সালথা উপজেলা
সালথা উপজেলা (ফরিদপুর জেলা) আয়তন: ১৮৬.২০ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°১৮´ থেকে ২৩°৩০´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪৩´ থেকে ৮৯°৫৩´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ফরিদপুর সদর, দক্ষিণে মুকসুদপুর ও কাশিয়ানী উপজেলা, পূর্বে নগরকান্দা উপজেলা, পশ্চিমে বোয়ালমারী উপজেলা।
জনসংখ্যা ১৬৭৪৪৬; পুরুষ ৮৩০৯৮, মহিলা ৮৪৩৪৮। মুসলিম ১৫৬৩৮৫ এবং হিন্দু ১১০৬১।
জলাশয় কুমার ও পুরাতন কুমার নদী এবং ঘুলিল বিল, কাগদির বিল উল্লেখযোগ্য।
প্রশাসন ২০০৬ সালে সালথা উপজেলা গঠিত হয়। ২০০৮ সালে এর প্রশাসনিক কার্যক্রম শুরু হয়।
উপজেলা | ||||||||
পৌরসভা | ইউনিয়ন | মৌজা | গ্রাম | জনসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||
শহর | গ্রাম | শহর | গ্রাম | |||||
- | ৮ | ১০৫ | ১৫৯ | ৯৫৩৫ | ১৫৭৯১১ | ৮৯৯ | ৩৫.৬ | ৩৮.৭ |
উপজেলা শহর | ||||||||
আয়তন (বর্গ কিমি) | মৌজা | লোকসংখ্যা | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) | শিক্ষার হার (%) | ||||
৭.৩৯ | ৩ | ৯৫৩৫ | ১২৯০ | ৩৫.৬ |
ইউনিয়ন | ||||||||
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড | আয়তন (একর) | লোকসংখ্যা | শিক্ষার হার (%) | |||||
পুরুষ | মহিলা | |||||||
আটঘর ১০ | ৭০২০ | ১১৪৫৪ | ১১৬৪৮ | ৪৩.৩ | ||||
গাট্টি ৩৯ | ৮৪৯২ | ১৬৩৮৬ | ১৬০৭০ | ৩৯.৬ | ||||
বল্লভদি ১১ | ৫১৮৫ | ৯৩১৫ | ৯৪২৪ | ৪২.৪ | ||||
ভাওয়াল ১৬ | ৪৭৫৫ | ৯৯৬৮ | ১০৩৮৮ | ৩১.৬ | ||||
মাঝরদিয়া ৬১ | ৪৮০০ | ৮৭২৯ | ৮৮৩৪ | ৩৪.০ | ||||
যদুনন্দি ৪৪ | ৫৪২১ | ৮৩৫৪ | ৮৭০৪ | ৩৭.৬ | ||||
রামকান্তপুর ৭৮ | ৪০৬৬ | ৮৫৫৫ | ৮৬০১ | ৪২.২ | ||||
সোনাপুর ৮৯ | ৫২৭২ | ১০৩৩৭ | ১০৬৭৯ | ৩৬.৬ |
সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালের আগস্ট মাসে মুক্তিযোদ্ধারা ফরিদপুর শহরে গুরুত্বপূর্ণ অপারেশনে অংশ নেয় এবং অক্টোবরে ফরিদপুর-বরিশাল সড়কের বাকুন্ডা ব্রিজ উড়িয়ে দেয়। এরপর মুক্তিযোদ্ধারা গোয়ালন্দ ঘাটের অদূরে পাকবাহিনীর একটি তেলবাহী ফেরি ধ্বংস কর্ েসালাথার মুক্তিযোদ্ধাদের অনেকেই এসব অপারেশনে অংশগ্রহণ করে।
বিস্তারিত দেখুন সালথা উপজেলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ১০।
ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ১৮০, মন্দির ১৫।
শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৮.৬%; পুরুষ ৩৮.৯%, মহিলা ৩৮.২%। কলেজ ২, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৩, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৫, মাদ্রাসা ৫। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: সালথা কলেজ, সালথা উচ্চ বিদ্যালয়।
সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ২, নাট্য সংগঠন ৩, খেলার মাঠ ১০।
জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৮২.৩৪%, অকৃষি শ্রমিক ১.৭৩%, শিল্প ০.৪৯%, ব্যবসা ৬.১২%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.৬২%, চাকরি ৩.১৯%, নির্মাণ ০.৮৮%, ধর্মীয় সেবা ০.২৩%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.১৭% এবং অন্যান্য ৩.২৩%।
কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৭০.৫৪%, ভূমিহীন ২৯.৪৬%।
প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, আলু, পিঁয়াজ, মরিচ, শাকসবজি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি তিল, কাউন, অড়হর।
প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, লিচু, জাম, বাতাবি লেবু, নারিকেল, পেঁপে, কলা, পেয়ারা।
মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার হাঁস-মুরগি ৫০, গবাদিপশু ৭০।
যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৭৮ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৫৪ কিমি, কাঁচারাস্তা ২২৭ কিমি।
বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরুর গাড়ি।
শিল্প ও কলকারখানা ধানকল, ওয়েলডিং কারখানা।
কুটিরশিল্প লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, হস্তশিল্প, বাঁশ ও বেতের কাজ।
হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ২৫। সালথা হাট, ভাওয়াল বাজার, রাজকান্তপুর বাজার, মাঝরদিয়া বাজার, সোনাপুর বাজার, যদুনন্দি বাজার, আটঘর বাজার, গাট্টি বাজার, বরডিয়া বাজার, গৌরদিয়া বাজার, বোয়ালিয়া বাজার, নকূলহাটি বাজার, জয়কালী বাজার উলেখযোগ্য।
প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ধান, পিঁয়াজ, মরিচ, শাকসবজি।
বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩৩.৪% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৬.৯%, ট্যাপ ০.১% এবং অন্যান্য ৩.০%।
স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৭৫.১% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২১.৩% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৩.৬% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
স্বাস্থ্যকেন্দ্র পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ২, ক্লিনিক ১০।
এনজিও ব্র্যাক, আশা। [রাজীব মন্ডল]
তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; মাঠ পর্যায়ের তথ্য।