সমুদ্রতলবাসী মাছ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:
বঙ্গোপসাগরের তলবাসী মৎস্যসম্পদ বাংলাদেশের মোট সামুদ্রিক মৎস্যশিকারে উলে­খযোগ্য স্থান দখল করে আছে। বস্ত্তত, বঙ্গোপসাগরের মজুদ সামুদ্রিক মৎস্যের হিসাব তলবাসী মাছের ভিত্তিতেই তৈরি। এই পর্যায়ের প্রধান মাছের মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক ক্যাটফিশ, Jawfish, Silvery Croaker, Seabream, Perch, Ribbon Fish, Snapper, Eel, Grouper, Silver Bream, Indian Barracuda, Black Bass, Rabbit Fish, Crab Eater, Bastard Halibut, Long Snout Scavenger, Blackbrow Snapper, Red-breasted Goat Fish, Striped Grunter, Banded Sweet Fish, Flounder, Plaice, Sole, Asian Psettodid, Rock Fish ও তলবাসী হাঙ্গর। এছাড়া সমুদ্রের তলদেশে কয়েক প্রজাতির চিংড়িও দেখা যায়। হাঙ্গরের বেশ কয়েকটি প্রজাতি সমুদ্রতলের কাছাকাছি থাকে এবং এদেরও সমুদ্রের তলবাসী মাছের দলে ফেলা যায়। বাংলাদেশে অধিকাংশ সমুদ্রতলবাসী মাছ সাধারণত তলার ফাঁসজাল, তিন স্তরের ট্র্যামেল জাল, তলদেশে স্থায়িভাবে পাতা ব্যাগজাল, লম্বা সুতার বড়শি ইত্যাদির সাহায্যে ধরা হয়।
বঙ্গোপসাগরের তলবাসী মৎস্যসম্পদ বাংলাদেশের মোট সামুদ্রিক মৎস্যশিকারে উলে­খযোগ্য স্থান দখল করে আছে। বস্ত্তত, বঙ্গোপসাগরের মজুদ সামুদ্রিক মৎস্যের হিসাব তলবাসী মাছের ভিত্তিতেই তৈরি। এই পর্যায়ের প্রধান মাছের মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক ক্যাটফিশ, Jawfish, Silvery Croaker, Seabream, Perch, Ribbon Fish, Snapper, Eel, Grouper, Silver Bream, Indian Barracuda, Black Bass, Rabbit Fish, Crab Eater, Bastard Halibut, Long Snout Scavenger, Blackbrow Snapper, Red-breasted Goat Fish, Striped Grunter, Banded Sweet Fish, Flounder, Plaice, Sole, Asian Psettodid, Rock Fish ও তলবাসী হাঙ্গর। এছাড়া সমুদ্রের তলদেশে কয়েক প্রজাতির চিংড়িও দেখা যায়। হাঙ্গরের বেশ কয়েকটি প্রজাতি সমুদ্রতলের কাছাকাছি থাকে এবং এদেরও সমুদ্রের তলবাসী মাছের দলে ফেলা যায়। বাংলাদেশে অধিকাংশ সমুদ্রতলবাসী মাছ সাধারণত তলার ফাঁসজাল, তিন স্তরের ট্র্যামেল জাল, তলদেশে স্থায়িভাবে পাতা ব্যাগজাল, লম্বা সুতার বড়শি ইত্যাদির সাহায্যে ধরা হয়।


সমুদ্রতলের মজুদ মাছের মধ্যে চিংড়ির (যদিও মাছ নয়) প্রজাতিগুলির চাহিদা খুবই বেশি। বাংলাদেশে রপ্তানিযোগ্য চিংড়ির মধ্যে উলে­খযোগ্য পরিমাণ চিংড়ি বঙ্গোপসাগরের তলদেশের মজুদ থেকেই সংগ্রহ করা হয়। পানির উপরের স্তরের মাছের তুলনায় তলদেশের মাছে অপেক্ষাকৃত কম চর্বি থাকার ফলে, সামুদ্রিক খাদ্যতালিকায় সমুদ্রতলবাসী মাছের স্থান বেশ উঁচুতে। বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রতলবাসী মাছের মধ্যে Jawfish ও  Silvery Croaker সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজার পেয়েছে। বর্তমানে হংকং ও সিঙ্গাপুরে লবণে সংরক্ষিত এই মাছ রপ্তানি হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত অধিকাংশ সমুদ্রতলবাসী মাছ স্থানীয় লোকেরাই খায় বা অন্য মাছের খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হয়।
সমুদ্রতলের মজুদ মাছের মধ্যে চিংড়ির (যদিও মাছ নয়) প্রজাতিগুলির চাহিদা খুবই বেশি। বাংলাদেশে রপ্তানিযোগ্য চিংড়ির মধ্যে উলে­খযোগ্য পরিমাণ চিংড়ি বঙ্গোপসাগরের তলদেশের মজুদ থেকেই সংগ্রহ করা হয়। পানির উপরের স্তরের মাছের তুলনায় তলদেশের মাছে অপেক্ষাকৃত কম চর্বি থাকার ফলে, সামুদ্রিক খাদ্যতালিকায় সমুদ্রতলবাসী মাছের স্থান বেশ উঁচুতে। বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রতলবাসী মাছের মধ্যে Jawfish ও  Silvery Croaker সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজার পেয়েছে। বর্তমানে হংকং ও সিঙ্গাপুরে লবণে সংরক্ষিত এই মাছ রপ্তানি হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত অধিকাংশ সমুদ্রতলবাসী মাছ স্থানীয় লোকেরাই খায় বা অন্য মাছের খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। [মোঃ আবুল হোসেন]
 
