ব্লো-আউট: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
২ নং লাইন: ২ নং লাইন:
'''ব্লো-আউট''' (Blow-Out)  অনুসন্ধানকর্ম অথবা উন্নয়ন নিমিত্ত কূপ খননকালে ভূ-পৃষ্ঠের নিম্নস্তর থেকে উঠে আসা অনিয়ন্ত্রিত গ্যাস অথবা তরল প্রবাহের খননকৃত কূপের মাধ্যমে বের হয়ে এসে বিস্ফোরিত হওয়া এবং ধ্বংস হয়ে যাওয়া। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ ধরনের দুর্ঘটনার সাথে অগ্নিকান্ড যুক্ত হয় এবং সম্পদহানির সঙ্গে প্রায়শই জীবনহানি ঘটে থাকে। একটি অনুসন্ধান কূপে তুলনামূলকভাবে উন্নয়ন কূপের চেয়ে ব্লো-আউট বা আকস্মিক বিস্ফোরণের সম্ভাবনা বেশি থাকে, কেননা পূর্বোক্তটির ক্ষেত্রে ভূ-পৃষ্ঠের নিম্নের ভূতাত্ত্বিক অবস্থা অধিকতর অজ্ঞাত থাকে।
'''ব্লো-আউট''' (Blow-Out)  অনুসন্ধানকর্ম অথবা উন্নয়ন নিমিত্ত কূপ খননকালে ভূ-পৃষ্ঠের নিম্নস্তর থেকে উঠে আসা অনিয়ন্ত্রিত গ্যাস অথবা তরল প্রবাহের খননকৃত কূপের মাধ্যমে বের হয়ে এসে বিস্ফোরিত হওয়া এবং ধ্বংস হয়ে যাওয়া। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ ধরনের দুর্ঘটনার সাথে অগ্নিকান্ড যুক্ত হয় এবং সম্পদহানির সঙ্গে প্রায়শই জীবনহানি ঘটে থাকে। একটি অনুসন্ধান কূপে তুলনামূলকভাবে উন্নয়ন কূপের চেয়ে ব্লো-আউট বা আকস্মিক বিস্ফোরণের সম্ভাবনা বেশি থাকে, কেননা পূর্বোক্তটির ক্ষেত্রে ভূ-পৃষ্ঠের নিম্নের ভূতাত্ত্বিক অবস্থা অধিকতর অজ্ঞাত থাকে।


[[Image:MagurchharaBlowOut.jpg|thumb|right|400px|মাগুরছড়া ব্লো-আউট, ১৯৯৭]]
যখন খননকার্যে ব্যবহূত পাইপ চাপ প্রতিরোধক ব্যবস্থা ছাড়া ভূ-পৃষ্ঠের নিচে একটি অগভীর অথবা গভীর চাপযুক্ত গ্যাস এলাকা অথবা একটি অত্যধিক চাপযুক্ত শিলাস্তরে প্রবেশ করে তখন ব্লো-আউট ঘটতে পারে। কারণ, এ অবস্থা ভূগর্ভস্থ গ্যাস অথবা তরলকে শিলাস্তর থেকে খননকূপের পাইপে প্রবেশ করতে সাহায্য করে এবং তা সহজে ভূ-পৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে। ব্লো-আউটের প্রাথমিক সম্ভাব্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে কূপখনন স্থলে তীব্র আলোড়ন, ঘূর্ণায়মান কর্দম প্রবাহ প্রণালীতে গ্যাস সৃষ্ট বুদবুদ এবং কর্দম আধারে ফেরত আসা কাদার আয়তন বৃদ্ধি পাওয়া।
যখন খননকার্যে ব্যবহূত পাইপ চাপ প্রতিরোধক ব্যবস্থা ছাড়া ভূ-পৃষ্ঠের নিচে একটি অগভীর অথবা গভীর চাপযুক্ত গ্যাস এলাকা অথবা একটি অত্যধিক চাপযুক্ত শিলাস্তরে প্রবেশ করে তখন ব্লো-আউট ঘটতে পারে। কারণ, এ অবস্থা ভূগর্ভস্থ গ্যাস অথবা তরলকে শিলাস্তর থেকে খননকূপের পাইপে প্রবেশ করতে সাহায্য করে এবং তা সহজে ভূ-পৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে। ব্লো-আউটের প্রাথমিক সম্ভাব্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে কূপখনন স্থলে তীব্র আলোড়ন, ঘূর্ণায়মান কর্দম প্রবাহ প্রণালীতে গ্যাস সৃষ্ট বুদবুদ এবং কর্দম আধারে ফেরত আসা কাদার আয়তন বৃদ্ধি পাওয়া।


