ফজল, আবুল: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''ফজল, আবুল '''(১৯০৩-১৯৮৩)  শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক। ১৯০৩ সালের ১ জুলাই  [[চট্টগ্রাম বিভাগ|চট্টগ্রাম]] জেলার  [[সাতকানিয়া উপজেলা|সাতকানিয়া]] উপজেলার অন্তর্গত কেঁওচিয়া গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা মৌলবি ফজলুর রহমান ছিলেন চট্টগ্রাম জুমা মসজিদের  [[ইমাম|ইমাম]]। আবুল ফজলের শিক্ষাজীবন শুরু হয় মাদ্রাসায়। তিনি ১৯২৮ সালে  [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৩১ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিটি এবং ১৯৪০ সালে  [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে  [[বাংলা ভাষা|বাংলা ভাষা]] ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।
[[Image:FazalAbul.jpg|thumb|400px|right|আবুল ফজল]]
'''ফজল, আবুল''' (১৯০৩-১৯৮৩)  শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক। ১৯০৩ সালের ১ জুলাই  [[চট্টগ্রাম বিভাগ|চট্টগ্রাম]] জেলার  [[সাতকানিয়া উপজেলা|সাতকানিয়া]] উপজেলার অন্তর্গত কেঁওচিয়া গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা মৌলবি ফজলুর রহমান ছিলেন চট্টগ্রাম জুমা মসজিদের  [[ইমাম|ইমাম]]। আবুল ফজলের শিক্ষাজীবন শুরু হয় মাদ্রাসায়। তিনি ১৯২৮ সালে  [[ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়|ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৩১ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিটি এবং ১৯৪০ সালে  [[কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়|কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়]] থেকে  [[বাংলা ভাষা|বাংলা ভাষা]] ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।


আবুল ফজল মসজিদে ইমামতির মাধ্যমে পেশাগত জীবন শুরু করেন। পরে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করে ১৯৪১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর কলেজে বাংলা বিষয়ের লেকচারার পদে যোগদান করেন। সেখান থেকে ১৯৪৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজে বদলি হন এবং সেখান থেকেই ১৯৫৬ সালে অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে যোগদান করেন। ১৯৭৫ সালের নভেম্বর থেকে তিনি বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৭৭ সালের ২৩ জুন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।
আবুল ফজল মসজিদে ইমামতির মাধ্যমে পেশাগত জীবন শুরু করেন। পরে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করে ১৯৪১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর কলেজে বাংলা বিষয়ের লেকচারার পদে যোগদান করেন। সেখান থেকে ১৯৪৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজে বদলি হন এবং সেখান থেকেই ১৯৫৬ সালে অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে যোগদান করেন। ১৯৭৫ সালের নভেম্বর থেকে তিনি বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৭৭ সালের ২৩ জুন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।


আবুল ফজল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ঢাকার  [[মুসলিম সাহিত্য-সমাজ|মুসলিম সাহিত্য সমাজ]] (১৯২৬) প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৩০ সালে তিনি এর সম্পাদক হন। মুসলিম সাহিত্য সমাজের উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক কুসংস্কার ও অন্ধ শাস্ত্রানুগত্য থেকে মানুষকে মুক্ত করা। এ উদ্দেশে তাঁরা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলেন। তাঁদের সে আন্দোলনের বার্তা সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১৯২৬ সালে তাঁরা প্রকাশ করেন সমাজের মুখপত্র  [[শিখা|শিখা]]। মুসলিম সাহিত্য সমাজ ও শিখার সঙ্গে যাঁরা জড়িত ছিলেন তাঁরা ‘শিখাগোষ্ঠী’ নামে পরিচিত ছিলেন। এ গোষ্ঠী তখন ঢাকায় বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন শুরু করে। তাঁদের আন্দোলনের মূলকথা ছিল ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’।
আবুল ফজল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ঢাকার  [[মুসলিম সাহিত্য-সমাজ|মুসলিম সাহিত্য সমাজ]] (১৯২৬) প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৩০ সালে তিনি এর সম্পাদক হন। মুসলিম সাহিত্য সমাজের উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক কুসংস্কার ও অন্ধ শাস্ত্রানুগত্য থেকে মানুষকে মুক্ত করা। এ উদ্দেশে তাঁরা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলেন। তাঁদের সে আন্দোলনের বার্তা সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১৯২৬ সালে তাঁরা প্রকাশ করেন সমাজের মুখপত্র  [[শিখা|শিখা]]। মুসলিম সাহিত্য সমাজ ও শিখার সঙ্গে যাঁরা জড়িত ছিলেন তাঁরা ‘শিখাগোষ্ঠী’ নামে পরিচিত ছিলেন। এ গোষ্ঠী তখন ঢাকায় বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন শুরু করে। তাঁদের আন্দোলনের মূলকথা ছিল ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’।
[[Image:FazalAbul.jpg|thumb|400px|right|আবুল ফজল]]


