প্রিবায়োটিক

প্রিবায়োটিক (Prebiotic) যেসব খাবারের যৌগসমূহ উপকারী অণুজীবের বৃদ্ধি বা কার্যকলাপকে উদ্দীপিত করতে পারে তাকে প্রিবায়োটিক বলা হয়। অন্ত্রে মাইক্রোবায়োম বৃদ্ধি এবং প্রকরণ প্রিবায়োটিকের উপর নির্ভর করে। অন্য কথায়, প্রিবায়োটিকের রাফেজ এবং প্রাকৃতিক শর্করা অন্ত্রের দরকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিকে ত্বরান্বিত করে। প্রিবায়োটিকের গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সিস্টেমে মাইক্রোবায়োমের গঠন পরিবর্তন করতে পারে। গোটা শস্য, রসুন, পেঁয়াজ, সয়াবিন, সবুজশাক, কলা এবং আর্টিচোকস ইত্যাদিতে প্রচুর প্রিবায়োটিক্স থাকে। প্রোবায়োটিকস এবং প্রিবায়োটিকস খাদ্যতালিকায় সম্পূরক হিসাবেও পাওয়া যায় এবং বিভিন্ন খাবারে যোগ করা হয়। নিরামিষাশী মানুষ প্রিবায়োটিক খাবার খেতে পারে। বাদাম, চিকরি, রসুন এবং ছোলা এই খাবারের মধ্যে অন্যতম। প্রিবায়োটিক পেটে উপকারী ব্যাকটেরিয়া বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। চিকরিরুট প্রায়শই ক্যাফেইন-মুক্ত কফির বিকল্প হিসাবে ব্যবহৃত হয়।এর ইনুলিন ফাইবার অন্ত্রের ভাল ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধিতে সহায়ক হিসেবে কাজ করে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে এবং রক্তে শর্করার নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে। ড্যান্ডেলিয়ন সবুজ শাকসব্জির একটি ফাইবার সমৃদ্ধ বিকল্প। তারা অন্ত্রে উপকারী ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা বাড়িয়ে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য কমিয়ে দেহের ইমিউন সিস্টেম উন্নত করে। সয়াবিন, অ্যাসপারাগাস, কলা, লিক, রসুনের মতো খাবারেও প্রিবায়োটিক থাকে। [সাবিতা রিজওয়ানা রহমান]