মধুপুর উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র'''))
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
(একজন ব্যবহারকারী দ্বারা সম্পাদিত একটি মধ্যবর্তী সংশোধন দেখানো হচ্ছে না)
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''মধুপুর উপজেলা''' (টাঙ্গাইল জেলা)  আয়তন: ৩৩২.১৩ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৪৭´ থেকে ২৪° ৩১র্ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৫৭´ থেকে ৯০°১০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে মুক্তাগাছা ও জামালপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে গোপালপুর ও ঘাটাইল উপজেলা, পূর্বে ফুলবাড়ীয়া ও মুক্তাগাছা উপজেলা, পশ্চিমে ধনবাড়ী ও গোপালপুর উপজেলা।
'''মধুপুর উপজেলা''' ([[টাঙ্গাইল জেলা|টাঙ্গাইল জেলা]])  আয়তন: ৩৬৬.৯২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৪৭´ থেকে ২৪° ৩১র্ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৫৭´ থেকে ৯০°১০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে মুক্তাগাছা ও জামালপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে গোপালপুর ও ঘাটাইল উপজেলা, পূর্বে ফুলবাড়ীয়া ও মুক্তাগাছা উপজেলা, পশ্চিমে ধনবাড়ী ও গোপালপুর উপজেলা।


''জনসংখ্যা'' ২৩৪২৯৯; পুরুষ ১০৯৩৮৭, মহিলা ১০৪৯১১। মুসলিম ১৯৬১৩৪, হিন্দু ৫৬৮৬, বৌদ্ধ ১২৩২৩, খ্রিস্টান ১৯ এবং অন্যান্য ১৩৭। এ উপজেলায় গারো ও কোচ আদিবাসী জনগোষ্ঠী বাস করে।
''জনসংখ্যা'' ২৯৬৭২৯; পুরুষ ১৪৭৭৩৪, মহিলা ১৪৮৯৯৫। মুসলিম ২৭১৩৫২, হিন্দু ১১৫৪৬, বৌদ্ধ ১১, খ্রিস্টান ১৩৬০০ এবং অন্যান্য ২২০। এ উপজেলায় গারো ও কোচ আদিবাসী জনগোষ্ঠী বাস করে।


''জলাশয়'' প্রধান নদী: বংশী। গুতা খাল উল্লেখযোগ্য।
''জলাশয়'' প্রধান নদী: বংশী। গুতা খাল উল্লেখযোগ্য।
১৫ নং লাইন: ১৫ নং লাইন:
|-
|-
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
|-
|-
| ১ || ৬  || ১৩১ || ১৭১ || ৮৫০১৪ || ১৪৯২৮৫ || ৬৩৩  || ৪৪.৭  || ৩৬.০০
| ১ || ৬ || ১১১ || ১৮০ || ৬৪৮৭২ || ২৩১৮৫৭ || ৮০৯ || ৪৪.৭ (২০০১) || ৩৭.৫
 
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
| colspan="9" | পৌরসভা
|-
| আয়তন (বর্গ কিমি) || ওয়ার্ড || মহল্লা || লোকসংখ্যা || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%)
|-
| - || ৯ || ২৩ || ৫৬৩৪২ || - || ৫৬.৭
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
| colspan="9" | উপজেলা শহর
|-
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) || শিক্ষার হার (%)
|-
| - || ১ || ৮৫৩০ || - || ৩৫.
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| ইউনিয়ন
| colspan="9" | ইউনিয়ন
|-  
|-  
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
২৯ নং লাইন: ৪২ নং লাইন:
| পুরুষ  || মহিলা
| পুরুষ  || মহিলা
|-  
|-  
| অরণখোলা ২৪ || ৬১৬৩  || ১৩৭৭০ || ১৩৬৬৫  || ৪৩.০৬
| অরণখোলা ২৪ || ২৯০৮৭ || ৩০১৯২ || ২৯৭০৩ || ৩৯.
 
|-
|-
| আউশনারা ২৮ || ৫৭০৮  || ১২৮৫৭ || ১৩০৯৭  || ৪৩.৩৪
| আউশনারা ২৮ || ১৭৪৭৭ || ২৭৭৫৫ || ২৯০৩৯ || ৩৭.
 
|-
|-
| আলোকদিয়া ২১ || ৪৮২০  || ১২০৫০ || ১১৩৫৮  || ৫১.২০
| আলোকদিয়া ২১ || ৭৩৪৬ || ১৭১৬২ || ১৭৪২৬ || ৩৭.
 
|-
|-
| গোলাবাড়ী ৬৬ || ৫১৩৮  || ৮০০৬ || ৮০৯৫  || ৩৮.৩০
| গোলাবাড়ী ৬৬ || ৬৫৫৩ || ১৬৩৫৪ || ১৭০০৭ || ৩৮.
 
