মহলানবীশ, পি.সি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Image:MahalanabishPC.jpg|thumb|right|400px|পি.সি মহলানবীশ]]
'''মহলানবীশ, পি.সি '''(১৮৯৩-১৯৭২)  পরিসংখ্যানবিদ, অবিভক্ত ভারতের বঙ্গীয় প্রদেশের অন্যতম বিজ্ঞান সংগঠক এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দেলনের অগ্রপথিক। পুরো নাম প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ, তবে পি.সি মহলানবীশ নামেই অধিক খ্যাত। তিনি ১৮৯৩ সালের ২৯ জুন তাঁর জন্ম। পিতামহ ছিলেন ব্রাহ্ম সমাজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। পিতা প্রবোধ চন্দ্র ছিলেন এই সংগঠনের একজন সক্রিয় সদস্য এবং মাতা নিরোদবাসিনীও ছিলেন শিক্ষিত পরিবারের সদস্য।
'''মহলানবীশ, পি.সি '''(১৮৯৩-১৯৭২)  পরিসংখ্যানবিদ, অবিভক্ত ভারতের বঙ্গীয় প্রদেশের অন্যতম বিজ্ঞান সংগঠক এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দেলনের অগ্রপথিক। পুরো নাম প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ, তবে পি.সি মহলানবীশ নামেই অধিক খ্যাত। তিনি ১৮৯৩ সালের ২৯ জুন তাঁর জন্ম। পিতামহ ছিলেন ব্রাহ্ম সমাজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। পিতা প্রবোধ চন্দ্র ছিলেন এই সংগঠনের একজন সক্রিয় সদস্য এবং মাতা নিরোদবাসিনীও ছিলেন শিক্ষিত পরিবারের সদস্য।


১১ নং লাইন: ১২ নং লাইন:


বৃহৎ মাত্রার নমুনা জরিপ পরিসংখ্যান শাস্ত্রে মহলানবীশের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য অবদানসমূহের অন্যতম। নমুনা জরিপ পদ্ধতিতে তিনি ১৯৩৭ সালে বাংলায় পাটের উৎপাদন এবং পাট চাষের আওতাধীন জমির পরিমাণ প্রাক্কলনের (estimation) প্রয়াস চালান। অবশ্য তাঁর এই প্রাক্কলন গৃহীত হতে প্রায় এক দশক কালেরও অধিক সময় লেগেছিল। ১৯৪৭ সালে তিনি জাতিসংঘের পরিসংখ্যানগত নমুনায়ন বিষয়ক উপ-কমিশনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ১৯৫১ সাল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। নমুনা জরিপ পদ্ধতির উপযোগীতার পক্ষে মহলানবীশের ক্লান্তিহীন প্রচারনার ফলে এই পদ্ধতিকে বিশ্বের সকল অংশে সম্প্রসারণ ঘটাতে জাতিসংঘের নমুনায়ন বিষয়ক উপ-কমিশন চূড়ান্ত সুপারিশ পেশ করে। পরিসংখ্যান শাস্ত্রে মৌলিক অবদান, বিশেষ করে, বৃহৎ মাত্রার নমুনা জরিপে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৪৪ সালে তাঁকে ওয়েলডন পদক (Weldon Medal) দ্বারা সম্মানিত করে এবং ১৯৭৫ সালে তিনি লন্ডনের রয়েল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন।
বৃহৎ মাত্রার নমুনা জরিপ পরিসংখ্যান শাস্ত্রে মহলানবীশের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য অবদানসমূহের অন্যতম। নমুনা জরিপ পদ্ধতিতে তিনি ১৯৩৭ সালে বাংলায় পাটের উৎপাদন এবং পাট চাষের আওতাধীন জমির পরিমাণ প্রাক্কলনের (estimation) প্রয়াস চালান। অবশ্য তাঁর এই প্রাক্কলন গৃহীত হতে প্রায় এক দশক কালেরও অধিক সময় লেগেছিল। ১৯৪৭ সালে তিনি জাতিসংঘের পরিসংখ্যানগত নমুনায়ন বিষয়ক উপ-কমিশনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ১৯৫১ সাল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। নমুনা জরিপ পদ্ধতির উপযোগীতার পক্ষে মহলানবীশের ক্লান্তিহীন প্রচারনার ফলে এই পদ্ধতিকে বিশ্বের সকল অংশে সম্প্রসারণ ঘটাতে জাতিসংঘের নমুনায়ন বিষয়ক উপ-কমিশন চূড়ান্ত সুপারিশ পেশ করে। পরিসংখ্যান শাস্ত্রে মৌলিক অবদান, বিশেষ করে, বৃহৎ মাত্রার নমুনা জরিপে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৪৪ সালে তাঁকে ওয়েলডন পদক (Weldon Medal) দ্বারা সম্মানিত করে এবং ১৯৭৫ সালে তিনি লন্ডনের রয়েল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন।
[[Image:MahalanabishPC.jpg|thumb|right|পি.সি মহলানবীশ
]]