একটি আসন্ন ব্লো-আউট নিয়ন্ত্রণে সর্বাপেক্ষা কার্যকর উপায় হলো ব্লো-আউট প্রতিরোধক (বিওপি) ব্যবহার করে কূপটি বন্ধ করে দেওয়া। আর একটি বিকল্প পথ হলো ঘূর্ণায়মান কাদার ওজন বাড়িয়ে দিয়ে ভূ-পৃষ্ঠের নিচের তরলের চাপ ভারসাম্যপূর্ণ করা, তবে এক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে পর্যাপ্ত সতর্কতা এবং সময়ের প্রয়োজন এই প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করার জন্য।
একটি আসন্ন ব্লো-আউট নিয়ন্ত্রণে সর্বাপেক্ষা কার্যকর উপায় হলো ব্লো-আউট প্রতিরোধক (বিওপি) ব্যবহার করে কূপটি বন্ধ করে দেওয়া। আর একটি বিকল্প পথ হলো ঘূর্ণায়মান কাদার ওজন বাড়িয়ে দিয়ে ভূ-পৃষ্ঠের নিচের তরলের চাপ ভারসাম্যপূর্ণ করা, তবে এক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে পর্যাপ্ত সতর্কতা এবং সময়ের প্রয়োজন এই প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করার জন্য।


পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধানে ব্লো-আউট কদাচিৎ ঘটনা নয়। বাংলাদেশে গত ৯০ বৎসরের অনুসন্ধান কর্মকান্ডের ইতিহাসে কিছু ব্লো-আউটের ঘটনা ঘটেছে।
পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধানে ব্লো-আউট কদাচিৎ ঘটনা নয়। বাংলাদেশে গত ৯০ বৎসরের অনুসন্ধান কর্মকান্ডের ইতিহাসে কিছু ব্লো-আউটের ঘটনা ঘটেছে। প্রথম ঘটনাটি ঘটে ১৯৫৫ সালে সিলেট-১ কূপে। ব্লো-আউটে ধ্বংস হওয়ার পূর্বে কূপটির ২৩৭৯ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। ব্লো-আউটের ফলে একটি বৃহৎ জ্বালামুখের মতো গর্ত সৃষ্টি হয়েছিল এবং পরবর্তীতে কূপ এলাকাটি পানি দ্বারা পূর্ণ হয়ে যায়। এখনও সেখানে গভীর থেকে উঠে আসা গ্যাসীয় বুদবুদ দেখা যায়।
[[Image:MagurchharaBlowOut.jpg|thumb|right|মাগুরছড়া ব্লো-আউট,১৯৯৭
]]
 
প্রথম ঘটনাটি ঘটে ১৯৫৫ সালে সিলেট-১ কূপে। ব্লো-আউটে ধ্বংস হওয়ার পূর্বে কূপটির ২৩৭৯ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। ব্লো-আউটের ফলে একটি বৃহৎ জ্বালামুখের মতো গর্ত সৃষ্টি হয়েছিল এবং পরবর্তীতে কূপ এলাকাটি পানি দ্বারা পূর্ণ হয়ে যায়। এখনও সেখানে গভীর থেকে উঠে আসা গ্যাসীয় বুদবুদ দেখা যায়।


