শাস্ত্র

শাস্ত্র  অমর কোষের টীকামতে শাসন-সাধন গ্রন্থ। বৈদিক ঋষিগণ কর্তৃক প্রণীত সমাজ-শাসন-সংক্রান্ত যাবতীয় বিদ্যাবিষয়ক গ্রন্থ শাস্ত্র হিসেবে গণ্য। হিন্দুদের নিকট এগুলি পবিত্র গ্রন্থ। হিন্দুদের বিশ্বাস মতে শাস্ত্রসমূহ ঐশী অনুপ্রাণিত এবং পবিত্র। সবকটি শাস্ত্র পুরানো সংস্কৃত ভাষায় রচিত। হিন্দু শাস্ত্রজ্ঞদের মতে সব শাস্ত্রই পবিত্র। কেননা এগুলি সৃষ্টিকর্তার প্রেরণাপ্রাপ্ত ঋৃষিদের বাণী। ঋৃষিবাণীগুলি আঠারোটি শিরোনামে সন্নিবেশিত। শিরোনামগুলি আবার চারটি শ্রেণীতে বিভক্ত। প্রথম শ্রেণীতে বিন্যস্ত হয়েছে চারটি বেদ যথা, ঋৃগ্বেদ, সমবেদ, যজুর্বেদ, অথর্বেদ। পন্ডিতদের ধারণা, এ চারটি বেদ সবচেয়ে পুরানো। এগুলির প্রণয়নকাল খ্রিস্টপূর্ব আনুমানিক ১৪০০ সাল। দ্বিতীয় শ্রেণীর শাস্ত্রগুলির মধ্যে রয়েছে চারটি উপ-বেদ। তৃতীয় শ্রেণীর শাস্ত্রগুলিতে রয়েছে ছয়টি বেদাঙ্গ বা বিদ্যাঙ্গ। চতুর্থ শ্রেণীর শাস্ত্রগুলিতে আছে চারটি উপ-অঙ্গ বা উপাঙ্গ বা বিদ্যাবিশ্লেষণ। উপাঙ্গগুলির মধ্যে সন্নিবেশিত হয়েছে পুরাণ, রামায়ণ ও মহাভারত। দ্বিতীয় ও তৃতীয় উপাঙ্গতে রয়েছে ন্যায়শাস্ত্র ও ধর্মশাস্ত্র। চতুর্থ উপাঙ্গ গঠিত সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মার পুত্র মনু কর্তৃক টীকাযুক্ত আইনকানুন সমূহ।  [সিরাজুল ইসলাম]