বসু, বুদ্ধদেব: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''বসু, বুদ্ধদেব '''(১৯০৮-১৯৭৪)'''  '''সাহিত্যিক, সমালোচক,  সম্পাদক। ১৯০৮ সালের ৩০ নভেম্বর কুমিল্লায় জন্ম। তাঁর পরিবারের আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের মালখানগরে। জন্মের অল্প পরেই ধনুষ্টংকারে তাঁর মাতৃবিয়োগ ঘটে এবং পিতা ঢাকা বারের উকিল ভূদেবচন্দ্র বসু পরিব্রজ্যা গ্রহণ করে নিরুদ্দেশ হন। এমতাবস্থায় বুদ্ধদেব মাতুলালয়ে লালিত-পালিত হন। তাঁর শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের প্রথমভাগ কাটে কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ঢাকায়।
'''বসু, বুদ্ধদেব '''(১৯০৮-১৯৭৪) সাহিত্যিক, সমালোচক,  সম্পাদক। ১৯০৮ সালের ৩০ নভেম্বর কুমিল্লায় জন্ম। তাঁর পরিবারের আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের মালখানগরে। জন্মের অল্প পরেই ধনুষ্টংকারে তাঁর মাতৃবিয়োগ ঘটে এবং পিতা ঢাকা বারের উকিল ভূদেবচন্দ্র বসু পরিব্রজ্যা গ্রহণ করে নিরুদ্দেশ হন। এমতাবস্থায় বুদ্ধদেব মাতুলালয়ে লালিত-পালিত হন। তাঁর শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের প্রথমভাগ কাটে কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ঢাকায়।