বাংলাদেশের জ্বালানি তেল অনুসন্ধানের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা লক্ষণীয় এবং বহুল পরিচিত ব্লো-আউটের ঘটনা ঘটে ১৯৯৭ সালে। এটি মৌলভীবাজার জেলার মাগুরছড়ায় মৌলভীবাজার কূপ-১ -এ সংঘটিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অক্সিডেন্টাল অয়েল কোম্পানি এই কূপ খনন করছিল। অক্সিডেন্টাল ৮৪০ মি গভীর একটি উল্লম্ব কূপ (vertical well) খনন করার পর কূপটির দিক পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে কূপটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে। কিন্তু যথাযথ চাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকার কারণে কূপটি বন্ধ করার ফলে ৮৪০ মি গভীরতার গ্যাস অঞ্চল থেকে গ্যাস সবেগে খনন পাইপের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং অনিয়ন্ত্রিত প্রচন্ড বেগে গ্যাস ভূ-পৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে। এর ফলে খনন সরঞ্জামসহ খনন এলাকা সার্বিকভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। যদিও কোন জীবনহানি ঘটে নি, কিন্তু কূপ এলাকায় ব্যাপক অগ্নিকান্ড ঘটে, স্থাপনাসমূহের আশেপাশের জঙ্গল ও গাছপালাসমূহ জ্বলে যায়। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গঠিত একটি তদন্ত কমিটির তদন্তে দেখা গেছে, কোম্পানিটিতে কর্মরত কর্মীদের একটি অংশের কর্তব্যে অবহেলার কারণে এই ব্লো-আউটটি ঘটেছিল।  [বদরুল ইমাম]
বাংলাদেশের জ্বালানি তেল অনুসন্ধানের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা লক্ষণীয় এবং বহুল পরিচিত ব্লো-আউটের ঘটনা ঘটে ১৯৯৭ সালে। এটি মৌলভীবাজার জেলার মাগুরছড়ায় মৌলভীবাজার কূপ-১ -এ সংঘটিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অক্সিডেন্টাল অয়েল কোম্পানি এই কূপ খনন করছিল। অক্সিডেন্টাল ৮৪০ মি গভীর একটি উল্লম্ব কূপ (vertical well) খনন করার পর কূপটির দিক পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে কূপটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে। কিন্তু যথাযথ চাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকার কারণে কূপটি বন্ধ করার ফলে ৮৪০ মি গভীরতার গ্যাস অঞ্চল থেকে গ্যাস সবেগে খনন পাইপের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং অনিয়ন্ত্রিত প্রচন্ড বেগে গ্যাস ভূ-পৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে। এর ফলে খনন সরঞ্জামসহ খনন এলাকা সার্বিকভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। যদিও কোন জীবনহানি ঘটে নি, কিন্তু কূপ এলাকায় ব্যাপক অগ্নিকান্ড ঘটে, স্থাপনাসমূহের আশেপাশের জঙ্গল ও গাছপালাসমূহ জ্বলে যায়। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গঠিত একটি তদন্ত কমিটির তদন্তে দেখা গেছে, কোম্পানিটিতে কর্মরত কর্মীদের একটি অংশের কর্তব্যে অবহেলার কারণে এই ব্লো-আউটটি ঘটেছিল।  [বদরুল ইমাম]

০৬:১২, ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

ব্লো-আউট (Blow-Out)  অনুসন্ধানকর্ম অথবা উন্নয়ন নিমিত্ত কূপ খননকালে ভূ-পৃষ্ঠের নিম্নস্তর থেকে উঠে আসা অনিয়ন্ত্রিত গ্যাস অথবা তরল প্রবাহের খননকৃত কূপের মাধ্যমে বের হয়ে এসে বিস্ফোরিত হওয়া এবং ধ্বংস হয়ে যাওয়া। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এ ধরনের দুর্ঘটনার সাথে অগ্নিকান্ড যুক্ত হয় এবং সম্পদহানির সঙ্গে প্রায়শই জীবনহানি ঘটে থাকে। একটি অনুসন্ধান কূপে তুলনামূলকভাবে উন্নয়ন কূপের চেয়ে ব্লো-আউট বা আকস্মিক বিস্ফোরণের সম্ভাবনা বেশি থাকে, কেননা পূর্বোক্তটির ক্ষেত্রে ভূ-পৃষ্ঠের নিম্নের ভূতাত্ত্বিক অবস্থা অধিকতর অজ্ঞাত থাকে।

