বাংলাদেশ কীটতত্ত্ব সমিতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''বাংলাদেশ কীটতত্ত্ব সমিতি ''' (Bangladesh Entomological Society)  ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের কীটতত্ত্ববিদদের নিয়ে গঠিত একটি সংগঠন। গঠনতন্ত্রে প্রধান কার্যালয় হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ অথবা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, জয়দেবপুর অথবা বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, জয়দেবপুর ব্যবহারের ব্যবস্থা থাকলেও বর্তমানে এটি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে অবস্থিত।
'''বাংলাদেশ কীটতত্ত্ব সমিতি''' (Bangladesh Entomological Society)  ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের কীটতত্ত্ববিদদের নিয়ে গঠিত একটি সংগঠন। গঠনতন্ত্রে প্রধান কার্যালয় হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ অথবা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, জয়দেবপুর অথবা বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, জয়দেবপুর ব্যবহারের ব্যবস্থা থাকলেও বর্তমানে এটি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে অবস্থিত।


কীটতত্ত্ব বিষয়ের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে গবেষণায় অনুপ্রেরণা যোগানোই সমিতির প্রধান লক্ষ্য। জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমিতির সঙ্গেও এই সংস্থা যোগাযোগ রক্ষা করে। বাংলাদেশের কীটতত্ত্ববিদদের পেশাগত স্বার্থরক্ষাও এই সমিতির আরেকটি উদ্দেশ্য। তাত্ত্বিক ও ফলিত কীটতত্ত্ব সম্পর্কে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও সভা অনুষ্ঠান ছাড়া সমিতির উদ্যোগে একটি ষাণ্মাসিক সাময়িকী Bangladesh Journal of Entomology প্রকাশিত হয়।
কীটতত্ত্ব বিষয়ের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে গবেষণায় অনুপ্রেরণা যোগানোই সমিতির প্রধান লক্ষ্য। জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমিতির সঙ্গেও এই সংস্থা যোগাযোগ রক্ষা করে। বাংলাদেশের কীটতত্ত্ববিদদের পেশাগত স্বার্থরক্ষাও এই সমিতির আরেকটি উদ্দেশ্য। তাত্ত্বিক ও ফলিত কীটতত্ত্ব সম্পর্কে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও সভা অনুষ্ঠান ছাড়া সমিতির উদ্যোগে একটি ষাণ্মাসিক সাময়িকী Bangladesh Journal of Entomology প্রকাশিত হয়।


সমিতিতে চার ধরনের সদস্য আছেন: সাধারণ, সহযোগী, আজীবন ও সম্মানসূচক। যে কোন বিজ্ঞান স্নাতক বা কীটতত্ত্বে উৎসাহী কোন বিশেষজ্ঞ সদস্যপদ লাভের যোগ্য। কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে দেশ ও বিদেশের নামী কীটতত্ত্ববিদদের সম্মানসূচক সদস্যপদ দেওয়া হয়। সমিতির সদস্য সংখ্যা বর্তমানে দুই শতাধিক; তাদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য পেশাদারি সংস্থায় কর্মরত। সভাপতি, একজন জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি, একজন সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষসহ ১৭ সদস্যের একটি কার্যনির্বাহী পরিষদ সমিতি পরিচালনা করে। সম্পাদকসহ পাঁচ সদস্যের একটি পৃথক সম্পাদনা পরিষদের ওপর সমিতির জার্নাল ও অন্যান্য প্রকাশনার দায়িত্ব ন্যস্ত।
সমিতিতে চার ধরনের সদস্য আছেন: সাধারণ, সহযোগী, আজীবন ও সম্মানসূচক। যে কোন বিজ্ঞান স্নাতক বা কীটতত্ত্বে উৎসাহী কোন বিশেষজ্ঞ সদস্যপদ লাভের যোগ্য। কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে দেশ ও বিদেশের নামী কীটতত্ত্ববিদদের সম্মানসূচক সদস্যপদ দেওয়া হয়। সমিতির সদস্য সংখ্যা বর্তমানে দুই শতাধিক; তাদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য পেশাদারি সংস্থায় কর্মরত। সভাপতি, একজন জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি, একজন সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষসহ ১৭ সদস্যের একটি কার্যনির্বাহী পরিষদ সমিতি পরিচালনা করে। সম্পাদকসহ পাঁচ সদস্যের একটি পৃথক সম্পাদনা পরিষদের ওপর সমিতির জার্নাল ও অন্যান্য প্রকাশনার দায়িত্ব ন্যস্ত। [এস.এম হুমায়ুন কবির]


[এস.এম হুমায়ুন কবির]
''আরও দেখুন'' [[বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতি|বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতি]]।
 
''আরও দেখুন'' বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতি।


[[en:Bangladesh Entomological Society]]
[[en:Bangladesh Entomological Society]]

০৬:০২, ২২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

বাংলাদেশ কীটতত্ত্ব সমিতি (Bangladesh Entomological Society)  ১৯৯০ সালে প্রতিষ্ঠিত দেশের কীটতত্ত্ববিদদের নিয়ে গঠিত একটি সংগঠন। গঠনতন্ত্রে প্রধান কার্যালয় হিসেবে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহ অথবা বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট, জয়দেবপুর অথবা বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউট, জয়দেবপুর ব্যবহারের ব্যবস্থা থাকলেও বর্তমানে এটি বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে অবস্থিত।

কীটতত্ত্ব বিষয়ের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে গবেষণায় অনুপ্রেরণা যোগানোই সমিতির প্রধান লক্ষ্য। জীববিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সমিতির সঙ্গেও এই সংস্থা যোগাযোগ রক্ষা করে। বাংলাদেশের কীটতত্ত্ববিদদের পেশাগত স্বার্থরক্ষাও এই সমিতির আরেকটি উদ্দেশ্য। তাত্ত্বিক ও ফলিত কীটতত্ত্ব সম্পর্কে সেমিনার, সিম্পোজিয়াম, দ্বিবার্ষিক সম্মেলন ও সভা অনুষ্ঠান ছাড়া সমিতির উদ্যোগে একটি ষাণ্মাসিক সাময়িকী Bangladesh Journal of Entomology প্রকাশিত হয়।

সমিতিতে চার ধরনের সদস্য আছেন: সাধারণ, সহযোগী, আজীবন ও সম্মানসূচক। যে কোন বিজ্ঞান স্নাতক বা কীটতত্ত্বে উৎসাহী কোন বিশেষজ্ঞ সদস্যপদ লাভের যোগ্য। কার্যনির্বাহী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে দেশ ও বিদেশের নামী কীটতত্ত্ববিদদের সম্মানসূচক সদস্যপদ দেওয়া হয়। সমিতির সদস্য সংখ্যা বর্তমানে দুই শতাধিক; তাদের অধিকাংশই বিশ্ববিদ্যালয়, গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও অন্যান্য পেশাদারি সংস্থায় কর্মরত। সভাপতি, একজন জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি, একজন সহ-সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও কোষাধ্যক্ষসহ ১৭ সদস্যের একটি কার্যনির্বাহী পরিষদ সমিতি পরিচালনা করে। সম্পাদকসহ পাঁচ সদস্যের একটি পৃথক সম্পাদনা পরিষদের ওপর সমিতির জার্নাল ও অন্যান্য প্রকাশনার দায়িত্ব ন্যস্ত। [এস.এম হুমায়ুন কবির]

আরও দেখুন বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতি