মোনাজাইট

মোনাজাইট  রেয়ার আর্থ এবং থোরিয়ামের প্রধান আকরিক। এর চিড় (cleavage) বেশ পরিষ্কার (১০০); মোহ স্কেলে এর কাঠিন্য ৫-৫.৫; আপেক্ষিক গুরুত্ব ৪.৬-৫.৪ এবং স্ফটিক ফেসে বিভক্তি (parting) ০০১। এটিকে এসিড আগ্নেয় শিলা পেগমাটাইটে এবং শিলাদির ঘর্ষণজনিত ক্ষয়ে সৃষ্ট বালি ও বেলেপাথরে আনুষঙ্গিক (accessory) মণিক হিসেবে পাওয়া যায়। বাংলাদেশে কক্সবাজার এবং চট্টগ্রাম, নোয়াখালী ও পটুয়াখালী জেলার সমুদ্র সৈকতে এবং উপকূলীয় দ্বীপসমূহে সৈকত বালি ভারি মণিক প্লেসার (placer) মজুত হিসেবে মোনাজাইট পাওয়া যায়। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মিহি থেকে অধিকতর মিহি বালুকণাতে মোনাজাইট মণিক উপস্থিত থাকে। সাধারণত মোনাজাইট মণিক ধারণকারী বালু ইলমেনাইট, গারনেট ও  রুটাইল ধারণকারী বালুর চেয়েও অধিকতর মিহি হয়ে থাকে। সৈকত বালি প্লেসারে এই মণিকের পরিমাণ সর্বোচ্চ প্রায় ১.২% (বদরমোকাম), সর্বনিম্ন ০.০১% (কুয়াকাটা), যদিও গড়ে প্রায় ০.৩১%। বাংলাদেশে মোনাজাইটের মোট মজুত হিসাব করা হয়েছে প্রায় ১৭,৩৫২ টন। নিম্নের সারণিতে উপকূলীয় এলাকা এবং উপকূলীয় দ্বীপভেদে মোনাজাইটের পরিমাণ উল্লেখ করা হলো:

স্থান  কাচাবালু ভারি মণিক মোনাজাইট
বদরমোকাম (কক্সবাজার) ১৭,৬৫,০০০ ৪,১১,০০০ ৪,৯৩২
সাবরং (কক্সবাজার) ৩,৪৭,৫৫৮ ৬৮,৫৮২ ২০৬
টেকনাফ (কক্সবাজার) ১৯,৩৯,৫৮০ ৪,৪২,২৯১ ৩,০৪৫
শিলখালি (কক্সবাজার) ২৭,৫৬,৮২৮ ৪,৮৯,৭১৪ ৩,৯১৮
ইনানী (কক্সবাজার) ৭,২৯,২৮৬ ১,৭৫,৪৭৬ ৯৬৫
কক্সবাজার ৫১,১৯,০০০ ৯,২০,০০০ ২,০২৪
মহেশখালী দ্বীপ (কক্সবাজার) ৪১,১৪,২৩০ ৭,৮৪,২১০ ২,০৪৪
মাতারবাড়ী দ্বীপ (কক্সবাজার) ৬৯,০৩০ ১৫,২১৫ ২০
নিঝুম দ্বীপ (নোয়াখালী) ৩,৭৯,৩৩৭ ৯৬,৩৪৮ ১৯
কুতুবদিয়া দ্বীপ (কক্সবাজার) ৪,০৪,৬৪৬ ১,২০,০০০ ৯৬
কুয়াকাটা ২৮,৭২,৪৮৬ ৮,৩১,৬৬৮ ৮৩
মোট  ২.০৪.৯৬.৯৮১ ৪৩.৫৪.৫০৪ ৭০.২৭৪

[সিফাতুল কাদের চৌধুরী]