বকশীগঞ্জ উপজেলা: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Robot: Automated text replacement (-'''''তথ্যসূত্র''''' +'''তথ্যসূত্র'''))
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''বকশীগঞ্জ উপজেলা''' (জামালপুর জেলা)  আয়তন: ২০৪.৩০ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৫°০৬´ থেকে ২৫°১৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪৭´ থেকে ৮৯°৫৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে ইসলামপুর উপজেলা, পূর্বে শ্রীবর্দী উপজেলা, পশ্চিমে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা। উপজেলার উত্তর-পূর্বাংশে গারো পাহাড় অবস্থিত।
'''বকশীগঞ্জ উপজেলা''' ([[জামালপুর জেলা|জামালপুর জেলা]])  আয়তন: ২০৪.৩০ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৫°০৬´ থেকে ২৫°১৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪৭´ থেকে ৮৯°৫৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে ইসলামপুর উপজেলা, পূর্বে শ্রীবর্দী উপজেলা, পশ্চিমে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা। উপজেলার উত্তর-পূর্বাংশে গারো পাহাড় অবস্থিত।


''জনসংখ্যা'' ১৭৮৪৩৬; পুরুষ ৯১৩২৭, মহিলা ৮৭১০৯। মুসলিম ১৭৫৮৯১, হিন্দু ২০০৬, বৌদ্ধ ৪৭৩ এবং অন্যান্য ৬৬। এ উপজেলায় গারো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
''জনসংখ্যা'' ১৭৮৪৩৬; পুরুষ ৯১৩২৭, মহিলা ৮৭১০৯। মুসলিম ১৭৫৮৯১, হিন্দু ২০০৬, বৌদ্ধ ৪৭৩ এবং অন্যান্য ৬৬। এ উপজেলায় গারো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।
১২ নং লাইন: ১২ নং লাইন:
| colspan="9" | উপজেলা
| colspan="9" | উপজেলা
|-
|-
| rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব(প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | পৌরসভা  || rowspan="2" | ইউনিয়ন  || rowspan="2" | মৌজা  || rowspan="2" | গ্রাম  || colspan="2" | জনসংখ্যা || rowspan="2" | ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || colspan="2" | শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
| শহর  || গ্রাম || শহর  || গ্রাম
|-
|-
| -  || ৭  || ২৫  || ১৯৬  || ৯১৬৪  || ১৬৯২৭২  || ৮৭৩  || ৪১.৭  || ২৯.৫
| -  || ৭  || ২৫  || ১৯৬  || ৯১৬৪  || ১৬৯২৭২  || ৮৭৩  || ৪১.৭  || ২৯.৫
|}
|}
{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| উপজেলা শহর
| colspan="9" | উপজেলা শহর
|-
|-
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
| আয়তন (বর্গ কিমি)  || মৌজা  || লোকসংখ্যা  || ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি)  || শিক্ষার হার (%)
|-
|-
| ৩.৮৬  || ১  || ৯১৬৪  || ২৩৭৪  || ৪১.৭
| ৩.৮৬  || ১  || ৯১৬৪  || ২৩৭৪  || ৪১.৭
|}
|}