|-
|-
| মির্জাবাড়ী ৭৮ || ৬৫২২  || ১৪৩৮০ || ১৪৬৫০  || ৪৩.৪৯
| মির্জাবাড়ী ৭৮ || ৪৬৫৬ || ১১৮৪২ || ১২৪৩৬ || ৩৫.
 
|-
|-
| শোলাকুড়ি ৯২ || ৪৬৮২  || ১৩৯৬৫ || ১৩৩৯২  || ৪২.৬০
| শোলাকুড়ি ৯২ || ২০২৪৮ || ১৫৬৬০ || ১৫৮১১ || ৩৩.
|}
|}
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।


মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ১ জন ক্যাপ্টেনসহ ৫ জন পাকসেনা নিহত হয়।
[[Image:MadhupurUpazila.jpg|thumb|right|400px]]
''মুক্তিযুদ্ধ''  ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে উপজেলার মালাউড়ীতে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ১ জন ক্যাপ্টেনসহ ৫ জন পাকসেনা নিহত হয়। উপজেলায় অপর একটি যুদ্ধ হয় রাঙামাটিয়া গ্রামে।


''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ২৫.৩%; পুরুষ ৩০.২%, মহিলা ২০.১%। কলেজ ৫, ভোকেশনাল কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩০, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৪, কমিউনিটি বিদ্যালয় ৫, এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয় ১, মাদ্রাসা ৩৬। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: মধুপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (১৯৭২), মধুপুর কারিগরি কলেজ (২০০৪), মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৭২), রানী ভবানী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৯)।
''বিস্তারিত দেখুন''  মধুপুর উপজেলা, ''বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ'', বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৭।


[[Image:MadhupurUpazila.jpg|thumb|right|মধুপুর উপজেলা]]
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান''  গড় হার ৪১.২%; পুরুষ ৪২.৭%, মহিলা ৩৯.৭%। কলেজ ৫, ভোকেশনাল কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩০, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৪, কমিউনিটি বিদ্যালয় ৫, এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয় ১, মাদ্রাসা ৩৬। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: মধুপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (১৯৭২), মধুপুর কারিগরি কলেজ (২০০৪), মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৭২), রানী ভবানী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৯)।


''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' দৈনিক: প্রগতির আলো; সাপ্তাহিক: মধুপুর বার্তা; পাক্ষিক: মধুবাণী।
''পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী'' দৈনিক: প্রগতির আলো; সাপ্তাহিক: মধুপুর বার্তা; পাক্ষিক: মধুবাণী।
৬৮ নং লাইন: ৭৭ নং লাইন:
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' খেসারি, বুট, স্থানীয় জাতের ধান।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' খেসারি, বুট, স্থানীয় জাতের ধান।


''প্রধান ফল-ফলাদিব'' আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, পেঁপে, লিচু, জলপাই।
''প্রধান ফল-ফলাদি'' আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, পেঁপে, লিচু, জলপাই।


''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' হাঁস-মুরগি ২০০, নার্সারি ১১।
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' হাঁস-মুরগি ২০০, নার্সারি ১১।


''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ১৪০ কিমি, কাঁচারাস্তা ১৯০ কিমি; নৌপথ ৯ নটিক্যাল মাইল।
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ১৩৩ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ২২ কিমি, কাঁচারাস্তা ৫৬৫ কিমি।


''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি।
৮২ নং লাইন: ৯১ নং লাইন:
হাটবাজার ও মেলা মধুপুর হাট, জলছত্র হাট, পিরোজপুর হাট, গাঙ্গাইর হাট, গারোবাজার ও মোটের বাজার এবং গোপাল আঙ্গিনার গোষ্ঠযাত্রার মেলা, শোলাকুড়ির বৈশাখী মেলা ও জয়তেঁতুলের দেবতার মেলা উল্লেখযোগ্য।
হাটবাজার ও মেলা মধুপুর হাট, জলছত্র হাট, পিরোজপুর হাট, গাঙ্গাইর হাট, গারোবাজার ও মোটের বাজার এবং গোপাল আঙ্গিনার গোষ্ঠযাত্রার মেলা, শোলাকুড়ির বৈশাখী মেলা ও জয়তেঁতুলের দেবতার মেলা উল্লেখযোগ্য।


''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''   আনারস, কাঁঠাল, রেশম, সিল্ক, ক্যাসাভা, তুলা ও মধু।
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''  আনারস, কাঁঠাল, রেশম, সিল্ক, ক্যাসাভা, তুলা ও মধু।


