মহাসাগর: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''মহাসাগর''' (Ocean)  লবণাক্ত জলভাগ যা ভূমন্ডলের প্রায় ৭১ ভাগ স্থান জুড়ে রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীতে মহাসাগর মাত্র একটি, কিন্তু ব্যবহারিক সুবিধার জন্য এগুলোকে ভৌগোলিক পূনর্বিভাজন করা হয়; যথা: প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, সুমেরু মহাসাগর এবং এন্টার্কটিক মহাসাগর (দক্ষিণ আটলান্টিক)। এগুলো সবই একটি অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। মহাসাগরের যে অঞ্চলের গভীরতা ২০০ মিটারের বেশি তাকে উন্মুক্ত মহাসাগর বলে। মহীসোপানে অবস্থিত তুলনামূলকভাবে অগভীর তটীয় এলাকা, যার গভীরতা সাধারণত ২০০ মিটারের কম, তাকে অবতটীয় অঞ্চল বা মহীসোপানিক অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অবতটীয় এলাকা বা অগভীর উপকূলের জলরাশি অবক্ষেপণ, জলপ্রবাহ, লবণাক্ততা ও তাপমাত্রার মতো জলীয় আবহবিষয়ক প্রপঞ্চগুলো দ্বারা খুব বেশি মাত্রায় প্রভাবিত থাকে। অগভীর জলরাশি পুষ্টিকর ভেষজে পরিপূর্ণ থাকায় সমুদ্রের গভীর অংশের তুলনায় অগভীর অংশ অধিক উৎপাদনশীল এবং সামুদ্রিক প্রাণীর সুবিধাজনক আবাসস্থল হিসেবে বিবেচিত হয়। আমাদের সুপরিচিত বঙ্গোপসাগর আসলে ভারত মহাসাগরের অংশবিশেষ। বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আঘাতকারী ধ্বংসাত্মক নিরক্ষীয় ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তিস্থল হিসেবে এর পরিচিতি রয়েছে। তবে এ অঞ্চলের আশীর্বাদ হিসেবে খ্যাত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু যা প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে থাকে, তার উৎপত্তিস্থলও এই বঙ্গোপসাগর।
'''মহাসাগর''' (Ocean)  লবণাক্ত জলভাগ যা ভূমন্ডলের প্রায় ৭১ ভাগ স্থান জুড়ে রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীতে মহাসাগর মাত্র একটি, কিন্তু ব্যবহারিক সুবিধার জন্য এগুলোকে ভৌগোলিক পূনর্বিভাজন করা হয়; যথা: প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, সুমেরু মহাসাগর এবং এন্টার্কটিক মহাসাগর (দক্ষিণ আটলান্টিক)। এগুলো সবই একটি অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। মহাসাগরের যে অঞ্চলের গভীরতা ২০০ মিটারের বেশি তাকে উন্মুক্ত মহাসাগর বলে। মহীসোপানে অবস্থিত তুলনামূলকভাবে অগভীর তটীয় এলাকা, যার গভীরতা সাধারণত ২০০ মিটারের কম, তাকে অবতটীয় অঞ্চল বা মহীসোপানিক অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অবতটীয় এলাকা বা অগভীর উপকূলের জলরাশি অবক্ষেপণ, জলপ্রবাহ, লবণাক্ততা ও তাপমাত্রার মতো জলীয় আবহবিষয়ক প্রপঞ্চগুলো দ্বারা খুব বেশি মাত্রায় প্রভাবিত থাকে। অগভীর জলরাশি পুষ্টিকর ভেষজে পরিপূর্ণ থাকায় সমুদ্রের গভীর অংশের তুলনায় অগভীর অংশ অধিক উৎপাদনশীল এবং সামুদ্রিক প্রাণীর সুবিধাজনক আবাসস্থল হিসেবে বিবেচিত হয়। আমাদের সুপরিচিত বঙ্গোপসাগর আসলে ভারত মহাসাগরের অংশবিশেষ। বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আঘাতকারী ধ্বংসাত্মক নিরক্ষীয় ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তিস্থল হিসেবে এর পরিচিতি রয়েছে। তবে এ অঞ্চলের আশীর্বাদ হিসেবে খ্যাত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু যা প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে থাকে, তার উৎপত্তিস্থলও এই বঙ্গোপসাগর। [মোহা. শামসুল আলম]
 
[মোহা. শামসুল আলম]


[[en:Ocean]]
[[en:Ocean]]

০৬:০১, ৩ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

মহাসাগর (Ocean)  লবণাক্ত জলভাগ যা ভূমন্ডলের প্রায় ৭১ ভাগ স্থান জুড়ে রয়েছে। প্রকৃতপক্ষে পৃথিবীতে মহাসাগর মাত্র একটি, কিন্তু ব্যবহারিক সুবিধার জন্য এগুলোকে ভৌগোলিক পূনর্বিভাজন করা হয়; যথা: প্রশান্ত মহাসাগর, আটলান্টিক মহাসাগর, ভারত মহাসাগর, সুমেরু মহাসাগর এবং এন্টার্কটিক মহাসাগর (দক্ষিণ আটলান্টিক)। এগুলো সবই একটি অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। মহাসাগরের যে অঞ্চলের গভীরতা ২০০ মিটারের বেশি তাকে উন্মুক্ত মহাসাগর বলে। মহীসোপানে অবস্থিত তুলনামূলকভাবে অগভীর তটীয় এলাকা, যার গভীরতা সাধারণত ২০০ মিটারের কম, তাকে অবতটীয় অঞ্চল বা মহীসোপানিক অঞ্চল হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। অবতটীয় এলাকা বা অগভীর উপকূলের জলরাশি অবক্ষেপণ, জলপ্রবাহ, লবণাক্ততা ও তাপমাত্রার মতো জলীয় আবহবিষয়ক প্রপঞ্চগুলো দ্বারা খুব বেশি মাত্রায় প্রভাবিত থাকে। অগভীর জলরাশি পুষ্টিকর ভেষজে পরিপূর্ণ থাকায় সমুদ্রের গভীর অংশের তুলনায় অগভীর অংশ অধিক উৎপাদনশীল এবং সামুদ্রিক প্রাণীর সুবিধাজনক আবাসস্থল হিসেবে বিবেচিত হয়। আমাদের সুপরিচিত বঙ্গোপসাগর আসলে ভারত মহাসাগরের অংশবিশেষ। বাংলাদেশ ও পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে আঘাতকারী ধ্বংসাত্মক নিরক্ষীয় ঘূর্ণিঝড়ের উৎপত্তিস্থল হিসেবে এর পরিচিতি রয়েছে। তবে এ অঞ্চলের আশীর্বাদ হিসেবে খ্যাত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু যা প্রচুর বৃষ্টিপাত ঘটিয়ে থাকে, তার উৎপত্তিস্থলও এই বঙ্গোপসাগর। [মোহা. শামসুল আলম]