লেফটেন্যান্ট গভর্নর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
(একই ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''লেফটেন্যান্ট গভর্নর'''  শাসনতান্ত্রিকভাবে সপরিষদ গভর্নর জেনারেলের প্রতিনিধি। বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির গভর্নর ছিলেন একই সঙ্গে ভারতের গভর্নর জেনারেল। তাঁর পক্ষে প্রদেশের শাসনকার্য পরিচালনা করতেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। [[ফোর্ট উইলিয়ম|ফোর্ট উইলিয়ম]] কর্তৃপক্ষ যেসকল ভূখন্ড জয় ও অধিকার করেছিল তা বঙ্গ প্রদেশের আয়তন উত্তর ও উত্তরপশ্চিম ভারতের বৃহত্তম অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত করে। ১৮৩৩ সালের সনদ আইন ([[চার্টার অ্যাক্ট|চার্টার অ্যাক্ট]]) প্রেসিডেন্সিকে দ্বিধাবিভক্ত করে নতুন প্রদেশসমূহ সৃষ্টি করে। সেগুলির শাসনভার দুজন লেফটেন্যান্ট গভর্নরের উপর অর্পিত হয়, যাদেরকে গভর্নর জেনারেল নিয়োগ করতেন এবং যারা তাঁর নিকট দায়বদ্ধ থাকতেন। এভাবে উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ নামে একটি নতুন প্রদেশ সৃষ্টি করা হয় এবং এর শাসনকার্য পরিচালনার জন্য ১৮৩৫ সালে একজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করা হয়। কিন্তু বাংলার মূল ভূখন্ডে এ রকম কোন পদ সৃষ্টি করা হয়নি, যদিও এটা গভর্নর জেনারেলের পক্ষে প্রশাসনিকভাবে খুব বড় রকমের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়, কারণ সাম্রাজ্য সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে তিনি এত ব্যস্ত থাকতেন যে প্রদেশটির ব্যাপারে তাঁর পক্ষে তেমন মনোযোগ দেওয়া সম্ভব ছিল না। প্রশাসনিকভাবে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি অবহেলিত অবস্থায় বিরাজ করছিল। প্রেস ও জনমত এরূপ অবস্থার কঠোর সমালোচনা করে। অবশেষে ১৮৫৩ সালের সনদ আইনের আওতায় গভর্নর জেনারেলকে বাংলার গভর্নরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং ঐ আইন অনুযায়ী তাঁকে বঙ্গ প্রদেশের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় ও বিধান পরিষদসহ একজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়। এভাবে ভারতের গভর্নর জেনারেল ১৮৫৪ সালের ১মে স্যার ফ্রেডারিক জেমস [[হ্যালিডে, স্যার ফ্রেডারিক জেমস|হ্যালিডে]]কে বাংলার প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করেন। [[আহমেদ, সফিউদ্দীন|বঙ্গভঙ্গ]] সাধিত হওয়ার পর (১৯০৫) সৃষ্ট দুটি নতুন প্রদেশ, যথা বেঙ্গল (এর মধ্যে বিহার ও উড়িষ্যা অন্তর্ভুক্ত ছিল) এবং পূর্ববাংলা ও আসাম প্রদেশের জন্য দুজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করা হয়। ১৯১১ সালের ডিসেম্বর মাসে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হলে বাংলা পুনরায় একত্রে সংযুক্ত হয়। তাতে যে শাসনতান্ত্রিক পরিবর্তন ঘটে তা হলো সপরিষদ একজন গভর্নর মাদ্রাজ ও বোম্বে প্রেসিডেন্সিদ্বয়ের গভর্নরদের মতো একই ক্ষমতা ও কার্যকলাপ সহকারে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি প্রদেশটির শাসনকার্য পরিচালনা করবেন। লর্ড [[কারমাইকেল, লর্ড|কারমাইকেল]] হলেন বাংলার প্রথম গভর্নর। তিনি ১৯১২ সালের ১ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
