লিটল ম্যাগাজিন
লিটল ম্যাগাজিন শিল্পসাহিত্য ও জ্ঞান-বিজ্ঞান বিষয়ে চলমান ধারাকে চ্যালেঞ্জ করে ব্যতিক্রমধর্মী চিন্তাধারা ও মতামত ব্যক্ত করার মুদ্রিত বাহনকে বলা হয় লিটল ম্যাগাজিন। এ ম্যাগাজিন অনেকটা অনিয়মিত এবং অবাণিজ্যিক। লিটল ম্যাগাজিন প্রতিনিধিত্ব করে একটি ছোট সমমনা নব্য গোষ্ঠীর যার চিন্তা-ভাবনা-দর্শন চলমান ধারা থেকে ভিন্ন এবং অভূতপূর্ব। উনিশ শতকের প্রথমার্ধ থেকে ইউরোপ-আমেরিকায় লিটল ম্যাগাজিনের যাত্রা শুরু।
ইংরেজি সমালোচনা সাহিত্যের ইতিহাস মতে লিটল ম্যাগাজিনের অভিযাত্রা শুরু হয় Ralph Waldo Emerson ও Margaret Fuller সম্পাদিত The Dial (Boston, 1840-1844)-এর মাধ্যমে। ইমার্সনের নতুন দর্শন Transendentalism-এ যারা সমর্থক তাঁরাই শুধু Dial ম্যাগাজিনে লিখতেন। লিটল ম্যাগাজিনের আরেক প্রভাবশালী পত্রিকা ছিল ইংল্যান্ড থেকে প্রকাশিত Savoy। ভিক্টোরীয়ান পুজিবাদী ব্যবস্থার বিরুদ্ধে সোচ্চার উদারপন্থী ও সাম্যবাদী লেখকদের প্রধান বাহন ছিল এটি। সাহিত্য ক্ষেত্রে বিশ শতকের গোড়ার দিকে সবচেয়ে নামী লিটল ম্যাগাজিন ছিল Poetry: A Magazine of Verse (Chicago 1912)। এর সম্পাদক ছিলেন হেরিয়েট মনরো ও এজরা পাউন্ড।
পাশ্চাত্যের আদলে বঙ্গদেশে প্রথম লিটল ম্যাগাজিন প্রবর্তন করে প্রমথ চৌধুরী। তাঁর সম্পাদিত সবুজপত্র (১৯১৪)-কে আধুনিক লিটল ম্যাগাজিনের আদিরূপ বলে গণ্য করা হয়। অবশ্য অনেকে মনে করেন যে, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বঙ্গদর্শন (১৮৭২) বাংলা ভাষায় প্রথম লিটল ম্যাগাজিন।
লিটল ম্যাগাজিন নবচেতনা নিয়ে আত্মপ্রকাশ করে এবং লেখক ও পাঠকদের মধ্যে সে নবচেতনাকে সঞ্চারিত করে দেওয়ার জন্যে আন্দোলনে যায়। যারা সাহিত্য, দর্শন ও শিল্প-চেতনায় গতানুগতিক ধারার বিরোধী, তারা তাঁদের চিন্তাচেতনার প্রকাশ ঘটান নিজেদের সংঘটিত মুখপত্রের মাধ্যমে, কেননা সাধারণের নিকট তাঁরা অপ্রিয়, বাণিজ্যিক কারণে বাজারের পত্রিকার পরিচালকেরা তাঁদের পরিহার করে চলেন। অতএব নবধারার নবযুগের শিল্পী সাহিত্যিকেরা তাঁদের মতবাদ প্রচারের জন্য লিটল ম্যাগাজিনের আশ্রয় নেন। লিটল ম্যাগাজিন থেকে বেরিয়ে আসেন তখনই যখন তাঁদের মতামত সমাজ মোটামুটি গ্রহণ করে থাকে।
বাংলাসাহিত্যের আধুনিক যুগের সূচনায় বহু পত্রপত্রিকা বাণিজ্যিকভাবেই প্রকাশিত হয়েছে। যেমন, ঈশ্বরচন্দ্র গুপ্ত সম্পাদিত সংবাদ প্রভাকর (১৮৩১), অক্ষয়কুমার দত্ত সম্পাদিত তত্ত্ববোধিনী পত্রিকা (১৮৪৩), প্যারীচাঁদ মিত্র ও রাধানাথ শিকদার সম্পাদিত মাসিক (১৮৫৪), বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত বঙ্গদর্শন (১৮৭২), দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পাদিত ভারতী (১৮৭৭), সুধীন্দ্রনাথ ঠাকুর ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সম্পাদিত সাধনা (১৮৯১), রামানন্দ চট্টোপাধ্যায় সম্পাদিত প্রবাসী (১৯০১), জলধর সেন ও অমূল্যচরণ বিদ্যাভূষণ সম্পাদিত ভারতবর্ষ (১৯১৩) প্রভৃতি পত্রিকা। এসব পত্রিকা ছিল প্রতিষ্ঠিত মতাদর্শের বাহক, যদিও পাশাপাশি অভিনবত্বেরও ছাপ ছিল এগুলিতে। তবে সনাতন চিন্তাধারার প্রাধান্য ছিল এগুলিতে।