বুদ্ধদেব বসু শিক্ষাজীবনে বরাবর অসাধারণ ফলাফল করেছেন। তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক (১৯২৫), ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ (১৯২৭) এবং  [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ বিএ (১৯৩০) ও এমএ (১৯৩১) ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবনের প্রথমভাগে তিনি কলকাতার রিপন কলেজে অধ্যাপনা (১৯৩৪-১৯৪৫) করেন। ১৯৪৪-১৯৫১ সময় পর্বে তিনি স্টেটসম্যান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। এরপর একে একে তিনি আমেরিকার পেনসিলভানিয়া কলেজ ফর উইমেন্স (১৯৫৩-১৯৫৪), কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৫৬-১৯৬৩), আমেরিকার ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রুকলিন কলেজ, কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের সামার স্কুল, ব্লুমিংটনে ইলিনয়ের ওয়েসলিয়ান কলেজ ও হনুলুলুতে হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৯৬৩-১৯৬৫) অধ্যাপনা করেন। ১৯৬১ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শরৎ বক্তৃতামালা’ প্রদান করেন।
বুদ্ধদেব বসু শিক্ষাজীবনে বরাবর অসাধারণ ফলাফল করেছেন। তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক (১৯২৫), ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ (১৯২৭) এবং  [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ বিএ (১৯৩০) ও এমএ (১৯৩১) ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবনের প্রথমভাগে তিনি কলকাতার রিপন কলেজে অধ্যাপনা (১৯৩৪-১৯৪৫) করেন। ১৯৪৪-১৯৫১ সময় পর্বে তিনি স্টেটসম্যান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। এরপর একে একে তিনি আমেরিকার পেনসিলভানিয়া কলেজ ফর উইমেন্স (১৯৫৩-১৯৫৪), কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৫৬-১৯৬৩), আমেরিকার ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রুকলিন কলেজ, কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের সামার স্কুল, ব্লুমিংটনে ইলিনয়ের ওয়েসলিয়ান কলেজ ও হনুলুলুতে হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৯৬৩-১৯৬৫) অধ্যাপনা করেন। ১৯৬১ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শরৎ বক্তৃতামালা’ প্রদান করেন।
১০ নং লাইন: ১০ নং লাইন:
শুধু কবিতা নয়, বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বুদ্ধদেবের স্বচ্ছন্দ বিচরণ ছিল। তিনি রোম্যান্টিক কবিচেতনার অধিকারী ছিলেন; তবে পরবর্তীকালে তিনি আবেগ অপেক্ষা মননশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মননশীল প্রবন্ধ ও সাহিত্য-সমালোচনায় তিনি সূক্ষ্ম বুদ্ধিবৃত্তির পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর গদ্যশৈলীতে আছে ব্যক্তিত্বের ছাপ। পদ্যগদ্য মিলিয়ে তাঁর গ্রন্থসংখ্যা শতাধিক। সেসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো: কবিতা বন্দীর বন্দনা (১৯৩০), কঙ্কাবতী (১৯৩৭), দ্রৌপদীর শাড়ী (১৯৪৮), শীতের প্রার্থনা: বসন্তের উত্তর (১৯৫৫), যে অাঁধার আলোর অধিক (১৯৫৮); উপন্যাস লাল মেঘ (১৯৩৪), রাতভর বৃষ্টি (১৯৬৭), পাতাল থেকে আলাপ (১৯৬৭), গোলাপ কেন কালো (১৯৬৮); গল্পগ্রন্থ  অভিনয়, অভিনয় নয় (১৯৩০), রেখাচিত্র (১৯৩১), ভাসো আমার ভেলা (১৯৬৩); নাটক তপস্বী ও তরঙ্গিণী (১৯৬৬), কলকাতার ইলেকট্রা, সত্যসন্ধ (১৯৬৮); প্রবন্ধ কালের পুতুল (১৯৪৬), সাহিত্যচর্চা (১৯৫৪), রবীন্দ্রনাথ: কথাসাহিত্য (১৯৫৫), স্বদেশ ও সংস্কৃতি (১৯৫৭); ভ্রমণ ও স্মৃতিকথা  হঠাৎ আলোর ঝলকানি (১৯৩৫), সব-পেয়েছির দেশে (১৯৪১), জাপানি জার্নাল (১৯৬২), দেশান্তর (১৯৬৬), আমার ছেলেবেলা (১৯৭৩), আমার যৌবন (১৯৭৬); অনুবাদ কালিদাসের মেঘদূত (১৯৫৭), শার্ল বোদলেয়ার: তাঁর কবিতা (১৯৬০), রাইনের মারিয়া রিলকের কবিতা (১৯৭০) ইত্যাদি।
শুধু কবিতা নয়, বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বুদ্ধদেবের স্বচ্ছন্দ বিচরণ ছিল। তিনি রোম্যান্টিক কবিচেতনার অধিকারী ছিলেন; তবে পরবর্তীকালে তিনি আবেগ অপেক্ষা মননশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মননশীল প্রবন্ধ ও সাহিত্য-সমালোচনায় তিনি সূক্ষ্ম বুদ্ধিবৃত্তির পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর গদ্যশৈলীতে আছে ব্যক্তিত্বের ছাপ। পদ্যগদ্য মিলিয়ে তাঁর গ্রন্থসংখ্যা শতাধিক। সেসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো: কবিতা বন্দীর বন্দনা (১৯৩০), কঙ্কাবতী (১৯৩৭), দ্রৌপদীর শাড়ী (১৯৪৮), শীতের প্রার্থনা: বসন্তের উত্তর (১৯৫৫), যে অাঁধার আলোর অধিক (১৯৫৮); উপন্যাস লাল মেঘ (১৯৩৪), রাতভর বৃষ্টি (১৯৬৭), পাতাল থেকে আলাপ (১৯৬৭), গোলাপ কেন কালো (১৯৬৮); গল্পগ্রন্থ  অভিনয়, অভিনয় নয় (১৯৩০), রেখাচিত্র (১৯৩১), ভাসো আমার ভেলা (১৯৬৩); নাটক তপস্বী ও তরঙ্গিণী (১৯৬৬), কলকাতার ইলেকট্রা, সত্যসন্ধ (১৯৬৮); প্রবন্ধ কালের পুতুল (১৯৪৬), সাহিত্যচর্চা (১৯৫৪), রবীন্দ্রনাথ: কথাসাহিত্য (১৯৫৫), স্বদেশ ও সংস্কৃতি (১৯৫৭); ভ্রমণ ও স্মৃতিকথা  হঠাৎ আলোর ঝলকানি (১৯৩৫), সব-পেয়েছির দেশে (১৯৪১), জাপানি জার্নাল (১৯৬২), দেশান্তর (১৯৬৬), আমার ছেলেবেলা (১৯৭৩), আমার যৌবন (১৯৭৬); অনুবাদ কালিদাসের মেঘদূত (১৯৫৭), শার্ল বোদলেয়ার: তাঁর কবিতা (১৯৬০), রাইনের মারিয়া রিলকের কবিতা (১৯৭০) ইত্যাদি।