'''লেফটেন্যান্ট গভর্নর'''  শাসনতান্ত্রিকভাবে সপরিষদ গভর্নর জেনারেলের প্রতিনিধি। বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির গভর্নর ছিলেন একই সঙ্গে ভারতের গভর্নর জেনারেল। তাঁর পক্ষে প্রদেশের শাসনকার্য পরিচালনা করতেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। [[ফোর্ট উইলিয়ম|ফোর্ট উইলিয়ম]] কর্তৃপক্ষ যেসকল ভূখন্ড জয় ও অধিকার করেছিল তা বঙ্গ প্রদেশের আয়তন উত্তর ও উত্তরপশ্চিম ভারতের বৃহত্তম অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত করে। ১৮৩৩ সালের সনদ আইন ([[চার্টার অ্যাক্ট|চার্টার অ্যাক্ট]]) প্রেসিডেন্সিকে দ্বিধাবিভক্ত করে নতুন প্রদেশসমূহ সৃষ্টি করে। সেগুলির শাসনভার দুজন লেফটেন্যান্ট গভর্নরের উপর অর্পিত হয়, যাদেরকে গভর্নর জেনারেল নিয়োগ করতেন এবং যারা তাঁর নিকট দায়বদ্ধ থাকতেন। এভাবে উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ নামে একটি নতুন প্রদেশ সৃষ্টি করা হয় এবং এর শাসনকার্য পরিচালনার জন্য ১৮৩৫ সালে একজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করা হয়। কিন্তু বাংলার মূল ভূখন্ডে এ রকম কোন পদ সৃষ্টি করা হয়নি, যদিও এটা গভর্নর জেনারেলের পক্ষে প্রশাসনিকভাবে খুব বড় রকমের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়, কারণ সাম্রাজ্য সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে তিনি এত ব্যস্ত থাকতেন যে প্রদেশটির ব্যাপারে তাঁর পক্ষে তেমন মনোযোগ দেওয়া সম্ভব ছিল না। প্রশাসনিকভাবে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি অবহেলিত অবস্থায় বিরাজ করছিল। প্রেস ও জনমত এরূপ অবস্থার কঠোর সমালোচনা করে। অবশেষে ১৮৫৩ সালের সনদ আইনের আওতায় গভর্নর জেনারেলকে বাংলার গভর্নরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং ঐ আইন অনুযায়ী তাঁকে বঙ্গ প্রদেশের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় ও বিধান পরিষদসহ একজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়। এভাবে ভারতের গভর্নর জেনারেল ১৮৫৪ সালের ১মে স্যার ফ্রেডারিক জেমস [[হ্যালিডে, স্যার ফ্রেডারিক জেমস|হ্যালিডে]]কে বাংলার প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করেন। [[আহমেদ, সফিউদ্দীন|বঙ্গভঙ্গ]] সাধিত হওয়ার পর (১৯০৫) সৃষ্ট দুটি নতুন প্রদেশ, যথা বেঙ্গল (এর মধ্যে বিহার ও উড়িষ্যা অন্তর্ভুক্ত ছিল) এবং পূর্ববাংলা ও আসাম প্রদেশের জন্য দুজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করা হয়। ১৯১১ সালের ডিসেম্বর মাসে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হলে বাংলা পুনরায় একত্রে সংযুক্ত হয়। তাতে যে শাসনতান্ত্রিক পরিবর্তন ঘটে তা হলো সপরিষদ একজন গভর্নর মাদ্রাজ ও বোম্বে প্রেসিডেন্সিদ্বয়ের গভর্নরদের মতো একই ক্ষমতা ও কার্যকলাপ সহকারে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি প্রদেশটির শাসনকার্য পরিচালনা করবেন। লর্ড [[কারমাইকেল, লর্ড|কারমাইকেল]] হলেন বাংলার প্রথম গভর্নর। তিনি ১৯১২ সালের ১ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করেন।


