পাহাড়িয়া: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

(Added Ennglish article link)
 
সম্পাদনা সারাংশ নেই
 
৬ নং লাইন: ৬ নং লাইন:
বাংলাদেশে দ্রাবিড় ভাষাভাষী দুটি জনগোষ্ঠীর একটি হলো পাহাড়িয়া, অন্যটি [[ওরাওঁ|ওরাওঁ]]। এদের মধ্যে তেমন কোন সুস্পষ্ট পার্থক্য নেই। পাহাড়িয়ারা প্রধানত সাউরিয়া (মালার নামেও পরিচিত) এবং মাল এই দুই ভাগে বিভক্ত। কুমার বা কুমারবাগ হলো মালদের একটি শাখা। বাংলাদেশে মাল-পাহাড়িয়াদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। ১৯৯১ সালের [[আদমশুমারি|আদমশুমারি]] অনুসারে বাংলাদেশে পাহাড়িয়া জনসংখ্যা ছিল ৭,৩৬১। এদের বসবাস মূলত রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া এবং পাবনা জেলায়।
বাংলাদেশে দ্রাবিড় ভাষাভাষী দুটি জনগোষ্ঠীর একটি হলো পাহাড়িয়া, অন্যটি [[ওরাওঁ|ওরাওঁ]]। এদের মধ্যে তেমন কোন সুস্পষ্ট পার্থক্য নেই। পাহাড়িয়ারা প্রধানত সাউরিয়া (মালার নামেও পরিচিত) এবং মাল এই দুই ভাগে বিভক্ত। কুমার বা কুমারবাগ হলো মালদের একটি শাখা। বাংলাদেশে মাল-পাহাড়িয়াদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। ১৯৯১ সালের [[আদমশুমারি|আদমশুমারি]] অনুসারে বাংলাদেশে পাহাড়িয়া জনসংখ্যা ছিল ৭,৩৬১। এদের বসবাস মূলত রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া এবং পাবনা জেলায়।


বর্তমানে বাংলাদেশে পাহাড়িয়া সম্প্রদায়ের নিজস্ব লোকজ পরিচিতি রক্ষা করা বেশ কঠিন। উদাহরণস্বরূপ, মাল পাহাড়িয়াদের আত্মীয়তা সম্পর্কীয় পদ সম্পূর্ণরূপে হিন্দুয়ানি রূপ ধারণ করেছে। কোন কোন অঞ্চলের পাহাড়িয়ারা তাদের নিজস্ব ভাষা ভুলে গেছে। এদের ভাষার কোন নিজস্ব বর্ণমালা নেই এবং এটি কেবল একটি কথ্য ভাষা। পরিবর্তনশীল সমাজকাঠামোর অধীনে এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের নৈকট্যের কারণে অধিকাংশ পাহাড়িয়া বর্তমানে নিজেদের হিন্দুরূপে পরিচয় দেয়, যদিও তারা হিন্দুবাদে নিজেদের একীভূত করে ফেলে নি। তারা লক্ষ্মী, মনসা, কালী এবং দুর্গার মতো হিন্দু দেবদেবীর পূজা করলেও নিজেরা এসব দেবদেবীর কোন মূর্তি স্থাপন করে না।
বর্তমানে বাংলাদেশে পাহাড়িয়া সম্প্রদায়ের নিজস্ব লোকজ পরিচিতি রক্ষা করা বেশ কঠিন। উদাহরণস্বরূপ, মাল পাহাড়িয়াদের আত্মীয়তা সম্পর্কীয় পদ সম্পূর্ণরূপে হিন্দুয়ানি রূপ ধারণ করেছে। কোন কোন অঞ্চলের পাহাড়িয়ারা তাদের নিজস্ব ভাষা ভুলে গেছে। এদের ভাষার কোন নিজস্ব বর্ণমালা নেই এবং এটি কেবল একটি কথ্য ভাষা। পরিবর্তনশীল সমাজকাঠামোর অধীনে এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের নৈকট্যের কারণে অধিকাংশ পাহাড়িয়া বর্তমানে নিজেদের হিন্দুরূপে পরিচয় দেয়, যদিও তারা হিন্দুবাদে নিজেদের একীভূত করে ফেলে নি। তারা লক্ষ্মী, মনসা, কালী এবং দুর্গার মতো হিন্দু দেবদেবীর পূজা করলেও নিজেরা এসব দেবদেবীর কোন মূর্তি স্থাপন করে না। [সাদাত উল্লাহ খান]


