যমপট

Mukbil (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৪:০৪, ৮ মার্চ ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ
(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)

যমপট  পারলৌকিক বিষয় নিয়ে অঙ্কিত পট, যা প্রধানত হিন্দু সম্প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত। এতে যম বা ধর্মরাজের বিচারে দন্ডিত ব্যক্তির নরকযন্ত্রণা, আর পুরস্কৃত ব্যক্তির স্বর্গসুখের দৃশ্যাবলি অঙ্কিত হয়। নরকে নিক্ষিপ্ত পাপীর নরকযন্ত্রণার দৃশ্যাবলি ভয়াবহ ও বীভৎস হয়ে থাকে। অন্যদিকে স্বর্গে সুন্দরী রমণীদের সঙ্গে পুণ্যবানদের দৃশ্যগুলি হয় আকর্ষণীয়।

যমপট শিল্পকর্ম হিসেবে নয় বরং নীতিশিক্ষার বাহক হিসেবেই গুরুত্বপূর্ণ। এর রচনাশৈলী প্রায়শ স্থূল ও অমার্জিত। খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতকে  যমপটের প্রচলন ছিল। ওই সময় ‘মস্করী’ উপাধিধারী এক শ্রেণির লোক ছবি দেখিয়ে মানুষের মধ্যে ধর্মীয় ও নৈতিক শিক্ষা প্রচার করত। এই মস্করী বা চিত্রব্যবসায়ীরা পাপীদের শাস্তির দৃশ্য এঁকে সেই সঙ্গে যমদূতদের ভয়ঙ্কর মূর্তি দেখাত। বাংলার পটুয়ারা ধর্মবিষয়ক নানা আখ্যানের ছবি দেখিয়ে শেষে যমরাজ কর্তৃক পাপীদের শাস্তি দেওয়ার সেই দৃশ্য প্রদর্শন করে। এভাবে যমপটের সুপ্রাচীন ধারা আজও অব্যাহত আছে। [ইয়াস ভানু বেগম]

আরও দেখুন পটচিত্র