পি.সি মহলানবীশ বিশ্বাস করতেন যে, জাতীয় পরিকল্পনার গতিশীলতায় পরিসংখ্যান অবশ্যই একটি সমন্বিত অংশ হওয়া উচিত। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর অনুরোধে ভারতের দ্বিতীয় পাঁচসালা পরিকল্পনা প্রণয়নে মহলানবীশ প্রধান ভূমিকা পালন করেন এবং এই পরিকল্পনার ভিত্তি ছিল তাঁর প্রণীত চার-খাতবিশিষ্ট মডেল (four-sector model)। জীবনের শেষ দশকে মহলানবীশ একটি পরিসংখ্যানিক বিশ্লেষণ পদ্ধতি Fractile Graphical Analysis প্রণয়ন করেন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে একাধিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার তুলনা করা যায়। এই কৌশলটি বর্তমানে বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখায়ও প্রয়োগ করা হচ্ছে।
পি.সি মহলানবীশ বিশ্বাস করতেন যে, জাতীয় পরিকল্পনার গতিশীলতায় পরিসংখ্যান অবশ্যই একটি সমন্বিত অংশ হওয়া উচিত। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর অনুরোধে ভারতের দ্বিতীয় পাঁচসালা পরিকল্পনা প্রণয়নে মহলানবীশ প্রধান ভূমিকা পালন করেন এবং এই পরিকল্পনার ভিত্তি ছিল তাঁর প্রণীত চার-খাতবিশিষ্ট মডেল (four-sector model)। জীবনের শেষ দশকে মহলানবীশ একটি পরিসংখ্যানিক বিশ্লেষণ পদ্ধতি Fractile Graphical Analysis প্রণয়ন করেন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে একাধিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার তুলনা করা যায়। এই কৌশলটি বর্তমানে বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখায়ও প্রয়োগ করা হচ্ছে।

০৫:৪৪, ৩ মার্চ ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

পি.সি মহলানবীশ

মহলানবীশ, পি.সি (১৮৯৩-১৯৭২)  পরিসংখ্যানবিদ, অবিভক্ত ভারতের বঙ্গীয় প্রদেশের অন্যতম বিজ্ঞান সংগঠক এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক আন্দেলনের অগ্রপথিক। পুরো নাম প্রশান্ত চন্দ্র মহলানবীশ, তবে পি.সি মহলানবীশ নামেই অধিক খ্যাত। তিনি ১৮৯৩ সালের ২৯ জুন তাঁর জন্ম। পিতামহ ছিলেন ব্রাহ্ম সমাজের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা। পিতা প্রবোধ চন্দ্র ছিলেন এই সংগঠনের একজন সক্রিয় সদস্য এবং মাতা নিরোদবাসিনীও ছিলেন শিক্ষিত পরিবারের সদস্য।

পি.সি মহলানবীশ ১৯০৮ সালে কলকাতায় তাঁর স্কুলজীবন সমাপ্ত করেন।  কলকাতার প্রেসিডেন্সী কলেজ থেকে ১৯১২ সালে পদার্থবিজ্ঞানে সম্মানসহ স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি ১৯১৫ সালে ইংল্যান্ড যান এবং কেমব্রিজের কিংস কলেজ থেকে গণিত ও পদার্থবিজ্ঞানে ট্রাইপস সম্পন্ন করেন। ট্রাইপসের পার্ট-টু’তে তিনি ছিলেন পদার্থবিজ্ঞানে প্রথম শ্রেণি অর্জনকারী একমাত্র পরীক্ষার্থী। কিংস কলেজ তাঁকে সিনিয়র রিসার্চ ফেলোশীপ দিয়ে সম্মানিত করে। ইংল্যান্ডে গবেষণা শুরু করার পূর্বে তিনি সংক্ষিপ্ত সময়ের ছুটিতে কলকাতায় ফিরে আসেন, কিন্তু আর ইংল্যান্ড ফিরে যাননি। ইতোমধ্যে প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। কেমব্রিজ ত্যাগ করার পূর্বে মহলানবীশের শিক্ষক WH Macaulay বায়োমেট্রিকার (Biometrika) প্রতি তাঁর মনোযোগ আকর্ষণ করেন। এ ঘটনার মধ্য দিয়ে বিজ্ঞানের একটি নতুন জগতের দিকে মহলানবীশের জীবনের মোড় স্থায়িভাবে ঘুরে যায়।