শিখাগোষ্ঠীর এ আন্দোলনের মাধ্যমে আবুল ফজল যে মুক্তবুদ্ধি ও প্রগতিশীল চিন্তার অধিকারী হয়েছিলেন, পরবর্তীকালে তাঁর রচনায় তার প্রতিফলন ঘটেছে। তিনি সমাজ ও যুগসচেতন লেখক হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। কথাশিল্পী হিসেবেও তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। স্বদেশপ্রেম, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা, সত্যনিষ্ঠা, মানবতা ও কল্যাণবোধ ছিল তাঁর সাহিত্যকর্মের প্রতিপাদ্য বিষয়।
শিখাগোষ্ঠীর এ আন্দোলনের মাধ্যমে আবুল ফজল যে মুক্তবুদ্ধি ও প্রগতিশীল চিন্তার অধিকারী হয়েছিলেন, পরবর্তীকালে তাঁর রচনায় তার প্রতিফলন ঘটেছে। তিনি সমাজ ও যুগসচেতন লেখক হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। কথাশিল্পী হিসেবেও তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। স্বদেশপ্রেম, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা, সত্যনিষ্ঠা, মানবতা ও কল্যাণবোধ ছিল তাঁর সাহিত্যকর্মের প্রতিপাদ্য বিষয়।
১৩ নং লাইন: ১৩ নং লাইন:
আবুল ফজল  [[উপন্যাস|উপন্যাস]],  [[ছোটগল্প|ছোটগল্প]], নাটক, আত্মকথা, ধর্ম, ভ্রমণকাহিনী ইত্যাদি বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেন। সে সবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো: চৌচির (১৯৩৪), প্রদীপ ও পতঙ্গ (১৯৪০), মাটির পৃথিবী (১৯৪০), বিচিত্র কথা (১৯৪০), রাঙ্গা প্রভাত (১৯৫৭), রেখাচিত্র (১৯৬৬), দুর্দিনের দিনলিপি (১৯৭২) প্রভৃতি। বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২), প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৩), আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৬), নাসিরুদ্দীন স্বর্ণপদক (১৯৮০), মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮১) এবং আবদুল হাই সাহিত্য পদকে (১৯৮২) ভূষিত হন। ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডক্টরেট উপাধি দিয়ে সম্মানিত করে। ১৯৮৩ সালের ৪ মে চট্টগ্রামে তাঁর মৃত্যু হয়।  [সায়েদা বানু]
আবুল ফজল  [[উপন্যাস|উপন্যাস]],  [[ছোটগল্প|ছোটগল্প]], নাটক, আত্মকথা, ধর্ম, ভ্রমণকাহিনী ইত্যাদি বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেন। সে সবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো: চৌচির (১৯৩৪), প্রদীপ ও পতঙ্গ (১৯৪০), মাটির পৃথিবী (১৯৪০), বিচিত্র কথা (১৯৪০), রাঙ্গা প্রভাত (১৯৫৭), রেখাচিত্র (১৯৬৬), দুর্দিনের দিনলিপি (১৯৭২) প্রভৃতি। বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২), প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৩), আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৬), নাসিরুদ্দীন স্বর্ণপদক (১৯৮০), মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮১) এবং আবদুল হাই সাহিত্য পদকে (১৯৮২) ভূষিত হন। ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডক্টরেট উপাধি দিয়ে সম্মানিত করে। ১৯৮৩ সালের ৪ মে চট্টগ্রামে তাঁর মৃত্যু হয়।  [সায়েদা বানু]


[[en:Fazal, Abul]]
[[en:Fazal, Abul]]
[[en:Fazal, Abul]]


[[en:Fazal, Abul]]
[[en:Fazal, Abul]]

১০:৪৭, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

আবুল ফজল

ফজল, আবুল (১৯০৩-১৯৮৩)  শিক্ষাবিদ, প্রাবন্ধিক, কথাসাহিত্যিক। ১৯০৩ সালের ১ জুলাই  চট্টগ্রাম জেলার  সাতকানিয়া উপজেলার অন্তর্গত কেঁওচিয়া গ্রামে তাঁর জন্ম। তাঁর পিতা মৌলবি ফজলুর রহমান ছিলেন চট্টগ্রাম জুমা মসজিদের  ইমাম। আবুল ফজলের শিক্ষাজীবন শুরু হয় মাদ্রাসায়। তিনি ১৯২৮ সালে  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ডিগ্রি লাভ করেন। ১৯৩১ সালে ঢাকা টিচার্স ট্রেনিং কলেজ থেকে বিটি এবং ১৯৪০ সালে  কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে  বাংলা ভাষা ও সাহিত্যে এমএ ডিগ্রি লাভ করেন।