বুদ্ধদেব বসু শিশুদের উপযোগী কয়েকখানি গ্রন্থও রচনা করেন। ইংরেজি ভাষায় কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি রচনা করেও তিনি ইউরোপ-আমেরিকায় প্রচুর প্রশংসা অর্জন করেন। তপস্বী ও তরঙ্গিণী নাটকের জন্য তিনি সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার (১৯৬৭) লাভ করেন। ১৯৭০ সালে ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মভূষণ’ পুরস্কারে ভূষিত করে। এছাড়া স্বাগত বিদায় কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি মরণোত্তর ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ (১৯৭৪) লাভ করেন। ১৯৭৪ সালের ১৮ মার্চ কলকাতায় মৃত্যু হয়।
বুদ্ধদেব বসু শিশুদের উপযোগী কয়েকখানি গ্রন্থও রচনা করেন। ইংরেজি ভাষায় কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি রচনা করেও তিনি ইউরোপ-আমেরিকায় প্রচুর প্রশংসা অর্জন করেন। তপস্বী ও তরঙ্গিণী নাটকের জন্য তিনি সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার (১৯৬৭) লাভ করেন। ১৯৭০ সালে ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মভূষণ’ পুরস্কারে ভূষিত করে। এছাড়া স্বাগত বিদায় কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি মরণোত্তর ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ (১৯৭৪) লাভ করেন। ১৯৭৪ সালের ১৮ মার্চ কলকাতায় মৃত্যু হয়। [সিদ্দিকা মাহমুদা]
 
[সিদ্দিকা মাহমুদা]
 
[[en:Bose, Buddhadev]]
 
[[en:Bose, Buddhadev]]
 
[[en:Bose, Buddhadev]]
 
[[en:Bose, Buddhadev]]


[[en:Bose, Buddhadev]]
[[en:Bose, Buddhadev]]

০৭:৪৫, ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

বসু, বুদ্ধদেব (১৯০৮-১৯৭৪) সাহিত্যিক, সমালোচক,  সম্পাদক। ১৯০৮ সালের ৩০ নভেম্বর কুমিল্লায় জন্ম। তাঁর পরিবারের আদি নিবাস ছিল বিক্রমপুরের মালখানগরে। জন্মের অল্প পরেই ধনুষ্টংকারে তাঁর মাতৃবিয়োগ ঘটে এবং পিতা ঢাকা বারের উকিল ভূদেবচন্দ্র বসু পরিব্রজ্যা গ্রহণ করে নিরুদ্দেশ হন। এমতাবস্থায় বুদ্ধদেব মাতুলালয়ে লালিত-পালিত হন। তাঁর শৈশব, কৈশোর ও যৌবনের প্রথমভাগ কাটে কুমিল্লা, নোয়াখালী ও ঢাকায়।

বুদ্ধদেব বসু শিক্ষাজীবনে বরাবর অসাধারণ ফলাফল করেছেন। তিনি ঢাকা কলেজিয়েট স্কুল থেকে ম্যাট্রিক (১৯২৫), ঢাকা ইন্টারমিডিয়েট কলেজ থেকে আইএ (১৯২৭) এবং  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে অনার্সসহ বিএ (১৯৩০) ও এমএ (১৯৩১) ডিগ্রি লাভ করেন। কর্মজীবনের প্রথমভাগে তিনি কলকাতার রিপন কলেজে অধ্যাপনা (১৯৩৪-১৯৪৫) করেন। ১৯৪৪-১৯৫১ সময় পর্বে তিনি স্টেটসম্যান পত্রিকায় সাংবাদিকতা করেন। এরপর একে একে তিনি আমেরিকার পেনসিলভানিয়া কলেজ ফর উইমেন্স (১৯৫৩-১৯৫৪), কলকাতার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় (১৯৫৬-১৯৬৩), আমেরিকার ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়, ব্রুকলিন কলেজ, কলোরাডো বিশ্ববিদ্যালয়ের সামার স্কুল, ব্লুমিংটনে ইলিনয়ের ওয়েসলিয়ান কলেজ ও হনুলুলুতে হাওয়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে (১৯৬৩-১৯৬৫) অধ্যাপনা করেন। ১৯৬১ সালে তিনি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘শরৎ বক্তৃতামালা’ প্রদান করেন।

