লতীফ, কাজী আবদুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''লতীফ, কাজী আবদুল''' (১৯২৬-১৯৯০)  জৈব রসায়নবিদ ও শিক্ষাবিদ। জন্ম ১৯২৬ সালে কুমিল­া জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার গোপাল নগর গ্রামে। কুমিল­ার দেবিদ্বার স্কুল থেকে ১৯৪১ সালে ম্যাট্রিকুলেশন ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৩ সালে ইন্টারমিডিয়েট, ১৯৪৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি অনার্স ১৯৪৭ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। এর পর তিনি উচ্চতর ডিগ্রি লাভের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গমন করেন। সেখানকার ওহাইও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথমে এম.এস এবং পরে ১৯৫২ সালে জৈব রসায়ন শাখায় পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।
'''লতীফ, কাজী আবদুল''' (১৯২৬-১৯৯০)  জৈব রসায়নবিদ ও শিক্ষাবিদ। জন্ম ১৯২৬ সালে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার গোপাল নগর গ্রামে। কুমিল্লার দেবিদ্বার স্কুল থেকে ১৯৪১ সালে ম্যাট্রিকুলেশন ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৩ সালে ইন্টারমিডিয়েট, ১৯৪৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি অনার্স ১৯৪৭ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। এর পর তিনি উচ্চতর ডিগ্রি লাভের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গমন করেন। সেখানকার ওহাইও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথমে এম.এস এবং পরে ১৯৫২ সালে জৈব রসায়ন শাখায় পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।


তিনি ১৯৪৭ সালের মার্চ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে লেকচারার হিসেবে এবং ১৯৫৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রীডার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬২ সালে পদোন্নতি পেয়ে তিনি অধ্যাপক পদ লাভ করেন। তিন দফায় (১৯৬১-৬২, ১৯৬৭-৬৮, ১৯৭৬-৭৭) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিঞ্জান অনুষদের ডিন নির্বাচিত হন। ১৯৬৪-৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন নওয়াব আবদুল লতিফ হলের প্রভোস্ট। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, সিনেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।
তিনি ১৯৪৭ সালের মার্চ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে লেকচারার হিসেবে এবং ১৯৫৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রীডার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬২ সালে পদোন্নতি পেয়ে তিনি অধ্যাপক পদ লাভ করেন। তিন দফায় (১৯৬১-৬২, ১৯৬৭-৬৮, ১৯৭৬-৭৭) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিঞ্জান অনুষদের ডিন নির্বাচিত হন। ১৯৬৪-৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন নওয়াব আবদুল লতিফ হলের প্রভোস্ট। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, সিনেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।


১৯৭৭-১৯৮৫ সাল পর্যন্ত দু’ মেয়াদে তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য। ১৯৭৭ সালে তিনি জাতীয় বেতন কমিশনেরও সদস্য মনোনীত হন। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁর উপর ‘এফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার’ সুপারিশ প্রণয়নের দায়িত্ব অর্পণ করেন। এ ছাড়াও তিনি একাধারে বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্স এর একজন ফেলো, বাংলাদেশ রসায়ন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বাংলাদেশ কেমিক্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট এবং Journal of Bangladesh Chemical Society- এর চীফ এডিটর ছিলেন। ১৯৯০ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং ২০ জুন ২০০৫ সালে ঢাকাস্থ নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। []
১৯৭৭-১৯৮৫ সাল পর্যন্ত দু’ মেয়াদে তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য। ১৯৭৭ সালে তিনি জাতীয় বেতন কমিশনেরও সদস্য মনোনীত হন। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁর উপর ‘এফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার’ সুপারিশ প্রণয়নের দায়িত্ব অর্পণ করেন। এ ছাড়াও তিনি একাধারে বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্স এর একজন ফেলো, বাংলাদেশ রসায়ন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বাংলাদেশ কেমিক্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট এবং Journal of Bangladesh Chemical Society- এর চীফ এডিটর ছিলেন। ১৯৯০ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং ২০ জুন ২০০৫ সালে ঢাকাস্থ নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। [     ]
 
[[en:Latif, Kazi Abdul]]
 
[[en:Latif, Kazi Abdul]]
 
[[en:Latif, Kazi Abdul]]
 
[[en:Latif, Kazi Abdul]]

১০:১২, ১০ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

লতীফ, কাজী আবদুল (১৯২৬-১৯৯০)  জৈব রসায়নবিদ ও শিক্ষাবিদ। জন্ম ১৯২৬ সালে কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার গোপাল নগর গ্রামে। কুমিল্লার দেবিদ্বার স্কুল থেকে ১৯৪১ সালে ম্যাট্রিকুলেশন ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে ১৯৪৩ সালে ইন্টারমিডিয়েট, ১৯৪৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএসসি অনার্স ১৯৪৭ সালে এমএসসি ডিগ্রি লাভ করেন। এর পর তিনি উচ্চতর ডিগ্রি লাভের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র গমন করেন। সেখানকার ওহাইও স্টেট বিশ্ববিদ্যালয় থেকে প্রথমে এম.এস এবং পরে ১৯৫২ সালে জৈব রসায়ন শাখায় পিএইচডি ডিগ্রি লাভ করেন।

তিনি ১৯৪৭ সালের মার্চ মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগে লেকচারার হিসেবে এবং ১৯৫৮ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে রীডার হিসেবে যোগদান করেন। ১৯৬২ সালে পদোন্নতি পেয়ে তিনি অধ্যাপক পদ লাভ করেন। তিন দফায় (১৯৬১-৬২, ১৯৬৭-৬৮, ১৯৭৬-৭৭) রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিঞ্জান অনুষদের ডিন নির্বাচিত হন। ১৯৬৪-৬৭ সাল পর্যন্ত তিনি ছিলেন নওয়াব আবদুল লতিফ হলের প্রভোস্ট। এছাড়া তিনি বিভিন্ন সময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, সিনেট ও একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

১৯৭৭-১৯৮৫ সাল পর্যন্ত দু’ মেয়াদে তিনি ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের সদস্য। ১৯৭৭ সালে তিনি জাতীয় বেতন কমিশনেরও সদস্য মনোনীত হন। ১৯৮২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাঁর উপর ‘এফিলিয়েটিং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার’ সুপারিশ প্রণয়নের দায়িত্ব অর্পণ করেন। এ ছাড়াও তিনি একাধারে বাংলাদেশ একাডেমী অব সায়েন্স এর একজন ফেলো, বাংলাদেশ রসায়ন সোসাইটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য, বাংলাদেশ কেমিক্যাল সোসাইটির প্রেসিডেন্ট এবং Journal of Bangladesh Chemical Society- এর চীফ এডিটর ছিলেন। ১৯৯০ সালে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি জীবন থেকে অবসর গ্রহণ করেন এবং ২০ জুন ২০০৫ সালে ঢাকাস্থ নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। [ ]