বারোবাজার

বারোবাজার  বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নস্থল। প্রত্নস্থলটি সুলতানী আমলের ধ্বংশপ্রাপ্ত ও প্রায় ধ্বংশপ্রাপ্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শনের জন্য বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বিশেষকরে এখানে সুলতানী আমলের প্রায় ধ্বংশপ্রাপ্ত অবস্থায় বেশ কিছু ঢিবি ও স্থাপত্যিক নিদর্শন এখনো বিদ্যমান। প্রত্নস্থলটি যশোর জেলা শহর থেকে ১৬ কিমি উত্তরে এবং কালীগঞ্জ বাজার থেকে ১২ কিমি দক্ষিণে ভৈরব নদীর উত্তর তীরে অবস্থিত। খুলনা-পার্বতীপুর রেল সড়ক এবং যশোর-ঝিনাইদহ প্রধান সড়ক সমান্তরালভাবে বারোবাজারের মধ্যে দিয়ে প্রসারিত। বর্তমানে বারোবাজার একটি সমৃদ্ধ বানিজ্য কেন্দ্র।

বারোবাজার: জোড়বাংলা মসজিদে প্রাপ্ত পোড়ামাটির ফলক

বারোবাজার এবং এর চারপাশে ৩ থেকে ৪ কিমি ব্যাসার্ধের মধ্যে প্রচুর দীঘি এবং সাংস্কৃতিক ঢিবি রয়েছে। ধ্বংসাবশেষগুলোর মধ্যে কেবল বেলাত দৌলতপুর গ্রামে অবস্থিত গোড়ার মসজিদ দুর্বল অবস্থায় টিকে ছিল। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর এই এলাকা অনুসন্ধান করে এবং ১৪টি ঢিবি আবিষ্কার করে। কিন্তু ১৯৮৯ সালে কেবল গোড়ার মসজিদ এবং সাতগাছিয়া গায়েবানা মসজিদ ছাড়া অন্যান্য প্রত্নস্থলগুলো সংরক্ষণের কোন উদ্যোগ নেয়া হয়নি। শেষোক্ত প্রত্নস্থলটি স্থানীয় জনগণ আংশিক উন্মোচন করে নামাজ পড়ার উপযুক্ত করে তোলে। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ১৯৮৯ এ সাতগাছিয়া প্রত্নস্থলের অবশিষ্ট অংশে খনন করে ৩৫ গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদের ধ্বংসাবশেষ উন্মোচন করে। ১৯৯২-৯৩ সালে এলাকাটি পুনরায় জরিপ করে তা সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ঐ বছর জোড়বাংলা, গলাকাটা ও খড়ের দীঘিতে খননকাজ শুরু করা হয়। প্রায় এক দশক খননকার্যের ফলে প্রত্নস্থলে ১৪টি স্থাপত্যিক কাঠামো ও অনেক হস্তান্তরযোগ্য প্রত্নবস্ত্ত আবিষ্কৃত হয়। এগুলো হল মসজিদ, সমাধিক্ষেত্র, করবস্থান, বন্দর, লৌকিক ভবন প্রভৃতি। সাংস্কৃতিক বস্ত্তর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল উৎকীর্ণ লিপি, অলংকৃত ইট, মৃৎপাত্র, পোড়ামাটির ফলক, গুটিকা এবং মৃৎপাত্রের ভাঙা টুকরা।