{| class="table table-bordered table-hover"
{| class="table table-bordered table-hover"
|-
|-
| ইউনিয়ন
| colspan="9" | ইউনিয়ন
|-  
|-  
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
| rowspan="2" | ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড  || rowspan="2" | আয়তন (একর)  || colspan="2" | লোকসংখ্যা  || rowspan="2" | শিক্ষার হার (%)
৪০ নং লাইন: ৩৬ নং লাইন:
|-  
|-  
| ধনুয়া ৪৭  || ৭১৭৩  || ৮২০১  || ৭৯৬২  || ৩৭.১০
| ধনুয়া ৪৭  || ৭১৭৩  || ৮২০১  || ৭৯৬২  || ৩৭.১০
|-
|-
| নিলক্ষ্মিয়া ৭১  || ৫২০১  || ১১০০০  || ১০৬৫৪  || ২৪.৪৫
| নিলক্ষ্মিয়া ৭১  || ৫২০১  || ১১০০০  || ১০৬৫৪  || ২৪.৪৫
|-
|-
| বকশীগঞ্জ ২৩  || ৭৬২২  || ২০৩০৪  || ১৯৩৯৩  || ৩৪.৯৯
| বকশীগঞ্জ ২৩  || ৭৬২২  || ২০৩০৪  || ১৯৩৯৩  || ৩৪.৯৯
|-
|-
| বগার চর ১১  || ৮৫৬৬  || ১৬৭৪৯  || ১৬২৫১  || ২৬.৭৪
| বগার চর ১১  || ৮৫৬৬  || ১৬৭৪৯  || ১৬২৫১  || ২৬.৭৪
|-
|-
| বাট্টাজোড় ৩৫  || ৬২৯৭  || ১১৩৬৮  || ১০৭৩৯  || ৩৭.৬১
| বাট্টাজোড় ৩৫  || ৬২৯৭  || ১১৩৬৮  || ১০৭৩৯  || ৩৭.৬১
|-
|-
| মেরুর চর ৫৯  || ৯২৯৩  || ১৩৬৬৮  || ১২৭৮৪  || ২৫.৪১
| মেরুর চর ৫৯  || ৯২৯৩  || ১৩৬৬৮  || ১২৭৮৪  || ২৫.৪১
|-
|-
| সাধুর পাড়া ৮৩  || ৬৩৩১  || ১০০৩৭  || ৯৩২৬  || ২৩.৪৩
| সাধুর পাড়া ৮৩  || ৬৩৩১  || ১০০৩৭  || ৯৩২৬  || ২৩.৪৩
৬১ নং লাইন: ৫১ নং লাইন:
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।
''সূত্র'' আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।


[[Image:BakshiganjUpazila.jpg|thumb|400px|right]]
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে বকশীগঞ্জের ভিতর দিয়ে বহুবার কামালপুর ঘাঁটি আক্রমণ করে। ৩১ জুলাই ১১ নং সেক্টরের ১ম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট ব্যাটেলিয়ন কমান্ডিং অফিসার মেজর মইনুল হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা কামালপুর আক্রমণ করে এবং এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি হয়। যুদ্ধের সময় ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন মমতাজ, আহাদুজ্জামান, আবুল কালাম আজাদসহ ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৪ নভেম্বর গোলার আঘাতে কর্নেল আবু তাহের গুরুতরভাবে আহত হন। ৫ ডিসেম্বর বকশীগঞ্জ উপজেলা শত্রমুক্ত হয়।
''মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি'' ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে বকশীগঞ্জের ভিতর দিয়ে বহুবার কামালপুর ঘাঁটি আক্রমণ করে। ৩১ জুলাই ১১ নং সেক্টরের ১ম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট ব্যাটেলিয়ন কমান্ডিং অফিসার মেজর মইনুল হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা কামালপুর আক্রমণ করে এবং এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি হয়। যুদ্ধের সময় ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন মমতাজ, আহাদুজ্জামান, আবুল কালাম আজাদসহ ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৪ নভেম্বর গোলার আঘাতে কর্নেল আবু তাহের গুরুতরভাবে আহত হন। ৫ ডিসেম্বর বকশীগঞ্জ উপজেলা শত্রমুক্ত হয়।


৬৬ নং লাইন: ৫৭ নং লাইন:


''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ২৭৫, মন্দির ২, গির্জা ২। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: বকশীগঞ্জ মসজিদ, ধনুয়া মসজিদ, কামালপুর মসজিদ, বাট্টাজোড় মসজিদ।
''ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান'' মসজিদ ২৭৫, মন্দির ২, গির্জা ২। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: বকশীগঞ্জ মসজিদ, ধনুয়া মসজিদ, কামালপুর মসজিদ, বাট্টাজোড় মসজিদ।
[[Image:BakshiganjUpazila.jpg|thumb|400px|right|বকশীগঞ্জ উপজেলা]]