''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ২০.০৩% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩৭.% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।


প্রাকৃতিক সম্পদ  মধু, বনৌষধি, ধুপ, শন।
''প্রাকৃতিক সম্পদ''  মধু, বনৌষধি, ধুপ, শন।


''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৮৬.৮৭%, পুকুর .৪১%, ট্যাপ ০.% এবং অন্যান্য ১২.১২%।
''পানীয় জলের উৎস'' নলকূপ ৯৫.০%, ট্যাপ ০.% এবং অন্যান্য .%।


''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৪৬.২৫% (গ্রামে ৪৫.৫৫% ও শহরে ৪৯.২৩%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২২.২৮% (গ্রামে ২১.৭৬% ও শহরে ২৪.৪৭%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৩১.৪৭% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।
''স্যানিটেশন ব্যবস্থা'' এ উপজেলার ৬৬.% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২৬.% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। .% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।


''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৬, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৬, দাতব্য চিকিৎসালয় ২, মিশনারি হাসপাতাল ১, কুষ্ঠ ব্যাধি হাসপাতাল ১, মাতৃসদন হাসপাতাল ১, ক্লিনিক ৪, নিরাময় কেন্দ্র ১।
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৬, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৬, দাতব্য চিকিৎসালয় ২, মিশনারি হাসপাতাল ১, কুষ্ঠ ব্যাধি হাসপাতাল ১, মাতৃসদন হাসপাতাল ১, ক্লিনিক ৪, নিরাময় কেন্দ্র ১।


''এনজিও'' কারিতাস, ওয়ার্ল্ড ভিশন, প্রশিকা, ব্র্যাক, আশা, ওয়ার্ল্ড টুরিস্ট মিশন, পরিবার ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র।
''এনজিও'' কারিতাস, ওয়ার্ল্ড ভিশন, প্রশিকা, ব্র্যাক, আশা, ওয়ার্ল্ড টুরিস্ট মিশন, পরিবার ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। [জয়নাল আবেদীন]
 
[জয়নাল আবেদীন]


'''তথ্যসূত্র'''   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো;  মধুপুর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।
'''তথ্যসূত্র'''   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো;  মধুপুর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।


[[en:Madhupur Upazila]]
[[en:Madhupur Upazila]]

১৬:২৬, ৫ অক্টোবর ২০২৩ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

মধুপুর উপজেলা (টাঙ্গাইল জেলা)  আয়তন: ৩৬৬.৯২ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৪°৪৭´ থেকে ২৪° ৩১র্ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৫৭´ থেকে ৯০°১০´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে মুক্তাগাছা ও জামালপুর সদর উপজেলা, দক্ষিণে গোপালপুর ও ঘাটাইল উপজেলা, পূর্বে ফুলবাড়ীয়া ও মুক্তাগাছা উপজেলা, পশ্চিমে ধনবাড়ী ও গোপালপুর উপজেলা।

জনসংখ্যা ২৯৬৭২৯; পুরুষ ১৪৭৭৩৪, মহিলা ১৪৮৯৯৫। মুসলিম ২৭১৩৫২, হিন্দু ১১৫৪৬, বৌদ্ধ ১১, খ্রিস্টান ১৩৬০০ এবং অন্যান্য ২২০। এ উপজেলায় গারো ও কোচ আদিবাসী জনগোষ্ঠী বাস করে।

জলাশয় প্রধান নদী: বংশী। গুতা খাল উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন মধুপুর থানা গঠিত হয় ১৮৯৮ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৯৮৩ নালে।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
১১১ ১৮০ ৬৪৮৭২ ২৩১৮৫৭ ৮০৯ ৪৪.৭ (২০০১) ৩৭.৫
পৌরসভা
আয়তন (বর্গ কিমি) ওয়ার্ড মহল্লা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
- ২৩ ৫৬৩৪২ - ৫৬.৭
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
- ৮৫৩০ - ৩৫.২
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
অরণখোলা ২৪ ২৯০৮৭ ৩০১৯২ ২৯৭০৩ ৩৯.৩
আউশনারা ২৮ ১৭৪৭৭ ২৭৭৫৫ ২৯০৩৯ ৩৭.৭
আলোকদিয়া ২১ ৭৩৪৬ ১৭১৬২ ১৭৪২৬ ৩৭.৩
গোলাবাড়ী ৬৬ ৬৫৫৩ ১৬৩৫৪ ১৭০০৭ ৩৮.৭
মির্জাবাড়ী ৭৮ ৪৬৫৬ ১১৮৪২ ১২৪৩৬ ৩৫.৫
শোলাকুড়ি ৯২ ২০২৪৮ ১৫৬৬০ ১৫৮১১ ৩৩.৯

