শাহ লঙ্গরের দরগাহ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
(Text replacement - "\[মুয়ায্যম হুসায়ন খান\]" to "[মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]")
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''শাহ লঙ্গরের দরগাহ'''  নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার মুয়াজ্জমপুর (মহজমপুর) গ্রামে মুয়াজ্জমপুর শাহী মসজিদের দেয়ালঘেরা প্রাঙ্গণে অবস্থিত। প্রাঙ্গণের দক্ষিণ অংশে উন্মুক্ত দেয়াল বেষ্টনীর অভ্যন্তরে রয়েছে শাহ লঙ্গরের সমাধি। মসজিদ প্রাঙ্গণের প্রবেশপথের ডান পাশে শাহ লঙ্গরের সমাধির সন্নিকটে রয়েছে একটি পুরনো কূপ। কূপটি অদ্যপি ছেদ-কুয়া (ভূগর্ভস্থ নালা বিশিষ্ট কূপ) নামে অভিহিত। লোকশ্রুতি আছে যে, এককালে ভূগর্ভস্থ একটি নালার মাধ্যমে মেঘনা, ধলেশ্বরী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের সংগমস্থলের সঙ্গে কূপটির একটি সংযোগ ছিল। কথিত আছে, একসময় কোনো এক লোক ঘটনাচক্রে কূপের মধ্যে পড়ে যায়, এবং পরে তার মৃতদেহ তিন নদীর সংগমস্থলে পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। শাহ লঙ্গরের সমাধি সন্নিহিত দক্ষিণদিকে একটি গোরস্থান রয়েছে। এই গোরস্থানে অজ্ঞাত পরিচয় কিছু লোকের কবরের সঙ্গে রয়েছে শাহ লঙ্গরের স্ত্রীর সমাধি।
'''শাহ লঙ্গরের দরগাহ'''  নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার মুয়াজ্জমপুর (মহজমপুর) গ্রামে মুয়াজ্জমপুর শাহী মসজিদের দেয়ালঘেরা প্রাঙ্গণে অবস্থিত। প্রাঙ্গণের দক্ষিণ অংশে উন্মুক্ত দেয়াল বেষ্টনীর অভ্যন্তরে রয়েছে শাহ লঙ্গরের সমাধি। মসজিদ প্রাঙ্গণের প্রবেশপথের ডান পাশে শাহ লঙ্গরের সমাধির সন্নিকটে রয়েছে একটি পুরনো কূপ। কূপটি অদ্যপি ছেদ-কুয়া (ভূগর্ভস্থ নালা বিশিষ্ট কূপ) নামে অভিহিত। লোকশ্রুতি আছে যে, এককালে ভূগর্ভস্থ একটি নালার মাধ্যমে মেঘনা, ধলেশ্বরী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের সংগমস্থলের সঙ্গে কূপটির একটি সংযোগ ছিল। কথিত আছে, একসময় কোনো এক লোক ঘটনাচক্রে কূপের মধ্যে পড়ে যায়, এবং পরে তার মৃতদেহ তিন নদীর সংগমস্থলে পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। শাহ লঙ্গরের সমাধি সন্নিহিত দক্ষিণদিকে একটি গোরস্থান রয়েছে। এই গোরস্থানে অজ্ঞাত পরিচয় কিছু লোকের কবরের সঙ্গে রয়েছে শাহ লঙ্গরের স্ত্রীর সমাধি।


