মিয়া, বন্দে আলী: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Image:MiaBandeAli.jpg|thumb|right|400px|বন্দে আলী মিয়া]]
'''মিয়া, বন্দে আলী''' (১৯০৬-১৯৭৯)  সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চিত্রকর। ১৯০৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাবনা জেলার রাধানগর গ্রামে তাঁর জন্ম। তিনি পাবনার মজুমদার একাডেমী থেকে এন্ট্রান্স (১৯২৩) পাস করে কলকাতার ইন্ডিয়ান আর্ট একাডেমীতে চিত্রবিদ্যায় (১৯২৭) শিক্ষালাভ করেন।
'''মিয়া, বন্দে আলী''' (১৯০৬-১৯৭৯)  সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চিত্রকর। ১৯০৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাবনা জেলার রাধানগর গ্রামে তাঁর জন্ম। তিনি পাবনার মজুমদার একাডেমী থেকে এন্ট্রান্স (১৯২৩) পাস করে কলকাতার ইন্ডিয়ান আর্ট একাডেমীতে চিত্রবিদ্যায় (১৯২৭) শিক্ষালাভ করেন।


কিছুদিন ইসলাম দর্শন পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ করার পর তিনি কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষকতা করেন (১৯৩০-১৯৫০)। দেশ-বিভাগের পর তিনি ঢাকা ও রাজশাহী বেতার কেন্দ্রে চাকরি করেন।
কিছুদিন ইসলাম দর্শন পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ করার পর তিনি কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষকতা করেন (১৯৩০-১৯৫০)। দেশ-বিভাগের পর তিনি ঢাকা ও রাজশাহী বেতার কেন্দ্রে চাকরি করেন।


বন্দে আলী মিয়া কবিতা,  [[উপন্যাস|উপন্যাস]], নাটক, জীবনী,  [[শিশুসাহিত্য|শিশুসাহিত্য]] প্রভৃতি মাধ্যমে গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা হলো: কাব্য ময়নামতীর চর (১৯৩০), অনুরাগ (১৯৩২), পদ্মানদীর চর (১৯৫৩), মধুমতীর চর (১৯৫৩), ধরিত্রী (১৯৭৫); উপন্যাস বসন্ত জাগ্রত দ্বারে (১৯৩১), শেষ লগ্ন (১৯৪১), অরণ্য গোধূলি (১৯৪৯), নীড়ভ্রষ্ট (১৯৫৮); গল্পগ্রন্থ তাসের ঘর (১৯৫৪); নাটক মসনদ (১৯৩১); শিশুসাহিত্য চোর জামাই (১৯২৭), মেঘকুমারী (১৯৩২), বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা (১৯৩২), সোনার হরিণ (১৯৩৯),
বন্দে আলী মিয়া কবিতা,  [[উপন্যাস|উপন্যাস]], নাটক, জীবনী,  [[শিশুসাহিত্য|শিশুসাহিত্য]] প্রভৃতি মাধ্যমে গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা হলো: কাব্য ময়নামতীর চর (১৯৩০), অনুরাগ (১৯৩২), পদ্মানদীর চর (১৯৫৩), মধুমতীর চর (১৯৫৩), ধরিত্রী (১৯৭৫); উপন্যাস বসন্ত জাগ্রত দ্বারে (১৯৩১), শেষ লগ্ন (১৯৪১), অরণ্য গোধূলি (১৯৪৯), নীড়ভ্রষ্ট (১৯৫৮); গল্পগ্রন্থ তাসের ঘর (১৯৫৪); নাটক মসনদ (১৯৩১); শিশুসাহিত্য চোর জামাই (১৯২৭), মেঘকুমারী (১৯৩২), বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা (১৯৩২), সোনার হরিণ (১৯৩৯), শিয়াল পন্ডিতের পাঠশালা (১৯৫৬), কুঁচবরণ কন্যা (১৯৬১), সাত রাজ্যের গল্প (১৯৭৭) এবং জীবনী কামাল আতাতুর্ক (১৯৩৭), শরৎচন্দ্র, ছোটদের নজরুল (১৯৫৮) ইত্যাদি। তাঁর রচনায় বাংলার মানুষ, সমাজ ও প্রকৃতির প্রতিফলন ঘটেছে।


