মনিরামপুর উপজেলা

NasirkhanBot (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ০৬:২৮, ৬ মে ২০১৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ (Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র'''))

মনিরামপুর উপজেলা (যশোর জেলা)  আয়তন: ৪৪৪.৭২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২২°৫৫´ থেকে ২৩°০৬´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°০৯´ থেকে ৮৯°২২´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে যশোর সদর, দক্ষিণে কলারোয়া, কেশবপুর ও ডুমুরিয়া উপজেলা, পূর্বে অভয়নগর উপজেলা, পশ্চিমে ঝিকরগাছা উপজেলা।

জনসংখ্যা ৩৮২৪৬৫; পুরুষ ১৯৫৩৩৮, মহিলা ১৮৭১২৭। মুসলিম ৩১০২৫২, হিন্দু ৭১৭৪৮, বৌদ্ধ ১৫০, খ্রিস্টান ৬ এবং অন্যান্য ৩০৯।

জলাশয় প্রধান নদী: কপোতাক্ষ, মুকুলেশ্বরী, হরিহর। পানিদাহরা বিল, জিয়ালদহ বিল, খেদাপাড়া বিল, খেরারিয়া বিল এবং খাজুরা বাঁওড়, খাতরা বাঁওড়, হরিহরনগর বাওড় ও ঝাঁপা বাঁওড় উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন মনিরামপুর থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ সালে। মনিরামপুর পৌরসভা গঠিত হয় ১৯৯৭ সালের ১০ নভেম্বর।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
১৭ ২৪৬ ২৩৮ ২২৯০৫ ৩৫৯৫৬০ ৮৬০ ৬৩.০৬ ৪৯.৯৬


পৌরসভা
আয়তন (বর্গ কিমি) ওয়ার্ড মহল্লা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
১৭.৬৪ ১৫ ১৯৩১৩ ১০৯৫ ৬৪.৩১
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
৩.৭০ ৩৫৯২ ৯৭১ ৫৬.০৯
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
কাশিমনগর ৪৪ ৩৭১৪ ৭৩৬১ ৭০৪২ ৪৯.৩৪
কুলটিয়া ৬১ ৭৫৮২ ৮৫৮৪ ৮৪১২ ৫২.৫০
খানপুর ৫০ ৬৫৬১ ১৩১২৮ ১২৪০১ ৫০.৫৮
খেদাপাড়া ৫৫ ৭৯৮৩ ১২৮২৪ ১২৩০৯ ৪৯.০৬
চালুয়াহাটি ১১ ৬৭৯৭ ১২৯৮৭ ১২৩৮৯ ৪৭.৩৬
ঝাঁপা ৩৯ ৭৩১৪ ১২৬৫২ ১২০২৩ ৫১.৬৭
ঢাকুরিয়া ১৬ ৭৯২১ ১২১৭৫ ১১৭৩১ ৫১.৪০
দুর্বাডাঙ্গা ২২ ৬৪৬৪ ১১৫০৪ ১১১৪৬ ৫১.৩৮
নেহালপুর ৮৩ ৩৪৫৮ ৬৩৭৩ ৬৩.৮ ৫২.৫৮
ভোজগাতি ১০ ২৮৯৫ ৬২২২ ৫৭৪৮ ৪৮.৯৮
মনিরামপুর ৬৭ ৭২০৮ ৭২৭৬ ৬৯০৩ ৫০.৮৭
মনোহরপুর ৭২ ৪৪৬৩ ৫৭৫৬ ৫৬৫৩ ৫৬.৯৫
মশ্বিমনগর ৭৮ ৭৫৯২ ১৪৮৬৮ ১৪৩৪৮ ৪৭.৩৭
রোহিতা ৮৯ ৭৬০৮ ১৩৯৮৯ ১৩৩৩১ ৪৮.৩০
শ্যামকুড় ৯৪ ৭১৩৯ ১৬৭১২ ১৫৭৬৩ ৪৯.৬৮
হরিদাসকাটি ২৭ ৭৩০১ ১১০৩৫ ১০৬৪৩ ৫১.৮৩
হরিহরনগর ৩৩ ৭৮১৪ ১১৮৬৩ ১১৬৯৩ ৪৬.৫৬

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

প্রাচীন নিদর্শনাদি ও প্রত্নসম্পদ নীলকুঠি (জয়পুর গ্রাম)।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি মনোহর গ্রামে ১৯৭১ সালে পাকবাহিনীর সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এতে পাকবাহিনী ২৩ জন নিরীহ গ্রামবাসিকে হত্যা করে।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন শহীদ আকরাম সড়ক রোড।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান  মসজিদ ৮২১, মন্দির ৫৮।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৫০.৭৬%; পুরুষ ৫৫.৯%, মহিলা ৪৫.৪%। কলেজ ১৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১১৪, প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৬৬, মাদ্রাসা ৫৭। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: মনিরামপুর ডিগ্রি কলেজ (১৯৬৭), মশিহাটি ডিগ্রি মহাবিদ্যালয় (১৯৭০), রাজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৬), নেহালপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯১৭), কুলটিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯২১), কুলটিয়া বালিকা বিদ্যালয় (১৯২৪), মনিরামপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩২), ঢাকুরিয়া-প্রতাপকাটি বহুমুখী মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৩৯), মনিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৫), কাশিপুর সিদ্দিকিয়া আলিম মাদ্রাসা (১৯০৮)।

মনিরামপুর উপজেলা

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৮%, অকৃষি শ্রমিক ২.৫৪%, শিল্প ১.৪৯%, ব্যবসা ১২.৬৪%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ৩.০৪%, চাকরি ৫.৬৭%, নির্মাণ ১%, ধর্মীয় সেবা ০.১৩%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৫২% এবং অন্যান্য ৪.৯৭%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬৫.৫৫%, ভূমিহীন ৩৪.৪৫%। শহরে ৪৫.৯৮% এবং গ্রামে ৬৬.৭৯% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, আলু, গম, পাট, সরিষা।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি তিসি, কাউন, নীল, অড়হর।

প্রধান ফল-ফলাদিব কাঁঠাল, আম, খেজুর, পেঁপে, কলা, কুল।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ২৩৫.৬২ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ৪৩.৪৯ কিমি, কাঁচারাস্তা ৬৫৩.৯৫ কিমি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, গরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি।

শিল্প ও কলকারখানা বরফকল, ধানকল।

কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, লৌহশিল্প, মৃৎশিল্প, তাঁতশিল্প, বাঁশের কাজ, কাঠের কাজ।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ৬০। নেহালপুর, কালীবাড়ি, মনিরামপুর, ঢাকুরিয়া, রাজগড় ও চিনেটোলা বাজার উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য   খেজুরের গুড়, পাট, কলা।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ২৪.৬৯% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৯৪.৩৭%, ট্যাপ ০.৪৫%, পুকুর ০.১৮% এবং অন্যান্য ৫%। এ উপজেলার নলকুপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ২৪.৬৯% (শহরে ৪৯.০৬% এবং গ্রামে ২৩.১৪%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৪২.৪৯% (শহরে ৩৪.১৯% এবং গ্রামে ৪৩.০২%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৩২.৮২% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ১৭, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ২, কমিউনিটি ক্লিনিক ২৯, দাতব্য চিকিৎসালয় ৩।

এনজিও ব্র্যাক, আশা, জাগরণী চক্র, কেয়ার।

[জি.এম রবিউল ইসলাম]

তথ্যসূত্র   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১; বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; মনিরামপুর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।