প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড
প্রিমিয়ার ব্যাংক লিমিটেড বেসরকারি খাতের বাণিজ্যিক ব্যাংক। ১৯৯৯ সালের ১০ জুন ২২ উদ্যোক্তার ১০০ মিলিয়ন টাকার পরিশোধিত মূলধন নিয়ে ব্যাংক হিসেবে নিবন্ধিত হয় এবং বাংলাদেশ ব্যাংক এটিকে ১৭ জুন ২০১৭ তারিখে ব্যাংকিং লাইসেন্স প্রদান করে। বর্তমানে ব্যাংকের ১৪ জন উদ্যোক্তার মধ্যে একজন নিউজিল্যান্ডের নাগরিকও আছেন। ২০০৯ সালের শেষে ব্যাংকটির অনুমোদিত মূলধন ৬,০০০ মিলিয়ন টাকা ও পরিশোধিত মূলধনের পরিমাণ ২,২৪২ টাকায় উন্নীত হয়েছে। ব্যাংকটি সিকিউরিটি অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনে নিবন্ধিত এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ-এ তালিকাভুক্ত।
মৌল তথ্য ও পরিসংখ্যান (মিলিয়ন টাকায়)
বিবরণ | ২০১৮ | ২০১৯ | ২০২০ |
অনুমোদিত মূলধন | ১০০০০ | ১০০০০ | ১০০০০ |
পরিশোধিত মূলধন | ৮০০১ | ৯২৪১ | ৯৭০৩ |
রিজার্ভ | ৭২৭৯ | ৯৫৪৫ | ১০৫৩৮ |
আমানত | ১৬৯৪৪০ | ২০৯৩৪৬ | ২৪১৯৫৪ |
ক) তলবি আমানত | ৬৫২৯৯ | ৮৯৭৬৮ | ৪৪১০৮ |
খ) মেয়াদি আমানত | ১০৪১৪১ | ১১৯৫৭৮ | ১৯৭৮৪৬ |
ঋণ ও অগ্রিম | ১৫৬৯৬০ | ১৮৮৯৪৫ | ২১৩২০৫ |
বিনিয়োগ | ২৯৪৪৮ | ৩৯২০৭ | ৪০০২১ |
মোট পরিসম্পদ | ২১৬১৩৩ | ২৬১৬৮৯ | ৩১৩৩১৬ |
মোট আয় | ২১৭৩৯ | ২৬১১২ | ২৭৮৬৬ |
মোট ব্যয় | ১৫৭০৪ | ১৮৭৯৪ | ২১০৮৪ |
বৈদেশিক মুদ্রা ব্যবসা পরিচালনা | ২৩১৯৯৪ | ৩০২৬১৬ | ৩০৫২৪০ |
ক) রপ্তানি | ৮৯৬০১ | ১০৯২৩২ | ১০৯৬৯০ |
খ) আমদানি | ১০৫৩২৩ | ১৪০৬২৯ | ১৫৫৪৫০ |
গ) রেমিট্যান্স | ৩৭০৭০ | ৫২৭৫৫ | ৪০১০০ |
মোট জনশক্তি (সংখ্যায়) | ১৭০৮ | ১৯৪৭ | ১৯৮৭ |
ক) কর্মকর্তা | ১৫৮৮ | ১৭৫৩ | ১৭৮১ |
খ) কর্মচারি | ১২০ | ১৯৪ | ২০৬ |
বিদেশি প্রতিসংগী ব্যাংক (সংখ্যায়) | ৫৮২ | ৫৯২ | ৫৯৫ |
শাখা (সংখ্যায়) | ১০৯ | ১১৫ | ১২০ |
ক) দেশে | ১০৯ | ১১৫ | ১২০ |
খ) বিদেশে | ০ | ০ | ০ |
কৃষিখাতে | |||
ক) ঋণ বিতরণ | ৬৪৮১ | ৩৪১৮ | ২৩১৬ |
খ) আদায় | ২৯৯৮ | ২৫০১ | ২৪৪ |
শিল্প খাতে | |||
ক) ঋণ বিতরণ | ১৯৮০৯ | ১২৩১৭২ | ১১২৩৮১ |
খ) আদায় | ১৩০৮৬ | ৮৭৩৪১ | ৭৬৪৬৭ |
খাত ভিত্তিক ঋণের স্থিতি | |||
ক) কৃষি ও মৎস্য | ১৩৮৫ | ২০৮০ | ৪৯৭০ |