সারণি  বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নরদের তালিকা (১৮৫৪-১৯১২) ।
''সারণি''  বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নরদের তালিকা (১৮৫৪-১৯১২) ।
 
{| class="table table-bordered table-hover"
স্যার ফ্রেডারিক জেমস হ্যালিডে #১ মে, ১৮৫৪
|-
 
| স্যার ফ্রেডারিক জেমস হ্যালিডে || ১ মে, ১৮৫৪
স্যার জন পিটার গ্রান্ট #১ মে, ১৮৫৯
|-
 
| স্যার জন পিটার গ্রান্ট || ১ মে, ১৮৫৯
স্যার সেসিল বীডন #২৩ এপ্রিল, ১৮৬২
|-
 
| স্যার সেসিল বীডন || ২৩ এপ্রিল, ১৮৬২
স্যার উইলিয়ম গ্রে #২৩ এপ্রিল, ১৮৬৭
|-
 
| স্যার উইলিয়ম গ্রে || ২৩ এপ্রিল, ১৮৬৭
স্যার জর্জ ক্যাম্বেল #১ মার্চ, ১৮৭১
|-
 
| স্যার জর্জ ক্যাম্বেল || ১ মার্চ, ১৮৭১
স্যার রিচার্ড টেম্পল #৯ এপ্রিল, ১৮৭৪
|-
 
| স্যার রিচার্ড টেম্পল || ৯ এপ্রিল, ১৮৭৪
স্যার অ্যাশলে ইডেন #ভারপ্রাপ্ত, ৮ জানুয়ারি, ১৮৭৭; স্থায়ী ১ মে, ১৮৭৭
|-
 
| স্যার অ্যাশলে ইডেন || ভারপ্রাপ্ত, ৮ জানুয়ারি, ১৮৭৭; স্থায়ী ১ মে, ১৮৭৭
স্যার স্টুয়ার্ট কলভিন বেইলী #ভারপ্রাপ্ত, ১৫ জুলাই, ১৮৭৯ থেকে ১ ডিসেম্বর, ১৮৭৯
|-
 
| স্যার স্টুয়ার্ট কলভিন বেইলী || ভারপ্রাপ্ত, ১৫ জুলাই, ১৮৭৯ থেকে ১ ডিসেম্বর, ১৮৭৯
স্যার অগাস্টাস রিভারস টমসন #২৪ এপ্রিল, ১৮৮২
|-
 
| স্যার অগাস্টাস রিভারস টমসন || ২৪ এপ্রিল, ১৮৮২
মি. হোরেস অ্যাবেল ক্লেকারেল #ভারপ্রাপ্ত, ১১ আগস্ট, ১৮৮৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৫
|-
 
| মি. হোরেস অ্যাবেল ক্লেকারেল || ভারপ্রাপ্ত, ১১ আগস্ট, ১৮৮৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৫
স্যার স্টুয়ার্ট কলভিন বেইলী #২ এপ্রিল, ১৮৮৭
|-
 
| স্যার স্টুয়ার্ট কলভিন বেইলী || ২ এপ্রিল, ১৮৮৭
স্যার চার্লস আলফ্রেড ইলিয়ট #১৭ ডিসেম্বর, ১৮৯০
|-
 
চার্লস আলফ্রেড ইলিয়ট || ১৭ ডিসেম্বর, ১৮৯০
স্যার এন্টনি প্যাট্রিক ম্যাকডোনেল #ভারপ্রাপ্ত, ৩০ মে, ১৮৯৩ থেকে ৩০ নভেম্বর, ১৮৯৩
|-
 
| স্যার এন্টনি প্যাট্রিক ম্যাকডোনেল || ভারপ্রাপ্ত, ৩০ মে, ১৮৯৩ থেকে ৩০ নভেম্বর, ১৮৯৩
স্যার আলেক্সান্ডার ম্যাকেঞ্জি #১৮ ডিসেম্বর, ১৮৯৫ থেকে ৭ এপ্রিল, ১৮৯৮
|-
 
