রহমান, বিচারপতি লতিফুর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''রহমান, বিচারপতি লতিফুর '''(১৯৩৬- )  বিচারক, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান (২০০১)। ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ যশোরে তাঁর জন্ম। পিতা খান বাহাদুর লুৎফর রহমান ছিলেন আইনজীবী ও রাজনীতিক। যশোর জেলা স্কুল ও ঢাকা কলেজের শিক্ষা পর্ব শেষ করে তিনি যথাক্রমে ১৯৫৫ ও ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল এল বি ডিগ্রিও লাভ করেন।
[[Image:RahmanLatifurJustice.jpg|thumb|right|400px|বিচারপতি লতিফুর রহমান]]
'''রহমান, বিচারপতি লতিফুর''' (১৯৩৬- )  বিচারক, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান (২০০১)। ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ যশোরে তাঁর জন্ম। পিতা খান বাহাদুর লুৎফর রহমান ছিলেন আইনজীবী ও রাজনীতিক। যশোর জেলা স্কুল ও ঢাকা কলেজের শিক্ষা পর্ব শেষ করে তিনি যথাক্রমে ১৯৫৫ ও ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল এল বি ডিগ্রিও লাভ করেন।


চাকরি জীবনের শুরুতে তিনি ঢাকায় কায়েদে আজম কলেজ (বর্তমানে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ) এবং জগন্নাথ কলেজে ইংরেজি সাহিত্যের প্রভাষক ছিলেন।
চাকরি জীবনের শুরুতে তিনি ঢাকায় কায়েদে আজম কলেজ (বর্তমানে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ) এবং জগন্নাথ কলেজে ইংরেজি সাহিত্যের প্রভাষক ছিলেন।


১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা হাইকোর্টে আইন পেশা পরিচালনার জন্য তালিকাভুক্ত হন। ১৯৭৯ সালে লতিফুর রহমান বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন। স্থায়ী বিচারক হিসেবে তিনি ১৯৮১ সালে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালের ১৫ জানুয়ারি তিনি সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারক হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা হাইকোর্টে আইন পেশা পরিচালনার জন্য তালিকাভুক্ত হন। ১৯৭৯ সালে লতিফুর রহমান বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন। স্থায়ী বিচারক হিসেবে তিনি ১৯৮১ সালে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালের ১৫ জানুয়ারি তিনি সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারক হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
[[Image:RahmanLatifurJustice.jpg|thumb|right|বিচারপতি লতিফুর রহমান]]


গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেক দেশের সর্বশেষ অবসারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে তিনি ২০০১ সালের ১৫ জুলাই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তাঁর ব্যবস্থাপনায় ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে তিনি ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন এবং এরপর নবনির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে।
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেক দেশের সর্বশেষ অবসারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে তিনি ২০০১ সালের ১৫ জুলাই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তাঁর ব্যবস্থাপনায় ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে তিনি ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন এবং এরপর নবনির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে।

০৮:৪৭, ৮ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

বিচারপতি লতিফুর রহমান

রহমান, বিচারপতি লতিফুর (১৯৩৬- )  বিচারক, তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান (২০০১)। ১৯৩৬ সালের ১ মার্চ যশোরে তাঁর জন্ম। পিতা খান বাহাদুর লুৎফর রহমান ছিলেন আইনজীবী ও রাজনীতিক। যশোর জেলা স্কুল ও ঢাকা কলেজের শিক্ষা পর্ব শেষ করে তিনি যথাক্রমে ১৯৫৫ ও ১৯৫৬ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজি সাহিত্যে স্নাতক (সম্মান) ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন। পরে তিনি একই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এল এল বি ডিগ্রিও লাভ করেন।

চাকরি জীবনের শুরুতে তিনি ঢাকায় কায়েদে আজম কলেজ (বর্তমানে শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ) এবং জগন্নাথ কলেজে ইংরেজি সাহিত্যের প্রভাষক ছিলেন।

১৯৬০ সালে তিনি ঢাকা হাইকোর্টে আইন পেশা পরিচালনার জন্য তালিকাভুক্ত হন। ১৯৭৯ সালে লতিফুর রহমান বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে অতিরিক্ত বিচারক নিযুক্ত হন। স্থায়ী বিচারক হিসেবে তিনি ১৯৮১ সালে শপথ গ্রহণ করেন। ১৯৯১ সালের ১৫ জানুয়ারি তিনি সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের বিচারক হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন এবং ২০০১ সালের ১ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০০১ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি তিনি প্রধান বিচারপতির পদ থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান মোতাবেক দেশের সর্বশেষ অবসারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে তিনি ২০০১ সালের ১৫ জুলাই নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন। তাঁর ব্যবস্থাপনায় ২০০১ সালের ১ অক্টোবর অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হিসেবে তিনি ২০০১ সালের ১০ অক্টোবর পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করেন এবং এরপর নবনির্বাচিত সরকার দায়িত্ব গ্রহণ করে।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দিনগুলি ও আমার কথা শীর্ষক গ্রন্থে লতিফুর রহমান তাঁর প্রশাসনের ৮৭ দিনের অভিজ্ঞতা বিবৃত করেছেন।  [হেলাল উদ্দিন আহমেদ]