বিভাগীয় কমিশনার: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:
প্রতিটি বিভাগ তিন থেকে চারটি জেলা নিয়ে গঠিত ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় পূর্ব বাংলায় ছিল তিনটি বিভাগ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী। এরপর খুলনাকে রাজশাহী বিভাগ থেকে আলাদা করে নতুন বিভাগ সৃষ্টি করা হয়। বিশ শতকের নববইয়ের দশকে বরিশাল ও সিলেট জেলাকে বিভাগ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। এর ফলে সর্বমোট বিভাগের সংখ্যা দাঁড়ায় ছয়।
প্রতিটি বিভাগ তিন থেকে চারটি জেলা নিয়ে গঠিত ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় পূর্ব বাংলায় ছিল তিনটি বিভাগ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী। এরপর খুলনাকে রাজশাহী বিভাগ থেকে আলাদা করে নতুন বিভাগ সৃষ্টি করা হয়। বিশ শতকের নববইয়ের দশকে বরিশাল ও সিলেট জেলাকে বিভাগ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। এর ফলে সর্বমোট বিভাগের সংখ্যা দাঁড়ায় ছয়।


বিভাগীয় কমিশনারের প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে তাঁর অধীনস্থ বিভাগের সকল ডেপুটি কমিশনারদের রাজস্ব ও প্রশাসন সংক্রান্ত কাজের তদারকি করা। এছাড়াও একজন কমিশনার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকেন। কমিশনার বিশেষ আইনবলে বিভাগের দুনীর্তি দমন কমিটির প্রধান হিসেবে কাজ করেন। জেলা প্রশাসনে পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন সিনিয়র যুগ্মসচিব বা অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সাধারণত কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়।
বিভাগীয় কমিশনারের প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে তাঁর অধীনস্থ বিভাগের সকল ডেপুটি কমিশনারদের রাজস্ব ও প্রশাসন সংক্রান্ত কাজের তদারকি করা। এছাড়াও একজন কমিশনার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকেন। কমিশনার বিশেষ আইনবলে বিভাগের দুনীর্তি দমন কমিটির প্রধান হিসেবে কাজ করেন। জেলা প্রশাসনে পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন সিনিয়র যুগ্মসচিব বা অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সাধারণত কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। [এ.এম.এম শওকত আলী]
 
[এ.এম.এম শওকত আলী]


[[en:Divisional Commissioner]]
[[en:Divisional Commissioner]]

০৮:২৮, ২৪ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

বিভাগীয় কমিশনার  সচিবালয়ের অব্যবহিত পরেই প্রশাসনিক কাঠামোতে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের মধ্যে সর্বোচ্চ পদাধিকারী হচ্ছেন বিভাগীয় কমিশনার। বস্ত্তত বিভাগ হলো মাঠ পর্যায়ের শীর্ষ প্রশাসনিক ইউনিট। কমিশনার পদটি সৃষ্টি হয় ১৮২৯ সালে। ঐ সময় অনুভূত হয় যে, বিভাগীয় রাজস্ব প্রশাসনে কোনো কার্যকর নিয়ন্ত্রণ নেই। এছাড়া বিচারব্যবস্থা ও রাজস্ব পদ্ধতির কাজের মধ্যে সমন্বয় সাধন এবং তত্ত্বাবধানেরও অভাব পরিলক্ষিত হয়। এরকম পরিস্থিতি থেকেই পরবর্তীকালে রাজস্ব বোর্ড বিলুপ্ত করে তার পরিবর্তে কমিশনারের পদ সৃষ্টি করা হয়। ধারণা করা হয় যে, একজন কমিশনার তার অধীনস্থ বিভাগ নিয়মিত পরিদর্শন করলে রাজস্ব বোর্ডের পত্র যোগাযোগের দীর্ঘসূত্রিতা বহুলাংশে হ্রাস পাবে। বাংলাকে ২০টি বিভাগে ভাগ করা হয় এবং বিভাগগুলিতে একজন করে কমিশনার নিয়োগ দেওয়া হয়।

প্রতিটি বিভাগ তিন থেকে চারটি জেলা নিয়ে গঠিত ছিল। ১৯৪৭ সালে ভারত বিভাগের সময় পূর্ব বাংলায় ছিল তিনটি বিভাগ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী। এরপর খুলনাকে রাজশাহী বিভাগ থেকে আলাদা করে নতুন বিভাগ সৃষ্টি করা হয়। বিশ শতকের নববইয়ের দশকে বরিশাল ও সিলেট জেলাকে বিভাগ হিসেবে ঘোষণা দেয়া হয়। এর ফলে সর্বমোট বিভাগের সংখ্যা দাঁড়ায় ছয়।

বিভাগীয় কমিশনারের প্রাথমিক দায়িত্ব হচ্ছে তাঁর অধীনস্থ বিভাগের সকল ডেপুটি কমিশনারদের রাজস্ব ও প্রশাসন সংক্রান্ত কাজের তদারকি করা। এছাড়াও একজন কমিশনার বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকেন। কমিশনার বিশেষ আইনবলে বিভাগের দুনীর্তি দমন কমিটির প্রধান হিসেবে কাজ করেন। জেলা প্রশাসনে পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে এমন সিনিয়র যুগ্মসচিব বা অতিরিক্ত সচিব পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সাধারণত কমিশনার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। [এ.এম.এম শওকত আলী]