মাগুরছড়া ব্লো-আউট, ১৯৯৭

যখন খননকার্যে ব্যবহূত পাইপ চাপ প্রতিরোধক ব্যবস্থা ছাড়া ভূ-পৃষ্ঠের নিচে একটি অগভীর অথবা গভীর চাপযুক্ত গ্যাস এলাকা অথবা একটি অত্যধিক চাপযুক্ত শিলাস্তরে প্রবেশ করে তখন ব্লো-আউট ঘটতে পারে। কারণ, এ অবস্থা ভূগর্ভস্থ গ্যাস অথবা তরলকে শিলাস্তর থেকে খননকূপের পাইপে প্রবেশ করতে সাহায্য করে এবং তা সহজে ভূ-পৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে। ব্লো-আউটের প্রাথমিক সম্ভাব্য লক্ষণগুলোর মধ্যে রয়েছে কূপখনন স্থলে তীব্র আলোড়ন, ঘূর্ণায়মান কর্দম প্রবাহ প্রণালীতে গ্যাস সৃষ্ট বুদবুদ এবং কর্দম আধারে ফেরত আসা কাদার আয়তন বৃদ্ধি পাওয়া।

একটি আসন্ন ব্লো-আউট নিয়ন্ত্রণে সর্বাপেক্ষা কার্যকর উপায় হলো ব্লো-আউট প্রতিরোধক (বিওপি) ব্যবহার করে কূপটি বন্ধ করে দেওয়া। আর একটি বিকল্প পথ হলো ঘূর্ণায়মান কাদার ওজন বাড়িয়ে দিয়ে ভূ-পৃষ্ঠের নিচের তরলের চাপ ভারসাম্যপূর্ণ করা, তবে এক্ষেত্রে প্রাথমিক পর্যায়ে পর্যাপ্ত সতর্কতা এবং সময়ের প্রয়োজন এই প্রক্রিয়াকে সক্রিয় করার জন্য।

পেট্রোলিয়াম অনুসন্ধানে ব্লো-আউট কদাচিৎ ঘটনা নয়। বাংলাদেশে গত ৯০ বৎসরের অনুসন্ধান কর্মকান্ডের ইতিহাসে কিছু ব্লো-আউটের ঘটনা ঘটেছে। প্রথম ঘটনাটি ঘটে ১৯৫৫ সালে সিলেট-১ কূপে। ব্লো-আউটে ধ্বংস হওয়ার পূর্বে কূপটির ২৩৭৯ মিটার গভীর পর্যন্ত খনন কাজ সম্পন্ন হয়েছিল। ব্লো-আউটের ফলে একটি বৃহৎ জ্বালামুখের মতো গর্ত সৃষ্টি হয়েছিল এবং পরবর্তীতে কূপ এলাকাটি পানি দ্বারা পূর্ণ হয়ে যায়। এখনও সেখানে গভীর থেকে উঠে আসা গ্যাসীয় বুদবুদ দেখা যায়।

বাংলাদেশের জ্বালানি তেল অনুসন্ধানের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা লক্ষণীয় এবং বহুল পরিচিত ব্লো-আউটের ঘটনা ঘটে ১৯৯৭ সালে। এটি মৌলভীবাজার জেলার মাগুরছড়ায় মৌলভীবাজার কূপ-১ -এ সংঘটিত হয়। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অক্সিডেন্টাল অয়েল কোম্পানি এই কূপ খনন করছিল। অক্সিডেন্টাল ৮৪০ মি গভীর একটি উল্লম্ব কূপ (vertical well) খনন করার পর কূপটির দিক পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নেয়। ফলে কূপটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে। কিন্তু যথাযথ চাপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা না থাকার কারণে কূপটি বন্ধ করার ফলে ৮৪০ মি গভীরতার গ্যাস অঞ্চল থেকে গ্যাস সবেগে খনন পাইপের মধ্যে ঢুকে পড়ে এবং অনিয়ন্ত্রিত প্রচন্ড বেগে গ্যাস ভূ-পৃষ্ঠে বেরিয়ে আসে। এর ফলে খনন সরঞ্জামসহ খনন এলাকা সার্বিকভাবে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়। যদিও কোন জীবনহানি ঘটে নি, কিন্তু কূপ এলাকায় ব্যাপক অগ্নিকান্ড ঘটে, স্থাপনাসমূহের আশেপাশের জঙ্গল ও গাছপালাসমূহ জ্বলে যায়। বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক গঠিত একটি তদন্ত কমিটির তদন্তে দেখা গেছে, কোম্পানিটিতে কর্মরত কর্মীদের একটি অংশের কর্তব্যে অবহেলার কারণে এই ব্লো-আউটটি ঘটেছিল।  [বদরুল ইমাম]