মহালছড়ি উপজেলা

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৬:২৮, ৬ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র'''))

মহালছড়ি উপজেলা (খাগড়াছড়ি জেলা)  আয়তন: ২৪৮.৬৪ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৫২´ থেকে ২৩°০৩´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৯১°৫৬´ থেকে ৯২°০০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা, দক্ষিণে নানিয়ারচর ও লক্ষ্মীছড়ি উপজেলা, পূর্বে লংগদু ও নানিয়ারচর উপজেলা, পশ্চিমে মাটিরাঙ্গা ও রামগড় উপজেলা।

জনসংখ্যা ৪৪০৮৬; পুরুষ ২৩৬৩৮, মহিলা ২০৪৪৮। মুসলিম ১১৯৩১, হিন্দু ৪৫৩৫, বৌদ্ধ ১৬২, খ্রিস্টান ২৭৪৩১ এবং অন্যান্য ২৭।

জলাশয় প্রধান নদী: চেঙ্গী। নুনছড়ি দেবতা পুকুর উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন ১৯০৬ সালে মহালছড়ি থানা গঠিত হয়। বর্তমানে এটি উপজেলা।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
- ১৩ ১৫৫ ৯৮১৬ ৩৪২৭০ ১৭৭ ৫৬.০ ৩৩.৫
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
২৩.৩১ ৯৮১৬ ৪২১ ৫৫.৯৫
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
কায়াংঘাট ১৫ ১২৮০০ ৩৭২৮ ৩৩২৮ ৩৪.৬৫
মহালছড়ি ৩১ ১০৮৮০ ৮৩৬৩ ৬৯৯৪ ৪৭.৩২
মাইসছড়ি ৪৭ ৯৬০০ ৪৮৬৩ ৪১৪৫ ৩৫.৫২
মুবাছড়ি ৬৩ ১২১৬০ ৩১৯৪ ২৮২৮ ৪২.৮৯
সিন্দুকছড়ি ৭৯ ১৬০০০ ৩৪৯৭ ৩১৫৩ ২১.৩৮

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ সিন্দুকছড়ি ধুমনীঘাট তীর্থস্থান, মহালছড়ি থানা ভবন, চেঙ্গী ব্রিজ, চিত্ত মন্দির, নুনছড়ি দেবতা পুকুর।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের ২৫ এপ্রিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের মেজর জিয়া ও ক্যাপ্টেন কাদেরসহ ৪৫ জন মুক্তিযোদ্ধার একটি দল মহালছড়ি পাহাড়ী অঞ্চলে অবস্থান নেয়। ২৬ এপ্রিল এই বাহিনীর সঙ্গে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী মিজোদের লড়াইয়ে ক্যাপ্টেন কাদেরসহ প্রায় ১৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন স্মৃতিস্তম্ভ ১।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান  মসজিদ ২৮, মন্দির ৭, বৌদ্ধবিহার ৫৮।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩৮.৬%; পুরুষ ৪৬.৮%, মহিলা ২৯%। কলেজ ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১২, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৬৫, স্যাটেলাইট ১৫, কমিউনিটি স্কুল ৫, মাদ্রাসা ৫।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ২, প্রেসক্লাব ১, স্টেডিয়াম ১, টাউন হল ১, সিনেমা হল ২, খেলার মাঠ ১৮।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৬.৭৫%, অকৃষি শ্রমিক ৬.৬৮%, শিল্প ০.৪২%, ব্যবসা ৯.৯৫%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.৩৫%, চাকরি ৮.৮৮%, নির্মাণ ০.৫২%, ধর্মীয় সেবা ০.০৯%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.০৭% এবং অন্যান্য ৬.৪%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫১.৩৫%, ভূমিহীন ৪৮.৬৫%। শহরে ৩৩.২৭% এবং গ্রামে ৫৬.৬% পরিবারের কৃষিজমি  রয়েছে।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, হলুদ, আলু, শাকসবজি, আদা, পাহাড়ী কচু।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি আপেল, কাজুবাদাম, তুলা।

প্রধান ফল-ফলাদিব আম, কাঁঠাল, আনারস, লিচু, পেঁপে, লেবু, কমলালেবু, বেল, কলা।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৩৩ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ২২, কাঁচারাস্তা ৯৯ কিমি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।

শিল্প ও কলকারখানা স’মিল, রাইসমিল, আইস ফ্যাক্টরি।

কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, তাঁতশিল্প, দারুশিল্প।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৭, মেলা ২। মহালছড়ি বাজার, দেবলছড়ি বাজার ও মাইসছড়ি বাজার উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য   হলুদ, কাঁঠাল, আনারস, কলা।

বিদ্যুৎ  ব্যবহার  এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ১২.৮১% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৬২.০৭%, ট্যাপ ১.১৫%, পুকুর ৩.২৭% এবং অন্যান্য ৩৩.৫১%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ১১.১৫% (গ্রামে ৪.৯% এবং শহরে ৩২.৬৬%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৭৪.৪৯% (গ্রামে ৭৮.৪% এবং শহরে ৬১.০১%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ১৪.৩৬% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৩, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা কেন্দ্র ৫।

এনজিও ব্র্যাক, প্রশিকা।  [মং ছেন চীং]

তথ্যসূত্র   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; মহালছড়ি উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।