যথার্থ অর্থে বাংলায় লিটল ম্যাগাজিনের আবির্ভাব ঘটে প্রমথ চৌধুরী সম্পাদিত সবুজপত্র (১৯১৪) পত্রিকার মাধ্যমে। পরবর্তীকালে কল্লোল (১৯২৩), শনিবারের চিঠি (১৯২৪), কালিকলম (১৯২৭), প্রগতি (১৯২৭), পূর্বাশা (১৯৩২) পত্রিকা লিটল ম্যাগাজিন প্রবাহকে বেগবান করে। এসব পত্রিকার লেখকগণের উদ্দেশ্য ছিল রবীন্দ্র-প্রভাব থেকে বেরিয়ে এসে নতুন সাহিত্য সৃষ্টি করা। এ লক্ষ্যে তাঁরা ইউরোপীয় আদর্শে বাস্তবজীবন, মনস্তত্ত্বের সূক্ষ্মাতিসূক্ষ্ম বিশেষণ এবং রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক প্রসঙ্গকে তাঁদের রচনার প্রধান উপাত্ত করেন। লিটল ম্যাগাজিন-এ উন্মেষকালে রবীন্দ্রনাথের অনেক কালজয়ী রচনা প্রকাশিত হলেও লিটল ম্যাগাজিনের প্রভাবই বেশি লক্ষ করা যায়, বিশেষত বুদ্ধদেব বসু সম্পাদিত কবিতা (১৯৩৫) পত্রিকার মাধ্যমে।
বাংলাদেশে ১৯৪৭ সালে চট্টগ্রাম থেকে মাহবুব-উল-আলম চৌধুরী ও সুচরিতা চৌধুরীর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় সীমান্ত (১৯৪৭-৫২)। ভাষা-আন্দোলনের ইতিহাসে পত্রিকাটি স্মরণীয় হয়ে আছে। ফজলে লোহানীর সম্পাদনায় ১৯৪৯ সালে বের হয় অগত্যা। মধ্যবিত্ত, নব্যনাগরিক জীবনের এবং বুর্জোয়া মানবতাবাদী মানসিকতার প্রতিফলন ঘটেছে অগত্যার লেখাগুলিতে। এ কারণে পত্রিকাটি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছিল। তাছাড়াও সমকালীন মেধাবী ও প্রগতিশীল তরুণ লেখকদের উচ্ছ্বাস, আনন্দ, চিন্তাভাবনা অগত্যা পত্রিকাটিকে কেন্দ্র করেই গড়ে ওঠে।
আবদুল আলীম চৌধুরী ও আহমদ কবির-এর যৌথ উদ্যোগে প্রকাশিত হয় যাত্রিক (১৯৫৩)। পঞ্চাশের দশকের প্রধান তরুণ সাহিত্যিকগণের সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্র ছিল যাত্রিক। সিকান্দার আবু জাফর সম্পাদিত সমকাল (১৯৫৭) পঞ্চাশের দশক থেকে প্রকাশিত হলেও এর প্রকৃত সমৃদ্ধি ষাটের দশক জুড়ে। প্রগতিবাদী-সৃষ্টিশীল সমকাল-এ এমন সব লেখাকে স্থান দেওয়া হতো যে-ধরনের লেখা ইতোপূর্বে প্রকাশিত সওগাত (১৯১৮), মোহাম্মদী, মাহে-নও ইত্যাদি প্রতিষ্ঠিত সাহিত্য পত্রিকায় প্রকাশিত রচনাগুলি থেকে ভিন্ন ধরনের। প্রকৃতপক্ষে ষাটের দশকে বাংলাদেশের লিটল ম্যাগাজিন-আন্দোলন শুরু হয় স্যাড জেনারেশন (১৯৬৩), স্বাক্ষর (১৯৬৩), কণ্ঠস্বর (১৯৬৫), ছোটগল্প (১৯৬৬), সাম্প্রতিক (১৯৬৪) প্রভৃতি আধুনিকতাবাদী লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশের মাধ্যমে।
এনামুল হকের সম্পাদনায় উত্তরণ (১৯৫৮) পত্রিকাটি বাংলাদেশের লিটল ম্যাগাজিন-আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা রাখে। অপরদিকে ফজল শাহাবুদ্দিন সম্পাদিত কবিকণ্ঠ, সাঈদুর রহমানের খাপছাড়া, মহিউদ্দিন আহমদের স্পন্দন, সিরাজুর রহমান সম্পাদিত সংকেত প্রভৃতি কাগজ পঞ্চাশের দশকের লিটল ম্যাগাজিন-আন্দোলনকে গতিশীল করে। একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে এ সময় বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে অনেক সাহিত্য পত্রিকা প্রকাশিত হয়েছে।
