শাহ সুজা মসজিদ১: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''শাহ সুজা মসজিদ১'''  কুমিল্লা শহরে মুগলটুলী এলাকায় পুরাতন গোমতী নদীর তীরে অবস্থিত। মসজিদে নির্মাণ সংক্রান্ত কোন শিলালিপি নেই। জনশ্রুতি অনুযায়ী বাংলার সুবাহদার [[শাহ সুজা|শাহ সুজা]] (১৬৩৯-৬০ খ্রি) তাঁর ত্রিপুরা বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। তবে মসজিদের প্রবেশ তোরণে এটি ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
'''শাহ সুজা মসজিদ১'''  কুমিল্লা শহরে মুগলটুলী এলাকায় পুরাতন গোমতী নদীর তীরে অবস্থিত। মসজিদে নির্মাণ সংক্রান্ত কোন শিলালিপি নেই। জনশ্রুতি অনুযায়ী বাংলার সুবাহদার [[শাহ সুজা|শাহ সুজা]] (১৬৩৯-৬০ খ্রি) তাঁর ত্রিপুরা বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। তবে মসজিদের প্রবেশ তোরণে এটি ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।


[[Image:ShahShujaMosque.jpg|thumb|right|শাহ সুজা মসজিদ, কুমিল্লা]]
আয়তাকার মসজিদটি বাইরের মাপে দৈর্ঘ্য ১৭.৬৮ মি., প্রস্থ ৮.৫৩ মি. ও প্রাচীরগুলি ১.৭৫ মি. পুরু। মসজিদের চার কোণে ৪টি অষ্টকোণাকার বুরুজ (corner tower) রয়েছে। এগুলি কার্নিসের বেশ উপরে উঠে গেছে এবং এর শীর্ষে রয়েছে ছোট গম্বুজ (cupola)। মসজিদের পূর্ব প্রাচীরে ৩টি এবং উত্তর ও দক্ষিণ প্রাচীরে একটি করে খিলানযুক্ত প্রবেশপথ রয়েছে। প্রধান প্রবেশপথটি অপেক্ষাকৃত বড় এবং এতে অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। প্রবেশপথগুলির উভয় পার্শ্বে ও উপরে প্যানেল নকশা অলঙ্কৃত। কিবলা প্রাচীরে রয়েছে ৩টি মিহরাব, কেন্দ্রীয়টি অপেক্ষাকৃত বড় ও অধিক আকর্ষণীয়।এটি ফুল, লতা পাতা ও জ্যামিতিক নকশায় শোভিত।
আয়তাকার মসজিদটি বাইরের মাপে দৈর্ঘ্য ১৭.৬৮ মি., প্রস্থ ৮.৫৩ মি. ও প্রাচীরগুলি ১.৭৫ মি. পুরু। মসজিদের চার কোণে ৪টি অষ্টকোণাকার বুরুজ (corner tower) রয়েছে। এগুলি কার্নিসের বেশ উপরে উঠে গেছে এবং এর শীর্ষে রয়েছে ছোট গম্বুজ (cupola)। মসজিদের পূর্ব প্রাচীরে ৩টি এবং উত্তর ও দক্ষিণ প্রাচীরে একটি করে খিলানযুক্ত প্রবেশপথ রয়েছে। প্রধান প্রবেশপথটি অপেক্ষাকৃত বড় এবং এতে অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। প্রবেশপথগুলির উভয় পার্শ্বে ও উপরে প্যানেল নকশা অলঙ্কৃত। কিবলা প্রাচীরে রয়েছে ৩টি মিহরাব, কেন্দ্রীয়টি অপেক্ষাকৃত বড় ও অধিক আকর্ষণীয়।এটি ফুল, লতা পাতা ও জ্যামিতিক নকশায় শোভিত।
[[Image:ShahShujaMosque.jpg|thumb|right|শাহ সুজা মসজিদ, কুমিল্লা]]


