বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটি
বাংলাদেশ ফার্মাসিউটিক্যাল সোসাইটি ঔষধ প্রস্ত্ততকারী এবং ফার্মাসিস্টদের উদ্যোগে ১৯৭২ সালে প্রতিষ্ঠিত। প্রাথমিকভাবে এর লক্ষ্য ছিল বাংলাদেশে ঔষধ সম্পর্কিত পেশার উন্নয়ন এবং জাতীয় স্বাস্থ্যনীতিতে কার্যত এবং অর্থবহুল কিছু নিয়মনীতি প্রয়োগ করা। সোসাইটির প্রধান কার্যালয় ঢাকায় অবস্থিত।
সোসাইটির গুরুত্বপূর্ণ কর্মকান্ডের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো ১. ঔষধ শিল্পের সাধারণ উন্নয়নের পাশাপাশি বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা; ২. ঔষধ প্রস্ত্ততকরণে উন্নয়নমূলক গবেষণায় উৎসাহ প্রদান করা; ৩. বাংলাদেশে ফার্মেসি পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের প্রশিক্ষণ দেওয়া ও পেশাগত নৈপুণ্য অর্জনে সহায়তা করা; ৪. সোসাইটির তত্ত্বাবধানে পরীক্ষা পরিচালনা করা এবং যোগ্য প্রার্থীদের সার্টিফিকেট ও ডিপ্লোমা প্রদান করা; ৫. প্রয়োজনে ফার্মেসি আইনের পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা; ৬. ঔষধ প্রস্ত্ততকারী প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নের বিষয়ে মাঠপর্যায়ে গবেষণা, কনফারেন্স, সিম্পোজিয়াম, সেমিনার ইত্যাদির আয়োজন করা; ৭. জার্নাল, বই, ম্যাগাজিন, ডকুমেন্ট ইত্যাদি প্রকাশ করা; ৮. ফামের্সির ক্ষেত্রে অভ্যন্তরীণ সম্পর্কের উন্নয়ন এবং বিদেশী ঔষধ প্রস্ত্ততকারী সংস্থাগুলির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করা; ৯. ফার্মেসি বিষয়ে গবেষণার জন্য রিসার্চ ফেলোশিপ, সহায়ক অনুদান, বৃত্তি, পুরস্কার ইত্যাদি প্রদান করা; এবং ১০. দেশীয় ঔষধসহ বিভিন্ন ঔষধের মান নির্ণয়ের জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা।
সোসাইটিতে চার ধরনের সদস্য রয়েছে সাধারণ সদস্য, জীবন সদস্য, সম্মানসূচক সদস্য এবং সহযোগী সদস্য। যে-কোন স্বীকৃত দেশীয় অথবা বিদেশী প্রতিষ্ঠান থেকে ফার্মেসি গ্রাজুয়েট নির্ধারিত ফি প্রদান করে সাধারণ সদস্য বা জীবন সদস্য পদ লাভ করতে পারেন। সম্মানসূচক সদস্যরা কিছু গুরুত্বপূর্ণ পদের অধিকারী ব্যক্তি। ফার্মেসি বা সম্পৃক্ত যে-কোন ক্ষেত্রে তাদের উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য সোসাইটির নির্বাহী কাউন্সিল তাদের নির্বাচিত করেন। যেসব ব্যক্তি ফার্মেসি গ্রাজুয়েট নন কিন্তু ফার্মেসি পেশা এবং ঔষধ বিপণনের সঙ্গে যুক্ত, তারা সহযোগী সদস্যপদ লাভের যোগ্যতা অর্জন করেন।
প্রশাসনিকভাবে সোসাইটির দায়িত্ব পালন করেন নির্বাহী কাউন্সিল, যাতে রয়েছে একজন সভাপতি, দুজন সহ-সভাপতি, একজন সাধারণ সম্পাদক, একজন প্রকাশনা সম্পাদক এবং ১০ জন সদস্য। প্রেসিডেন্ট এবং নির্বাহী কাউন্সিলের ১৮ জন সদস্য ৩ বছর সময়কালের জন্য সাধারণ সদস্যদের দ্বারা নির্বাচিত হন। [আবদুল গণি]