রহমান, লতিফুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

সম্পাদনা সারাংশ নেই
সম্পাদনা সারাংশ নেই
৩ নং লাইন: ৩ নং লাইন:
তিনি নতুন কোম্পানির সবকিছু প্রায় শূন্য হাতে শুরু করেন। তার নিজের হাতে গড়া বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সকম গ্রুপ। তিনি এটার চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি নৈতিকতা মেনে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। সততা আর সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালে তিনি বিজনেস ফর পিস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। এ পুরস্কারটি ব্যবসা বাণিজ্যের জগতে অত্যন্ত সম্মানের সাথে উচ্চারিত হয়। বাংলাদেশে দেশী উদ্যোক্তাদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই পুরস্কারে ভূষিত হন।  
তিনি নতুন কোম্পানির সবকিছু প্রায় শূন্য হাতে শুরু করেন। তার নিজের হাতে গড়া বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সকম গ্রুপ। তিনি এটার চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি নৈতিকতা মেনে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। সততা আর সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালে তিনি বিজনেস ফর পিস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। এ পুরস্কারটি ব্যবসা বাণিজ্যের জগতে অত্যন্ত সম্মানের সাথে উচ্চারিত হয়। বাংলাদেশে দেশী উদ্যোক্তাদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই পুরস্কারে ভূষিত হন।  


লতিফুর রহমান প্রথম আলো পত্রিকার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মিডিয়া স্টার লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তিনি শুধু একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও খ্যাতিমান ব্যবসায়ী নন। তিনি ছিলেন একজন উঁচুমানের মানুষ। তিনি একটি স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখেন।  
লতিফুর রহমান ''প্রথম আলো'' পত্রিকার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মিডিয়া স্টার লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তিনি শুধু একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও খ্যাতিমান ব্যবসায়ী নন। তিনি ছিলেন একজন উঁচুমানের মানুষ। তিনি একটি স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখেন।  


লতিফুর রহমান জাতীয়ভাবে শুল্ককর প্রদান করার ক্ষেত্রেও ট্রান্সকম গ্রুপকে অন্যদের নিকট অনুসরণীয় করে তুলেছেন। ট্রান্সকম গ্রুপ এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও বিস্তৃতি পেয়েছে। তার গণমাধ্যমসহ ইলেকট্রনিকস, ঔষধ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, চা, কোমলপানীয়, ও ভোক্তাপণ্যসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ গ্রুপে বেশ কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। বাংলাদেশে লতিফুর রহমান উনিশ শত আশির দশকে নেসলের একমাত্র আমদানিকারক ও পরিবেশক ছিলেন। লতিফুর রহমান সাত বার ঢাকা মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।  
লতিফুর রহমান জাতীয়ভাবে শুল্ককর প্রদান করার ক্ষেত্রেও ট্রান্সকম গ্রুপকে অন্যদের নিকট অনুসরণীয় করে তুলেছেন। ট্রান্সকম গ্রুপ এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও বিস্তৃতি পেয়েছে। তার গণমাধ্যমসহ ইলেকট্রনিকস, ঔষধ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, চা, কোমলপানীয়, ও ভোক্তাপণ্যসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ গ্রুপে বেশ কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। বাংলাদেশে লতিফুর রহমান উনিশ শত আশির দশকে নেসলের একমাত্র আমদানিকারক ও পরিবেশক ছিলেন। লতিফুর রহমান সাত বার ঢাকা মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।  
লতিফুর রহমান কুমিল্লা জেলার চিওড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে ২০২০ সালের ১ জুলাই মারা যান। তিনি স্ত্রী ও ৪ ছেলেমেয়ে রেখে গেছেন। তার স্ত্রীর নাম শাহনাজ রহমান, ছেলে আরশাদ ওয়ালীউর রহমান ও কন্যারা হলেন সিমিন রহমান, শাজরেহ রহমান ও শাজনীন রহমান।  [রফিকুল ইসলাম রফিক]
লতিফুর রহমান কুমিল্লা জেলার চিওড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে ২০২০ সালের ১ জুলাই মারা যান। তিনি স্ত্রী ও ৪ ছেলেমেয়ে রেখে গেছেন। তার স্ত্রীর নাম শাহনাজ রহমান, ছেলে আরশাদ ওয়ালীউর রহমান ও কন্যারা হলেন সিমিন রহমান, শাজরেহ রহমান ও শাজনীন রহমান।  [রফিকুল ইসলাম রফিক]