[মোঃ আবুল হোসেন]


[[en:Demersal Fish]]
[[en:Demersal Fish]]

০৫:৫৪, ১৯ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

সমুদ্রতলবাসী মাছ (Demersal Fish)  সাধারণভাবে সমুদ্রের তলদেশে বসবাসকারী মাছ। এসব মাছ সচরাচর ধীরগতিসম্পন্ন, উপর-নিচে চেপ্টা, মুখ পুরো বা আংশিক অঙ্কীয়ভাগে, পিঠ কালচে। এরা মাংসাশী অথবা আবর্জনাভুক। এদের কমবয়সীরা জীবনের প্রথম দিকে পানির উপরিভাগে কাটায়। সামুদ্রিক মাছের উৎপাদন প্রধানত এই তলবাসী মাছের ওপর নির্ভরশীল। অবশ্য তলবাসী হলেও এ দলের মাত্র গুটিকয় প্রজাতি সমুদ্রতলের অতি গভীরে বাস করে এবং ওই মাছগুলির বিশেষ বাণিজ্যিক গুরুত্বও নেই। সামুদ্রিক মৎস্য আহরণের আওতাধীন তলবাসী মাছগুলি সাধারণত সমুদ্র/মহাসমুদ্রের অগভীর তলদেশে থাকে, যেখান থেকে ট্রলারের জালে তাদের ধরা সম্ভব।

বঙ্গোপসাগরের তলবাসী মৎস্যসম্পদ বাংলাদেশের মোট সামুদ্রিক মৎস্যশিকারে উলে­খযোগ্য স্থান দখল করে আছে। বস্ত্তত, বঙ্গোপসাগরের মজুদ সামুদ্রিক মৎস্যের হিসাব তলবাসী মাছের ভিত্তিতেই তৈরি। এই পর্যায়ের প্রধান মাছের মধ্যে রয়েছে সামুদ্রিক ক্যাটফিশ, Jawfish, Silvery Croaker, Seabream, Perch, Ribbon Fish, Snapper, Eel, Grouper, Silver Bream, Indian Barracuda, Black Bass, Rabbit Fish, Crab Eater, Bastard Halibut, Long Snout Scavenger, Blackbrow Snapper, Red-breasted Goat Fish, Striped Grunter, Banded Sweet Fish, Flounder, Plaice, Sole, Asian Psettodid, Rock Fish ও তলবাসী হাঙ্গর। এছাড়া সমুদ্রের তলদেশে কয়েক প্রজাতির চিংড়িও দেখা যায়। হাঙ্গরের বেশ কয়েকটি প্রজাতি সমুদ্রতলের কাছাকাছি থাকে এবং এদেরও সমুদ্রের তলবাসী মাছের দলে ফেলা যায়। বাংলাদেশে অধিকাংশ সমুদ্রতলবাসী মাছ সাধারণত তলার ফাঁসজাল, তিন স্তরের ট্র্যামেল জাল, তলদেশে স্থায়িভাবে পাতা ব্যাগজাল, লম্বা সুতার বড়শি ইত্যাদির সাহায্যে ধরা হয়।

সমুদ্রতলের মজুদ মাছের মধ্যে চিংড়ির (যদিও মাছ নয়) প্রজাতিগুলির চাহিদা খুবই বেশি। বাংলাদেশে রপ্তানিযোগ্য চিংড়ির মধ্যে উলে­খযোগ্য পরিমাণ চিংড়ি বঙ্গোপসাগরের তলদেশের মজুদ থেকেই সংগ্রহ করা হয়। পানির উপরের স্তরের মাছের তুলনায় তলদেশের মাছে অপেক্ষাকৃত কম চর্বি থাকার ফলে, সামুদ্রিক খাদ্যতালিকায় সমুদ্রতলবাসী মাছের স্থান বেশ উঁচুতে। বঙ্গোপসাগরের সমুদ্রতলবাসী মাছের মধ্যে Jawfish ও  Silvery Croaker সম্প্রতি আন্তর্জাতিক বাজার পেয়েছে। বর্তমানে হংকং ও সিঙ্গাপুরে লবণে সংরক্ষিত এই মাছ রপ্তানি হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত অধিকাংশ সমুদ্রতলবাসী মাছ স্থানীয় লোকেরাই খায় বা অন্য মাছের খাদ্য তৈরিতে ব্যবহার করা হয়। [মোঃ আবুল হোসেন]