সাঙ্গু নদী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''সাঙ্গু নদী '''(Sangu River)''' ''' উত্তর আরাকান পাহাড়ের ২১১৩ উত্তর ও ৯২৩৭ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে নদীটির উৎপত্তি। এটি আরাকান ও চট্টগ্রামের মধ্যে সীমান্ত রেখা রচনা করেছে। বান্দরবান জেলা পর্যন্ত এটি উত্তরমুখী বিসর্পিল রেখায় প্রবাহিত। নদীটি মূলত জেলার পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবেশ করে সোজা পশ্চিমমুখে ধাবিত হয়ে ২৭০.৩১ কিমি পথ (বাংলাদেশ সীমান্তের ভিতরে ১৭৩ কিমি) ২২৬ উত্তর ও ৯১৫১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ বরাবর কর্ণফুলীর মোহনা থেকে ১৬.০৯ কিমি দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়েছে।
'''সাঙ্গু নদী '''(Sangu River)  উত্তর আরাকান পাহাড়ের ২১১৩ উত্তর ও ৯২৩৭ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে নদীটির উৎপত্তি। এটি আরাকান ও চট্টগ্রামের মধ্যে সীমান্ত রেখা রচনা করেছে। বান্দরবান জেলা পর্যন্ত এটি উত্তরমুখী বিসর্পিল রেখায় প্রবাহিত। নদীটি মূলত জেলার পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবেশ করে সোজা পশ্চিমমুখে ধাবিত হয়ে ২৭০.৩১ কিমি পথ (বাংলাদেশ সীমান্তের ভিতরে ১৭৩ কিমি) ২২৬ উত্তর ও ৯১৫১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ বরাবর কর্ণফুলীর মোহনা থেকে ১৬.০৯ কিমি দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়েছে।


সাঙ্গু নদীর প্রধান উপনদী ডলু সাতকানিয়া উপজেলার সমভূমি নিষ্কাশন করে উত্তরমুখে প্রবাহিত হয়ে সাঙ্গু নদীর সঙ্গে মিশেছে। পটিয়া সমভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত চান্দখালি নদীও এর ডান পাশে এসে মিলিত হয়েছে। আরও ভাটিতে এটি কুমিরাখালির সঙ্গে মিলিত হয়ে অবশেষে কুতুবদিয়া চ্যানেলে পড়েছে। ফলে পটিয়া, সাতকানিয়া ও বাঁশখালি-এ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে সাঙ্গু নদী খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চান্দখালির সঙ্গে  কর্ণফুলিরও একটা সংযোগ রয়েছে। সাঙ্গু অগভীর নদী হলেও বর্ষাকালে প্রমত্তা ও তরঙ্গ বিক্ষুব্ধ স্রোতস্বিনীর রূপ নেয়। নদীটির ৪৮.২৭ কিমি অংশ নাব্য। এ নদী অববাহিকা বৃষ্টিবহুল ক্রান্তিয় বলয়ের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বিপুল পরিমাণে এর প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এ সময় এ নদীর পাহাড়ী পানি/ঢল প্রবল বেগে নিম্ন ঢালে নেমে আসে, ফলে নিম্ন অববাহিকার নদী তীর সংলগ্ন প­াবনভূমি প্রায়শ: আকস্মিক বন্যায় প­াবিত হয় এতে বিপুল পরিমাণে ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি হয়ে থাকে।  [সিফাতুল কাদের চৌধুরী]
সাঙ্গু নদীর প্রধান উপনদী ডলু সাতকানিয়া উপজেলার সমভূমি নিষ্কাশন করে উত্তরমুখে প্রবাহিত হয়ে সাঙ্গু নদীর সঙ্গে মিশেছে। পটিয়া সমভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত চান্দখালি নদীও এর ডান পাশে এসে মিলিত হয়েছে। আরও ভাটিতে এটি কুমিরাখালির সঙ্গে মিলিত হয়ে অবশেষে কুতুবদিয়া চ্যানেলে পড়েছে। ফলে পটিয়া, সাতকানিয়া ও বাঁশখালি-এ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে সাঙ্গু নদী খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চান্দখালির সঙ্গে  কর্ণফুলিরও একটা সংযোগ রয়েছে। সাঙ্গু অগভীর নদী হলেও বর্ষাকালে প্রমত্তা ও তরঙ্গ বিক্ষুব্ধ স্রোতস্বিনীর রূপ নেয়। নদীটির ৪৮.২৭ কিমি অংশ নাব্য। এ নদী অববাহিকা বৃষ্টিবহুল ক্রান্তিয় বলয়ের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বিপুল পরিমাণে এর প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এ সময় এ নদীর পাহাড়ী পানি/ঢল প্রবল বেগে নিম্ন ঢালে নেমে আসে, ফলে নিম্ন অববাহিকার নদী তীর সংলগ্ন প­াবনভূমি প্রায়শ: আকস্মিক বন্যায় প­াবিত হয় এতে বিপুল পরিমাণে ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি হয়ে থাকে।  [সিফাতুল কাদের চৌধুরী]
''মানচিত্রের জন্য দেখুন''  [[চট্টগ্রাম অঞ্চলের নদীপ্রণালী|চট্টগ্রাম অঞ্চলের নদীপ্রণালী]]।