[সাদাত উল্লাহ খান]
[[en:Paharia, The]]
[[en:Paharia, The]]
[[en:Paharia, The]]


[[en:Paharia, The]]
[[en:Paharia, The]]

০৬:৪৭, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ তারিখে সম্পাদিত সর্বশেষ সংস্করণ

পাহাড়িয়া  বাংলাদেশের উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে বসবাসকারী একটি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী। পাহাড়িয়া একটি আর্য-ভারতীয় শব্দ যা অরণ্য বা পর্বতে বসবাসকারী লোকদের বোঝাতে ব্যবহূত হয়। পাহাড়িয়াদের ধারণা তাদের আদি উৎসস্থল হলো দক্ষিণ বিহারের রাজমহল পর্বতমালা।

ঐতিহাসিকভাবে পাহাড়িয়ারা ছিল একটি বঞ্চিত ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী। তারা চাষাবাদ এবং বনাঞ্চল থেকে আদিম পদ্ধতিতে ফলমূল সংগ্রহ করে জীবিকা নির্বাহ করত।

বাংলাদেশে দ্রাবিড় ভাষাভাষী দুটি জনগোষ্ঠীর একটি হলো পাহাড়িয়া, অন্যটি ওরাওঁ। এদের মধ্যে তেমন কোন সুস্পষ্ট পার্থক্য নেই। পাহাড়িয়ারা প্রধানত সাউরিয়া (মালার নামেও পরিচিত) এবং মাল এই দুই ভাগে বিভক্ত। কুমার বা কুমারবাগ হলো মালদের একটি শাখা। বাংলাদেশে মাল-পাহাড়িয়াদের সংখ্যা খুবই নগণ্য। ১৯৯১ সালের আদমশুমারি অনুসারে বাংলাদেশে পাহাড়িয়া জনসংখ্যা ছিল ৭,৩৬১। এদের বসবাস মূলত রাজশাহী, দিনাজপুর, বগুড়া এবং পাবনা জেলায়।

বর্তমানে বাংলাদেশে পাহাড়িয়া সম্প্রদায়ের নিজস্ব লোকজ পরিচিতি রক্ষা করা বেশ কঠিন। উদাহরণস্বরূপ, মাল পাহাড়িয়াদের আত্মীয়তা সম্পর্কীয় পদ সম্পূর্ণরূপে হিন্দুয়ানি রূপ ধারণ করেছে। কোন কোন অঞ্চলের পাহাড়িয়ারা তাদের নিজস্ব ভাষা ভুলে গেছে। এদের ভাষার কোন নিজস্ব বর্ণমালা নেই এবং এটি কেবল একটি কথ্য ভাষা। পরিবর্তনশীল সমাজকাঠামোর অধীনে এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের নৈকট্যের কারণে অধিকাংশ পাহাড়িয়া বর্তমানে নিজেদের হিন্দুরূপে পরিচয় দেয়, যদিও তারা হিন্দুবাদে নিজেদের একীভূত করে ফেলে নি। তারা লক্ষ্মী, মনসা, কালী এবং দুর্গার মতো হিন্দু দেবদেবীর পূজা করলেও নিজেরা এসব দেবদেবীর কোন মূর্তি স্থাপন করে না। [সাদাত উল্লাহ খান]