ফ্রেজার, স্যার অ্যান্ড্রু: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Image:FraserSirAndrew.jpg|thumb|400px|right|স্যার অ্যান্ড ফ্রেজার]]
'''ফ্রেজার, স্যার অ্যান্ড্রু''' (১৮৪৮-১৯১৯)  ১৯০৩ সাল থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর। বলা হয় যে, প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বাংলাকে দুটি প্রদেশে বিভক্তকরণের ধারণার প্রবক্তা ছিলেন মূলত ফ্রেজারই।
'''ফ্রেজার, স্যার অ্যান্ড্রু''' (১৮৪৮-১৯১৯)  ১৯০৩ সাল থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর। বলা হয় যে, প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বাংলাকে দুটি প্রদেশে বিভক্তকরণের ধারণার প্রবক্তা ছিলেন মূলত ফ্রেজারই।


৫ নং লাইন: ৬ নং লাইন:


অ্যান্ড্রু হিন্ডারসন ফ্রেজার ১৮৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এডিনবরা অ্যাকাডেমীতে শিক্ষা লাভ করেন। মিডল টেম্পল থেকে তিনি ব্যারিস্টার হন। পরে ১৮৭১ সালে তিনি ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন।  
অ্যান্ড্রু হিন্ডারসন ফ্রেজার ১৮৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এডিনবরা অ্যাকাডেমীতে শিক্ষা লাভ করেন। মিডল টেম্পল থেকে তিনি ব্যারিস্টার হন। পরে ১৮৭১ সালে তিনি ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন।  
[[Image:FraserSirAndrew.jpg|thumb|400px|right|স্যার অ্যান্ড ফ্রেজার]]


ফ্রেজার বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর হওয়ার পূর্বে মধ্য প্রদেশের প্রধান কমিশনার (১৮৯৯) এবং পুলিশ কমিশনের প্রেসিডেন্ট (১৯০২) ছিলেন। বঙ্গভঙ্গের পরেও তিনি পশ্চিম বাংলার ([[উড়িষ্যা|উড়িষ্যা]] এবং বিহার) লেফটেন্যান্ট গভর্নর ছিলেন।
ফ্রেজার বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর হওয়ার পূর্বে মধ্য প্রদেশের প্রধান কমিশনার (১৮৯৯) এবং পুলিশ কমিশনের প্রেসিডেন্ট (১৯০২) ছিলেন। বঙ্গভঙ্গের পরেও তিনি পশ্চিম বাংলার ([[উড়িষ্যা|উড়িষ্যা]] এবং বিহার) লেফটেন্যান্ট গভর্নর ছিলেন।
১১ নং লাইন: ১১ নং লাইন:
বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনায় জড়িত থাকার কারণে ফ্রেজারকে বঙ্গভঙ্গ বিরোধীরা প্রতিপক্ষ মনে করত। উপনিবেশিক রাষ্ট্রের প্রতি তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে সি.এস.আই উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তিনি একজন সুদক্ষ লেখক ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য দুটি গ্রন্থ হলো Among Indian Rajahs and Ryots (1909) এবং India Under Curzon and After ((1911)। মৃত্যু ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৯।  [সিরাজুল ইসলাম]
বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনায় জড়িত থাকার কারণে ফ্রেজারকে বঙ্গভঙ্গ বিরোধীরা প্রতিপক্ষ মনে করত। উপনিবেশিক রাষ্ট্রের প্রতি তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে সি.এস.আই উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তিনি একজন সুদক্ষ লেখক ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য দুটি গ্রন্থ হলো Among Indian Rajahs and Ryots (1909) এবং India Under Curzon and After ((1911)। মৃত্যু ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৯।  [সিরাজুল ইসলাম]


[[en:Fraser, Sir Andrew]]
[[en:Fraser, Sir Andrew]]
[[en:Fraser, Sir Andrew]]


[[en:Fraser, Sir Andrew]]
[[en:Fraser, Sir Andrew]]

০৫:৩১, ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

স্যার অ্যান্ড ফ্রেজার

ফ্রেজার, স্যার অ্যান্ড্রু (১৮৪৮-১৯১৯)  ১৯০৩ সাল থেকে ১৯০৮ সাল পর্যন্ত বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর। বলা হয় যে, প্রশাসনিক দক্ষতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বাংলাকে দুটি প্রদেশে বিভক্তকরণের ধারণার প্রবক্তা ছিলেন মূলত ফ্রেজারই।

বিশেষজ্ঞরা এও মনে করেন যে,  বঙ্গভঙ্গএর (১৯০৫) পরিকল্পনাটি লর্ড কার্জনের নিজস্ব চিন্তা প্রসূত নয়। সরকারি দলিলপত্র থেকেও ইঙ্গিত পাওয়া যায় যে, লর্ড  কার্জন ফ্রেজারের ওপর অনেক বিষয়েই আস্থাশীল ছিলেন। সুশাসনের উদ্দেশ্যে বঙ্গভঙ্গ করা হলে সম্ভাব্য প্রশাসনিক সুবিধাদি সম্পর্কে লর্ড কার্জন ও ফ্রেজারের মধ্যে আলোচনা হয়।

অ্যান্ড্রু হিন্ডারসন ফ্রেজার ১৮৪৮ সালের ১৪ নভেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এডিনবরা অ্যাকাডেমীতে শিক্ষা লাভ করেন। মিডল টেম্পল থেকে তিনি ব্যারিস্টার হন। পরে ১৮৭১ সালে তিনি ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে যোগদান করেন।

ফ্রেজার বাংলার লেফটেন্যান্ট গভর্নর হওয়ার পূর্বে মধ্য প্রদেশের প্রধান কমিশনার (১৮৯৯) এবং পুলিশ কমিশনের প্রেসিডেন্ট (১৯০২) ছিলেন। বঙ্গভঙ্গের পরেও তিনি পশ্চিম বাংলার (উড়িষ্যা এবং বিহার) লেফটেন্যান্ট গভর্নর ছিলেন।

বঙ্গভঙ্গ পরিকল্পনায় জড়িত থাকার কারণে ফ্রেজারকে বঙ্গভঙ্গ বিরোধীরা প্রতিপক্ষ মনে করত। উপনিবেশিক রাষ্ট্রের প্রতি তাঁর অবদানের জন্য তাঁকে সি.এস.আই উপাধিতে ভূষিত করা হয়। তিনি একজন সুদক্ষ লেখক ছিলেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য দুটি গ্রন্থ হলো Among Indian Rajahs and Ryots (1909) এবং India Under Curzon and After ((1911)। মৃত্যু ২৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯১৯।  [সিরাজুল ইসলাম]