কলকাতায় পি.সি মহলানবীশের শিক্ষকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন আচার্য ব্রজেন্দ্রনাথ শীল। দার্শনিক ও বিশ্বকোষবিদ আচার্য শীলের পরিসংখ্যানের প্রতিও ছিল প্রবল আগ্রহ। মহলানবীশের জীবন ও কর্মের ওপর ব্রজেন্দ্রনাথ শীল স্থায়ী প্রভাব বিস্তার করেছিলেন। মহলানবীশ পরবর্তীতে ভারতের জুওলজিক্যাল এন্ড অ্যানথ্রপোলজিক্যাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া-র তৎকালীন পরিচালক Nelson Annadale-এর সান্নিধ্যে আসেন। Nelson Annadale কলকাতার অ্যাংলো-ইন্ডিয়ানদের ওপর নৃতাত্ত্বিক উপাত্ত সংগ্রহ করেছিলেন। মহলানবীশ এই উপাত্ত বিশ্লেষণ করেন এবং প্রাপ্ত ফলাফল দিয়ে তিনি তাঁর প্রথম পরিসংখ্যান বিষযক গবেষণা প্রবন্ধ Anthropological Observations on Anglo-Indians of Calcutta, Part I: Male Stature রচনা করেন, যেটি ১৯২২ সালে Records of the Indian Museum-এ প্রকাশিত হয়। প্রবন্ধটি ভারতের তৎকালীন আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রসমূহের মহাপরিচালক Sir Gilbert Walker-এর দৃষ্টি আকর্ষণ করে। Gilbert Walker মহলানবীশকে আবহাওয়াগত কিছু সমস্যার ওপর একটি রীতিবদ্ধ সমীক্ষা পরিচালনার জন্য অনুরোধ করেন। অতঃপর ১৯২২ সালে তিনি আলীপুর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের আবহাওয়াবিদ হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন এবং ১৯২৬ সাল পর্যন্ত সেখানে কর্মরত ছিলেন।

মহলানবীশ ও তাঁর ছাত্রবৃন্দ- রাজচন্দ্র বসু, সমীরীন্দ্রনাথ রায় এবং সি.আর রাও মিলিতভাবে পরিসংখ্যান শাস্ত্রের তত্ত্ব ও পদ্ধতি এবং অন্যান্য শাস্ত্রে এর প্রয়োগ প্রসঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে মহলানবীশের ডি-বর্গ পরিসংখ্যান (D-square statistics) এবং রাজচন্দ্র বসুর ডিজাইন অব এক্সপেরিমেন্টস (Design of Experiments) শীর্ষক কর্ম।

পি.সি মহলানবীশ ১৯২৭ সালে অল্প কিছু সময় লন্ডনের কার্ল পিয়ারসন্স ল্যাবরেটরিতে অতিবাহিত করেন। সেখানে তিনি নৃতত্ত্বমিতিক (anthropometric) উপাত্ত নিয়ে ব্যাপক গবেষণা পরিচালনা করেন এবং Pearson’s Coefficient of Racial Likeness (সি.আর.এল)-এর ওপর নিবিড় পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালান। তিনি সি.আর.এল-এর কতিপয় সীমাবদ্ধতা উল্লেখ করেন এবং ১৯৩০ সালে ডি-বর্গ পরিসংখ্যানের ওপর Tests and Measures of Group Divergence শীর্ষক সেমিনার প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। পরবর্তীতে মহলানবীশের আগ্রহ ও নির্দেশনায় অবিভক্ত বাংলায় দুটি বৃহৎ মাত্রার নৃতত্ত্বমিতিক জরিপ পরিচালিত হয়।