''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৩০.২%; পুরুষ ৩৪.৪%, মহিলা ২৫.৮%। কলেজ ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯০, কমিউনিটি বিদ্যালয় ৫, টেক্সটাইল অ্যান্ড ভোকেশনাল স্কুল ১, মাদ্রাসা ২২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: বকশীগঞ্জ সরকারি কে ইউ কলেজ (১৯৭২), সারমারা নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১১), বকশীগঞ্জ নুর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৫), নিলক্ষ্মিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৫), ধনুয়া কালামপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৪), বাট্টাজোড় কে আর আই সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯৩৭)।
''শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান'' গড় হার ৩০.২%; পুরুষ ৩৪.৪%, মহিলা ২৫.৮%। কলেজ ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯০, কমিউনিটি বিদ্যালয় ৫, টেক্সটাইল অ্যান্ড ভোকেশনাল স্কুল ১, মাদ্রাসা ২২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: বকশীগঞ্জ সরকারি কে ইউ কলেজ (১৯৭২), সারমারা নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১১), বকশীগঞ্জ নুর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৫), নিলক্ষ্মিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৫), ধনুয়া কালামপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৪), বাট্টাজোড় কে আর আই সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯৩৭)।
৭৪ নং লাইন: ৬২ নং লাইন:
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' ক্লাব ৩৫, সিনেমা হল ২, মহিলা সংগঠন ৫, খেলার মাঠ ২২।
''সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান'' ক্লাব ৩৫, সিনেমা হল ২, মহিলা সংগঠন ৫, খেলার মাঠ ২২।


দর্শণীয় স্থান  উপজেলার লাউচাপাড়ায় অবস্থিত পিকনিক স্পট, কামালপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে নির্মিত স্মৃতিসৌধ, গারো পাহাড়, নিলক্ষ্মিয়া ও চরকাউরিয়ায় নীলকুঠির ভগ্নাবশেষ, ধনুয়া কামালপুর স্থল বন্দর।
''দর্শণীয় স্থান''  উপজেলার লাউচাপাড়ায় অবস্থিত পিকনিক স্পট, কামালপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে নির্মিত স্মৃতিসৌধ, গারো পাহাড়, নিলক্ষ্মিয়া ও চরকাউরিয়ায় নীলকুঠির ভগ্নাবশেষ, ধনুয়া কামালপুর স্থল বন্দর।


''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৬৯.০৬%, অকৃষি শ্রমিক ৩.০১%, শিল্প ০.৩৮%, ব্যবসা ১১.৯০%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.২৭%, চাকরি ৩.৮২%, নির্মাণ ১.২২%, ধর্মীয় সেবা ০.২৩%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.১৩% এবং অন্যান্য ৭.৯৮%।
''জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস'' কৃষি ৬৯.০৬%, অকৃষি শ্রমিক ৩.০১%, শিল্প ০.৩৮%, ব্যবসা ১১.৯০%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.২৭%, চাকরি ৩.৮২%, নির্মাণ ১.২২%, ধর্মীয় সেবা ০.২৩%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.১৩% এবং অন্যান্য ৭.৯৮%।
৮৪ নং লাইন: ৭২ নং লাইন:
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' ভুট্টা, তিল, তিসি, কাউন, চীনা।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি'' ভুট্টা, তিল, তিসি, কাউন, চীনা।


''প্রধান ফল-ফলাদিব'' তরমুজ, জাম, কলা, পেঁপে, আনারস।
''প্রধান ফল-ফলাদি'' তরমুজ, জাম, কলা, পেঁপে, আনারস।


''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে।
''মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার'' এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে।


''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৫৬ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ২৩ কিমি, কাঁচারাস্তা ২৭৫ কিমি।
''যোগাযোগ বিশেষত্ব'' পাকারাস্তা ৫৬ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ২৩ কিমি, কাঁচারাস্তা ২৭৫ কিমি।


''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।
''বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন'' পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।


''কুটিরশিল্প'' স্বর্ণশিল্প, তাঁতশিল্প, বাঁশ ও বেতশিল্প, নকশীকাঁথা।
''কুটিরশিল্প'' স্বর্ণশিল্প, তাঁতশিল্প, বাঁশ ও বেতশিল্প, নকশীকাঁথা।


''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ১০, মেলা ৪। নঈম মিয়ার হাট, কামালপুর বাজার এবং সারমারার অষ্টমী মেলা, বাট্টাজোড়ের আখড়া মেলা ও কামালপুরের শাহ কামালের (রঃ) মেলা উল্লেখযোগ্য।
''হাটবাজার ও মেলা'' হাটবাজার ১০, মেলা ৪। নঈম মিয়ার হাট, কামালপুর বাজার এবং সারমারার অষ্টমী মেলা, বাট্টাজোড়ের আখড়া মেলা ও কামালপুরের শাহ কামালের (রঃ) মেলা উল্লেখযোগ্য।


''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''   ধান, পাট, সরিষা, তুলা, পিঁয়াজ, হলুদ, শাকসবজি।
''প্রধান রপ্তানিদ্রব্য''  ধান, পাট, সরিষা, তুলা, পিঁয়াজ, হলুদ, শাকসবজি।


