মেরিন ফিশারিজ একাডেমী

মেরিন ফিশারিজ একাডেমী  ১৯৭৩ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠিত একটি পেশাভিত্তিক সরকারি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠান। বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের ব্যবস্থাপনায় একাডেমীর যাত্রা শুরু হয়েছিল। চট্টগ্রাম শহর থেকে ৩ কিলোমিটার দক্ষিণে কর্ণফুলী নদীর তীরে ১০.৩৩ একর জমির উপর একাডেমীটি প্রতিষ্ঠিত। পরবর্তীকালে ১৯৮৮ সালে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মৎস্য ও পশুসম্পদ মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক নিয়ন্ত্রণে একটি প্রকল্প হিসেবে একাডেমীর কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং ১৯৯৩ সালে মেরিন ফিশারিজ একাডেমী রাজস্ব খাতের আওতায় আসে। বর্তমানে মেরিন ফিশারিজ একাডেমীর শিক্ষা কার্যক্রম জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত। তিন বছর মেয়াদি প্রশিক্ষণ শেষে ক্যাডেটগণ বিজ্ঞানে গ্রাজুয়েশন ডিগ্রি অর্জন করে থাকে এবং পাশাপাশি সমুদ্র পরিবহণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে পেশাগত সনদ কন্টিনিউয়াস ডিসচার্জ সার্টিফিকেট (সিডিসি) অর্জনের সুযোগ পেয়ে থাকে।

একাডেমির প্রশাসনিক দায়িত্ব অধ্যক্ষের উপর ন্যাস্ত এবং একাডেমিক কাউন্সিল, বোর্ড অফ স্টাডিজ এবং বোর্ড অফ ডিসিপ্লিন এর মাধ্যমে প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়। একাডেমীতে নটিক্যাল, মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং এবং মেরিন ফিশারিজ তিনটি বিভাগ আছে। একাডেমীর ডিগ্রিপ্রাপ্তরা দেশে ও বিদেশে মৎস্য ট্রলার, সামুদ্রিক জাহাজ ও মৎস্য প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা ইত্যাদি ক্ষেত্রে চাকুরির সুযোগ পেয়ে থাকে।

বিশ শতকের অত্যাধুনিক জাহাজ ও আধুনিক ট্রলার পরিচালনার ক্ষেত্রে যোগ্য ও দক্ষ জনশক্তির চাহিদা এবং সমুদ্র সীমার ব্যবহার পূর্বের তুলনায় বর্তমানে বহুলাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়াও সমুদ্র সংশ্লিষ্ট জ্ঞান অর্জনের নতুন ক্ষেত্র উন্মুক্ত হয়েছে যেমন এনভায়রনমেন্ট, সি বেড রিসোর্সেস, কোস্টাল জোন ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি। অন্যদিকে বন্দর ব্যবস্থাপনা, সমুদ্র পরিবহণ ব্যবস্থাপনা এবং আর্ন্তজাতিক সমুদ্র আইন ইত্যাদি ক্ষেত্রেও বর্তমানে মেধাবী ও দক্ষ জনশক্তির প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। আর মেরিন ফিশারিজ একাডেমী মেধাবী ও দক্ষ জনশক্তি তৈরির লক্ষ্যে সামুদ্রিক জীবনের চ্যালেঞ্জ গ্রহণে আগ্রহী জনশক্তিকেই প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে।  [এম হাসান জামান খান]