রতিষ্ঠান আইন, ১৮৯০-র অধীনে কেবল প্রাক্তন সৈনিক ও তাদের পরিবারের সদস্যবর্গের কল্যাণে একটি দাতব্য ট্রাস্ট হিসেবে নিবন্ধিত হয়। ১৯৪৭ সালে পূর্ব পাকিস্তান সরকার তার অংশ হিসেবে শিল্প ও বাণিজ্য খাতে বিনিয়োজিত ৫.২২ মিলিয়ন টাকা পিএসডবি­উআর তহবিল থেকে পায়। সংগঠনের পক্ষ থেকে জমি কিনে তার উপর ১৯৫৪ সালে একটি ভবন তৈরি করা হয়। সেই ভবনটি ভেঙে পরবর্তীকালে ১৯৮০ সালে একটি আধুনিক ২১ তলা ভবন তৈরি করা হয়। সেই ভবনটিই বর্তমানে সেনাকল্যাণ ভবন নামে পরিচিত। ১৯৬০ থেকে ১৯৭০ সময়কালে সেনাকল্যাণ সংস্থা কর্তৃক ফৌজি রাইস মিলস নামে রংপুরে, ফৌজি চটকল নামে ঘোড়াশালে এবং ফৌজি ফ্লাওয়ার মিলস নামে চট্টগ্রামে শিল্প স্থাপন করা হয়। এছাড়া সংস্থার পক্ষ থেকে ইস্ট পাকিস্তান ল্যাম্পস, ইলেকট্রিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ এবং পাকিস্তান টোব্যাকো কোম্পানির শেয়ার কেনা হয়।

সেনাকল্যাণ সংস্থা (বামে)

সেনাকল্যাণ সংস্থা বর্তমান কাঠামোতে ১৯৭২ সন থেকে ২৫ মিলিয়ন টাকার সম্পত্তি নিয়ে কাজ শুরু করে ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশের বৃহত্তম শিল্প ও কল্যাণ সংস্থা হিসেবে নীট ৯৮৭ মিলিয়ন টাকার সম্পদের মালিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্থাটি সরকার নিয়োজিত ৮ সদস্যবিশিষ্ট একটি ট্রাস্টি বোর্ড দ্বারা পরিচালিত এবং সেনাবাহিনী প্রধান পদাধিকার বলে বোর্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে নিযুক্ত হন। ট্রাস্টি বোর্ডের অপর সদস্যবৃন্দ হলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর অ্যাডজুটেন্ট জেনারেল (ভাইস চেয়ারম্যান), নৌ ও বিমান বাহিনী প্রধানের মনোনীত (একজন করে) প্রতিনিধি, প্রতিরক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সচিব, বাংলাদেশ সামরিক সার্ভিস বোর্ড-এর পরিচালক এবং সংস্থার ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সদস্য সচিব)। সংস্থার প্রাত্যহিক কর্মকান্ড পরিচালনার জন্য ট্রাস্টি বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যানকে চেয়ারম্যান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, একজন উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং ৬ জন পরিচালককে (কল্যাণ, প্রশাসন, অর্থ, বিপণন, উৎপাদন ও পরিকল্পনা এবং গবেষণা ও উন্নয়ন) নিয়ে একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি রয়েছে। সেনাকল্যাণ সংস্থার সচিব ব্যবস্থাপনা কমিটির সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

সংস্থাটি বেসরকারি খাতের হলেও এটি বছরে ৩ কোটি টাকারও বেশি সরকারি অনুদান পায় এবং এর কল্যাণ, শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রকল্পসমূহের সকল ব্যয় এর অর্জিত আয় থেকে মেটানো হয়। সংস্থার প্রধান লক্ষ্য হলো সংস্থার স্বত্বাধিকারী ও তাদের পোষ্যদের জন্য তহবিল তৈরি এবং তার যোগান দেওয়া। সংস্থার স্বত্বাধিকারীদের মধ্যে রয়েছেন অব্যাহতিপ্রাপ্ত, অবসরপ্রাপ্ত, চাকরিচ্যুত নিয়মিত সামরিক বাহিনীর সদস্য ও সামরিক বিভাগে চাকরির জন্য অনুপযুক্ত ও পঙ্গু হওয়া ক্যাডেটগণ; উপর্যুক্ত তালিকার পুরুষ সদস্যগণের আইনানুগ স্ত্রী/স্ত্রীগণ এবং বিধবা স্ত্রী; প্রাক্তন সেনাসদস্যের ১৯ বছর পর্যন্ত বয়সের পুত্র ও অবিবাহিত বা তালাকপ্রাপ্ত কন্যা; বয়স নির্বিশেষে প্রাক্তন সেনাসদস্যের চিকিৎসাধীন পঙ্গু পুত্র।