বাংলাদেশের অন্যান্য লিটল ম্যাগাজিনের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে সপ্তক (১৯৬২), বক্তব্য (১৯৬৩), স্বাক্ষর (১৯৬৩), স্যাড জেনারেশন (১৯৬৩), যুগপৎ (১৯৬৩), সাম্প্রতিক (১৯৬৪), কালবেলা (১৯৬৫), কণ্ঠস্বর (১৯৬৫), ছোটগল্প (১৯৬৬), না (১৯৬৭), বহুবচন (১৯৭০), স্বদেশ (১৯৬৯), শব্দের বিকৃতি (১৯৬৯), শিল্পকলা (১৯৭০) প্রভৃতি। ষাটের দশকের প্রথম উলেখযোগ্য কাগজ সপ্তক। পত্রিকাটি বিশেষ পরিচিতি লাভ করে গল্পে স্বাতন্ত্র্য আনয়নে। লিটল ম্যাগাজিন হিসেবে স্বাক্ষর উলেখযোগ্য এ কারণে যে, সাহিত্যসৃষ্টির পাশাপাশি বিশৃঙ্খল-ভাবনার তরুণ কবিদের ভাবনায় সামঞ্জস্য বিধান করেছিল। সাম্প্রতিক প্রকাশিত হলে স্বাক্ষর-এর কেউ কেউ এ পত্রিকায় লেখেছিলেন। এ দশকের মাঝামাঝি ‘ছোটগল্প’ প্রকাশে শ্রাবন্তী (১৯৬৬), ছোটগল্প, উল্কা (১৯৬৬), সূচীপত্র (১৯৭০), স্বরগ্রাম (১৯৭০), সুন্দরম (১৯৭০), পত্রিকাগুলির যথেষ্ট অবদান রয়েছে এবং এ সময় ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় ‘ছোটগল্প সমিতি’ নামে একটি সংগঠন। এ সমিতি থেকে কামাল বিন মাহতাবের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় ছোটগল্প। ছোটগল্পকেন্দ্রিক পত্রিকা হিসেবে এটিই বাংলাদেশের প্রথম গল্পবিষয়ক পত্রিকা। মধ্যষাটে আবদুল্লাহ আবু সায়ীদ-এর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় কণ্ঠস্বর। প্রায় বারো বছর নিয়মিত ও অনিয়মিতভাবে পত্রিকাটি প্রকাশিত হয়েছে। আবদুল মান্নান সৈয়দ ও আবদুস সেলিম সম্পাদিত শিল্পকলা (১৯৭০) ছিল ষাটের দশকের ভিন্নধর্মী লিটল ম্যাগাজিন। পত্রিকাটিতে কবিতাচর্চার পাশাপাশি চলচ্চিত্র, চিত্রকলা ও সাহিত্যের অন্যান্য শাখাও সমান গুরুত্বে স্থান পেয়েছে।
ষাটের দশকে লিটল ম্যাগাজিনগুলোকে কেন্দ্র করে যে সাহিত্য-আন্দোলন শুরু হয়, সে ধারা স্বাধীনতার পরে অব্যাহত থাকেনি। সেসময় মানুষের চেতনাজগতে স্বতন্ত্রধর্মী পরিবর্তন লক্ষ করা যায়, যা সাহিত্যেও প্রভাব ফেলে। এ সময় দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকাগুলো সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্র হয়ে ওঠে। এ সংকটময় পরিস্থিতির মধ্যেও দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কিছুসংখ্যক লিটল ম্যাগাজিন প্রকাশিত হয় যা সত্তরের দশকের সাহিত্যচর্চার ধারাকে গতিশীল করে। এসব পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধের অনুষঙ্গ দেখা দেয় নতুন আঙ্গিকে। ওবায়দুল ইসলাম ও মুহম্মদ হাবিবুল্লাহ সম্পাদিত স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম লিটল ম্যাগাজিন মুখপত্র (১৯৭২)। মফিদুল হক সম্পাদিত গণসাহিত্য (১৯৭২) পত্রিকাটি প্রগতিশীল লেখকগণকে নিয়ে সাহিত্যের একটি স্বতন্ত্রধারা গড়ে তুলেছিল। পত্রিকাটি পঞ্চাশের দশকের সমকাল