বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৪ নং লাইন: ৪ নং লাইন:
বাস্থবক পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) পদ্ধতিতেও স্থলবন্দর অবকাঠামো গড়ে তোলাকে উৎসাহিত করছে এবং ইতিমধ্যে সে পদ্ধতিতে বেশ কয়েকটি স্থলবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ব্যাপক অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রসারিত হবে এবং কর্মসংস্থান বাড়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এভাবে বাস্থবক দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটা বিশেষ অবদান রাখতে পারবে বলে আশাবাদী। বাস্থবকের মূখ্য কার্যক্রমগুলির মধ্যে রয়েছে বন্দর অবকাঠামো উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা, প্রযোজনের ভিত্তিতে অধিকতর উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বন্দরব্যস্থাপনার নীতি ও কৌশল প্রণয়ন; স্থল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি পণ্য গ্রহণ, সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান এবং খালাস এর ব্যবস্থাকরণ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বন্দর ব্যবহারকারীদের নিকট থেকে আদায়যোগ্য ফিস, টোল, ট্রাক্স ও ট্যারিফ এর হার বা পরিমাণ ধার্যকরণ এবং সরকারের অনুমোদনক্রমে কোন পক্ষের সাথে স্থলবন্দর উন্নয়ন ও উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে যে কোন চুক্তি সম্পাদন।  [মোহাম্মদ আবদুল মজিদ]
বাস্থবক পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) পদ্ধতিতেও স্থলবন্দর অবকাঠামো গড়ে তোলাকে উৎসাহিত করছে এবং ইতিমধ্যে সে পদ্ধতিতে বেশ কয়েকটি স্থলবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ব্যাপক অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রসারিত হবে এবং কর্মসংস্থান বাড়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এভাবে বাস্থবক দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটা বিশেষ অবদান রাখতে পারবে বলে আশাবাদী। বাস্থবকের মূখ্য কার্যক্রমগুলির মধ্যে রয়েছে বন্দর অবকাঠামো উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা, প্রযোজনের ভিত্তিতে অধিকতর উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বন্দরব্যস্থাপনার নীতি ও কৌশল প্রণয়ন; স্থল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি পণ্য গ্রহণ, সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান এবং খালাস এর ব্যবস্থাকরণ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বন্দর ব্যবহারকারীদের নিকট থেকে আদায়যোগ্য ফিস, টোল, ট্রাক্স ও ট্যারিফ এর হার বা পরিমাণ ধার্যকরণ এবং সরকারের অনুমোদনক্রমে কোন পক্ষের সাথে স্থলবন্দর উন্নয়ন ও উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে যে কোন চুক্তি সম্পাদন।  [মোহাম্মদ আবদুল মজিদ]


[[en:Bangaldesh Land Ports Authority]]


[[en:Bangaldesh Land Ports Authority]]
[[en:Bangladesh Land Ports Authority]]
 
[[en:Bangaldesh Land Ports Authority]]
 
[[en:Bangaldesh Land Ports Authority]]
 
[[en:Bangaldesh Land Ports Authority]]