''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৭.৪৬% (শহরে ২৯.৯২% এবং গ্রামে ৬.২৭%) পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।
''বিদ্যুৎ ব্যবহার'' এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৭.৪৬% (শহরে ২৯.৯২% এবং গ্রামে ৬.২৭%) পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।


প্রাকৃতিক সম্পদ  পাথর, সাদামাটি।
''প্রাকৃতিক সম্পদ''  পাথর, সাদামাটি।


''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৮৬.৯৯%, ট্যাপ ০.৩১%, পুকুর ০.৩% এবং অন্যান্য ১২.৪১%। এ উপজেলার প্রায় ৭০% অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।
''পানীয়জলের উৎস'' নলকূপ ৮৬.৯৯%, ট্যাপ ০.৩১%, পুকুর ০.৩% এবং অন্যান্য ১২.৪১%। এ উপজেলার প্রায় ৭০% অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।
১০৮ নং লাইন: ৯৬ নং লাইন:
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৭, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৭।
''স্বাস্থ্যকেন্দ্র'' উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৭, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৭।


প্রাকৃতিক দূর্যোগ  ১৯৩০ সালের ভূমিকম্প এবং ১৯৩১ ও ১৯৮৮ সালের বন্যায় এ উপজেলার ঘরবাড়ি, গবাদিপশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
''প্রাকৃতিক দূর্যোগ''  ১৯৩০ সালের ভূমিকম্প এবং ১৯৩১ ও ১৯৮৮ সালের বন্যায় এ উপজেলার ঘরবাড়ি, গবাদিপশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
 
''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, কেয়ার, উন্নয়ন সংঘ।
 
[সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী]
 
'''তথ্যসূত্র'''   আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; বকশীগঞ্জ উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।


[[en:Bakshiganj Upazila]]
''এনজিও'' ব্র্যাক, আশা, কেয়ার, উন্নয়ন সংঘ।  [সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী]


[[en:Bakshiganj Upazila]]
'''তথ্যসূত্র'''  আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; বকশীগঞ্জ উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।


[[en:Bakshiganj Upazila]]


[[en:Bakshiganj Upazila]]
[[en:Bakshiganj Upazila]]

০৯:১২, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

বকশীগঞ্জ উপজেলা (জামালপুর জেলা)  আয়তন: ২০৪.৩০ বর্গ কিমি। অবস্থান: ২৫°০৬´ থেকে ২৫°১৮´ উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৯°৪৭´ থেকে ৮৯°৫৭´ পূর্ব দ্রাঘিমাংশ। সীমানা: উত্তরে ভারতের মেঘালয় রাজ্য, দক্ষিণে ইসলামপুর উপজেলা, পূর্বে শ্রীবর্দী উপজেলা, পশ্চিমে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা। উপজেলার উত্তর-পূর্বাংশে গারো পাহাড় অবস্থিত।

জনসংখ্যা ১৭৮৪৩৬; পুরুষ ৯১৩২৭, মহিলা ৮৭১০৯। মুসলিম ১৭৫৮৯১, হিন্দু ২০০৬, বৌদ্ধ ৪৭৩ এবং অন্যান্য ৬৬। এ উপজেলায় গারো আদিবাসী জনগোষ্ঠীর বসবাস রয়েছে।

জলাশয় প্রধান নদ-নদী: পুরাতন ব্রহ্মপুত্র, দশানী ও জিরজিরা; সিংগিজান বিল, কুইয়া বিল ও জিরজিরা বিল উল্লেখযোগ্য।

প্রশাসন বকশীগঞ্জ থানা গঠিত হয় ৩০ এপ্রিল ১৯৮২ সালে এবং থানাকে উপজেলায় রূপান্তর করা হয় ১৪ সেপ্টেম্বর ১৯৮৩ সালে।