[[en:Sangu River]]
[[en:Sangu River]]

০৯:১২, ১৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

সাঙ্গু নদী (Sangu River)  উত্তর আরাকান পাহাড়ের ২১১৩ উত্তর ও ৯২৩৭ পূর্ব দ্রাঘিমাংশে নদীটির উৎপত্তি। এটি আরাকান ও চট্টগ্রামের মধ্যে সীমান্ত রেখা রচনা করেছে। বান্দরবান জেলা পর্যন্ত এটি উত্তরমুখী বিসর্পিল রেখায় প্রবাহিত। নদীটি মূলত জেলার পূর্ব পাশ দিয়ে প্রবেশ করে সোজা পশ্চিমমুখে ধাবিত হয়ে ২৭০.৩১ কিমি পথ (বাংলাদেশ সীমান্তের ভিতরে ১৭৩ কিমি) ২২৬ উত্তর ও ৯১৫১ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ বরাবর কর্ণফুলীর মোহনা থেকে ১৬.০৯ কিমি দক্ষিণ দিকে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়েছে।

সাঙ্গু নদীর প্রধান উপনদী ডলু সাতকানিয়া উপজেলার সমভূমি নিষ্কাশন করে উত্তরমুখে প্রবাহিত হয়ে সাঙ্গু নদীর সঙ্গে মিশেছে। পটিয়া সমভূমির উপর দিয়ে প্রবাহিত চান্দখালি নদীও এর ডান পাশে এসে মিলিত হয়েছে। আরও ভাটিতে এটি কুমিরাখালির সঙ্গে মিলিত হয়ে অবশেষে কুতুবদিয়া চ্যানেলে পড়েছে। ফলে পটিয়া, সাতকানিয়া ও বাঁশখালি-এ তিনটি গুরুত্বপূর্ণ উপজেলার পানি নিষ্কাশনের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে সাঙ্গু নদী খুবই গুরুত্বপূর্ণ। চান্দখালির সঙ্গে  কর্ণফুলিরও একটা সংযোগ রয়েছে। সাঙ্গু অগভীর নদী হলেও বর্ষাকালে প্রমত্তা ও তরঙ্গ বিক্ষুব্ধ স্রোতস্বিনীর রূপ নেয়। নদীটির ৪৮.২৭ কিমি অংশ নাব্য। এ নদী অববাহিকা বৃষ্টিবহুল ক্রান্তিয় বলয়ের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় জুন থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত বিপুল পরিমাণে এর প্রবাহ বৃদ্ধি পায়। এ সময় এ নদীর পাহাড়ী পানি/ঢল প্রবল বেগে নিম্ন ঢালে নেমে আসে, ফলে নিম্ন অববাহিকার নদী তীর সংলগ্ন প­াবনভূমি প্রায়শ: আকস্মিক বন্যায় প­াবিত হয় এতে বিপুল পরিমাণে ফসলের ক্ষয়-ক্ষতি হয়ে থাকে।  [সিফাতুল কাদের চৌধুরী]

মানচিত্রের জন্য দেখুন চট্টগ্রাম অঞ্চলের নদীপ্রণালী