আলেক্সান্ডার ম্যাকেঞ্জি || ১৮ ডিসেম্বর, ১৮৯৫ থেকে ৭ এপ্রিল, ১৮৯৮
স্যার চার্লস সেসিল স্টিভেনস #ভারপ্রাপ্ত, ২২ জুন, ১৮৯৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর, ১৮৯৭
|-
 
| স্যার চার্লস সেসিল স্টিভেনস || ভারপ্রাপ্ত, ২২ জুন, ১৮৯৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর, ১৮৯৭
স্যার জন উডবার্ন #১৮৯৮
|-
 
| স্যার জন উডবার্ন || ১৮৯৮
স্যার ব্যামফিল্ড ফুলার #১৯০৫
|-
 
| স্যার ব্যামফিল্ড ফুলার || ১৯০৫
স্যার এন্ড্রু ফ্রেজার #১৯০৬
|-
 
| স্যার এন্ড্রু ফ্রেজার || ১৯০৬
স্যার এডওয়ার্ড বেকার #১৯১২
|-
| স্যার এডওয়ার্ড বেকার || ১৯১২
|}


[সিরাজুল ইসলাম]
[সিরাজুল ইসলাম]

১০:২৯, ১১ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

লেফটেন্যান্ট গভর্নর  শাসনতান্ত্রিকভাবে সপরিষদ গভর্নর জেনারেলের প্রতিনিধি। বেঙ্গল প্রেসিডেন্সির গভর্নর ছিলেন একই সঙ্গে ভারতের গভর্নর জেনারেল। তাঁর পক্ষে প্রদেশের শাসনকার্য পরিচালনা করতেন লেফটেন্যান্ট গভর্নর। ফোর্ট উইলিয়ম কর্তৃপক্ষ যেসকল ভূখন্ড জয় ও অধিকার করেছিল তা বঙ্গ প্রদেশের আয়তন উত্তর ও উত্তরপশ্চিম ভারতের বৃহত্তম অংশ পর্যন্ত বিস্তৃত করে। ১৮৩৩ সালের সনদ আইন (চার্টার অ্যাক্ট) প্রেসিডেন্সিকে দ্বিধাবিভক্ত করে নতুন প্রদেশসমূহ সৃষ্টি করে। সেগুলির শাসনভার দুজন লেফটেন্যান্ট গভর্নরের উপর অর্পিত হয়, যাদেরকে গভর্নর জেনারেল নিয়োগ করতেন এবং যারা তাঁর নিকট দায়বদ্ধ থাকতেন। এভাবে উত্তর-পশ্চিম প্রদেশ নামে একটি নতুন প্রদেশ সৃষ্টি করা হয় এবং এর শাসনকার্য পরিচালনার জন্য ১৮৩৫ সালে একজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করা হয়। কিন্তু বাংলার মূল ভূখন্ডে এ রকম কোন পদ সৃষ্টি করা হয়নি, যদিও এটা গভর্নর জেনারেলের পক্ষে প্রশাসনিকভাবে খুব বড় রকমের বোঝা হয়ে দাঁড়ায়, কারণ সাম্রাজ্য সম্পর্কিত বিষয়াদি নিয়ে তিনি এত ব্যস্ত থাকতেন যে প্রদেশটির ব্যাপারে তাঁর পক্ষে তেমন মনোযোগ দেওয়া সম্ভব ছিল না। প্রশাসনিকভাবে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি অবহেলিত অবস্থায় বিরাজ করছিল। প্রেস ও জনমত এরূপ অবস্থার কঠোর সমালোচনা করে। অবশেষে ১৮৫৩ সালের সনদ আইনের আওতায় গভর্নর জেনারেলকে বাংলার গভর্নরের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয় এবং ঐ আইন অনুযায়ী তাঁকে বঙ্গ প্রদেশের জন্য স্বতন্ত্র সচিবালয় ও বিধান পরিষদসহ একজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করার ক্ষমতা প্রদান করা হয়। এভাবে ভারতের গভর্নর জেনারেল ১৮৫৪ সালের ১মে স্যার ফ্রেডারিক জেমস হ্যালিডেকে বাংলার প্রথম লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করেন। বঙ্গভঙ্গ সাধিত হওয়ার পর (১৯০৫) সৃষ্ট দুটি নতুন প্রদেশ, যথা বেঙ্গল (এর মধ্যে বিহার ও উড়িষ্যা অন্তর্ভুক্ত ছিল) এবং পূর্ববাংলা ও আসাম প্রদেশের জন্য দুজন লেফটেন্যান্ট গভর্নর নিয়োগ করা হয়। ১৯১১ সালের ডিসেম্বর মাসে বঙ্গভঙ্গ রদ করা হলে বাংলা পুনরায় একত্রে সংযুক্ত হয়। তাতে যে শাসনতান্ত্রিক পরিবর্তন ঘটে তা হলো সপরিষদ একজন গভর্নর মাদ্রাজ ও বোম্বে প্রেসিডেন্সিদ্বয়ের গভর্নরদের মতো একই ক্ষমতা ও কার্যকলাপ সহকারে বেঙ্গল প্রেসিডেন্সি প্রদেশটির শাসনকার্য পরিচালনা করবেন। লর্ড কারমাইকেল হলেন বাংলার প্রথম গভর্নর। তিনি ১৯১২ সালের ১ এপ্রিল দায়িত্ব গ্রহণ করেন।