জোড়বাংলা মসজিদ  বেলাত দৌলতপুর গ্রামে জোড়বাংলা ঢিবিটির অবস্থান। প্রত্নস্থলটি খননের ফলে সুলতানী আমলের এক গম্বুজ বিশিষ্ট মসজিদের ধ্বংসাবশেষ উন্মোচিত হয়। বর্গাকার মসজিদটির (প্রার্থনা কক্ষ) বাইরের দিকের পরিমাপ ৯.৪৪ মি × ৯.৪৪ মি। মসজিদের দেয়ালগুলো ১.৪২ মি প্রশস্ত। মসজিদের চারকোণে চারটি অষ্টকোনাকার বুরুজ রয়েছে। পশ্চিম দেয়ালে আছে তিনটি মিহরাব। বহুভাঁজ বিশিষ্ট খিলানযুক্ত মিহরাবগুলো ফুলেল এবং জ্যামিতিক নকশা দ্বারা চমৎকারভাবে সুসজ্জিত। পশ্চিম দেয়ালের সমান্তরালে পূর্ব দেয়ালেও তিনটি খিলানযুক্ত প্রবেশপথ রয়েছে। প্রতিটি পার্শ্ব দেয়ালে জানালার পরিবর্তে বড় কুলুঙ্গির সুস্পষ্ট নিদর্শন ছিল। প্রার্থনা কক্ষের চারদিকের বারান্দা এবং দক্ষিণ বারান্দায় ৫টি কবর ছিল। বারান্দার মূল মেঝে কেটে পরবর্তী যুগে এখানে মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হত। উত্তর রক্ষাপ্রাচীরের পূর্ব পাশে একটি প্রবেশপথ নির্মাণ করা হয়েছিল। বর্তমানে প্রবেশপথের নিম্নাংশ টিকে আছে। প্রবেশ পথের সামনে সিঁড়ি ছিল। প্রবেশপথের সামনে এক মিটার প্রশস্ত একটি পথ পুকুর ঘাট পর্যন্ত প্রসারিত ছিল। সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ প্রাপ্ত প্রত্নবস্ত্তর মধ্যে ছিল আরবী লিপি সম্বলিত কয়েকটি টুকরা ইট। এ পর্যন্ত সাতটি টুকরা উদ্ধার করা হয়েছে। তন্মধ্যে একটি পূর্ণাঙ্গ অবয়বে পাওয়া গিয়েছে, অন্যগুলো ভগ্নবস্থায়। সবগুলো পাওয়া না যাওয়ায় এর সম্পূর্ণ পাঠোদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। অসম্পূর্ণ লিপির পাঠোদ্ধারে মসজিদের নির্মাণ সংক্রান্ত একটি হাদিস সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। মসজিদটি সুলতান হোসেন শাহের পুত্র সুলতান গিয়াস উদ্দীন মাহমুদ শাহ এর সময়ে নির্মিত হয়।

গলাকাটা ঢিবি  জোড়বাংলা ঢিবির প্রায় ১০০ মি পূর্ব, উত্তর-পূর্ব দিকে অবস্থিত। ঢিবির দক্ষিণে বারোবাজার-হাশিমপুর পাকা সড়ক এবং উত্তরে এই এলাকার সর্ববৃহৎ গলাকাটা দীঘিটির অবস্থান। আয়তাকার অনুচ্চ ঢিবিটির পরিমাপ ১৮ মি × ১২ মি। এর অসমান শীর্ষভাগ পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ২.৫ মি উচু। ১৯৯৩ সালে প্রত্নস্থল খননের ফলে এখানে একটি মসজিদের ধ্বংসাবশেষ উন্মোচিত হয়। আয়তাকার ইমারতটির বাইরের পরিমাপ ১১.৯৬ মি × ৮.৫৭ মি এবং ভিতরের পরিমাপ ৯.৩০ মি × ৫.৯১ মি। এর দেয়াল ১.৩৩ মি পুরু। মসজিদটির ৪ কোণ অষ্টভূজাকার বুরুজ দ্বারা সুশোভিত যেগুলো সুষম ব্যবধানে আনুভূমিক বন্ধনী ও ছাঁচে তৈরি অফসেট দ্বারা সুসজ্জিত।

মসজিদের পশ্চিম দেয়ালে তিনটি মিহরাব রয়েছে। মিহরাবগুলো অলংকৃত ইট দ্বারা সুসজ্জিত। মসজিদের উত্তর ও দক্ষিণ দেয়ালের প্রতিটিতে দুটি করে জালিবিশিষ্ট জানালা আছে। পূর্ব দেয়ালে তিনটি খিলানযুক্ত প্রবেশপথ ও মসজিদের ভিতরে ২.৯৮ মি ব্যবধানে দুটি বহুভুজাকার পাথরের স্তম্ভ রয়েছে। প্রার্থনাকক্ষের সম্মুখে একটি বারান্দা আছে যা সম্ভবত পুননির্মিত হয়েছে। স্থানীয়ভাবে গলাকাটা দিঘি নামে পরিচিত পুকুরে ইট বাঁধানো ঘাট উন্মোচিত হয়েছে। ঘাটটি মসজিদ থেকে প্রায় ৩০ মি উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত।

পীর পুকুর মসজিদ  পীরপুকুর প্রত্নস্থলের পশ্চিমে এর অবস্থান। ১৯৯৪ সালে খননের ফলে এ স্থানে ১৮.৪০ মি × ১০.৮৫ মি পরিমাপের ১৫ গম্বুজ বিশিষ্ট একটি মসজিদের ধ্বংসাবশেষ উন্মোচিত হয়। গম্বুজগুলির সবই ধ্বংসপ্রাপ্ত। শুধুমাত্র মসজিদের দেয়ালগুলি নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত টিকে আছে। মসজিদটির চার কোণে অলংকৃত অষ্টভুজ কৌণিক বুরুজ সুষম ব্যবধানে আনুভূমিক বন্ধনী দ্বারা সজ্জিত ছিল।