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

মুক্তিযুদ্ধ ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে উপজেলার মালাউড়ীতে পাকসেনাদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের লড়াইয়ে ১ জন ক্যাপ্টেনসহ ৫ জন পাকসেনা নিহত হয়। উপজেলায় অপর একটি যুদ্ধ হয় রাঙামাটিয়া গ্রামে।

বিস্তারিত দেখুন মধুপুর উপজেলা, বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ জ্ঞানকোষ, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি, ঢাকা ২০২০, খণ্ড ৭।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৪১.২%; পুরুষ ৪২.৭%, মহিলা ৩৯.৭%। কলেজ ৫, ভোকেশনাল কলেজ ১, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৩০, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৫৪, কমিউনিটি বিদ্যালয় ৫, এনজিও পরিচালিত বিদ্যালয় ১, মাদ্রাসা ৩৬। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: মধুপুর বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ (১৯৭২), মধুপুর কারিগরি কলেজ (২০০৪), মধুপুর শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয় (১৯৭২), রানী ভবানী উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৯)।

পত্র-পত্রিকা ও সাময়িকী দৈনিক: প্রগতির আলো; সাপ্তাহিক: মধুপুর বার্তা; পাক্ষিক: মধুবাণী।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান লাইব্রেরি ৯, ক্লাব ৭৬, সিনেমা হল ৬, খেলার মাঠ ২৯, ডাকবাংলো ৬, সাংস্কৃতিক সংগঠন ১।

দর্শনীয় স্থান মধুপুর ন্যাশনাল পার্ক।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৩%, অকৃষি শ্রমিক ২.১৪%, শিল্প ০.৫৩%, ব্যবসা ১৩.০৫%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ১.২১%, চাকরি ৮.৯০%, নির্মাণ ২.৪০%, ধর্মীয় সেবা ০.২২%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.৭% এবং অন্যান্য ৭.৮৫%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৬৪.৪০%, ভূমিহীন ৩৫.২২%। শহরে ৫৫.১৯% এবং গ্রামে ৬৬.৫৭% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, গম, পাট, আখ, আলু, তুলা, আদা, হলুদ, পান, কাসাভা, শাকসবজি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি খেসারি, বুট, স্থানীয় জাতের ধান।

প্রধান ফল-ফলাদি আম, কাঁঠাল, আনারস, কলা, পেঁপে, লিচু, জলপাই।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার হাঁস-মুরগি ২০০, নার্সারি ১১।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ১৩৩ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ২২ কিমি, কাঁচারাস্তা ৫৬৫ কিমি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি।

শিল্প ও কলকারখানা সিল্কমিল, রাইসমিল, ফ্লাওয়ারমিল, লেদ ও ওয়েল্ডিং কারখানা, স’মিল, বেকারি, বিড়ি কারখানা।

কুটিরশিল্প তাঁতশিল্প, স্বর্ণশিল্প, মৃৎশিল্প, লৌহশিল্প, বাঁশের কাজ, সেলাই কাজ। এ উপজেলায় ব্যক্তি উদ্যোগে মধুচাষ করা হয়।

হাটবাজার ও মেলা মধুপুর হাট, জলছত্র হাট, পিরোজপুর হাট, গাঙ্গাইর হাট, গারোবাজার ও মোটের বাজার এবং গোপাল আঙ্গিনার গোষ্ঠযাত্রার মেলা, শোলাকুড়ির বৈশাখী মেলা ও জয়তেঁতুলের দেবতার মেলা উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য  আনারস, কাঁঠাল, রেশম, সিল্ক, ক্যাসাভা, তুলা ও মধু।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৩৭.৯% পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

প্রাকৃতিক সম্পদ মধু, বনৌষধি, ধুপ, শন।

পানীয় জলের উৎস নলকূপ ৯৫.০%, ট্যাপ ০.৪% এবং অন্যান্য ৪.৬%।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ৬৬.৭% পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ২৬.৫% পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৬.৮% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, ইউনিয়ন স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কেন্দ্র ৬, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৬, দাতব্য চিকিৎসালয় ২, মিশনারি হাসপাতাল ১, কুষ্ঠ ব্যাধি হাসপাতাল ১, মাতৃসদন হাসপাতাল ১, ক্লিনিক ৪, নিরাময় কেন্দ্র ১।

এনজিও কারিতাস, ওয়ার্ল্ড ভিশন, প্রশিকা, ব্র্যাক, আশা, ওয়ার্ল্ড টুরিস্ট মিশন, পরিবার ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র। [জয়নাল আবেদীন]

তথ্যসূত্র   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১ ও ২০১১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো;  মধুপুর উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।