১৯৯৫ সনে সেনাকল্যাণ সংস্থার মোট লেনদেনের পরিমাণ (টার্নওভার) ছিল ২০০ কোটি টাকা। সে সময় সংস্থার সম্পদ ও চলতি দায়-এর পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ২৬০ কোটি ও ১৬০ কোটি টাকা। ২০০০ সালে সংস্থা বাৎসরিক ৪ লক্ষ মেট্রিক টন উৎপাদন ক্ষমতার মংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরির মালিকানা লাভের মাধ্যমে তার আর্থিক শক্তি বাড়াতে সমর্থ হয়। এ বছর সংস্থার মালিকানায় ছিল ১৫টি শিল্প ও দুইটি বাণিজ্যিক ইউনিট। এছাড়াও সংস্থার ৫টি বিপণন কেন্দ্র, ১৫টি রিয়্যাল এস্টেট এবং ৩টি শিল্প প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

সংস্থার স্বত্বাধিকারীদের কল্যাণে ১৯৯৬ সালে ৪ কোটি টাকারও বেশি ব্যয় হয় এবং এ অর্থের সিংহভাগ দেওয়া হয় শিক্ষাবৃত্তি হিসেবে। প্রশিক্ষণ এবং চিকিৎসার জন্য অনুদান প্রদান করা সংস্থার কল্যাণ ব্যয়ের অপর দুটি প্রধান খাত। ১৯৭২-১৯৯৬ সময়কালে বৃত্তি/পুরস্কার খাতে সংস্থার মোট ব্যয় হয়েছে ১০ কোটি ৫ লক্ষ টাকা এবং মোট গ্রহীতার সংখ্যা ছিল ২,৫০,০৩৮ জন। সেনাকল্যাণ সংস্থার মালিকানাধীন ঢাকা ও চট্টগ্রামে প্রাক্তন সেনা সদস্যদের জন্য দুটি বিশ্রামাগার আছে যেখানে স্বাভাবিক ভাড়ায় তাদের সাময়িক আবাসনের ব্যবস্থা রয়েছে। সংস্থার কাজের গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য যোগ্য, আন্তরিক এবং পরিশ্রমী উঁচু পর্যায়ের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে উচ্চশিক্ষিত এবং প্রশিক্ষিত ব্যক্তিবর্গ নিয়োজিত রয়েছেন।

বর্তমানে এর বিভিন্ন ব্যবসায়িক কার্যক্রমের মধ্যে আছে বাগেরহাটে মংলা সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, চট্টগ্রামে ফচি ফ্লাওয়ার মিলস্ এবং ডায়মন্ড ফুড মিলস্, চট্টগ্রাম ফ্লাওয়ার মিলস, এনেসেল টক্সিটাইল মিলস্, এস.কে ইলেকট্রিক ইন্ডাস্ট্রিজ, ঢাকায় সভে আইসক্রিম ফা্যাক্টরি, টঙ্গীতে আছে ইস্টার্ন হোয়েসারি মিলস্ এবং এস.কে ফ্রেব্রিকস। এই প্রতিষ্ঠানগুলি থেকে এলিফ্যান্ট ব্র্যান্ড সিমেন্ট, আটা, ময়দা, সুজি, সৈনিক বাল্ব এবং এনার্জি সেভিংস ল্যাম্প, সিটিজেন ফ্রিজ এবং টেলিভিশন, এফ.এম.আই ট্রান্সফর্মার, হাবীব ফ্যান, কনসুল সকস্, সাবে আইসক্রিম এবং এনসেল ক্যানভাস। এছাড়া সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডের মধ্যে আছে বয়স্ক ভাতা, দুস্থ ভাতা এবং পড়াশনার জন্য শিক্ষা বৃত্তির ব্যবস্থা।  [এস.এম মাহফুজুর রহমান]