১০:৪৪, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ (বাস্থবক)  নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন একটি স্বায়ত্তশাসিত সংস্থা। ২০০১ সালের ২০ নং আইনের দ্বারা এটি প্রতিষ্ঠিত হয়। ভারত, নেপাল, ভূটান, মায়ানমারের মতো প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে সীমান্তে অবস্থিত স্থলবন্দরসমূহ দিয়ে বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক/ত্রিপাক্ষিক আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য পরিচালনায় অবকাঠামোগত সুযোগ-সুবিধা সৃষ্টি ও বন্দর ব্যবস্থাপনার উদ্দেশ্যে এটি গঠিত। দেশের ৪২৪৬ কিলোমিটার স্থল ও নৌ সীমান্তে (যার মধ্যে শতকরা ৯৪ ভাগ সীমান্ত ভারতের সাথে বাকী ৬ ভাগ মায়ানমারের সাথে) অবস্থিত ১৮১টি শুল্ক স্টেশনের মধ্যে ১৩টি প্রধান স্টেশনে স্থলবন্দর অবকাঠামো গড়ে তোলা ও নিয়ন্ত্রণের দায়িত্ব অর্পিত হয়েছে বাস্থবকের ওপর। এর মধ্যে বেনাপোল স্থল বন্দরের কার্যক্রম বাস্থহবকের নিজস্ব নিয়ন্ত্রণ ও ব্যবস্থাপনায় শুরু হয় ২০০১ সালে। টেকনাফ, সোনামসজিদ ও হিলি এই তিন স্থলবন্দরের কাজ শুরু হয়েছে যথাক্রমে ২০০৪, ২০০৬ ও ২০০৭ সালে। এই স্থলবন্দর তিনটির আবকাঠামো নির্মাণ ও ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নির্মাণ, পরিচালনা ও হস্তান্তর (বিল্ড, অপারেট অ্যান্ড ট্রান্সফার) ভিত্তিতে বেসরকারি কোম্পানির কাছে দেওয়া হয়েছে যারা ইতিমধ্যে এ খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে। প্রতিষ্ঠালাভের ছয় বছরের মধ্যে বাস্থবক স্থলবন্দর ব্যবহার বাবদ প্রায় ৩১ কোটি টাকার রাজস্ব আয় করে সরকারের কোষাগারে জমা দিয়েছে। এ ছাড়া ইতিমধ্যে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষভাবে প্রায় দশ হাজার পরিবারের কর্মসংস্থানের সুযোগও সৃষ্টি হয়েছে। বাকী নয়টি স্থলবন্দর নির্মাণ ও নিয়ন্ত্রণের কার্যক্রম পর্য়ায়ক্রমে নেওয়া হচ্ছে। বাস্থবক প্রতিবেশী দেশগুলির সাথে বিনিময় বাণিজ্যবৃদ্ধিতে উন্নত বন্দরসুবিধা ও  যোগাযোগ ব্যবস্থা সম্প্রসারণে বিশেষ অবদান রাখছে। যদিও বড় প্রতিবেশী অর্থনীতির দেশ ভারতের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্যিক ভারসাম্যে এখনো বড় ধরনের ব্যবধান বিদ্যমান তবুও স্থল বন্দরের মাধ্যমে দু’দেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে উৎসাহব্যঞ্জক পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে চোরাচালানের মাত্রা কমে আসবে এবং এর ফলে বাণিজ্যিক ভারসাম্য পরিস্থিতিরও উন্নতি ঘটবে।

বাস্থবক পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশীপ (পিপিপি) পদ্ধতিতেও স্থলবন্দর অবকাঠামো গড়ে তোলাকে উৎসাহিত করছে এবং ইতিমধ্যে সে পদ্ধতিতে বেশ কয়েকটি স্থলবন্দর নির্মাণের লক্ষ্যে পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এর ফলে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলেও ব্যাপক অর্থনৈতিক কার্যক্রম প্রসারিত হবে এবং কর্মসংস্থান বাড়ার সুযোগ সৃষ্টি হবে। এভাবে বাস্থবক দারিদ্র্য বিমোচনের মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে একটা বিশেষ অবদান রাখতে পারবে বলে আশাবাদী। বাস্থবকের মূখ্য কার্যক্রমগুলির মধ্যে রয়েছে বন্দর অবকাঠামো উন্নয়ন, ব্যবস্থাপনা, প্রযোজনের ভিত্তিতে অধিকতর উন্নয়নের পদক্ষেপ গ্রহণ এবং বন্দরব্যস্থাপনার নীতি ও কৌশল প্রণয়ন; স্থল বন্দরে আমদানি-রপ্তানি পণ্য গ্রহণ, সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা বিধান এবং খালাস এর ব্যবস্থাকরণ, সরকারের পূর্বানুমোদনক্রমে বন্দর ব্যবহারকারীদের নিকট থেকে আদায়যোগ্য ফিস, টোল, ট্রাক্স ও ট্যারিফ এর হার বা পরিমাণ ধার্যকরণ এবং সরকারের অনুমোদনক্রমে কোন পক্ষের সাথে স্থলবন্দর উন্নয়ন ও উদ্দেশ্য পূরণকল্পে পদক্ষেপ গ্রহণের লক্ষ্যে যে কোন চুক্তি সম্পাদন।  [মোহাম্মদ আবদুল মজিদ]