[[Image:MiaBandeAli.jpg|thumb|right|বন্দে আলী মিয়া]]
বন্দে আলী মিয়া শিক্ষকতা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি পত্রপত্রিকায় চিত্রকর ও ব্লক কোম্পানির ডিজাইনার হিসেবেও কাজ করেন। শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২), প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৫) এবং উত্তরা সাহিত্য মজলিস পদক (১৯৭৭) লাভ করেন। ১৯৭৯ সালের ১৭ জুন রাজশাহীতে তাঁর মৃত্যু হয়। [মাহবুবুল হক]
 
 
শিয়াল পন্ডিতের পাঠশালা (১৯৫৬), কুঁচবরণ কন্যা (১৯৬১), সাত রাজ্যের গল্প (১৯৭৭) এবং জীবনী কামাল আতাতুর্ক (১৯৩৭), শরৎচন্দ্র, ছোটদের নজরুল (১৯৫৮) ইত্যাদি। তাঁর রচনায় বাংলার মানুষ, সমাজ ও প্রকৃতির প্রতিফলন ঘটেছে।
 
বন্দে আলী মিয়া শিক্ষকতা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি পত্রপত্রিকায় চিত্রকর ও ব্লক কোম্পানির ডিজাইনার হিসেবেও কাজ করেন। শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২), প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৫) এবং উত্তরা সাহিত্য মজলিস পদক (১৯৭৭) লাভ করেন। ১৯৭৯ সালের ১৭ জুন রাজশাহীতে তাঁর মৃত্যু হয়।
 
[মাহবুবুল হক]


[[en:Mia, Bande Ali]]
[[en:Mia, Bande Ali]]

০৬:০৬, ৪ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

বন্দে আলী মিয়া

মিয়া, বন্দে আলী (১৯০৬-১৯৭৯)  সাহিত্যিক, সাংবাদিক, চিত্রকর। ১৯০৬ সালের ১৫ ডিসেম্বর পাবনা জেলার রাধানগর গ্রামে তাঁর জন্ম। তিনি পাবনার মজুমদার একাডেমী থেকে এন্ট্রান্স (১৯২৩) পাস করে কলকাতার ইন্ডিয়ান আর্ট একাডেমীতে চিত্রবিদ্যায় (১৯২৭) শিক্ষালাভ করেন।

কিছুদিন ইসলাম দর্শন পত্রিকায় সাংবাদিক হিসেবে কাজ করার পর তিনি কলকাতা কর্পোরেশন স্কুলে শিক্ষকতা করেন (১৯৩০-১৯৫০)। দেশ-বিভাগের পর তিনি ঢাকা ও রাজশাহী বেতার কেন্দ্রে চাকরি করেন।

বন্দে আলী মিয়া কবিতা,  উপন্যাস, নাটক, জীবনী,  শিশুসাহিত্য প্রভৃতি মাধ্যমে গ্রন্থ রচনা করেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য রচনা হলো: কাব্য ময়নামতীর চর (১৯৩০), অনুরাগ (১৯৩২), পদ্মানদীর চর (১৯৫৩), মধুমতীর চর (১৯৫৩), ধরিত্রী (১৯৭৫); উপন্যাস বসন্ত জাগ্রত দ্বারে (১৯৩১), শেষ লগ্ন (১৯৪১), অরণ্য গোধূলি (১৯৪৯), নীড়ভ্রষ্ট (১৯৫৮); গল্পগ্রন্থ তাসের ঘর (১৯৫৪); নাটক মসনদ (১৯৩১); শিশুসাহিত্য চোর জামাই (১৯২৭), মেঘকুমারী (১৯৩২), বাঘের ঘরে ঘোগের বাসা (১৯৩২), সোনার হরিণ (১৯৩৯), শিয়াল পন্ডিতের পাঠশালা (১৯৫৬), কুঁচবরণ কন্যা (১৯৬১), সাত রাজ্যের গল্প (১৯৭৭) এবং জীবনী কামাল আতাতুর্ক (১৯৩৭), শরৎচন্দ্র, ছোটদের নজরুল (১৯৫৮) ইত্যাদি। তাঁর রচনায় বাংলার মানুষ, সমাজ ও প্রকৃতির প্রতিফলন ঘটেছে।

বন্দে আলী মিয়া শিক্ষকতা ও সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি পত্রপত্রিকায় চিত্রকর ও ব্লক কোম্পানির ডিজাইনার হিসেবেও কাজ করেন। শিশুসাহিত্যে অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২), প্রেসিডেন্ট পুরস্কার (১৯৬৫) এবং উত্তরা সাহিত্য মজলিস পদক (১৯৭৭) লাভ করেন। ১৯৭৯ সালের ১৭ জুন রাজশাহীতে তাঁর মৃত্যু হয়। [মাহবুবুল হক]