নূনগোলা মসজিদ  বারোবাজার ইউনিয়নের হাসিলবাগ গ্রামে পীরপুকুর মসজিদ থেকে প্রায় ২০০ মি দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। ঢিবির পূর্ব দিকে নূনগোলা দিঘি নামে পরিচিত একটি বড় আয়তাকার পুকুর আছে। ১৯৯৪ সালের খননের ফলে এখানে এক গম্বুজ বিশিষ্ট একটি বর্গাকার মসজিদ উন্মোচিত হয়। মসজিদের প্রতি বাহু অভ্যন্তরভাগে ৬.৮০ এবং বহির্ভাগে ৯.১৮ মি দীর্ঘ।

মসজিদের গম্বুজটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বংসপ্রাপ্ত এবং বর্তমানে দেয়ালগুলো নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত টিকে আছে। কিবলা দেয়ালে অর্ধবৃত্তাকার তিনটি মিহরাব ছিল। মিহরাবগুলো ফুল, লতাপাতার নকশা দ্বারা সজ্জিত।

মসজিদের ভিতরে একটি পর্দা দেয়াল কোণের ৪টি ‘বে’ কে পৃথক করেছে। এটাকে রাজকীয় গ্যালারি (বাদশাহ-কি-তখত) বলে অনুমান করা যেতে পারে। এ ছাড়া মসজিদের বাইরে উত্তর-পশ্চিম কোণে একটি কক্ষ নির্মাণ করা হয়েছিল। সম্ভবত মসজিদ নির্মাণকালেই কক্ষটি নির্মাণ করা হয়েছিল। কক্ষের পশ্চিম দেয়ালে ২.০৫ মি প্রশস্ত একটি প্রবেশ পথ আছে। দেয়ালে এখন শামুকের চিহ্ন দৃশ্যমান।

পাঠাগার মসজিদ  মিঠাপুকুর মৌজায় একটি ছোট ও অনুচ্চ ঢিবি। আয়তাকার ঢিবিটির পরিমাপ ১৫ মি × ১২ মি। ১৯৯৫ সালে খননের ফলে বহির্ভাগে ৬.৯ মি × ৬.৯ মি পরিমাপের একটি বর্গাকার মসজিদের ধ্বংসাবশেষ উন্মোচিত হয়। মসজিদের দেয়াল ১.৩৮ মি পুরু। মসজিদটির উপরের অংশে ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত।

শুকুর মল্লিক মসজিদ প্রত্নস্থলটি হাসিলবাগ মৌজায় অবস্থিত। এটি বারোবাজার থেকে ৩০০ মি দক্ষিণে। মোচাকৃতি ঢিবিটি আনুমানিক ১২ মি × ১০ মি পরিমাপের। পার্শ্ববর্তী কৃষিজমি থেকে এর শীর্ষ প্রায় ৩ মি উচু।

১৯৯৬ সালের খননে বহির্দিকে ৬ মি × ৬ মি পরিমাপের এক গম্বুজ বিশিষ্ট একটি বর্গাকার মসজিদের ধ্বংসাবশেষ উন্মুক্ত হয়েছে। এর দেয়াল ১.২২ মি পুরু। গম্বুজ বিলুপ্ত এবং দেয়াল নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল। এর ৪টি অষ্টভুজ কৌণিক মিনার নির্দিষ্ট উচ্চতা পর্যন্ত টিকে আছে। ভবনটির পূর্বদিকে একটি প্রবেশপথ। কিবলা দেয়ালে একটি অর্ধাবৃত্তাকার মিহরাব এবং এর উভয় পাশে একটি করে বন্ধ মিহরাব আছে। কেন্দ্রীয় মিহরাবটি বহির্দিকে উদগত, ১.৫০ মি প্রশস্ত এবং ৪৯ সেমি গভীর।

ঘোপের ঢিবি  বারোবাজার মৌজার গোবিনাথপুর গ্রামে ভৈরব নদীর ডান তীরে ছোট ও অনুচ্চ ঢিবিটির অবস্থান। ঢিবিটির পরিমাপ প্রায় ২০ মি × ২০ মি। ১৯৯৫ সালের সংক্ষিপ্ত খননে এখানে একটি কবরস্থানের ধ্বংসাবশেষ উন্মোচিত হয়েছে।

সাতগাছিয়া গায়েবানা মসজিদ  বারোবাজার থেকে ৬ কিমি পশ্চিমে এবং বারোবাজার-হাশিমপুর সড়ক থেকে ২০০ মি উত্তরে সাতগাছিয়া গ্রামে প্রত্নস্থলটি অবস্থিত। প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর ১৯৯০ সালে এ স্থান খনন করে ৩৫ গম্বুজ বিশিষ্ট একটি আয়তাকার মসজিদের ধংসাবশেষ উন্মোচন করে। মসজিদটির পরিমাপ ২৪.২৫ মি × ১৮.৫৫ মি।

