প্রগতি: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
১ নং লাইন: ১ নং লাইন:
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
[[Category:বাংলাপিডিয়া]]
'''প্রগতি''' একটি সাহিত্য পত্রিকা। বুদ্ধদেব বসু ও অজিতকুমার দত্তের সম্পাদনায় ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩৪ সনের আষাঢ় মাসে (জুলাই ১৯২৭)।
'''প্রগতি''' একটি সাহিত্য পত্রিকা। বুদ্ধদেব বসু ও অজিতকুমার দত্তের সম্পাদনায় ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩৪ সনের আষাঢ় মাসে (জুলাই ১৯২৭)। সাতচল্লিলশ পুরানা পল্টনে, একটি সাধারণ টিনের ঘরে ছিল প্রগতির কার্যালয়। সেখানে বুদ্ধদেব বসু, অজিতকুমার, পরিমল রায়, সুধীশ ঘটক, মনীশ ঘটক, অনিল ভট্টাচার্য, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত প্রমুখ কবি-সাহিত্যিকের নিয়মিত আড্ডা বসত। এভাবেই ঢাকার প্রগতি পত্রিকা হয়ে উঠেছিল তিরিশের দশকের তরুণ সাহিত্যিকদের কণ্ঠস্বর।
 
সাতচল্লিলশ পুরানা পল্টনে, একটি সাধারণ টিনের ঘরে ছিল প্রগতির কার্যালয়। সেখানে বুদ্ধদেব বসু, অজিতকুমার, পরিমল রায়, সুধীশ ঘটক, মনীশ ঘটক, অনিল ভট্টাচার্য, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত প্রমুখ কবি-সাহিত্যিকের নিয়মিত আড্ডা বসত। এভাবেই ঢাকার প্রগতি পত্রিকা হয়ে উঠেছিল তিরিশের দশকের তরুণ সাহিত্যিকদের কণ্ঠস্বর।


প্রগতির প্রধান বিষয় ছিল সাহিত্যে আধুনিকতা। এ বিষয়ে তরুণ লেখকদের অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রে কল্লোল-র চেয়ে প্রগতির ভূমিকা ছিল বেশি বলিষ্ঠ। প্রগতি পত্রিকার আধুনিক সাহিত্যচর্চা সাহিত্যে শৃঙ্খলাবোধের ঊর্ধ্বে ছিল। পত্রিকাটির বিরুদ্ধে তৎকালীন রবীন্দ্রধারার সাহিত্যিকগণ অশ্ললীলতার অভিযোগ তোলেন। সে কালের প্রতিক্রিয়াশীল সাহিত্য পত্রিকা শনিবারের চিঠির সঙ্গে প্রগতির মতাদর্শগত দ্বন্দ্ব ছিল। প্রগতির লেখকরা শনিবারের চিঠির বিরূপ মন্তব্য স্তিমিত না হয়ে তাদের নতুন ধারার সাহিত্যচর্চাকে আরো বেগবান করে তোলে।
প্রগতির প্রধান বিষয় ছিল সাহিত্যে আধুনিকতা। এ বিষয়ে তরুণ লেখকদের অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রে কল্লোল-র চেয়ে প্রগতির ভূমিকা ছিল বেশি বলিষ্ঠ। প্রগতি পত্রিকার আধুনিক সাহিত্যচর্চা সাহিত্যে শৃঙ্খলাবোধের ঊর্ধ্বে ছিল। পত্রিকাটির বিরুদ্ধে তৎকালীন রবীন্দ্রধারার সাহিত্যিকগণ অশ্ললীলতার অভিযোগ তোলেন। সে কালের প্রতিক্রিয়াশীল সাহিত্য পত্রিকা শনিবারের চিঠির সঙ্গে প্রগতির মতাদর্শগত দ্বন্দ্ব ছিল। প্রগতির লেখকরা শনিবারের চিঠির বিরূপ মন্তব্য স্তিমিত না হয়ে তাদের নতুন ধারার সাহিত্যচর্চাকে আরো বেগবান করে তোলে।

০৬:০১, ১২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

প্রগতি একটি সাহিত্য পত্রিকা। বুদ্ধদেব বসু ও অজিতকুমার দত্তের সম্পাদনায় ঢাকা থেকে প্রথম প্রকাশিত হয় ১৩৩৪ সনের আষাঢ় মাসে (জুলাই ১৯২৭)। সাতচল্লিলশ পুরানা পল্টনে, একটি সাধারণ টিনের ঘরে ছিল প্রগতির কার্যালয়। সেখানে বুদ্ধদেব বসু, অজিতকুমার, পরিমল রায়, সুধীশ ঘটক, মনীশ ঘটক, অনিল ভট্টাচার্য, অচিন্ত্যকুমার সেনগুপ্ত প্রমুখ কবি-সাহিত্যিকের নিয়মিত আড্ডা বসত। এভাবেই ঢাকার প্রগতি পত্রিকা হয়ে উঠেছিল তিরিশের দশকের তরুণ সাহিত্যিকদের কণ্ঠস্বর।

প্রগতির প্রধান বিষয় ছিল সাহিত্যে আধুনিকতা। এ বিষয়ে তরুণ লেখকদের অংশ গ্রহণের ক্ষেত্রে কল্লোল-র চেয়ে প্রগতির ভূমিকা ছিল বেশি বলিষ্ঠ। প্রগতি পত্রিকার আধুনিক সাহিত্যচর্চা সাহিত্যে শৃঙ্খলাবোধের ঊর্ধ্বে ছিল। পত্রিকাটির বিরুদ্ধে তৎকালীন রবীন্দ্রধারার সাহিত্যিকগণ অশ্ললীলতার অভিযোগ তোলেন। সে কালের প্রতিক্রিয়াশীল সাহিত্য পত্রিকা শনিবারের চিঠির সঙ্গে প্রগতির মতাদর্শগত দ্বন্দ্ব ছিল। প্রগতির লেখকরা শনিবারের চিঠির বিরূপ মন্তব্য স্তিমিত না হয়ে তাদের নতুন ধারার সাহিত্যচর্চাকে আরো বেগবান করে তোলে।

প্রগতি পত্রিকার একটি বড় বৈশিষ্ট্য ছিল বিশ্বসাহিত্যকে ধারণ করা। প্রগতির প্রতিটি সংখ্যাতেই বিদেশি কবিতা, গল্প প্রভৃতির অনুবাদ এবং বিদেশি সাহিত্য নিয়ে তুলনামূলক আলোচনা প্রকাশিত হতো। প্রগতির প্রথম সংখ্যা শুরুই হয়েছে এইচ.জি ওয়েলস এর রদেনস্টাইনের অাঁকা ছবি দিয়ে। আরও আছে লুইজ পিরানদেল্লেলাকে নিয়ে একটি রচনা, জাপানি কবিতার অনুবাদ ‘সওদা’, অন্তন চেকভের ছাত্র জীবনের সত্য ঘটনা ও ফরাসি সাহিত্য নিয়ে আলোচনা।

প্রগতি ১৩৩৪ সন হতে ১৩৩৮ সন পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে।  [মামুনূর রশীদ]