উপজেলা
পৌরসভা ইউনিয়ন মৌজা গ্রাম জনসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
শহর গ্রাম শহর গ্রাম
- ২৫ ১৯৬ ৯১৬৪ ১৬৯২৭২ ৮৭৩ ৪১.৭ ২৯.৫
উপজেলা শহর
আয়তন (বর্গ কিমি) মৌজা লোকসংখ্যা ঘনত্ব (প্রতি বর্গ কিমি) শিক্ষার হার (%)
৩.৮৬ ৯১৬৪ ২৩৭৪ ৪১.৭
ইউনিয়ন
ইউনিয়নের নাম ও জিও কোড আয়তন (একর) লোকসংখ্যা শিক্ষার হার (%)
পুরুষ মহিলা
ধনুয়া ৪৭ ৭১৭৩ ৮২০১ ৭৯৬২ ৩৭.১০
নিলক্ষ্মিয়া ৭১ ৫২০১ ১১০০০ ১০৬৫৪ ২৪.৪৫
বকশীগঞ্জ ২৩ ৭৬২২ ২০৩০৪ ১৯৩৯৩ ৩৪.৯৯
বগার চর ১১ ৮৫৬৬ ১৬৭৪৯ ১৬২৫১ ২৬.৭৪
বাট্টাজোড় ৩৫ ৬২৯৭ ১১৩৬৮ ১০৭৩৯ ৩৭.৬১
মেরুর চর ৫৯ ৯২৯৩ ১৩৬৬৮ ১২৭৮৪ ২৫.৪১
সাধুর পাড়া ৮৩ ৬৩৩১ ১০০৩৭ ৯৩২৬ ২৩.৪৩

সূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো।

মুক্তিযুদ্ধের ঘটনাবলি ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধারা ভারত সীমান্ত অতিক্রম করে বকশীগঞ্জের ভিতর দিয়ে বহুবার কামালপুর ঘাঁটি আক্রমণ করে। ৩১ জুলাই ১১ নং সেক্টরের ১ম ইস্টবেঙ্গল রেজিমেন্ট ব্যাটেলিয়ন কমান্ডিং অফিসার মেজর মইনুল হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধারা কামালপুর আক্রমণ করে এবং এ যুদ্ধে পাকবাহিনীর ব্যাপক ক্ষতি হয়। যুদ্ধের সময় ক্যাপ্টেন সালাহউদ্দিন মমতাজ, আহাদুজ্জামান, আবুল কালাম আজাদসহ ৩৫ জন মুক্তিযোদ্ধা শহীদ হন। ১৪ নভেম্বর গোলার আঘাতে কর্নেল আবু তাহের গুরুতরভাবে আহত হন। ৫ ডিসেম্বর বকশীগঞ্জ উপজেলা শত্রমুক্ত হয়।

মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন গণকবর: ৭ (বকশীগঞ্জ হাইস্কুল মাঠ, কামালপুর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, কামালপুর বাজার, বাট্টাজোড়, ধনুয়া, বকশীগঞ্জ গো হাট, বকশীগঞ্জ বাজার); স্মৃতিস্তম্ভ ১।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদ ২৭৫, মন্দির ২, গির্জা ২। উল্লেখযোগ্য ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান: বকশীগঞ্জ মসজিদ, ধনুয়া মসজিদ, কামালপুর মসজিদ, বাট্টাজোড় মসজিদ।

শিক্ষার হার, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড় হার ৩০.২%; পুরুষ ৩৪.৪%, মহিলা ২৫.৮%। কলেজ ৩, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৮, প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯০, কমিউনিটি বিদ্যালয় ৫, টেক্সটাইল অ্যান্ড ভোকেশনাল স্কুল ১, মাদ্রাসা ২২। উল্লেখযোগ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: বকশীগঞ্জ সরকারি কে ইউ কলেজ (১৯৭২), সারমারা নাছির উদ্দিন উচ্চ বিদ্যালয় (১৯১১), বকশীগঞ্জ নুর মোহাম্মদ উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৫), নিলক্ষ্মিয়া পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৩৫), ধনুয়া কালামপুর উচ্চ বিদ্যালয় (১৯৬৪), বাট্টাজোড় কে আর আই সিনিয়র মাদ্রাসা (১৯৩৭)।

সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ক্লাব ৩৫, সিনেমা হল ২, মহিলা সংগঠন ৫, খেলার মাঠ ২২।

দর্শণীয় স্থান  উপজেলার লাউচাপাড়ায় অবস্থিত পিকনিক স্পট, কামালপুরে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্দেশ্যে নির্মিত স্মৃতিসৌধ, গারো পাহাড়, নিলক্ষ্মিয়া ও চরকাউরিয়ায় নীলকুঠির ভগ্নাবশেষ, ধনুয়া কামালপুর স্থল বন্দর।