০৮:৩২, ৯ মে ২০২৩ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

রহমান, লতিফুর (১৯৪৫-২০২০) বাংলাদেশের একজন সুপরিচিত ব্যবসায়ী। তিনি ২৮ আগস্ট ১৯৪৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম খান বাহাদুর মজিবুর রহমান। মাতা বেগম সাকেরা বানু। শৈশব কেটেছে পুরনো ঢাকার গেন্ডারিয়ায়। সেন্ট ফ্রান্সিস স্কুলে পড়াশোনা আরম্ভ করেন। পরবর্তী সময়ে কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজে অধ্যায়ন করেন। লতিফুর রহমান ১৯৬৫ সালে ঢাকায় ফিরে আসেন। ১৯৬৬ সালে ঢাকায় এসে ডব্লিউ রহমান জুট মিলে ট্রেইনি হিসেবে কাজ আরম্ভ করেন। ১৯৭১ সাল পর্যন্ত তিনি এখানে নির্বাহি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ডাব্লিউ রহমান জুট মিল ১৯৭২ সালে জাতীয়করণ করা হয়। তখন তিনি ১৯৭৩ সালে ট্রান্সকম গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেন।

তিনি নতুন কোম্পানির সবকিছু প্রায় শূন্য হাতে শুরু করেন। তার নিজের হাতে গড়া বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান ট্রান্সকম গ্রুপ। তিনি এটার চেয়ারম্যান ছিলেন। তিনি নৈতিকতা মেনে ব্যবসা পরিচালনা করেছেন। সততা আর সুনামের সাথে ব্যবসা পরিচালনার স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১২ সালে তিনি বিজনেস ফর পিস অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেন। এ পুরস্কারটি ব্যবসা বাণিজ্যের জগতে অত্যন্ত সম্মানের সাথে উচ্চারিত হয়। বাংলাদেশে দেশী উদ্যোক্তাদের মধ্যে তিনিই প্রথম এই পুরস্কারে ভূষিত হন।

লতিফুর রহমান প্রথম আলো পত্রিকার পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান মিডিয়া স্টার লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক ছিলেন। তিনি শুধু একজন সৎ, নিষ্ঠাবান ও খ্যাতিমান ব্যবসায়ী নন। তিনি ছিলেন একজন উঁচুমানের মানুষ। তিনি একটি স্বাধীন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে ব্যাপক অবদান রাখেন।

লতিফুর রহমান জাতীয়ভাবে শুল্ককর প্রদান করার ক্ষেত্রেও ট্রান্সকম গ্রুপকে অন্যদের নিকট অনুসরণীয় করে তুলেছেন। ট্রান্সকম গ্রুপ এখন দেশ ছাড়িয়ে বিদেশেও বিস্তৃতি পেয়েছে। তার গণমাধ্যমসহ ইলেকট্রনিকস, ঔষধ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম, চা, কোমলপানীয়, ও ভোক্তাপণ্যসহ বিভিন্ন খাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। এ গ্রুপে বেশ কয়েক হাজার মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। বাংলাদেশে লতিফুর রহমান উনিশ শত আশির দশকে নেসলের একমাত্র আমদানিকারক ও পরিবেশক ছিলেন। লতিফুর রহমান সাত বার ঢাকা মেট্রোপলিটান চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন।

লতিফুর রহমান কুমিল্লা জেলার চিওড়া গ্রামে নিজ বাড়িতে ২০২০ সালের ১ জুলাই মারা যান। তিনি স্ত্রী ও ৪ ছেলেমেয়ে রেখে গেছেন। তার স্ত্রীর নাম শাহনাজ রহমান, ছেলে আরশাদ ওয়ালীউর রহমান ও কন্যারা হলেন সিমিন রহমান, শাজরেহ রহমান ও শাজনীন রহমান। [রফিকুল ইসলাম রফিক]

তথ্যসূত্র দৈনিক প্রথম আলো, ১ জুলাই ২০২০; দৈনিক যুগান্তর, ২ জুলাই ২০২০।