খ) শিল্প | ৩৩৭০১ | ৩৭৬৮৫ | ৫১০২৬ |
গ) ব্যবসা বাণিজ্য | ২৮১৫২ | ৪১৬৩৩ | ৫৭০৭৮ |
ঘ) দারিদ্র্য বিমোচন | ৭ | ৫ | ৬ |
সি.এস.আর | ২৪০ | ১৩৮ | ১৭৭ |
উৎস আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, অর্থ মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ সরকার, বার্ষিক প্রতিবেদন, ২০১৯-২০২০ ও ২০২০-২১।
১৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিচালক পর্ষদের ওপর ব্যাংকটির সামগ্রিক ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব ও নীতি-নির্ধারণের ক্ষমতা ন্যস্ত। ব্যবস্থাপনা পরিচালক, ৩ জন উপব্যবস্থাপনা পরিচালক, ৩২ জন সিনিয়র নির্বাহী সহ মোট ৮৯৩ জন কর্মকর্তা-কর্মচারির সহায়তায় ব্যাংকটির দৈনন্দিন ব্যবসায়িক ও প্রশাসনিক কার্যাাবলি পরিচালনা করেন। ৩১ ডিসেম্বর ২০২০ পর্যন্ত ব্যাংকটির মোট শাখার সংখ্যা ১১০। প্রচলিত সবধরনের বাণিজ্যিক ব্যাংকিং সেবার পাশাপাশি ব্যাংকটি ঢাকা ও সিলেটের ২টি শাখায় ইসলামি ব্যাংকিং এবং ঢাকায় ৫টি এসএমই শাখা চালু করেছে।
সাধারণ ব্যাংকিং ছাড়াও প্রিমিয়ার ব্যাংক মার্চেন্ট ও বিনিয়োগ ব্যাংক হিসেবে তাদের কর্মকাণ্ড পরিব্যপ্ত করেছে। মাস্টার কার্ড প্রচলনের পাশাপাশি প্রিমিয়াম ব্যাংক গ্রাহকদের অনলাইন ব্যাংকিং সুবিধাও দিচ্ছে। ‘ইভনিং ব্যাংকিং’ এর সুযোগ এই ব্যাংকটির একটি কাসটমার রিলেশনস উন্নয়নের উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি। বৈদেশিক মূদ্রা লেনদেন ব্যবসায় সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে অনলাইন সার্ভিস সাবস্ক্রিপশনসহ স্যাটেলাইটভিত্তিক যোগাযোগ সংস্থাপন এবং ৫৯৫টি বিদেশি সহযোগী সংস্থার সাথে যোগাযোগ চুক্তি রয়েছে ব্যাংকটির। প্রিমিয়ার ব্যাংক এসএমএস ব্যাংকিং সার্ভিস চালু করে ২০০৬ সালের ৩০ জানুয়ারি। মোবাইল ফোন থেকে এসএমএস-এর মাধ্যমে গ্রাহক যেকোন সময় যেকোন স্থান থেকে তার যাবতীয় ব্যাংকিং ইনফরমেশন আদান-প্রদান করতে পারে।
২০১৯ সালে ব্যাংকের আমানত ও ঋণ অগ্রিমের স্থিতির অংশ ছিল ব্যাংকিং খাতের মোট আমানত ও ঋণ অগ্রিমের স্থিতির যথাক্রমে ১.৬ এবং ১.৭ শতাংশ এবং আমানত ও ঋণ অগ্রিমের গড় সুদহার ব্যবধান দাঁড়ায় ৫.১ শতাংশ। [মোহাম্মদ আবদুল মজিদ]