আবুল ফজল মসজিদে ইমামতির মাধ্যমে পেশাগত জীবন শুরু করেন। পরে বিভিন্ন স্কুলে শিক্ষকতা করে ১৯৪১ সালে তিনি পশ্চিমবঙ্গের কৃষ্ণনগর কলেজে বাংলা বিষয়ের লেকচারার পদে যোগদান করেন। সেখান থেকে ১৯৪৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম কলেজে বদলি হন এবং সেখান থেকেই ১৯৫৬ সালে অধ্যাপক হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। ১৯৭৩ সালে তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য পদে যোগদান করেন। ১৯৭৫ সালের নভেম্বর থেকে তিনি বাংলাদেশ সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য হিসেবে শিক্ষা ও সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেন এবং ১৯৭৭ সালের ২৩ জুন ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন।

আবুল ফজল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে ঢাকার  মুসলিম সাহিত্য সমাজ (১৯২৬) প্রতিষ্ঠার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ১৯৩০ সালে তিনি এর সম্পাদক হন। মুসলিম সাহিত্য সমাজের উদ্দেশ্য ছিল সামাজিক কুসংস্কার ও অন্ধ শাস্ত্রানুগত্য থেকে মানুষকে মুক্ত করা। এ উদ্দেশে তাঁরা সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলেন। তাঁদের সে আন্দোলনের বার্তা সর্বত্র পৌঁছে দেওয়ার জন্য ১৯২৬ সালে তাঁরা প্রকাশ করেন সমাজের মুখপত্র  শিখা। মুসলিম সাহিত্য সমাজ ও শিখার সঙ্গে যাঁরা জড়িত ছিলেন তাঁরা ‘শিখাগোষ্ঠী’ নামে পরিচিত ছিলেন। এ গোষ্ঠী তখন ঢাকায় বুদ্ধির মুক্তি আন্দোলন শুরু করে। তাঁদের আন্দোলনের মূলকথা ছিল ‘জ্ঞান যেখানে সীমাবদ্ধ, বুদ্ধি সেখানে আড়ষ্ট, মুক্তি সেখানে অসম্ভব’।

শিখাগোষ্ঠীর এ আন্দোলনের মাধ্যমে আবুল ফজল যে মুক্তবুদ্ধি ও প্রগতিশীল চিন্তার অধিকারী হয়েছিলেন, পরবর্তীকালে তাঁর রচনায় তার প্রতিফলন ঘটেছে। তিনি সমাজ ও যুগসচেতন লেখক হিসেবে খ্যাতি লাভ করেন। কথাশিল্পী হিসেবেও তিনি বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেন। স্বদেশপ্রেম, অসাম্প্রদায়িক চিন্তা-চেতনা, সত্যনিষ্ঠা, মানবতা ও কল্যাণবোধ ছিল তাঁর সাহিত্যকর্মের প্রতিপাদ্য বিষয়।

একজন সমাজসচেতন  বুদ্ধিজীবী হিসেবে আবুল ফজল ছিলেন নিঃশঙ্কচিত্ত। জাতির বিভিন্ন সংকটকালে তাঁর নির্ভীক ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়।  বাংলা ভাষা ও সাহিত্য, বাঙালি সংস্কৃতি এবং বাঙালি জাতির প্রতি ছিল তাঁর গভীর অনুরাগ ও মমত্ববোধ। তাই ১৯৬৭ সালে পাকিস্তান সরকার যখন রবীন্দ্রনাথকে পাকিস্তানের আদর্শবিরোধী হিসেবে আখ্যায়িত করে রেডিও-টেলিভিশন থেকে  রবীন্দ্রসঙ্গীত প্রচার বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়, তখন তিনি এর বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান।

আবুল ফজল  উপন্যাসছোটগল্প, নাটক, আত্মকথা, ধর্ম, ভ্রমণকাহিনী ইত্যাদি বিষয়ে বহু গ্রন্থ রচনা করেন। সে সবের মধ্যে উল্লেখযোগ্য কয়েকটি হলো: চৌচির (১৯৩৪), প্রদীপ ও পতঙ্গ (১৯৪০), মাটির পৃথিবী (১৯৪০), বিচিত্র কথা (১৯৪০), রাঙ্গা প্রভাত (১৯৫৭), রেখাচিত্র (১৯৬৬), দুর্দিনের দিনলিপি (১৯৭২) প্রভৃতি। বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমী পুরস্কার (১৯৬২), প্রেসিডেন্টের রাষ্ট্রীয় সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৩), আদমজী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৬৬), নাসিরুদ্দীন স্বর্ণপদক (১৯৮০), মুক্তধারা সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮১) এবং আবদুল হাই সাহিত্য পদকে (১৯৮২) ভূষিত হন। ১৯৭৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তাঁকে ডক্টরেট উপাধি দিয়ে সম্মানিত করে। ১৯৮৩ সালের ৪ মে চট্টগ্রামে তাঁর মৃত্যু হয়।  [সায়েদা বানু]