দুটি পার্শ্ব খিলান (lateral arch) দ্বারা মসজিদের অভ্যন্তরভাগ তিন ভাগে বিভক্ত। মধ্যের অংশটি বাইরের দিকে পূর্ব ও পশ্চিমে কিছুটা উদ্গত করে নির্মিত। এই অংশের চার কোণে ৪টি সরু মিনার (turret) কার্নিসের উপরে উঠেছে।
দুটি পার্শ্ব খিলান (lateral arch) দ্বারা মসজিদের অভ্যন্তরভাগ তিন ভাগে বিভক্ত। মধ্যের অংশটি বাইরের দিকে পূর্ব ও পশ্চিমে কিছুটা উদ্গত করে নির্মিত। এই অংশের চার কোণে ৪টি সরু মিনার (turret) কার্নিসের উপরে উঠেছে।

০৫:৫৪, ১৬ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

শাহ সুজা মসজিদ১  কুমিল্লা শহরে মুগলটুলী এলাকায় পুরাতন গোমতী নদীর তীরে অবস্থিত। মসজিদে নির্মাণ সংক্রান্ত কোন শিলালিপি নেই। জনশ্রুতি অনুযায়ী বাংলার সুবাহদার শাহ সুজা (১৬৩৯-৬০ খ্রি) তাঁর ত্রিপুরা বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখার উদ্দেশ্যে এই মসজিদ নির্মাণ করেছিলেন। তবে মসজিদের প্রবেশ তোরণে এটি ১৬৫৮ খ্রিস্টাব্দ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

শাহ সুজা মসজিদ, কুমিল্লা

আয়তাকার মসজিদটি বাইরের মাপে দৈর্ঘ্য ১৭.৬৮ মি., প্রস্থ ৮.৫৩ মি. ও প্রাচীরগুলি ১.৭৫ মি. পুরু। মসজিদের চার কোণে ৪টি অষ্টকোণাকার বুরুজ (corner tower) রয়েছে। এগুলি কার্নিসের বেশ উপরে উঠে গেছে এবং এর শীর্ষে রয়েছে ছোট গম্বুজ (cupola)। মসজিদের পূর্ব প্রাচীরে ৩টি এবং উত্তর ও দক্ষিণ প্রাচীরে একটি করে খিলানযুক্ত প্রবেশপথ রয়েছে। প্রধান প্রবেশপথটি অপেক্ষাকৃত বড় এবং এতে অধিকতর গুরুত্ব আরোপ করা হয়েছে। প্রবেশপথগুলির উভয় পার্শ্বে ও উপরে প্যানেল নকশা অলঙ্কৃত। কিবলা প্রাচীরে রয়েছে ৩টি মিহরাব, কেন্দ্রীয়টি অপেক্ষাকৃত বড় ও অধিক আকর্ষণীয়।এটি ফুল, লতা পাতা ও জ্যামিতিক নকশায় শোভিত।

দুটি পার্শ্ব খিলান (lateral arch) দ্বারা মসজিদের অভ্যন্তরভাগ তিন ভাগে বিভক্ত। মধ্যের অংশটি বাইরের দিকে পূর্ব ও পশ্চিমে কিছুটা উদ্গত করে নির্মিত। এই অংশের চার কোণে ৪টি সরু মিনার (turret) কার্নিসের উপরে উঠেছে।

অষ্টকোণাকার ড্রামের (Drum) উপর নির্মিত ৩টি গোলাকার গম্বুজ দ্বারা মসজিদের ছাদ ঢাকা। মধ্যেরটি অপেক্ষাকৃত বড়। গম্বুজগুলির শীর্ষদেশ পদ্মনকশা ও কলস চূড়া দ্বারা শোভিত। মসজিদের কার্নিসের নীচের অংশ মারলোন নকশায় অলঙ্কৃত। বিভিন্ন সময়ে মসজিদটির সংস্কার ও সম্প্রসারণ করা হয়েছে। একটি শিলালিপির পাঠ অনুযায়ী ১৮৮২ সালে হাজী ইমামউদ্দিন ৭.৩২ মি. প্রস্থের সমতল ছাদ বিশিষ্ট বারান্দাটি নির্মাণ করেন। পরবর্তীকালে মসজিদটি আরও সম্প্রসারিত ও দুপার্শ্বে মিনার নির্মাণ করা হয়েছে। [মোঃ ইফতেখার উদ্দিন ভূঞা]