জাহাজঘাটা  প্রত্নস্থলটি ভৈরব নদীর উত্তর তীরে হাসিলবাগ গ্রামে অবস্থিত। ১৯৯৭ সালে খননের ফলে এখানে একটি চতুর্ভুজাকার কাঠামোর ধ্বংসাবশেষ উন্মোচিত হয়েছে। এই কাঠামোর ধ্বংসাবশেষ ছাড়া কোন গুরুত্বপূর্ণ প্রত্নবস্ত্ত উদ্ধার হয়নি। কিন্তু নদী তীরের খুব কাছেই এই কাঠামোর অস্তিত্ব, কাঠামোর প্রকৃতি এবং উপাখ্যান থেকে ধারণা করা যায় যে এটি হয়ত মুহাম্মাবাদ শহরের একটি বন্দর ছিল।

নামাজগাঁও  প্রত্নস্থলটি গলাকাটা মসজিদ থেকে ১ মি উত্তরে বেলাত দৌলতপুর গ্রামে অবস্থিত। এটি একটি আয়তাকার ঢিবি যার পরিমাপ ৪৮মি × ৪১ মি এবং এর সর্বোচ্চ শীর্ষ পার্শ্ববর্তী জমি থেকে ২ মি উঁচু। ঢিবিটির পূর্বদিকে গ্রামবাসীরা একটি ঈদগাহ তৈরি করে। ফলে স্থানটি নামাজগাঁও নামে পরিচিত হয়।

১৯৯৭ সালের খননে এখানে ৭টি ইট নির্মিত কবর সহ একটি সমাধিক্ষেত্রের ধ্বংসাবশেষ উন্মুক্ত হয়। ২০০১ সালের খননে ৩৬ মি × ২৪ মি জায়গা জুড়ে বিস্তৃত একটি সমাধিক্ষেত্রের ধ্বংসাবশেষও উন্মোচিত হয়েছে। এতে ১৬টি ইট নির্মিত কবর, ১টি কাচা কবর ও ১টি ইট বিছানো উন্মুক্ত অঙ্গন রয়েছে। ইটের তৈরি কবরগুলি দুই ধরনের- ধনুকাকৃতির ছাদ বিশিষ্ট ও করবেল ছাদ বিশিষ্ট। প্রথম প্রকার কবর ১১টি ও দ্বিতীয় প্রকার কবর ৫টি।

গোড়ার মসজিদ  বেলাত দৌলতপুর মৌজায় অবস্থিত। বারান্দাসহ বর্গাকৃতি মসজিদটির বাইরের দিকের পরিমাপ ১২.২৪ মি × ৮.২৩ মি। মসজিদটি বারোবাজারের একমাত্র টিকে থাকা প্রত্নচিহ্ন। গম্বুজসহ মূল প্রার্থনা কক্ষটি টিকে ছিল। কিন্তু তিনটি ছোট গম্বুজসহ বারান্দাটি সম্পূর্ণরূপে ধ্বসে পড়ে যা পরবর্তীতে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তর পুনর্গঠন করে। প্রার্থনা কক্ষ বা নামাজ ঘরের সাথে সংযুক্ত কৌণিক মিনারগুলি অষ্টভুজাকার কিন্তু বারান্দার সাথে সংযুক্ত ২টি মিনার প্রতি বাহুতে কৌণিক উদগত অংশসহ বর্গাকার। এ ধরনের মিনার সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের প্রবাজপুর মসজিদে এবং ফরিদপুরের পাতরাইলের মসজিদ আউলিয়া মসজিদে দেখতে পাওয়া যায়। মসজিদের পূর্বদিকে তিনটি এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিকে দুইটি খিলানযুক্ত প্রবেশ পথ আছে। কেন্দ্রীয় প্রবেশপথটি বড়। মসজিদের চার দেয়ালে আছে আটটি সংযুক্ত স্তম্ভ। তার মধ্যে ৪টি পাথরের ও অবশিষ্ট ৪টি ইটের স্তম্ভ। কিবলা দেয়ালে আছে পর্যাপ্ত অলংকরণ সমৃদ্ধ ৩টি অর্ধবৃত্তাকার মিহরাব। কেন্দ্রীয় মিহরাবটি বড়। মিহরাবগুলির উভয়পাশে দুইটি ছোট স্তম্ভ আছে এবং এদের শীর্ষদেশ বহু খাঁজ বিশিষ্ট। প্রতিটি মিহরাব পরস্পর গ্রথিত পোড়ামাটির অলংকরণ সমৃদ্ধ। আবর্তগুলিতে আছে ফুল ও লতাপাতার নকশা। মিহরাবগুলির কাঠামোর উপর মারলন রয়েছে এবং কেন্দ্রীয় মিহরাবটির শীর্ষে কলসের নকশা রয়েছে।  [শফিকুল আলম]