বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট
বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট আখসহ দেশের অন্যান্য চিনি উৎপাদনকারী শস্যের গবেষণার দায়িত্বে নিয়োজিত একটি স্বায়ত্তশাসিত জাতীয় প্রতিষ্ঠান। এটি ঢাকার ১৯০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে পাবনা জেলার ঈশ্বরদীতে অবস্থিত। ১৯৩১ সালে ঢাকায় প্রতিষ্ঠিত ইক্ষু চারা পরীক্ষা কেন্দ্র (Sugarcane Seedling Testing Station) আজকের বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটে উন্নীত হয়েছে। ১৯৫১ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমান বাংলাদেশ) সরকারের কৃষি বিভাগের অধীনে ইক্ষু গবেষণা স্টেশন প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৭৩ সালে স্টেশনটি কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে শিল্প মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের অধীনে স্থানান্তরিত হয়। এটিকে ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটে উন্নীত করে পরে নাম দেওয়া হয় ইক্ষু গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট। ১৯৮৯ সালে স্টেশনটি পুনরায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ হয়। ১৯৯৬ সালে জাতীয় সংসদ একটি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট অ্যাক্ট পাস করে। বর্তমানে ইনস্টিটিউটে কর্মরত প্রায় ৩৬৫ জন কর্মীর মধ্যে বিজ্ঞানী আছেন ১০৩ জন। প্রতিষ্ঠানের প্রধান হিসেবে রয়েছেন মহাপরিচালক। সার্বিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে রয়েছে একটি Board of Governors। বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউটের তিনটি আঞ্চলিক স্টেশন ও ছয়টি সাব-স্টেশন রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি এ পর্যন্ত আখের ২৮টি জাত অবমুক্ত করেছে। চিনিকল এলাকার ৯৫% এবং চিনিকল বহির্ভূত এলাকার ২৫% আখের জমিতে এগুলির চাষ হচ্ছে। উচ্চফলনশীল জাতগুলির মধ্যে রয়েছে: আইএসডি ১/৫৩, আইএসডি ২/৫৪, এলজেসি, আইএসডি ১৬, আইএসডি ১৭, আইএসডি ১৮, আইএসডি ১৯, আইএসডি ২০, আইএসডি ২১, আইএসডি ২২, আইএসডি ২৪, আইএসডি ২৫, আইএসডি ২৬, আইএসডি ২৭, আইএসডি ২৮ প্রভৃতি। বাংলাদেশ ইক্ষু গবেষণা ইনস্টিটিউট বিভিন্ন কৃষি বাস্ত্তসংস্থানিক অঞ্চলের আখ চাষের প্রয়োজনীয় সারের মাত্রা ও চাষাবাদ কৌশল উদ্ভাবন করেছে। ইনস্টিটিউট প্রতি বছর Bangladesh Journal of Sugarcane নামে একটি সাময়িকী প্রকাশ করে থাকে। [দেলোয়ার হোসেন]