সারণি  বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নরদের তালিকা (১৮৫৪-১৯১২) ।

স্যার ফ্রেডারিক জেমস হ্যালিডে ১ মে, ১৮৫৪
স্যার জন পিটার গ্রান্ট ১ মে, ১৮৫৯
স্যার সেসিল বীডন ২৩ এপ্রিল, ১৮৬২
স্যার উইলিয়ম গ্রে ২৩ এপ্রিল, ১৮৬৭
স্যার জর্জ ক্যাম্বেল ১ মার্চ, ১৮৭১
স্যার রিচার্ড টেম্পল ৯ এপ্রিল, ১৮৭৪
স্যার অ্যাশলে ইডেন ভারপ্রাপ্ত, ৮ জানুয়ারি, ১৮৭৭; স্থায়ী ১ মে, ১৮৭৭
স্যার স্টুয়ার্ট কলভিন বেইলী ভারপ্রাপ্ত, ১৫ জুলাই, ১৮৭৯ থেকে ১ ডিসেম্বর, ১৮৭৯
স্যার অগাস্টাস রিভারস টমসন ২৪ এপ্রিল, ১৮৮২
মি. হোরেস অ্যাবেল ক্লেকারেল ভারপ্রাপ্ত, ১১ আগস্ট, ১৮৮৫ থেকে ১৭ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৫
স্যার স্টুয়ার্ট কলভিন বেইলী ২ এপ্রিল, ১৮৮৭
চার্লস আলফ্রেড ইলিয়ট ১৭ ডিসেম্বর, ১৮৯০
স্যার এন্টনি প্যাট্রিক ম্যাকডোনেল ভারপ্রাপ্ত, ৩০ মে, ১৮৯৩ থেকে ৩০ নভেম্বর, ১৮৯৩
আলেক্সান্ডার ম্যাকেঞ্জি ১৮ ডিসেম্বর, ১৮৯৫ থেকে ৭ এপ্রিল, ১৮৯৮
স্যার চার্লস সেসিল স্টিভেনস ভারপ্রাপ্ত, ২২ জুন, ১৮৯৭ থেকে ২১ ডিসেম্বর, ১৮৯৭
স্যার জন উডবার্ন ১৮৯৮
স্যার ব্যামফিল্ড ফুলার ১৯০৫
স্যার এন্ড্রু ফ্রেজার ১৯০৬
স্যার এডওয়ার্ড বেকার ১৯১২

[সিরাজুল ইসলাম]