জনগোষ্ঠীর আয়ের প্রধান উৎস কৃষি ৬৯.০৬%, অকৃষি শ্রমিক ৩.০১%, শিল্প ০.৩৮%, ব্যবসা ১১.৯০%, পরিবহণ ও যোগাযোগ ২.২৭%, চাকরি ৩.৮২%, নির্মাণ ১.২২%, ধর্মীয় সেবা ০.২৩%, রেন্ট অ্যান্ড রেমিটেন্স ০.১৩% এবং অন্যান্য ৭.৯৮%।

কৃষিভূমির মালিকানা ভূমিমালিক ৫০.৩৪%, ভূমিহীন ৪৯.৬৬%। শহরে ২৬.৫৩% এবং গ্রামে ৫১.৬০% পরিবারের কৃষিজমি রয়েছে।

প্রধান কৃষি ফসল ধান, পাট, গম, তুলা, সরিষা, আখ, মিষ্টি আলু, ছোলা, মসুরি, হলুদ, পিঁয়াজ, শাকসবজি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় ফসলাদি ভুট্টা, তিল, তিসি, কাউন, চীনা।

প্রধান ফল-ফলাদি তরমুজ, জাম, কলা, পেঁপে, আনারস।

মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার এ উপজেলায় মৎস্য, গবাদিপশু ও হাঁস-মুরগির খামার রয়েছে।

যোগাযোগ বিশেষত্ব পাকারাস্তা ৫৬ কিমি, আধা-পাকারাস্তা ২৩ কিমি, কাঁচারাস্তা ২৭৫ কিমি।

বিলুপ্ত বা বিলুপ্তপ্রায় সনাতন বাহন পাল্কি, ঘোড়া ও গরুর গাড়ি।

কুটিরশিল্প স্বর্ণশিল্প, তাঁতশিল্প, বাঁশ ও বেতশিল্প, নকশীকাঁথা।

হাটবাজার ও মেলা হাটবাজার ১০, মেলা ৪। নঈম মিয়ার হাট, কামালপুর বাজার এবং সারমারার অষ্টমী মেলা, বাট্টাজোড়ের আখড়া মেলা ও কামালপুরের শাহ কামালের (রঃ) মেলা উল্লেখযোগ্য।

প্রধান রপ্তানিদ্রব্য  ধান, পাট, সরিষা, তুলা, পিঁয়াজ, হলুদ, শাকসবজি।

বিদ্যুৎ ব্যবহার এ উপজেলার সবক’টি ইউনিয়ন পল্লিবিদ্যুতায়ন কর্মসূচির আওতাধীন। তবে ৭.৪৬% (শহরে ২৯.৯২% এবং গ্রামে ৬.২৭%) পরিবারের বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগ রয়েছে।

প্রাকৃতিক সম্পদ  পাথর, সাদামাটি।

পানীয়জলের উৎস নলকূপ ৮৬.৯৯%, ট্যাপ ০.৩১%, পুকুর ০.৩% এবং অন্যান্য ১২.৪১%। এ উপজেলার প্রায় ৭০% অগভীর নলকূপের পানিতে আর্সেনিকের উপস্থিতি প্রমাণিত হয়েছে।

স্যানিটেশন ব্যবস্থা এ উপজেলার ২১.৬৫% (শহরে ৩৬.৩৯% এবং গ্রামে ২০.৮৭%) পরিবার স্বাস্থ্যকর এবং ৪০.৯৪% (শহরে ২৫.৮০% এবং গ্রামে ৪১.৭৪%) পরিবার অস্বাস্থ্যকর ল্যাট্রিন ব্যবহার করে। ৩৭.৪১% পরিবারের কোনো ল্যাট্রিন সুবিধা নেই।

স্বাস্থ্যকেন্দ্র উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ১, পরিবার পরিকল্পনা কেন্দ্র ৭, উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র ৭।

প্রাকৃতিক দূর্যোগ  ১৯৩০ সালের ভূমিকম্প এবং ১৯৩১ ও ১৯৮৮ সালের বন্যায় এ উপজেলার ঘরবাড়ি, গবাদিপশু ও ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়।

এনজিও ব্র্যাক, আশা, কেয়ার, উন্নয়ন সংঘ। [সৈয়দ মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন চৌধুরী]

তথ্যসূত্র আদমশুমারি রিপোর্ট ২০০১, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো; বকশীগঞ্জ উপজেলা সাংস্কৃতিক সমীক্ষা প্রতিবেদন ২০০৭।