বুদ্ধদেব বসু

ঢাকা থেকে প্রগতি (১৯২৭-১৯২৯) এবং  কলকাতা থেকে কবিতা (১৯৩৫-১৯৬০) পত্রিকা প্রকাশ ও সম্পাদনা তাঁর জীবনের উল্লেখযোগ্য কর্ম। কবিতাবিষয়ক কবিতা পত্রিকাটি তখন সাহিত্যিক মহলে উচ্চ প্রশংসা লাভ করে; রবীন্দ্রোত্তর কবিতা-আন্দোলনেও এর ভূমিকা স্বীকৃত। বুদ্ধদেব নিজেও রবীন্দ্র-প্রভাববলয় থেকে বেরিয়ে আসেন।

শুধু কবিতা নয়, বাংলা সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় বুদ্ধদেবের স্বচ্ছন্দ বিচরণ ছিল। তিনি রোম্যান্টিক কবিচেতনার অধিকারী ছিলেন; তবে পরবর্তীকালে তিনি আবেগ অপেক্ষা মননশীলতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। মননশীল প্রবন্ধ ও সাহিত্য-সমালোচনায় তিনি সূক্ষ্ম বুদ্ধিবৃত্তির পরিচয় দিয়েছেন। তাঁর গদ্যশৈলীতে আছে ব্যক্তিত্বের ছাপ। পদ্যগদ্য মিলিয়ে তাঁর গ্রন্থসংখ্যা শতাধিক। সেসবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো: কবিতা বন্দীর বন্দনা (১৯৩০), কঙ্কাবতী (১৯৩৭), দ্রৌপদীর শাড়ী (১৯৪৮), শীতের প্রার্থনা: বসন্তের উত্তর (১৯৫৫), যে অাঁধার আলোর অধিক (১৯৫৮); উপন্যাস লাল মেঘ (১৯৩৪), রাতভর বৃষ্টি (১৯৬৭), পাতাল থেকে আলাপ (১৯৬৭), গোলাপ কেন কালো (১৯৬৮); গল্পগ্রন্থ  অভিনয়, অভিনয় নয় (১৯৩০), রেখাচিত্র (১৯৩১), ভাসো আমার ভেলা (১৯৬৩); নাটক তপস্বী ও তরঙ্গিণী (১৯৬৬), কলকাতার ইলেকট্রা, সত্যসন্ধ (১৯৬৮); প্রবন্ধ কালের পুতুল (১৯৪৬), সাহিত্যচর্চা (১৯৫৪), রবীন্দ্রনাথ: কথাসাহিত্য (১৯৫৫), স্বদেশ ও সংস্কৃতি (১৯৫৭); ভ্রমণ ও স্মৃতিকথা  হঠাৎ আলোর ঝলকানি (১৯৩৫), সব-পেয়েছির দেশে (১৯৪১), জাপানি জার্নাল (১৯৬২), দেশান্তর (১৯৬৬), আমার ছেলেবেলা (১৯৭৩), আমার যৌবন (১৯৭৬); অনুবাদ কালিদাসের মেঘদূত (১৯৫৭), শার্ল বোদলেয়ার: তাঁর কবিতা (১৯৬০), রাইনের মারিয়া রিলকের কবিতা (১৯৭০) ইত্যাদি।

বুদ্ধদেব বসু শিশুদের উপযোগী কয়েকখানি গ্রন্থও রচনা করেন। ইংরেজি ভাষায় কবিতা, প্রবন্ধ ইত্যাদি রচনা করেও তিনি ইউরোপ-আমেরিকায় প্রচুর প্রশংসা অর্জন করেন। তপস্বী ও তরঙ্গিণী নাটকের জন্য তিনি সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার (১৯৬৭) লাভ করেন। ১৯৭০ সালে ভারত সরকার তাঁকে ‘পদ্মভূষণ’ পুরস্কারে ভূষিত করে। এছাড়া স্বাগত বিদায় কাব্যগ্রন্থের জন্য তিনি মরণোত্তর ‘রবীন্দ্র পুরস্কার’ (১৯৭৪) লাভ করেন। ১৯৭৪ সালের ১৮ মার্চ কলকাতায় মৃত্যু হয়। [সিদ্দিকা মাহমুদা]