পত্রিকার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিল। গত তিন দশকের সাহিত্য-প্রচেষ্টা এ পত্রিকাটিতে পাওয়া যায়। সত্তরের দশকের শেষ দিকে সাঈদ জুবেরী ও জাহিদ হায়দারের সম্পাদনায় বিপক্ষে পত্রিকাটি লেখকদের চটুল রম্যপ্রিয়তার বিপক্ষে ছিল। তিতাশ চৌধুরীর সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় অলক্ত। এ দশকের কথাসাহিত্যধারাকে বেগবান করার ক্ষেত্রে এ পত্রিকা দুটির উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রয়েছে। মধ্যসত্তরে আবিদ আজাদের সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় কবি (১৯৭৫)। পত্রিকাটিতে সমকালীন কবিদের বিশ্লেষণধর্মী কবিতা ছাপা হতো।
আশির দশকের শুরুতে লেখকগণের চিন্তার গভীরতা কমতে থাকলে মধ্য-আশিতে লেখার সংকট দেখা দেয়। বর্তমানে এ সংকট আরও ব্যাপক হয়েছে। তাছাড়া এ সময় মুদ্রণ ব্যয় বেড়ে যাওয়ায়, বিজ্ঞাপন প্রাপ্তির দুরূহতার কারণে লিটল ম্যাগাজিনের জন্য পর্যাপ্ত শ্রম ও সততার তীব্র অভাব লক্ষ করা যায়। এ সংকটময় পরিস্থিতির উল্লেখযোগ্য লিটল ম্যাগাজিন, আবুল কাসেম ফজলুল হক সম্পাদিত লোকায়ত (১৯৮২) পত্রিকাটি লিটল ম্যাগাজিনের বৈশিষ্ট্যকে ধারণ করেছিল। এ পত্রিকার প্রায় সংখ্যাতেই লেখা থাকতো-যারা জানতে চায়, বুঝতে চায়, তর্ক করতে চায়, অতীতের গর্ভ থেকে বর্তমানকে যুক্ত করে অন্যায়মুক্ত, অভাবমুক্ত নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে চায় লোকায়ত তাদের পত্রিকা। প্রায় তিন দশক ধরে প্রকাশিত এ পত্রিকাটি আমাদের চিন্তার জগতকে প্রভাবিত করেছে। তপন বড়ুয়া সম্পাদিত গান্ডীব, সমকালীন প্রগতিশীল নতুন লেখকদের সাহিত্যচর্চার ক্ষেত্র ছিল। খোন্দকার আশরাফ হোসেন সম্পাদিত একবিংশ গদ্যমাধ্যমের কবিতা ও কবিতাবিষয়ক লিটল ম্যাগাজিন। বদরুদ্দীন উমর সম্পাদিত সংস্কৃতি আমাদের চেতনাজগতে এনেছে ব্যাপক পরিবর্তন। পত্রিকাটি নিরীক্ষাধর্মী সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি সমাজ, রাজনীতি, অর্থনীতি, শিল্পকলাচর্চার মাধ্যম ছিল। মীজানুর রহমান সম্পাদিত মীজানুর রহমানের ত্রৈমাসিক পত্রিকা (১৯৮৩), বদরুদ্দীন উমর সম্পাদিত সংস্কৃতি, আবু ইউসুফ সম্পাদিত আত্মপ্রতিকৃতি, মোহাম্মদ শাকেরউল্লাহ সম্পাদিত ঊষালোকে ম্যাগাজিনগুলোই আমাদের মুক্তবুদ্ধিচর্চার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
নববইয়ের দশক থেকে প্রকাশিত হয়ে চলেছে বহু লিটল ম্যাগাজিন। নববইয়ের গণঅভ্যুত্থানের পর দেশে গণতান্ত্রিক ধারা বিকাশিত না হলেও সমাজে তার প্রতিষ্ঠার আকাঙ্ক্ষা অবলুপ্ত হয়নি। আমাদের চেতনাজগতে বিদেশি সংস্কৃতি প্রভাব বিস্তার করছে। প্রিন্ট মিডিয়া, ইলেকট্রনিক মিডিয়া আর ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী গণসংযোগের যে সুযোগ তৈরি হয়েছে তার ফলে আমাদের সাহিত্যে যুক্ত হয়েছে নতুন নতুন চিন্তা। আর নিরীক্ষাধর্মী লেখা প্রকাশের মাধ্যমে লিটল ম্যাগাজিনগুলোকে আশ্রয় করে সমৃদ্ধ হচ্ছে আমাদের সাহিত্য। [মিজান রহমান]