শাহ লঙ্গরের সমাধিতে সমাহিত দরবেশের কোনো পরিচয় জানা যায় নি। স্থানীয় লোকেরা তাঁকে শাহ আলম শাহ নামেও অভিহিত করে। সম্ভবত চৌদ্দ শতকের শেষ অথবা পনের শতকের প্রথম দিকে তাঁর আবির্ভাব ঘটে। প্রতি বছর বাংলা মাঘ মাসে চান্দ্র মাসের ১১ তারিখে দরগাহ প্রাঙ্গণে উরস অনুষ্ঠিত হয়। এই উরস সচরাচর সাত দিন পর্যন্ত চলে। এরূপ লোকশ্রুতি আছে যে, এককালে উরসের সময় রাতের বেলায় দলে দলে কুমির এসে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভীড় জমাত।  [মুয়ায্যম হুসায়ন খান]
শাহ লঙ্গরের সমাধিতে সমাহিত দরবেশের কোনো পরিচয় জানা যায় নি। স্থানীয় লোকেরা তাঁকে শাহ আলম শাহ নামেও অভিহিত করে। সম্ভবত চৌদ্দ শতকের শেষ অথবা পনের শতকের প্রথম দিকে তাঁর আবির্ভাব ঘটে। প্রতি বছর বাংলা মাঘ মাসে চান্দ্র মাসের ১১ তারিখে দরগাহ প্রাঙ্গণে উরস অনুষ্ঠিত হয়। এই উরস সচরাচর সাত দিন পর্যন্ত চলে। এরূপ লোকশ্রুতি আছে যে, এককালে উরসের সময় রাতের বেলায় দলে দলে কুমির এসে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভীড় জমাত।  [মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]


[[en:Shah Langar’s Dargah]]
[[en:Shah Langar’s Dargah]]

১৬:৩৮, ১৭ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

শাহ লঙ্গরের দরগাহ  নারায়ণগঞ্জ জেলার সোনারগাঁও থানার মুয়াজ্জমপুর (মহজমপুর) গ্রামে মুয়াজ্জমপুর শাহী মসজিদের দেয়ালঘেরা প্রাঙ্গণে অবস্থিত। প্রাঙ্গণের দক্ষিণ অংশে উন্মুক্ত দেয়াল বেষ্টনীর অভ্যন্তরে রয়েছে শাহ লঙ্গরের সমাধি। মসজিদ প্রাঙ্গণের প্রবেশপথের ডান পাশে শাহ লঙ্গরের সমাধির সন্নিকটে রয়েছে একটি পুরনো কূপ। কূপটি অদ্যপি ছেদ-কুয়া (ভূগর্ভস্থ নালা বিশিষ্ট কূপ) নামে অভিহিত। লোকশ্রুতি আছে যে, এককালে ভূগর্ভস্থ একটি নালার মাধ্যমে মেঘনা, ধলেশ্বরী ও পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের সংগমস্থলের সঙ্গে কূপটির একটি সংযোগ ছিল। কথিত আছে, একসময় কোনো এক লোক ঘটনাচক্রে কূপের মধ্যে পড়ে যায়, এবং পরে তার মৃতদেহ তিন নদীর সংগমস্থলে পানিতে ভাসমান অবস্থায় পাওয়া যায়। শাহ লঙ্গরের সমাধি সন্নিহিত দক্ষিণদিকে একটি গোরস্থান রয়েছে। এই গোরস্থানে অজ্ঞাত পরিচয় কিছু লোকের কবরের সঙ্গে রয়েছে শাহ লঙ্গরের স্ত্রীর সমাধি।

শাহ লঙ্গরের সমাধিতে সমাহিত দরবেশের কোনো পরিচয় জানা যায় নি। স্থানীয় লোকেরা তাঁকে শাহ আলম শাহ নামেও অভিহিত করে। সম্ভবত চৌদ্দ শতকের শেষ অথবা পনের শতকের প্রথম দিকে তাঁর আবির্ভাব ঘটে। প্রতি বছর বাংলা মাঘ মাসে চান্দ্র মাসের ১১ তারিখে দরগাহ প্রাঙ্গণে উরস অনুষ্ঠিত হয়। এই উরস সচরাচর সাত দিন পর্যন্ত চলে। এরূপ লোকশ্রুতি আছে যে, এককালে উরসের সময় রাতের বেলায় দলে দলে কুমির এসে পুরাতন ব্রহ্মপুত্রের তীরে ভীড় জমাত।  [মুয়ায্‌যম হুসায়ন খান]