যাত্রাবাড়ী থানা

যাত্রাবাড়ী থানা (ঢাকা মেট্রোপলিটন)  আয়তন: ১৩.১৯ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৩°৪২´ থেকে ২৩°৪৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯০°২০´ থেকে ৯০°২২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে সবুজবাগ ও ডেমরা থানা, দক্ষিণে কদমতলী ও শ্যামপুর থানা, পূর্বে ডেমরা থানা, পশ্চিমে গেন্ডারিয়া ও সূত্রাপুর থানা।

জলাশয় বালু নদী।

জনসংখ্যা ২৬০৭৭২; পুরুষ ১৪৬৯২০, মহিলা ১১৩৮৫২। মুসলিম ২৫৪৪৭৯, হিন্দু ৫৮২৮, বৌদ্ধ ৩৭০, খ্রিস্টান ৫৭ এবং অন্যান্য ৩৮।

প্রশাসন ২০০৭ সালে যাত্রাবাড়ী থানা গঠিত হয়।

থানা
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন মহল্লা জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
৩+২ ১৭ ২৬০৭৭২ - ১৯৭৭০ ৬৩.০৪ -
ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন
ওয়ার্ড নম্বর ও ইউনিয়ন আয়তন (বর্গ কিমি) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
ওয়ার্ড নং ৮৪ ০.৮০ ২৪১২০ ১৬৫৬৪ ৬৫.৪৩
ওয়ার্ড নং ৮৫ ১.১২ ২৪৩৪৭ ২০৫৪০ ৫৪.৩১
ওয়ার্ড নং ৮৬ ১.০৪ ২৯২৮৮ ২২০১৭ ৭০.৫০
ওয়ার্ড নং ৮৭ (আংশিক) ০.৪৫ ১২৪৩৩ ৯২৬১ ৬২.১৭
মাতুয়াইল ইউনিয়ন (আংশিক) ৯.৭৮ ৫৬৭৩২ ৪৫৪৭০ ৬২.৭৯

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান  বাবর মসজিদ, বায়তুল আমান মসজিদ ও ধালপুল জাকারিণ জামে মসজিদ উল্লেখযোগ্য।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৬৩.০৪%; পুরুষ ৭৬.০১%, মহিলা ৬৫.৬৯%। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: মাতুয়াইল লতিফ ভুঁইয়া কলেজ, মাতুয়াইল গার্লস হাইস্কুল, আদর্শ হাইস্কুল, যাত্রাবাড়ী আইডিয়াল হাইস্কুল, দোলাইপার হাইস্কুল।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান যাত্রাবাড়ী পার্ক।

গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ১.৮৪%, অকৃষি শ্রমিক ১.৬৭%, শিল্প ২.৪৯%, ব্যবসা ২৯.০২%, পরিবহণ ও  যোগাযোগ ১২.৬৫%, নির্মাণ ৩.২২%, ধর্মীয় সেবা ০.১৫%, চাকরি ২৯.৯৪%, রেন্ট এ্যান্ড রেমিটেন্স ৩% এবং অন্যান্য ১৬.০২%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫০.৬৫%,  ভূমিহীন ৪৯.৩৫%।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, আলু, শাকসবজি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসল  পাট, তিল, তিসি, ডাল।

প্রধান ফল-ফলাদি কাঁঠাল, পেয়ারা, নারিকেল, পেঁপে, কুল, কলা।

যোগাযোগ বিশেষত্ব মোট সড়ক  ৪৯.৭৮ কিমি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরুর গাড়ি।

শিল্প ও কলকারখানা গার্মেন্টস শিল্প, বরফকল, চালকল।

হাটবাজার ও মার্কেট  যাত্রাবাড়ী বাজার উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য  তৈরি পোশাক, মাছ।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ থানার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন বিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৯৭.৯৬% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৪৩.১৫%, ট্যাপ ৫৫.৯১%, পুকুর ০.১৩% এবং অন্যান্য ০.৮১।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ থানার ৯১.০৯% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৮.৪% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ০.৫১% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র হাসপাতাল ২, ক্লিনিক ৪।

এনজিও ব্র্যাক, আশা, প্রশিকা। [শামীমা আক্তার]

তথ্যসূত্র  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।