বৃহৎ মাত্রার নমুনা জরিপ পরিসংখ্যান শাস্ত্রে মহলানবীশের সর্বাধিক উল্লেখযোগ্য অবদানসমূহের অন্যতম। নমুনা জরিপ পদ্ধতিতে তিনি ১৯৩৭ সালে বাংলায় পাটের উৎপাদন এবং পাট চাষের আওতাধীন জমির পরিমাণ প্রাক্কলনের (estimation) প্রয়াস চালান। অবশ্য তাঁর এই প্রাক্কলন গৃহীত হতে প্রায় এক দশক কালেরও অধিক সময় লেগেছিল। ১৯৪৭ সালে তিনি জাতিসংঘের পরিসংখ্যানগত নমুনায়ন বিষয়ক উপ-কমিশনের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ১৯৫১ সাল পর্যন্ত এই পদে অধিষ্ঠিত থাকেন। নমুনা জরিপ পদ্ধতির উপযোগীতার পক্ষে মহলানবীশের ক্লান্তিহীন প্রচারনার ফলে এই পদ্ধতিকে বিশ্বের সকল অংশে সম্প্রসারণ ঘটাতে জাতিসংঘের নমুনায়ন বিষয়ক উপ-কমিশন চূড়ান্ত সুপারিশ পেশ করে। পরিসংখ্যান শাস্ত্রে মৌলিক অবদান, বিশেষ করে, বৃহৎ মাত্রার নমুনা জরিপে অবদান রাখার স্বীকৃতিস্বরূপ অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৪৪ সালে তাঁকে ওয়েলডন পদক (Weldon Medal) দ্বারা সম্মানিত করে এবং ১৯৭৫ সালে তিনি লন্ডনের রয়েল সোসাইটির ফেলো নির্বাচিত হন।

পি.সি মহলানবীশ বিশ্বাস করতেন যে, জাতীয় পরিকল্পনার গতিশীলতায় পরিসংখ্যান অবশ্যই একটি সমন্বিত অংশ হওয়া উচিত। ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জওহরলাল নেহেরুর অনুরোধে ভারতের দ্বিতীয় পাঁচসালা পরিকল্পনা প্রণয়নে মহলানবীশ প্রধান ভূমিকা পালন করেন এবং এই পরিকল্পনার ভিত্তি ছিল তাঁর প্রণীত চার-খাতবিশিষ্ট মডেল (four-sector model)। জীবনের শেষ দশকে মহলানবীশ একটি পরিসংখ্যানিক বিশ্লেষণ পদ্ধতি Fractile Graphical Analysis প্রণয়ন করেন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে একাধিক জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক অবস্থার তুলনা করা যায়। এই কৌশলটি বর্তমানে বিজ্ঞানের অন্যান্য শাখায়ও প্রয়োগ করা হচ্ছে।

ভারতে পরিসংখ্যান শাস্ত্রের উন্নয়নের জন্য ১৯৩১ সাল ছিল একটি সন্ধিক্ষণ। কলকাতা প্রেসিডেন্সি কলেজের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগে ১৯২০ সালে মহলানবীশ কর্তৃক স্থাপিত পরিসংখ্যান গবেষণাগারটি ১৯৩১ সালের ১৭ ডিসেম্বর ইন্ডিয়ান স্ট্যাটিসটিক্যাল ইনস্টিটিউটে রূপ লাভ করে। ১৯৫৯ সালে ভারতীয় পার্লামেন্টের এক অধ্যাদেশ অনুযায়ী ইনস্টিটিউটটি ভারতের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ ইনস্টিটিউট (Institution of National Importance) হিসেবে মর্যাদা লাভ করে। ১৯৫৭ সালে মহলানবীশ আন্তর্জাতিক পরিসংখ্যান ইনস্টিটিউটের অনারারী প্রেসিডেন্টের পদ লাভ করেন। ১৯৬১ সালে তিনি আমেরিকান স্ট্যাটিসটিক্যাল এসোসিয়েশনের একজন ফেলো নির্বাচিত হন। ১৯৬৮ সালে তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছ থেকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ খেতাব ‘পদ্মভূষণ’ গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালের ২৮ জুন খ্যাতিমান এই পরিসংখ্যানবিদ কলকাতায় পরলোক গমন করেন।  [মাসুদ হাসান চৌধুরী]